হ্যালো বন্ধুরা, আশাকরি সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সবাইকে ভালো রেখেছেন। আর যারা অসুস্থ বা খারাপ অবস্থায় আছেন আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা দান করেন। আজ নিয়ে এসেছি শিক্ষামূলক সুন্দর একটা টিউন। আশাকরি আপনাদের কাছে এটি ভালো লাগবে। চলুন দেখা যাক আজকের টিউনটি।
ল্যাটিন শব্দ 'Nanus' অথবা গ্রিক শব্দ ' Nanos' থেকে Nano শব্দটির উৎপত্তি যার পারিভাষিক অর্থ হলো বামন বা জাদুকরী ক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষুদ্র মানুষ।
ধাতব ও বস্তুকে সূক্ষভাবে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির স্কেল ব্যবহার করে বিজ্ঞান যে পদ্ধতিতে টেকসই ও স্থায়ী ডিভাইস বা উৎপাদ উৎপন্ন করে তাকে ন্যানো-প্রযুক্তি বলে।
ন্যানোমিটার দৈর্ঘ পরিমাপের একটি একক মাত্র।
এক ন্যানো-মিটার সমান এক মিটার এর ১০০ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ১ ন্যানোমিটার (nm) = ১০^-৯ মিটার (m)।
একটি চুল হচ্ছে এক লক্ষ ন্যানোমিটার প্রশস্ত এবং সবচেয়ে ছোট ব্যাকটেরিয়ার আকার ২০০ ন্যানোমিটার। ডিএনএ ডাবল হেলিক্স এর ব্যসার্ধ ২ ন্যনোমিটার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত মিলিমিটার স্কেলে সুক্ষ্মতা মাপা হত। এর পর এই প্রযুক্তির চালু করা হয়।
ন্যানোপ্রযুক্তি দুইটি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয় -একটি হচ্ছে বটম-আপ এবং অন্যটি হচ্ছে টপ-ডাউন।
বটম-আপ পদ্ধতিতে ন্যানো ডিভাইস এবং উপকরণগুলি আণবিক স্বীকৃতির নীতির উপর ভিত্তি করে আণবিক উপাদানে দ্বারা তৈরি হয় এবং ইহারা রাসায়নিকভাবে একীভূত হয়। এই পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারের ছোট জিনিস দিয়ে জিনিস তৈরি করা হয়।
টপ-ডাউন পদ্ধতিতে একটি ন্যানো উপকরণ পরমাণু স্তরের নিয়ন্ত্রন ছাড়াই বৃহৎ সত্তা হয়ে গঠিত হয়।
আমেরিকান পদার্থবিদ রিচার্ড ফেম্যান (Rechard Feynman) কে ন্যানো প্রযুক্তির জনক বলা হয়।
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রায় সকল ধরনের উপাদানেই এখন ন্যানো প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। যেমন:
১.এ পদ্ধতি অবলম্বনে তৈরি পণ্য ভিজে না, ময়লা হয় না, শক্ত এবং মসৃণ হয়। এটা ছবির মাধ্যমে বোঝানো হলো। যেমন- কোন পোশাকে ময়লা বা পানি ছিটালে এটা ঝরে পরে যায়। যা সাধারণ পোশাক এ হয় না।
আমারা ছবিতে এটাই দেখতে পাচ্ছি যে ময়লা ছিটানোর পর একটা পোশাক ময়লা হয়েছে। এটা সাধারণ পোশাক। আরেকটা ময়লা হয়নি এটা ন্যানোটেকনোলজিতে তৈরি পোশাক।
২.এছাড়াও ন্যানোটেকনোলজি এর মাধ্যামে তৈরি হয়েছে একধরনের গ্লোভস যা ময়লা হয়না এবং হাতুর যা ভিজে না ফলে মরিচিকা ও ধরে না।
৩.ন্যানোটেকনোলজি এর মাধ্যমে মোবাইল এর প্রটেকশন গ্লাস এর বদলে ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রটেকটর যা ভাঙ্গে না, চিড়ে যায় না।
৪.ন্যানোটেকনোলজি এর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এক বিশেষ ধরনের চশমা যা দ্বারা গান শোনা যায় এবং মোবাইল চার্জ করা যায়।
বন্ধুরা এই ছিলো ন্যানোটেকনোলজির কয়েকটি আবিষ্কার। আরো অনে কিছু আবিস্কার হয়েছে, হচ্ছে, হবে।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের টিউন। ভালো লাগলে জোসস 👍 দিয়েন। মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট ✒️ করবেন। এ পর্যন্ত আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ পরবর্তী টিউন এ দেখা হচ্ছে।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।