বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন বস্তুর গতি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন এবং তিনি গতির মৌলিক নীতিগুলাকে তিনটি সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। নিউটনের সেই বিখ্যাত তিনটি গতিসূত্র এবং এদের খুবই সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা এখানে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো -
১ম সূত্রঃ বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির থাকবে এবং সমবেগে চলতে থাকা বস্তু সমবেগে চলতে থাকবে।
এই সূত্রের প্রথম অংশটি আমরা সহজে বুঝতে পারি। কারন বাহির থেকে বল প্রয়োগ না করলে তো কোনো বস্তু স্থির থাকবেই। কিন্তু বাকি অংশ অনুযায়ী আমরা তো কোনো কিছুকে হাত দিয়ে বল প্রয়োগ করে না থামালেও চিরকাল চলতে দেখি না, বস্তুটি একসময় থেমে যায়। আচ্ছা, এখানেও কিন্তু একধরণের বল কাজ করে, সেটা হলো ঘর্ষণ বল। বাতাসের, পানি কিংবা ভূপৃষ্ঠের সাথে ঘর্ষণের ফলে বস্তুটি থেমে যায়।
২য় সূত্রঃ বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার তার উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং যেদিকে বল প্রয়োগ করা হয়, ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে।
এই সূত্র থেকেই F=ma এই গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণটি পাওয়া যায়!
৩য় সূত্রঃ যখন একটি বস্তু অন্য বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করে তখন সেই বস্তুটিও প্রথম বস্তুর উপর বিপরীত দিকে সমান বল প্রয়োগ করে।
এই সূত্রটাকে এভাবেও বলা যায় যে, প্রত্যকটি ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আমরা হাটার সময় মাটিতে বল প্রয়োগ করে সেই বল ফিরে পাই, যার কারণে আমরা হাটতে পারি। কিন্তু নরম মাটিতে বা একেবারে ঝুরঝুরে বালিতে এই বল কিছুটা শোষিত হয়ে যায় ফলে আমরা বিপরীত দিকে ঠিকমতো বল ফিরে পাই না। এর ফলে আমরা ঠিকমতো হাটতেও পারি না।
আমি তানভীরুল আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 22 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 6 টিউনারকে ফলো করি।
মূল্যহীন মানুষেরাই পানাহারের জন্যে বেঁচে থাকে; আর যারা মূল্যবান তারা পানাহার করে বেঁচে থাকার জন্যে।
good