নিউটনের সূত্র ভুল প্রমাণে মোদির সাহায্য দাবি:

প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে'- স্যার আইজাক নিউটনের গতির এই তৃতীয় সূত্রটি ৩৩৩ বছর ধরে সকলে মেনে আসছে। তবে এবার ভারতের হিমাচল প্রদেশের এক বিজ্ঞানী এ সূত্রটিতে সীমাবদ্ধতা বা ভুল রয়েছে বলে দাবি করেছেন। এমনকি এটি প্রমাণের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। খবর ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক স্টেটসম্যান।

অজয় শর্মা নামের ওই বিজ্ঞানী গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। তিনি বলেন, গতিবিদ্যার অবিস্মরণীয় জনক নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রটিতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই তিনি সূত্রটি সংস্কার করতে চান। তার মতে, বস্তুর আকার, ওজন ও ভর ভেদে এর প্রতিক্রিয়া সমান নয়, তা কম বা বেশি হতে পারে। অর্থাৎ নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রানুযায়ী, কোন বস্তু গোলাকার, ত্রিভূজাকার, অর্ধবৃত্তাকার, কোনাকৃতি, পাইপের মতো লম্বা, সমতল বা অসম আকারের হলেও এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া ক্রিয়া সমান বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ওই ভারতীয় বিজ্ঞানীর দাবি বন্তুর আকারের পার্থক্য অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া সমান, কম বা বেশি হতে পারে। শুধু এই দাবি জানিয়েই অজয় শর্মা ক্ষান্ত হননি। বরং বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ৩৩৩ বছরের পুরোনো নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি সংস্কার করা সম্ভব। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরাও চাইছেন তিনি এটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করুক। কিন্তু পরীক্ষাটির করার জন্য ১০ থেকে ১২ লাখ রুপি খরচ প্রয়োজন। তাই নরেন্দ্র মোদির কাছে এই পরিমাণ টাকা অনুদান চান তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকার তার ওপর আস্থা রাখতে পারে। তিনি তার জীবনের ৩৬ বছর ধরে আইনস্টাইন, নিউটন এবং আর্কিমিডিসের কাজের ওপর গবেষণা করেছেন। ১৯৯৯ সালেই তিনি এ দাবি জানিয়েছিলেন। এদিকে গত জুলাই মাসেই অজয়ের এই গবেষণার বিষয়টি দিল্লির কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের মহাপরিচালকের কাছে পাঠান ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষবর্ধন। কিন্তু সেখান থেকে কোন প্রকার আশানুরূপ সারা পাননি এই বিজ্ঞানী।