এটা এখনো পরিষ্কার না, ফ্লাইং সসারটি কতদূর উড়তে সক্ষম হবে বা কত উচ্চতায় উঠতে পারবে বা এটি কত বড় হবে অথবা এটি দিয়ে তাঁরা আসলে কি করবেন। ইরান সম্প্রতি একটি অদ্ভুত চেহারার আকাশযান তৈরি করেছে। ইরানের গবেষকদের দাবি, তাদের তৈরি এই যানটিই বিশ্বের প্রথম ফ্লাইং সসার। ইরানের তৈরি চালকবিহীন এই আকাশযানটির নাম রাখা হয়েছে ‘জোহাল’, যার ইংরেজি অর্থ Saturn আর বাংলা করলে দাঁড়ায় শনি। খবর মেইল অনলাইন-এর। গবেষকরা জানিয়েছেন, এরিয়াল ফটোগ্রাফি(aerial imaging)বা আকাশ থেকে ছবি তোলার জন্য তৈরি হলেও এই সসারটি নানারকম মিশনেও অংশ নেবে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইরানের গবেষকদের দাবী করা বিশ্বের প্রথম ফ্লাইং সসারটি দেখতে ১৯৫০-এর দশকে হলিউডের বি ক্যাটেগরির সিনেমায় দেখানো ভীন গ্রহ থেকে আসা চাকতি আকারের ফ্লাইং সসার-এর মতো। যদিও এর আকার-আকৃ্তি সম্পর্কে তারা কিছুই বলেননি। তবে তাঁরা তাঁদের দাবী করার মধ্যে একটি ক্ষুদ্র ও অদ্ভুদ তথ্য নির্দেশ করেছেন যে এটি indoor-এও উড়তে পারবে। তবে ISNA (Iran’s students’ news agency) জানিয়েছে, সসারটি অধিকতর সহজেই চালু হয়, উড্ডয়ণ ও অবতরণ করে এবং অপেক্ষাকৃত কম শব্দ করে। ISNA আরো জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের উলম্বমুখী উরুক্কুদের সাথে সমন্বয় রেখে এটি মূলত আকাশ থেকে ছবি তোলার জন্য তৈরি করা হয়েছে। যার জন্য এতে আছে ১০ মেগাপিক্সেল-এর ক্যামেরা। এর মাধ্যমে এটি একই সাথে ছবি তুলতে ও HD কোয়ালিটির ভিডিও ধারণ করতে পারবে। এতে রয়েছে অটোপাইলট, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার, জিপিএসসহ আরও অনেক সুবিধা। অনেকের মতে এটিতে আছে সহজে বহনযোগ্য একটি পোর্টেবল ল্যাণ্ড স্টেশন। TASP (Tehran’s ambitious space programme) পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যে পযুক্তি মহাকাশে মিসাইল পাঠাতে ব্যবহার করা হয়, এটি তার উন্নততর সংস্করন হতে পারে। যা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র বিদ্যা তথা মিসাইলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আর এতে ইরান প্রযুক্তিগতভাবে অনেক লাভবান হবে।
গতবছর দেশটি মহাকাশে সফলভাবে একটি রকেট উৎক্ষেপন করেছিল। আর এতে তারা একটি ইঁদুর, একটি কচ্ছপ এবং পোকা পাঠায়। তেহরান জানিয়েছেন, তারা আগামী নয় বছরের মধ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠাতেও সক্ষম হবে বলে আশাবাদী।
ইরানের রাষ্ট্রপতি জনাব মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, দেশটিতে পারমানবিক কর্মসূচীতে অন্যান্য দেশের পূর্ণ সমর্থন থাকলেও, কিছু কিছু দেশ-এর বিরোধীতা করছে। যা তাদের প্রাযুক্তিক উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করছে। তবে বর্তমানে ‘জোহাল’-এর প্রাযুক্তির উন্নয়ন সাধিত হলে, তারা তাদের জবাব দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। আর এটি পশ্চিমাদের জন্য একটি সর্তকবানী বলেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন। খবর রেডিও তেহরান-এর।
কৌশলগত বা strategic প্রযুক্তির এক প্রদর্শনীতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ফ্লাইং সসারটির কথা প্রথম জানান। একই সময়ে ইরানের মহাকাশ সংস্থা, কক্ষপথে প্রাণের উপযোগী একটি মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেন। সংবাদসংস্থা IRNA জানায় মহাকাশযানটি Kavoshgar-4 (Explorer-4) নামের রকেটের মধ্যমে পাঠানো হয়। এ সময় এটি কক্ষপথের প্রায় ৭৫ মাইল পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
আমি এন.সি.। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 46 টি টিউন ও 208 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ফ্লাইং সসার আসলেই একটি মজার বিষয়! তাহলে শুরু হলো নতুন আর একটি অধ্যায়। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ সেই সাথে একটি আমার একটি অনেক দিনের জানার আগ্রহ টাও আপনাকেই বলি……….. প্রায় ৫/৬ মাস আগের কথা। অফিসে প্রচুর কাজ থাকায় বাড়ী যাওয়া হলো না আমার। রাত তখন প্রায় সাড়ে চার টা। একটু ঠান্ডা বাতাসে সস্তির জন্য ছাদে যাই। আকাশের দিকে থাকিয়ে দেখি অগনিত তারা। সেই সাথে ঘন ঘন tuta hua tara দেখতে পেয়ে ছাদেই বসে পড়ি। কিন্তু কিছুক্ষন পরেই প্রায় ১টি মোবাইল টাওয়ারের ২/৩ গুন উচু উচ্চতা দিয়ে কক্সবাজারের আকাশ দিয়ে অনেকটা ধীর ও স্মুত গতিতে কোন শব্দ ও আলোক সজ্বা বিহীন তৃভুজ আকৃতির একটি আকাশযান উড়ে যেতে দেখলাম। গতিপথ লক্ষ্য করে যেঠুকু বুঝতে পারলাম ওটা সোজা সুজি ভারতের আকাশ দিয়ে এসে বাংলাদেশের শুধুমাত্র কক্সবাজার শহেরর তথা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চেলর স্থল ভূমির শেষ আকাশ সীমাটা ব্যবহার করেই ওটা বার্মার দিকেই যাচ্ছিল। জিনিস টা আসলে কি ছিল। সাইলেন্ট এয়ারক্রাফ্ট নাকি ফ্লাইং সসার। আমি কিন্তু স্পস্ট তাই দেখলাম। ওটাতে একটা বাতি ও ছিল না, বডি কালারেই উজ্জ্বল হয়েছিল ওটা। সকাল না হওয়া পর্যন্ত চতুরদিকে খুজছিলাম কিন্তু ওটা আর ফিরে আসতে দেখি নাই।