কিভাবে মানব সভ্যতার বিকশিত শুরু হয়েছিল? How did human civilization began?

ডাইনোসর, সাধারণত বৃহদাকার মেরুদণ্ডী প্রাণীগোষ্ঠীকে বোঝায়। এরা পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের প্রাগৈতিহাসিক অধিবাসী এবং বৈজ্ঞানিকদের অনুমান এই প্রভাবশালী প্রাণীরা প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে.

কিন্তু তারপর এদের কি হয়েছিল? প্রকৃতপক্ষেই এই ডাইনোসর কেন বিলুপ্ত হয়ে গেল? এমন কি ঘটনা ঘটেছিল যার ফলে এদের নাম নিশানা সবই হারিয়ে গিয়েছে?

এটা জানার জন্য আমাদের পেছনে ফিরে যেতে হবে, তাহলে চলো যাই আজ থেকে সাড়ে 6 হাজার কোটি বছর আগে

পৃথিবীর আবহাওয়া বেশ শান্ত ছিল, চারিদিকে সবুজের অরণ্য, মিষ্টি সূর্যের আলো, সমুদ্র থেকে আসা শীতল বাতাস, আর এইটা ডাইনোসর, কিন্তু ডাইনোসর ছাড়াও আরেক প্রজাতি ছিল যার আকার ছিল খুবই ছোট, আর এইটা ছিল এখনকার দিনের ইঁদুরের মতো দেখতে.

Mammals মানে স্তন্যপায়ী প্রাণী, আপনাদের জানানোর জন্য বলছি যে ডাইনোসর ডিম দিত, কিন্তু Mammals ডিম দিত না. আমরা মানুষেরা এক একটা mammals.

এই Mammals এর ছিল খুব powerful senses এবং মারাত্মক বুদ্ধিসম্পন্ন মস্তিষ্ক

66 মিলিয়ন বছর আগে এই Mammals ছিল মাত্র 2 ইঞ্চি লম্বা. যার ফলে ডাইনোসরের ভয়ে মাটির নিচে খুব easily লুকিয়ে থাকতে পারত, আর এই বিশেষত্ব এদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে.

যখন এই সব জীব গুলো পৃথিবীতে প্রাকৃতিক নিয়মে খুব আরাম ভাবে বসবাস করছিল ঠিক তখনই 2 ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন ওজনের এক diameter Asteroids 20 মিনিট দূরত্বে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে.

পৃথিবীর gravitational field a পৌঁছানোর সঙ্গে এর গতিবেগ o দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে. 70 হাজার কিলোমিটার per hour গতি গতিবেগ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আসতে থাকে. ক্রমান্বয়ে গতিবেগ বৃদ্ধি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের পৌছানোর পরে ঘর্ষণের ফলে গ্রহটিr এই টুকরা আগুনের গোলায় পরিনিত হয়.এটি মাত্র 4 মিনিটে আটলান্টিক ocean ক্রস করে.

পৃথিবী কে স্পর্শ করার আগে আকাশে এর উজ্জলতা এতই বেশি ছিল যে 800 km ব্যাসার্ধে সমস্ত জীব বন্ধ হয়ে যায়, তারা কিছুই দেখতে পারছিল না কিন্তু তারা এটা অনুভব করতে পারছিল
কমপক্ষে 20000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৃথিবীতে আঘাত হানে.

এবং খুবই ভয়ংকর একটি বিস্ফোরণ হয়, এই বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে পৃথিবীতে সংঘর্ষ হবার সাথে সাথে লাখো মেট্রিক টন ধাতু মহাশূন্যে উঠে যায়.

বিস্ফোরণের জায়গায় একটা 180 কিলোমিটার চওড়া এবং 20 km গভীর গর্ত হয়ে যায়. এই গর্তের সমস্ত ধুলা পাথর আকাশে এক বড় মেঘ তৈরি করে

এত জোরালো ধাক্কায় ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে এক বিশাল tsunami সৃষ্টি হয়.

পৃথিবীর মহা বিনাশ প্রক্রিয়া already শুরু হয়ে গিয়েছিল. এই বিস্ফোরণে রেডিয়েশনের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে এর আশেপাশে 800 কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত জীব মৃত্যুবরণ করে.

পৃথিবী একটি নরকীয় রূপ ধারণ করে.

এই মহা বিনাশে যারা আকাশে উড়ছিল শুধুমাত্র তারাই বেঁচে গিয়েছিল. কিন্তু এটা তো ছিল just মহাপ্রলয়ের শুরু, বিস্ফোরণের ফলে যে লক্ষ মেট্রিক টন ধুলা পাথর মহাশূন্যে গিয়েছিল ঠিক 40 মিনিট পর, প্রত্যেকটি একেকটি আগুনের গোলায় রূপান্তরিত হয়ে পৃথিবীতে গুলির মত পড়ছিল. এর সাথে ধুলার এক বিশাল তুফান বিশ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে মৃত্যু নিয়ে আসছিল.

এই ধুলার মেঘ কয়েক কিলোমিটার মোটা ছিল এই জন্য পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল.

পরবর্তী কয়েক বছর পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছাতেই পারেনি.আর এর ফলে পৃথিবীর সমস্ত উদ্ভিদ গাছপালা ধ্বংস হয়ে যায়. এই মেঘ পৃথিবীকে চারদিক থেকে ঢেকে ফেলেছিল

বিস্ফোরণের 90 মিনিট পর পৃথিবীর তাপমাত্রা 150 degree সেলসিয়াস বিরাজ করে.

এই জন্য যেসব ডাইনোসর বিস্ফোরণের স্থান থেকে অনেক দূরে ছিল তারাও এই গরমে আর বাঁচতে পারে না.

এই মহা প্রলয়ের ফলে পৃথিবীর প্রায় 75 ভাগ জায়গা ধ্বংস হয়ে যায়. কিন্তু এই মহাপ্রলয় কারো জন্য আবার কল্যাণ বয়ে আনে. ডাইনোসরের মৃত্যুর পর এই প্রজাতির নির্বিঘ্নে চলাফেরা সুবর্ণ সুযোগ হয়ে ওঠে.

Mammals. এরাই নিজেকে এই মহা প্রলয় থেকে বাঁচিয়ে নিয়েছে.অত্যন্ত গরম হবার ফলে এরা মাটির নীচে বসবাস করতে শুরু করে. আর বেঁচে থাকার জন্য এরা সব কিছু খেতে শুরু করে

এই ডাইনোসরের কঙ্কাল আমরা ভবিষ্যতে পেতে যাচ্ছি. যার অস্তিত্ব আজ আমরা অনুমান করতে পারি

মহাপ্রলয়ের কয়েক লাখ বছর পর পৃথিবী পুরোপুরি ডাইনোসর থেকে মুক্ত হয়ে গিয়েছিল, আর পৃথিবীতে এক নতুন শুরুর প্রক্রিয়া চলতে থাকে.

এই পৃথিবীতে এই mammals কালের বিবর্তনের সাথে সাথে এরাও বিকশিত হতে থাকে. এখন এর আকার আগের চেয়ে বড় হয়েছে. কিন্তু এরা o একটা পর্যায়ে ar সর্বশেষ প্রজাতি মৃত্যুবরণ করে.

আজ থেকে প্রায় 4.7 কোটি বছর আগে পৃথিবী প্রায় পুরোটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করে. এ সময় পৃথিবী তাপমাত্রা প্রায় 22 ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল. যা পৃথিবী কে একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করতে সহায়তা করে.

এ সময় পৃথিবীর সবগুলো মহাদেশ তার নিজ অবস্থানেই বিরাজ করছিল. শুধুমাত্র ar এক নতুন প্রলয় বাকি. পৃথিবীর টেকটনিক প্লেট আবার নতুন করে স্থান পরিবর্তন শুরু হয়েছিল, যেটি পৃথিবীর বড় বড় উপমহাদেশ গুলি একটি অপরটির নিকটে যাচ্ছিল

আমেরিকা আফ্রিকা থেকে সরে গিয়েছিল.আর এটা হল ইন্ডিয়া যেটা উত্তর এশিয়ার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করল. আর এই দুই প্লেট একত্রে সংঘর্ষ হবার ফলেই তৈরি হয় এক নতুন পর্বত হিমালয়. আর এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে উচু পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট.

এই পর্বতমালা থেকে পড়া বরফের পানি e আরো বিভিন্ন নদী তৈরি করতে যাচ্ছে যেটা ভবিষ্যতে এই দুনিয়ায় অর্ধেক মানুষের পানি সরবরাহ করতে সহায়তা করবে.

কিন্তু এ পৃথিবীতে এখনও কিছু একটার অনুপস্থিত ja পৃথিবীতে এখনও missing.

যেটা হল মানব জাতি. কিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলাতে শুরু করেছে.

আজ থেকে 40 লাখ বছর আগে. আফ্রিকার পূর্ব এলাকায় এক নতুন পর্বতমালা তৈরি হয় EAST AFRICIAN RIFT VALLEY. এই পর্বত টির অধিক উচ্চতা এই এলাকায় মৌসুমী বায়ু আসতে বাধার সৃষ্টি করে. আর এই কারণেই এখানকার জঙ্গলে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়

আর এই জঙ্গলে বসবাস করে Ape Gigantopithecus. সে গাছেই বসবাস করত., যেখানে তার খাবারের কোন অভাব থাকত না, আর এ কারণেই সে সব সময় গাছের ওপরেই থাকতো.

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি শুকিয়ে যেতে থাকে.বৃষ্টি ছাড়া পুরো জঙ্গল বিনষ্ট হতে শুরু করে.

আর এই Ape দের জন্য খাবার সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে. fole এক বিস্ময়কর পদক্ষেপ নিতে হবে যেটা আগে কখনো এরা নেয় নি.

বিবর্তনের 30 লাখ বছর পর খাবারের সন্ধান এর জন্য এরা অবশেষে নিচে নামার সিদ্ধান্ত নেয়

এর বৈজ্ঞানিক নাম ardipithecus ramidus, অনেকেই বলেন এটাই আমাদের পূর্বপুরুষ. ar powerful senses এই প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে সুরক্ষা করতে সহায়তা করে.ara আকারে চার ফুট লম্বা ছিল.

কয়েক হাজার বছর বিকশিত হবার পর এই আদিম মানুষ গুলোর খাদ্যের সন্ধানের জন্য স্থান পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে

ত্রিশ লক্ষ বছর আগে দুই পায়ে চলাচল করতে সক্ষম হয় আর এটাই ছিল তাদের প্রথম steps.হাঁটতে হাঁটতেই খাবার সংগ্রহ অনেকটাই সহজ হয়ে যায় এদের জন্য.

সময়ের সাথে সাথে বিকশিত হতে থাকে এই আদিম মানুষ গুলো, ধীরে ধীরে বুদ্ধিমান হতে শুরু করে, এর ব্রেন দিনকে দিন বাড়তে থাকে, .চালাক হতে শুরু করে.একটা সময় পাথর দিয়ে গাছের বাকল কেটে হাতিয়ার বানাতে শুরু করে.fole স্বীকার করতে অনেক সহজ হয়ে ওঠে.

শিকার শুরু হয়ে গিয়েছে.

সময়ের সাথে সাথে এরা ধীরে ধীরে আগুন জ্বালানো শিখে যায়. আর এই আবিষ্কার তাদের জীবনকে করে তোলে আরো সহজ o আরামদায়ক, আগুন তাদের ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষা করে, অন্ধকারকে আলোকিত এবং ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে বাঁচতে সাহায্য করে.

আর এই কারণেই এখন তাদের পরিবার বানাতে থাকে. আদিম মানুষেরা এখন একসাথে দলবদ্ধ ভাবে থাকতে শুরু করে.

আগুনে পোড়া মাংস কাঁচা মাংস থেকে বেশি সুস্বাদু. আর এই আগুন থেকেই একটা পর্যায়ে তারা রান্না করতে শিখে যাই. রান্না করা মাংস চাবানো, কাঁচা মাংস থেকে অনেক সহজ. আর এই চাবানোতে অনেক কম এনার্জি খরচ হয় ফলে অবশিষ্ট এনার্জি তাদের ব্রেনকে 50% বেশি বিকশিত করতে সহায়তা করে.

আর এরা হলো homo erectus.

এই আদিম মানুষ যারা অন্য পশু থেকে অনেক বেশি চালাক, আর মিলেমিশে থাকা এরাই প্রথম.

এরা নিজেদের বার্তা অন্যের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ বের করতে শুরু করে আর এ থেকেই আমাদের পূর্বপুরুষ ভাষার ব্যবহার শুরু করে দেয়. আর এদের কারণেই aj আমরা কথোপকথন করতে পারি

আর এটাই আমাদের সবচাইতে বড় বোধশক্তি. এটাই ছিল সর্বশেষ বিকাশ ক্রোম যার পরে সভ্যতা বিকশিত হয়ে আজ আমরা হয়েছি.

কয়েক বছর বিকশিত হবার পর amader কার্যক্রম আরো উন্নত হতে শুরু করে.

ar amra jolam homo sapiens. মানে বুদ্ধিমান জীব

আমরাই হলাম পৃথিবীর সবথেকে বুদ্ধিমান জীব. আছে ভাষার ব্যবহার, আছে একসাথে মিলেমিশে থাকার অঙ্গীকার, আর সবচাইতে বড় আমরা অধিক বুদ্ধি সম্পন্ন

এখন থেকে কিছু মিনিট আগে

আমি এবং আপনারা মিলে পৃথিবীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একসাথে ছিলাম আর

এখন আমরা ঘরে ফিরে এসেছি, এটাই আমাদের দুনিয়া, আমাদের সময় আজ আমরা অনেক বিকশিত এবং আধুনিক হয়ে উঠেছি,

আজ আমাদের আশেপাশের ঘটনার সবকিছু বুঝতে শিখেছে, , আজ আমরা জানি এই নদী কোথা থেকে এসেছে. আজ আমরা এটাও জানি এই জমিন যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেটা কিভাবে তৈরি হয়েছে,

আর পৃথিবীতে জীবন কিভাবে এসেছে এও জানি.

কিন্তু আমাদের সফর এখনো শেষ হয়নি, আমাদের এখনও অনেক দূর যেতে হবে, আমাদের এই মহাবিশ্ব আরো ভালো হবে জানতে হবে.

 

তো আজকে এই পর্যন্তই, ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক টিউমেন্ট করে জানিয়ে দিন. আর এরকম মজার মজার ভিডিও প্রতিদিন পেতে চাইলে CREEPY BANGLA সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না.আর হ্যাঁ নোটিফিকেশন বেল অন করুন যাতে প্রত্যেকটি ভিডিও সবার প্রথমে আপনি পেয়ে জান.

আমি ফিরে আসবো নতুন আরেক মজার ভিডিও নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত খোদা হাফেজ.

Level 2

আমি জামিউর রহমান জিসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস