অনেক দিন আগে একটি টিউন করেছিলাম "যে দশটি আবিস্কার বদলে দিয়েছে পৃথিবীর চেহারা"। টিউনটি টিউনার বন্ধুদের অনেকেরই ভালো লেগেছিল এবং অনেকেই ব্যাক্তিগতভাবে আমাকে অনুপ্রেনিত করেছিল এই ধরনের টিউন চালিয়ে যাওয়ার জন্যে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার এই নতুন টিউন। তাহলে আসুন টিউনার বন্ধুরা, দেখে নেয়া যাক সেই সমস্ত চমৎকার আবিস্কারগুলো -
চন্দ্র জয়ে এবং পরবর্তী অভিযান সমূহে যে আবিস্কারের নাম চিরকাল উজ্জল হয়ে থাকবে সেটি হল এ্যাপোলো ১০। প্রায় ৪০ বছর আগে তিন জন বিখ্যাত নভোচারী এতে করেই চন্দ্রের চারিদিকে চক্কর মেরেছিল। এর কয়েক মাস পরেই তারা অবতীর্ন হয় চন্দ্রপৃষ্ঠে। এ্যাপোলোর এই সাফল্য শুধু তৎকালীন জ্যোতির্বিজ্ঞানকে আরো একধাপ এগিয়েই নিয়ে যায় নি বরং বর্তমানের বড় বড় অভিযানে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছে।
বর্তমানে অনেক ধরনের ইজ্ঞিন মার্কেটে থাকলেও মূলত থমসেনর এই ইজ্ঞিনটিই ছিল সত্যিকার অর্থের একটি পরিপূর্ণ বাষ্প ইজ্ঞিন। ১৭১২ খৃষ্টাব্দে এই ইজ্ঞিন আবিস্কার হওয়ার ফলেই সেদিন ENERGY CRISIS দূর করে সত্যিকার অর্থেই শিল্পবিপ্লব ঘটে।
চার্লস হুইটস্টোন এবং উইলাম কুক সর্বপ্রথম ১৮৩৭ সালে বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রনিক টেলিকমিউনিকেশান ডিভাইসটি আবিস্কার করেন। প্রথম পাবলিক কমিউনিকেশান এবং দূরবর্তী স্থানে ইলেক্ট্রিসিটি সংযোগের ক্ষেত্রে তাদের আবিস্কারটিই প্রথম প্র্যাকটিক্যালি ব্যবহৃত হয়।
ম্যাস প্রোডাকশানের যে রেওয়াজ আজ চলে আসছে সেই আইডিয়াটি মূলত ডেভেলপ করা হয়েছে ফোর্ড মোটর কোম্পানীর দ্বারা। তারাই পথ দেখিয়ে দিয়েছে ম্যাস প্রোডাকশানের। তাদের ফিলোসফিই আজ স্টান্ডার্ড বিজনেস পলেসি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। "ফোরডিসম" সব বড় বড় কোম্পানীর মেটাফরে পরিণত হয়।
প্রথমদিকে ইলেকট্রনিক কম্পিউটারগুলোর মধ্যে একটি উদ্দেশ্যই ছিল মূখ্য - প্রোগ্রাম করতে পারা (অবশ্যই সিম্পল)। এবং এই পাইলট ACE ই সর্বপ্রথম এই কার্য সম্পাদনে সক্ষম হয় এবং সেই সময়ে এটিই ছিল সবচেয়ে দ্রুত কর্মক্ষমতা সম্পন্য ইলেকট্রনিক কম্পিউটার। এটি ছিল একজন বিখ্যাত কম্পিউটার পাইওনিয়ার "এ্যালান টিউরিং" এর একটি যুগান্তকারী আবিস্কার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পৃথিবীকে আবার শেপে ফিরিয়ে আনতে এর ভূমিকা ছিল অনেক। এই ইজ্ঞিন আবিস্কার হয় ১৯৪২ সনে। এর আবিস্কারক হচ্ছেন "ওয়ের্নার ভন বেরুন"। পরে তারই আবিস্কার করা নাসার "সাটার্ন ভি রকেট" পরে এ্যাপোলো কে চাঁদে নিয়ে যায়।
কোন সন্দেহ নেই যে এ্যালেক্সান্ডার ফ্লেমিং এর এই আবিস্কারকৃত এই এ্যান্টিবায়োটিক কতটা বদলে দিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে। যদিও ১৯২৮ সালে আবিস্কার হলেও ইউকে এবং ইউএস এর যৌথ সহোযোগীতায় ১৯৪০ সনে এটি রোগীদের কাছে পৌছায়।
আমারা যারা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী রয়েছি তারা অলরেডী জানি যে এই ডাবল হেলিক্স এর আবিস্কার, সৃষ্টির বৈচিত্রময় রহস্যকে কতটা উন্মূক্ত করে দিয়েছে। ১৯৫৩ সনে এই মডেল প্রথমে যৌথভাবে প্রস্তাব করে ওয়াটসন এবং ক্রিক। এটাকে অনেকে ডিএনএর "ওয়াটসন - ক্রিক " মডেলও বলা হয়ে থাকে।
জার্মান বিজ্ঞানী রন্টজেন ১৮৯৫ সনে এই এক্স রশ্মির আবিস্কার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে নিয়ে যান আরেক ধাপ আগে। প্রথিবীর বড় বড় আবিস্কারগুলোর মাঝে এখনও মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে রন্টজেন এর এই এক্সরশ্মি।
নামটা রকেট হলেও এটি মোটেও রকেট নয়। দেখতেই পাচ্ছেন এটি একটি যানবাহনের ছবি। ১৮২৯ সনে ইউকে ম্যানচেস্টারে এটি সফলভাবে চালু করেন ন্টিভেনসন। এটি পূর্ববর্তী সকল ইজ্ঞিনের চাইতে বেশী গতিময় ছিল। তাই হয়ত একে রকেট বলা হত। এবং এর বেসিক ডিসাইনটি আগামী ১৫০ বছরের জন্যে মানুষ এবং মাল বহনকারী গাড়ীর ক্ষেত্রে স্টান্ড্যার্ড হয়ে থাকে।
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
অনেক ভাল হইছে… ধন্যবাদ