আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই ? নিশ্চয়ই ভাল । আমি ভাল আছি কিন্তু এতদিন কিছুটা মন খারাপ ছিল । তার কারণ কি হতে পারে তা নিশ্চয়ই আপনারা অনুমান করতে পারছেন । আজ আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব । যেহেতু পেশাগত জীবনে আমি একজন শিক্ষক তাই আমার পোষ্ট গুলো সাধারণত শিক্ষামূলক হয় । যাই হোক আমার আজকের বিষয় হল কিভাবে সল্প খরচে পরীক্ষাগারের কঠিন যন্ত্রপাতি ছাড়া ও পরীক্ষাগারের কোন রাসায়নিক পদার্থ ছাড়া কিভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস প্রস্তুত করা যায় ।
পরীক্ষাগারে সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বনেট বা মার্বেল পাথরের সাথে লঘু হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া ঘটিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড প্রস্তুত করা হয় ।নিচের চিত্রটি দেখুন :
চিত্র দেখে বুঝতে পারি পরীক্ষাগারে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস প্রস্তুত করতে কিকি যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্য লাগতে পারে । আমি আর এদিকে যাবনা । চলুন দেখি সহজ পদ্ধতি :
প্রয়োজন :
১। ছিপিসহ একটি ছোট প্লাস্টিকের বোতল ।
২। একটি প্লাস্টিকের চিকন পাইপ ।
৩। ডিমের খোসা ।
৪। একটি লেবু ।
কাজ :
প্রথমে বোতলের ছিপিটাকে ছিদ্র করে প্রাস্টিকের পাইপটিকে ঐ ছিদ্রপথে সামান্য প্রবেশ করাই । এবার ডিমের খেসাকে ভাল করে চূর্ণ বিচূর্ণ করে বোতলে ভরি । এপর লেবু কেটে পরিমাণমত লেবুর রস বোতলে ভরে ছিপি আটকে দেই । কিছুক্ষন রেখে পর্যবেক্ষন করি । যখন বোতলের ভিতর বুদবুদ সৃস্টি হবে তখনই মনে করতে হবে গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে যা পাইপের ভিতর দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে । এখন প্রশ্ন হল কি করে বুঝব যে উৎপন্ন গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস কিনা । এজন্য একটি জলস্ত কাঠি পাইপের মুখে ধরি (সাবধান পাইপে যেন আগুন ধরে না যায়)। দেখা যাবে কাঠিটি নিভে গেল অথবা পাইপের মুখ চুনের পাইপের মধ্যে ধরি । দেখা যাবে চুেনর পানি ঘোলা হয়ে গেছে । এতো প্রমানিত হবে যে উৎপন্ন গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড । কারণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নিজে জ্বলে না ও অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করেনা এবং এই গ্যাস চুনের পানিকে ঘোলা করে ।
আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের খুব সহজে ও আকর্ষনীয় উপায়ে বিজ্ঞান শেখানো । এতে করে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ভীতি দূর হবে । ধন্যবাদ ।
পরিশেষে সবার জন্য ছোট ও সহজ একটি প্রশ্ন - বলুন দেখি মৌমাছি ফুল থেকে কি সংগ্রহ করে ?
আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।
যদিও বিজনেস স্টাডিস এর ছাত্র তবু বিজ্ঞানের প্রতি অসীম আগ্রহ……………… তাই লেখাটা প্রিয়তে নিচ্ছি……………………..