গুগলে ক্লিক করার আগে একটু থামুন

আজ মোট কতোবার ক্লিক করেছেন গুগলে? আর একবার ক্লিক করার আগে এ টপিকটি পড়ুন।

কারণ?

তথ্য যত অপ্রয়োজনীয় বা প্রয়োজনীয়ই হোক না কেন, গুগলে যতবার ক্লিক করা হচ্ছে তত বেশি করে পরিবেশের সঙ্গে যোগ হচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড।

কিভাবে?

কারণ যেহেতু সার্চ ইঞ্জিনগুলো চলে বিশাল আকারের সার্ভার ব্যবহার করে এবং এই সার্ভারগুলো চলে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি দিয়ে। আর তাই এক্ষেত্রে পরিবেশের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ব্যাপক পরিমাণ কার্বন।

কি করা যায়?

তাই যারা ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজতে চান, আবার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ দূষণের দায়ভারও কমাতে চান, তাদের জন্য একটা উপায় বের করেছে জার্মান সার্চ ইঞ্জিন 'ইকোসিয়া'

কে এই ইকোসিয়া?

গত বছরের ডিসেম্বরে কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলন চলার সময় চালু করা হয় এই সার্চ ইঞ্জিন 'ইকোসিয়া'। আর মাত্র এক বছরেই এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন এক লাখেরও বেশি। কারণ প্রতিটি সার্চে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইকোসিয়া আয় করে ০.১৩ ইউরো। ইকোসিয়া তার আয়ের প্রায় ৮০% দিয়ে দেয় WWF (World Wide Fund for Nature) কে রেইন ফরেষ্ট প্রটেকশন প্রোগ্রামে। তাই বলা হচ্ছে ইকোসিয়ার প্রতি সার্চে প্রায় দু'বর্গ মিটার রেইনফরেষ্ট সেভ হচ্ছে।

এই সার্চ ইঞ্জিনের প্রতিষ্ঠাতা ২৬ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ান ক্রোল। তিনি পরিবেশবান্ধব জ্বালানি মানে গ্রীন ইলেকট্রিসিটি ব্যবহৃত সার্ভারের মাধ্যমে এই সার্চ ইঞ্জিনটি পরিচালনা করেন।

গ্রীন ইলেকট্রিসিটি আবার কি?

গ্রীন ইলেকট্রিসিটি মানে কয়লা, গ্যাস বা পারমাণবিক শক্তি থেকে উৎপাদিত ইলেকট্রিসিটি নয় ; সোজা করে বললে বলা যায়, বায়ু বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ বা আবর্জনা থেকে তৈরী বিদ্যুৎ ইত্যাদি।

যাই হোক, চলুন ঘুরে আসি নতুন সার্চ ইঞ্জিনে চড়ে।

সূত্রঃ সমকাল

Level 0

আমি রিপন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 229 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

If you love your Mother, your Wife/ Husband will be good & Baby will be sweet.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

তথ্যটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চেক করে দেখলাম কিন্তু এইটা বুঝিনা কোনটা পরিবেশ বান্ধব,
তবে এইটা বুঝি গুগুলের ধারে কাছে যাইতে অনেক পথ পারি দিতে হবে তার পরও যেতে পারে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
কারন গুগুল বসে নাই তারাও নতুন নতুন সেবা নিয়ে তাদের আদিপত্যকে আরো মজবুত করতেছে তাই গুগুলই বেষ্ট।

ভাল তথ্য দিলেন ভাই । ধন্যবাদ ।

    Level 0

    @আতিক হু খুব ভাল তথ্য আমারা অনেক কিসু জানতে পারলাম আমাদের অনেক উপকার হল। এক কথায় এক্কেবারে নির্বাচিত হওয়ার মত টিউন।

Level 0

হুম এখন থেকে তাহলে ইন্টারনেট চালানো যাবে না। নেট চালাইতেও জ্বালানি খরচ হয়। কম্পিউটারও চালানো বন্ধ করতে হবে।
আসেন আমারা সবাই আফ্রিকার জঙ্গলে গিয়ে প্রকৃতিক পরিবেশের সাথে বসবাস করি।
চিন্তা করার আরও অনেক বিষয় আছে ভাই। গুলের এড এ ক্লকি করলে জ্বালানি খারচ হবে তাই এড ক্লিক করা যাবে না। হা হা হা হা হা হা হা হা
ওই কে কোথায় আছেন আমারে ধরেন হাসতে হাসতে পেট ফাইটা গেলরেরররররর।

Level 0

ভাই গুগলকে শুধু কেন দোষ দিলেন আরো তো সার্চ ইঞ্জিন আছে তাদের কি হলো সবাই তো কম বেশি একই জ্বালানি আর সার্ভার ব্যাবহার করে থাকে। এটা আপনি বলতে পারতেন যে সার্চ ইঞ্জিন আর হোষ্টিং কোম্পানি গুলোকে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি এবং ফিল্টার ব্যবস্থা ব্যবহার করা উচিত

সার্চ ইঞ্জিন জ্বালানীর মাধ্যমে চলে!!!!! আজব কথা। আগে তো জানতাম না।
ধন্যবাদ। তথ্যটি সেয়ার করার জন্য।

ভাই, কাম না থাকলে অন্য কিছু করেন কিন্তু টিউন কইরেন না। মানুষের সময় এর অনেক মুল্য্!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আসলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা যেখানে নিজের মাথার ঘিলু খাটানোর দরকার সেইখানে খাটায় না; যেখানে সহনশীল হওয়া দরকার সেইখানে হই না; বিষয় এবং বস্তুগত ব্যাপারে না ভেবে বেকার কাজের কথা চিন্তা করি; এইভাবে আমাদের নিয়ে সমস্যাগুলো লিখতে থাকলেও লিখে শেষ করা যাবেনা |

ভদ্রলোকের এই টিউনটা পরার পর আমদের কি উচিত ছিল?? আমাদের কি উচিত ছিল এই ভদ্রলোককে কিভাবে কথার মালা দিয়ে আক্রমণ করা যায় তা যত দ্রুত সম্ভব চিন্তা এবং টাইপ করে তা পোস্ট করে দেওয়া নাকি আসলে ভদ্রলোক কি বলছে তা চিন্তা করে দেখা?? এই টিউনটি পরে আমার মনে হয়নি উনি কাউকে কোনকিছু করতে বাধ্য করতে চেয়েছেন!! বরঞ্চ এটা মনে হয়েছে যে উনি যা বলছেন তা কোনো না কোনভাবে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সাথে জড়িয়ে আছে; পৃথিবীতে প্রতিদিন CO2 এর পরিমান বাড়ছে, এবং এর জন্য আমরা সকলেই দায়ী, কিন্তু সর্বক্ষেত্রে দোষী না (দায়ী আর দোষী এক না; শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়াসহ এমন অনেক কাজ আছে যার জন্য আমরা দোষী না, কিন্তু ধুমপান সহ আরো অনেক কারণে আমরা দোষী ) ইকোসিয়ার যে উদ্যোগ তা অবশ্যয়ই একটি মহৎ উদ্যোগ, যা থেকে পরোক্ষভাবে আমরাই লাভবান হচ্ছি( বনায়নের মাধ্যমে পরিবেশে CO2 এর পরিমান কমানো ); এখন কথা হচ্ছে গুগল নিঃসন্দেহে সেরা আমরা জানি, কিন্তু এমন না যে গুগল ব্যবহার করার জন্য আমরা কোনো টাকা পাচ্ছি, কিন্তু টাকা অবশ্যই দিতে হচ্ছে ( ইন্টারনেট এর বিল দিতে হচ্ছে ), এখন আমরা কিছু সার্চ করতে যদি ইকোসিয়া ব্যবহার করি তাতে তো আমরা ব্যক্তিগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি না, যদি না পাই তাহলে না হয় গুগলে খুঁজে দেখব, এতে ইকোসিয়া তার আয়ের ৮০% পরিবেশের জন্য ব্যায় করতে পারছে; শুধু এই সাধারণ কথাটা আপনাদের বোঝাতে চেয়েছে টিউনার রিপন ভাই, কিন্তু ওনার দুর্ভাগ্য যে উনি আমদের সবাইকে বোঝাতে পারেনি, পারলে হয়ত ওনাকে এত কথা শুনতে হত না

    আমি আশা করব রিপন ভাই আশাহত হবেন না, কারণ আমি আগেও দেখেছি অনেক টিউনার এইরকম আশাহত হয়ে ফিরে গেছে, আমি যদি অন্য নামে আগে থেকেই টিউন না করতাম তাহলে হয়ত আমিও টেকটিউন ছেড়ে চলে যেতাম, কারণ এই নামে আমার প্রথম টিউনটাও কিছু মন্তব্যকারী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল যা কিনা আমাকে প্রবলভাবে হতাশ করেছিল, আমার অপরাধ ছিল আমি আমার মায়ের কাছে একটা চিঠি লিখেছিলাম, যা কিনা প্রযুক্তি সংক্রান্ত না হওযাতে ওনারা আক্রমণ করেছিলেন এবং কর্তৃপক্ষও তা পেন্ডিং করে দিয়েছিল, কিন্তু আমিও তার প্রতিবাদ করিনি, এবং আমি চাইলেই তাদের দেখাতে পারতাম টেকটিউনে কি পরিমান টিউন আছে যা প্রযুক্তি সংক্রান্ত নয়, এবং আজ পর্যন্ত ওই ধরনের টিউন যোগ হচ্ছে টেকটিউনে কিন্তু তাদের কয়টিই বা রিমুভ বা পেন্ডিং করা হচ্ছে??

    ভয় পাবেন না, চালিয়ে যান

screwed রাশরুখ ভাইয়ের সাথে একমত।