Weyl Fermion – পার্টিকেল ফিজিক্সে নতুন সদস্য কণা এবং ইলেক্ট্রনিক্স জগতে যুগন্তকারী পরিবর্তনের সম্ভাবনা

ফার্মিয়ন কণার একটি উপদল ‘Weyl Fermion’ আবিষ্কৃত হয়েছে সম্প্রতি। ১৯২৯ সালে বিজ্ঞানী Hermann Weyl প্রথম এমন একটি কণা থাকার কথা প্রস্তাব করেছিলেন। পরবর্তীতে এই কণা আবিষ্কারের জন্য নানা গবেষণা কার্যক্রম চলে। নিউট্রিনোর ভর সম্পর্কে সম্পূর্ন নিশ্চিত হবার পূর্ব পর্যন্ত ধারনা করা হত নিউট্রিনোই হয়ত সেই ‘Weyl Fermion’. পরবর্তীতে নিউট্রিনোর ভর আবিষ্কারের পর পুনরায় খোঁজ শুরু হয় ‘Weyl Fermion’ এর।

তারই ধারাবাহিকতায় ৮৫ বছর পর বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী এই অবিশ্বাস্য ভরহীন কনার অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন।

উপরের ছবিটি particle detector যন্ত্র হতে প্রাপ্ত ‘weyl fermion’ কনার অস্তিত্বের প্রমাণ। নতুন এই কণার অস্তিত্ব প্রমাণের বিষয়টি গত ১৬ জুলাই ২০১৫ বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়।

এক প্রকার কৃত্রিম ধাতব ক্রিস্টাল ‘টানটেলাম আর্সেনাইড’ এর ভেতরে এই কনার অস্তিত্ব আবিষ্কার করা হয় যেটি এই আবিষ্কারের জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল বেইজিং এর ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটির Collaborative Innovation Center of Quantum Matter এ।

ওয়েইল বা ভিন্ন উচ্চারনে ভেইল ফার্মিয়ন কণা ভরহীন তাই এটি অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে চলাচল করতে সক্ষম। এটি ক্রিস্টাল এর ভেতরে পদার্থ এবং প্রতি-পদার্থ উভয়ের আচরন করতে পারে।
এর বিশেষ বৈশিষ্ট হল এটি অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন কনা এবং চলার পথে ইলেক্ট্রনের মত ছড়িয়ে পরে না। লাইট বীমের ন্যায় চলাচল করে। যা ভবিষ্যৎ ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী পরিবর্তনের এক সম্ভাবনা। এমনকি এই কনার সাহায্যে ভরহীন ইলেক্ট্রন তৈরী করতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে যা বর্তমান ইলেক্ট্রনিক্স কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদুর।

ভরহীন ইলেক্ট্রন বা সরাসরি ভেইল ফার্মিয়ন ব্যবহার করা হলে ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি অনেকগুন বেশি দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এ এক নতুন মাত্রা আনয়ন করতে সক্ষম। এছাড়া ভরহীন হওয়ায় ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস যত বেশি আর দ্রুতই কাজ করুক না কেন গরম হবে না।

ওয়েইল ফার্মিয়নকে গ্রাফিনের ত্রিমাত্রিক সমমানের একটি কনা বলে অভিহিত করা যেতে পারে।

এর ব্যবহারিক দিক নিয়ে বিজ্ঞানীরা যথেষ্ট আশাবাদী। এটি ভবিষ্যৎ ইলেক্ট্রনিক্সের জগতে অভাবনীয় উন্নতি ও ভিন্ন মাত্রা আনয়নে সমর্থ হবে বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি এর ভরহীনতা ও ছড়িয়ে না পড়ার গুনকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি ইফিসিয়েন্ট বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করা যাবে বলেও মতামত দিয়েছেন অনেক বিজ্ঞানী।

তথ্যসূত্রঃ –
১. সায়েন্স জার্নাল
২. ফিজিক্স.অর্গ
৩. বিজ্ঞানযাত্রা.অর্গ
৪. দৈনিক প্রথম আলো

Level 0

আমি এস এ খান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 268 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

awesome news for us