পৃথিবীর সব মানুষই কি একরকম? না, বলতে গেলে কেউই কারো মত নয়। শুধু মানুষের ক্ষেত্রে নয় অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদিও প্রাণীর ক্ষেত্রে আমরা পার্থক্যটুকু তেমন একটা ধরতে পারি না। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এই বৈচিত্রটুকু আমরা ঠিকই বুঝতে পারি। আমরা দেখি যে, আমাদের চারপাশের মানুষের আচার-আচরণ, চেহারায় একজনের সাথে অন্যজনের প্রায় মিল নেই। অর্থাৎ মানুষের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন মানুষের বা অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে পার্থক্য দেখা দেয়? অনেকেই অবাক হয়ে বলবেন যে, এ আবার কেমন কথা হলো? একজনের সাথে অন্যজনের মিল কেন থাকবে বরং মিল থাকাটাই তো আশ্চর্য! আসলে ব্যাপারটা সেরকম না। আমরা জানি যে মানুষ সহ অন্যান্য সকল প্রাণী একটি মাত্র ক্ষুদ্র কোষ জাইগোট থেকে বিভাজনের মাধ্যমে পরিণত জীবে রূপ নেয়। এই জাইগোট হল ডিপ্লয়েড অর্থাৎ দুইটা একক বা হ্যাপ্লয়েড কোষ মিলিত হয়ে গঠিত হয়। এই দুই কোষের একটি পিতা অন্যটি মাতা থেকে আসে। সে অনুযায়ী ঐ জাইগোট থেকে সৃষ্ট জীব মাতা পিতার অনুরূপ হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না! দেখা যায় যে, নতুন সৃষ্ট এই জীবের অনেক আচরন পিতা মাতার সাথে মিল থাকলেও তার কিছু আচরণে সম্পূর্ণ অমিল পাওয়া যায়। কিন্তু এমনটা কেন হয়?
পার্থক্য কেন হয় সেটা জানার আগে চলুন আমরা একটু মজার উদাহরণ নিয়ে একটু মজা করে নেই। আমরা অনেকেই হলিউডের বিখ্যাত সাই-ফাই ‘এক্স-ম্যান’ মুভিটা নিশ্চই দেখেছি। এই মুভিটাতে এরকম পার্থক্যের মানুষ দেখানো হয়েছে। আসলে এরকম পার্থক্য হওয়াকে বলে মিউটেশন। আমরা মুভিটাতে হিরোদের বিভিন্ন ক্ষমতা দেখতে পাই। মুভিটাতে কেউ প্রচন্ড বেগে ছুটতে পারে, কেউ মন পড়তে পারে আবার কেউ ইস্পাতকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেহেতু এটা সাই-ফাই মুভি তাই নিশ্চিত ভাবেই এখানে সবকিছুই একটু অতিরঞ্জন করেই দেখানো হয়েছে। যাই হোক, ঐ মুভির মত ঐরকম ক্ষমতা পাওয়া সম্ভব না হলেও মিউটেশনের মাধ্যমে তার অনেকটা কাছাকাছি ক্ষমতা কিন্তু পাওয়া অসম্ভবের কিছু না! হ্যাঁ, আমার কথাটা একেবারেই সত্য। এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। আচ্ছা দাড়ান আপনাদের এর কিছু বাস্তব উদাহরণ দিয়ে দেয়া যাক। আপনাদের মনে আছে কি, কিছু দিন আগে মার্ভেল ইউনিভার্সের স্রষ্টা স্টেনলি ডিসকভারি চ্যানেলে একটা ডকুমেন্টরি করেছিলেন যার নাম ছিল ‘সুপার হিউম্যান’। যারা ডিসকভারি চ্যানেল দেখে থাকেন তারা নিশ্চই মনে করতে পেরেছেন। ঐ প্রোগ্রামে প্রকৃতির অসাধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদেরকে খোঁজা হত এবং তাদের ক্ষমতা দেখান হত। পরে তাদেরকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেইসব ক্ষমতার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করান হত। সুতরাং দেখা গেল যে, প্রকৃতিতে এমন কিছু অসাধারণ মানুষ আসলেই আছে। আর এসবের কারন হল ‘মিউটেশন’। এবার চলুন আমরা মিউটেশন ব্যাপারটা আসলে কি সেটা বোঝার চেষ্টা করি। তো চলুন জানা যাকঃ
মিউটেশন কিঃ এক কথায় বলতে গেলে, কোনো কারণে প্রাণীর জিনোমের পরিবর্তনকে মিউটেশন বলে। বিস্তারিত ভাবে বললে এভাবে বলতে হয়ঃ আমরা জানি যে, প্রাণী ক্ষুদ্র জাইগোট থেকে পরিণত প্রাণীতে রূপ নেয়।
তখন জাইগোটের বিভাজনের প্রয়োজন পড়ে। জাইগোটের বহু বিভাজনের সময় একইসাথে ডিএনএ (ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড) এর বিভাজন হয়। এই বিভাজনের সময় সাধারণত সৃষ্ট কোষ বা ডিএনএ মাতৃ কোষ বা ডিএনএর অনুরূপ হয়ে থাকে। কিন্তু ভুল সব ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। কোষের বিভাজনের কারনে অনেক সময় দেখা যায় যে কোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ক্রোমোজোমের সংখ্যায় পরিবর্তন সাধিত হয়। আবার অনেক সময় ডিএনএর ক্ষারগুলোর মধ্যে এই পরিবর্তন হয়ে থাকে। এভাবেই পরিবর্তনের মাধ্যমে জীবে বৈচিত্র আসে যাকে বলা হয় মিউটেশন।
মিউটেশনের মধ্যে ডিএনএ মিউটেশন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটা নিয়ে আর একটু বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। মিউটেশন মূলত দুই প্রকার হয়ে থাকে। একটা হল স্বতঃস্ফূর্ত আর অন্যটা কৃত্রিম। সাধারণত স্বতঃস্ফূর্ত মিউটেশন প্রকৃতিতে খুবই বিরল। বলতে গেলে প্রায় ১০০,০০০ তে মাত্র ১। সূর্যের আলোর পার্থক্য, গামা রশ্মি, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এসব কারনে স্বতঃস্ফূর্ত মিউটেশন হয়ে থাকে। আর মানুষের প্রয়োজনে কৃত্রিম মিউটেশন করান হয়। আসুন দেখে নেই কিভাবে ডিএনএর অনুলিপনের সময় মিউটেশন হয়।
পয়েন্ট মিউটেশনঃ সাধারণত ডিএনএ অনুলিপনের সময় ডিএনএ ক্ষারগুলোর মধ্যে পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে যে মিউটেশন ঘটে তাকে পয়েন্ট মিউটেশন বলে। আসুন ডিএনএর গঠনটা একটু মনে করা যাক।
আমরা ছবিতে দেখি যে ডিএনএ হল প্যাঁচানো সিঁড়ির মত। আসলেই সেটা এরকম। ডিএনএ কোষের কেন্দ্রে ক্রোমোজোমে থাকে। আর ডিএনএর কোডকে বলা হয় জিন।
যাই হোক, এই ডিএনএতে প্যাঁচানো সিঁড়ির মত দুইটা হাতল দেখা যায়। এর এক একটি হাতলকে পলিনিউক্লিওটাইড বলে। এর দুটি হাতলের একটি পিউরিন আর অপরটিকে পাইরিমিডিন বলে। পিউরিনে আবার থাকে অ্যাডিনিন ও গুয়ানিন নামক বেস। আর পাইরিমিডিনে থাকে সাইটোসিন ও থায়ামিন নামক বেস। একটি হাতল অপর হাতলের সাথে এই চারটি বেসের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে অ্যাডিনিনের সাথে ৩ টি কার্বন বন্ধনের মাধ্যমে থায়ামিন যুক্ত হয়। এবং সাইটোসিন ২ টি কার্বন বন্ধনের মাধ্যমে গুয়ানিনের সাথে যুক্ত হয়। এভাবে পরস্পর দুইটি হাতল যুক্ত থাকে। কোষের মত এই ডিএনএরও বিভাজন হয়ে থাকে।
ডিএনএ যে পদ্ধতিতে বিভাজিত হয় তাকে বলে অর্ধরক্ষণশীল পদ্ধতি। কারন এক্ষেত্রে প্রতিটি হাতল প্রথমে আলাদা হয়ে যায়। এবং পরে প্রতিটি হাতল তার পরিপূরক হাতলের তৈরি করে। অর্থাৎ পিউরিন আলাদা হয়ে যায় এবং সাথে নতুন করে পাইরিমিডিন তৈরি করে। এভাবে পাইরিমিডিনও আলাদা হয়ে পিউরিন তৈরি করে। অর্থাৎ একটি নতুন আর একটি পুরাতন বেস মিলিত হয়ে তৈরি করে নতুন ডিএনএ। কিন্তু ঠিক এই সময়তেই কখনো কখনো ঘটে বিপত্তি। অর্থাৎ মাঝে মাঝেই ডিএনএ অনুলিপনের সময় ভুল হয়ে যায়। এসময় অ্যাডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন আর থায়ামিনের যে বিন্যাস তার পরিবর্তন সাধিত হয়ে যায়। আর এ কারনেই তৈরি হয়ে যায় নতুন বৈশিস্ট। ফলে জীবের জিনোমেও পরিবর্তন আসে।
উপরে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে ডিএনএ অনুলিপনের সময় সামান্য ভুলের মাধ্যমে মিউটেশন ঘটে। কিন্তু সবসময় এই ভুলের মাশুল কিন্তু দিতে হয় না। কারন অনেক সময়ই মিউটেশন আমাদের প্রচ্ছন্ন জিনের মধ্যে হয়ে থাকে। তাই সেটা আমাদের গঠন বা ব্যবহারে প্রভাব ফেলে না। তবে এই পরিবর্তন যদি হয় প্রকট জিনে তখনই জীবে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। আবার অনেক সময়ই এই পরিবর্তন জীবের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে। ফলে জীবের বিনাশ হয়ে যাবারও আশংকা থাকে। তবে ইতিবাচক পরিবর্তন হলে সেটা জীবের জন্য সুখবর বয়ে আনে। এভাবেই কিন্তু মিউটেশনের মাধ্যমে আজ আমাদের এই মানব রূপ প্রাপ্তি বা আমাদের উন্নত রুপে পদার্পণ। আর একেই বলা বিবর্তন। স্বাভাবিকভাবে যদি আমরা দেখি তাহলে দেখব যে, বিবর্তন সবক্ষেত্রেই বিদ্যমান। আর এই বিবর্তন হয়ে থাকে সামান্য ভুল থেকে। যেমন আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ, ভাষা, শিক্ষাব্যাবস্থা, জীবন যাপন সবকিছুরই বিবর্তন হচ্ছে বা উন্নত রূপ লাভ করছে। বিবর্তনে ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হল ‘যোগ্যতমরাই টিকে থাকবে’। অর্থাৎ পরিবেশের সাথে যে যত বেশি খাপ খাওয়াতে পারবে সে তত বেশি স্থায়ী হবে। তাই বিবর্তনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইতিবাচক মিউটেশনই গ্রহণযোগ্য।
মিউটেশনের প্রয়োগ ও সম্ভাবনাঃ মিউটেশন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এটি কিন্তু উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আমরা ইতিমধ্যেই উদ্ভিদের ক্ষেত্রে মিউটেশনের ব্যাপক সাফল্য পেয়েছি। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর উন্নতিকল্পে কৃত্রিম উপায়ে সুবিধাজনক মিউটেশন সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়। এভাবে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। ছত্রাক থেকে মূল্যবান ঔষধ পেনিসিলিন তৈরী হয়। এই ঔষধ যখন প্রথম আবিষ্কৃত হয় তখন ছত্রাক থেকে খুব কম পরিমাণে ঔষধ পাওয়া যেত। পরে বিকিরণ প্রয়োগ করে এমন ছত্রাক পাওয়া গেছে যার উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশী। বিজ্ঞানী এইচ স্টাবি (H. Stubbe) দেখিয়েছেন, মিউটেশনের মাধমে উৎপাদিত বার্লির উৎপাদন ক্ষমতা ও প্রেটিনের পরিমাণ বেশী। আমেরিকায় চিনাবাদাম গাছে এক্সরে প্রয়োগ করে অধিক উৎপাদনশীল গাছ পাওয়া গেছে। M.S. Swaminathan গমে আলট্রা ভায়োলেট ও গামা রশ্মি প্রয়োগ করে দ্রুত ফলনশীল ও অধিক প্রোটিনযুক্ত উদ্ভিদ পেয়েছিলেন। এই উদ্ভিদে লাইসিনের পরিমাণ বেশী হয়। এছাড়া সর্ষে গাছে তেলের পরিমাণও মিউটেশনের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। স্বপরাগী উদ্ভিদে বিশেষত যে সব উদ্ভিদে সহজে সংকরায়ণ করা যায়না তাদের বেলায় কৃত্রিম উপায়ে মিউটেশনের মাধ্যমে উন্নতি করা সম্ভব (পাট)। মিউটেশনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ানো সম্ভব হয়েছে (চীনাবাদাম)। মিউটেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের উৎকর্ষ সাধন হয়েছে (বীট)। ফুলে বৈচিত্র সৃষ্টি করা হয়েছে (ডালিয়া)।
বর্তমানে প্রাণীর ক্ষেত্রেও মিউটেশনের প্রয়োগের জন্য পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। আমরা সবাই হয়ত জীন প্রকৌশলের কথা মোটামুটি জানি। এক্ষেত্রে প্রাণীর জীন-কণার মধ্যে কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন আনা হয় বা নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়। এভাবে উন্নত ফসল ও প্রাণী তৈরি করা যায়। ইতিমধ্যেই এ পদ্ধতিতে ভেড়া, গরু আর মাছের উন্নতি সম্ভব হয়েছে।
কিছু ভাবনা ও কল্পনাঃ আমরা মানবদেহ ডিজাইন সমস্যার কথা জানি। আমাদের দেহে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ রয়েছে সাথে কিছু ভুল ডিজাইন। অপ্রয়োজনীয় অঙ্গের একটি হল আমাদের পাজড়ের কাছে থাকা অ্যাপেন্ডিক্স। আর আমরা আমাদের কোমড়, মাথা আর চোখের ক্ষেত্রে কিছু ভুল ডিজাইন দেখতে পাই। আপাত দৃষ্টিতে এগুলো ভুল বলে মনে হলেও হয়ত এগুলো ভুল নয়। তবুও যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে হয়ত মিউটেশনের মাধ্যমে এসবের বিবর্তন হতে পারে নতুবা আমরা নিজেরাই প্রয়োজনে মিউটেশন করিয়ে নিতে সক্ষম হব। আর এভাবে আমরা আমাদের নিজেদেরকে আরো উন্নত ও বুদ্ধিমান সত্ত্বায় রূপান্তরিত করতে পারব।
সবশেষে বলতেই হয় যে, মিউটেশন কিন্তু সর্বদা মঙ্গল বয়ে আনে না। অনেক সময় এটি ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমরা আশাবাদী যে একদিন হয়ত আমরা আমাদের প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মিউটেশনকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। এসবই কেবল ভবিষ্যতই আমাদের বলতে পারে। তাই ভবিষ্যতের অপেক্ষায়…
©আমার প্রকাশিত সকল লেখাই পূর্বে কেবল মাত্র ওমেগা প্রাইম কিশোর বিজ্ঞান সাময়িকীর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
ওমেগা প্রাইম এর ফেসবুক পেজ ও ফেসবুক গ্রুপ
আমি কামরুজ্জামান ইমন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 124 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
বিজ্ঞানকে ভালবাসি। চাই দেশে বিজ্ঞান চর্চা হোক। দেশের ঘরে ঘরে যেন বিজ্ঞান চর্চা হয় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
চমৎকার লিখেছেন কামরুজ্জামান ভাই। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান বিষয়ক এরকম আর্টিকেল সচরাচর চলার ক্ষেত্রগুলোতে এতোটা দেখা যায় না। সেখানে আপনার এই সুন্দর এবং প্রাঞ্জল লেখাটি প্রত্যাশার চাইতে একটু বেশিই মনে হচ্ছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে এরকম ব্যতিক্রমধর্মী টিউন করে আমাদের সবাইকে আধুনিক বিজ্ঞানের তত্ত্ব ও তথ্যের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে দিবেন আপনার জন্য শুভ কামনা এবং অসাধারন এই টিউনটির জন্য ধইন্যার বস্তা। প্রিয়তে রেখে দিলাম প্রিয় টিউন মনে করেই।