হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই?
এক্সশেপশোনাল যেকোনো বিষয় আমাকে একটু বেশিই টানে। আর জীবনে কখনও ডিফেন্সের কোন চাকরি করবো ভাবিনী শুধু এই প্লেনের প্রতি একটু দুর্বলতা সব সময় ছিল। আর ছোট বেলায় দারুচিনি দ্বীপ সিনেমা দেখে একবার নৌ-বাহিনীতে চাকরি করতে মন চাইছিল। 😈
যাইহোক কাজে আসি। মিলিটারি প্লেন নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক। সামনা সামনি প্লেন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে ১/২ বার। হলিউড মুভিতে স্পেস নিয়ে মুভিগুলো আমার সব সময় টানে। কারণ স্পেস নিয়ে আমার আগ্রহটা অনেক বেশি। যেকারনে আমি সব সময় একটু বেশি ঘাটাঘাটি করি এইসব নিয়ে।
আর প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠ ব্লগ টেকটিউনসে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কোন টিউন থাকবে না তা ভাবতেই খারাপ লাগলো। তাই নিয়ে চলে আসলাম এক ঝাঁক এট্রাক্টীভ প্লেন নিয়ে, বিশ্বে সবার নজর কেড়েছে।
যারা টেকনোলজি প্রিয় তারা নিচ্চয় হলিউডের অ্যাকশন নির্ভর সিনেমাগুলো দেখতে খুব পছন্দ করেন। অ্যাকশন নির্ভর সিনেমায় যে ধরণের ফাইটিং বিমানগুলো দেখা যায়, তার প্রতি আমাদের আগ্রহের হালকা তৃষ্ণা তৈরি করে আরকি। আপনাদেরও নিচ্চয় করে। গত কয়েকদিন আগে প্লেন দেখতে গেছিলাম জাতীয় বিমান যাদুঘরে। সেখান থেকে অনেক ধরণের প্লেন সম্পর্কে জানলাম। ঐখানেই মনে হয়েছিলো সব থেকে দামি বা অ্যাকশন নির্ভর বিমানগুলো কেমন, দাম কেমন বা কোন দেশেই বা সেগুলো আছে।
গুগল ঘাটতে ঘাটতে অনেক ভালো লাগছিলো তথ্যগুলো পেয়ে, তখন মনে হয়েছিলো টেকনোলজি প্রিয় এই মানুষগুলাকে কেন এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত করবো। তাইতো লিখে চলা। আপনাদের কেমন লাগবে জানি না। তবে আমি যথেষ্ট মজা পেয়েছি। তাহলে দেখে নিই বিশ্বের সবথেকে অ্যাকশন জাতীয় প্লেন/ বিমান সম্পর্কে, যা দামেও বিশ্বের সেরা।
ক্রয় মূল্য- ৯৪ মিলিয়ন ডলার
প্লেনটি ১৯৮০ সালের দিকে ইউএসএ কিনে ফেলে। এটি ইউএসএ এর প্রথম স্ট্রাইক ফাইটার বিমানও। যেটা গ্রাউন্ড এবং এয়ার দুই জায়গায় সমানে অ্যাটাক করতে সক্ষম। এটি প্রথম গালফ ওয়ার বা অপারেশন ডেজারটে দেখা যায়। এই প্লেন কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুজারলান্ড, মালয়েশিয়া, স্পেন এরকম আরও কয়েকটি দেশে ব্যবহার করা হয়।
ক্রয় মূল্য- ১০২ মিলিয়ন ডলার
F/A-18 fighter এর আপডেট ভার্সন EA-18G Growler। যেটা বর্তমানে নেভিতে ব্যবহার হচ্ছে। এটি শুধু ফাইটিং এ এক্সপার্ট না, এটি anti-aircraft radar কেও ধ্বংস করতে পারে, সাথে সাথে এনিমি এয়ারে জ্যাম তৈরি করতে পারে।
ক্রয় মূল্য – ১১৮ মিলিয়ন ডলার
এই বিমানটি হেলি কপ্টারের মতো হলেও এটি খুব দ্রুত চলতে পারে। এটি ২০০৭ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় প্রথম ব্যবহার করা হয়।
ক্রয় মূল্য – ১২২ মিলিয়ন ডলার
২০০১ সালে মারটিন এই বিমান তৈরি করেন, যেটা ইউএসএ এর আন্ডারে। এটা সুপার ফাইটার জেড বিমান।
ক্রয় মূল্য – ২৩২ মিলিয়ন ডলার
শক্তিশালী রাডার সিস্টেমসহ প্লেনটি ৩০০% ডাটা মনিটর করতে পারে। নেভি থেকে যদিও প্লেনটি নির্মাণাধীন তবে ২ টি টেস্টমূলক উড়তে দেখা যায়।
মূল্যঃ ২৪১ মিলিয়ন ডলার
এই অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার প্রজেক্ট বারাক অবামা ক্ষমতা আসার সাথে সাথে এই প্লেন তৈরির ঘোষণা আসে। যদিও পরবর্তীতে এই প্লেন না তৈরির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট দামের কারনে। তারপর the House Appropriations Committee এই প্লেনের জন্য ৪৮৫ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ফান্ড সংগ্রহ করে।
মূল্যঃ ২৯০ মিলিয়ন ডলার
P-8A Poseidon এন্টি সাব-মেরিন যুদ্ধ মোকাবেলার জন্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। P-8A Poseidon মিসেল সহ বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয় অস্ত্র বহন করতে সক্ষম।
মূল্যঃ ৩২৮ মিলিয়ন ডলার
যুদ্ধের সময় বিভিন্ন আগ্নেয় অস্ত্র, খাবার বা চিকিৎস্যা সামগ্রী বহনের জন্য C17A Globemaster III ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বানানো হয়। আফগানিস্থান, ইরাক যুদ্ধের সময় C17A Globemaster III এর ব্যবহার দেখা যায়।
মূল্যঃ ৩৫০ মিলিয়ন ডলার
স্নায়ু যুদ্ধের সময় সোভিয়েত এয়ার ক্রাফট F-22 Raptor তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। F-22 Raptor একই সঙ্গে মিসেল নিক্ষেপসহ শত্রু রাডারকে ফাঁকি দিতে পারতো নিমিষে। এই প্লেন তৈরির জন্য ২৫০০০ আমেরিক্যানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো।
মূল্যঃ ২.৪ বিলিয়ন ডলার
B-2 Spirit এতোই দামি যে কংগ্রেস এটার ১৯৮৭ প্রাথমিক প্রয়োজনের ১৩২ টির মাত্র ২০ টি কেনার অনুমতি দেয়। B-2 Spirit রাডার তো দুরের কথা অন্যভাবেই একে শনাক্ত করা কঠিন। নিজেদের কম ভয় নিয়ে B-2 Spirit শত্রুদের আক্রমণ করতে পারবে। ১৯৯৩ সাল থেকে ইরাক এবং আফগানিস্থানেও B-2 Spirit এর ব্যবহার ছিল।
এতো এতো বর্ণনা নিয়ে একদম এক্সশেপশোনাল টিউন হবে আশা করি। আমি খুব বেশি বর্ণনা করতে পারলাম না সেটাও বুজছি। তবে আপনাদের মনের কোনের একটু হলেও নতুন ভালো লাগবে আশা করি।
আর যারা আরও বেশি জানতে চান তারা প্লিজ প্লেনগুলোর নাম গুগল এবং উইকিপিডিয়া থেকে বেশি করে জেনে নিবেন।
স্পেস নিয়ে আরও আগ্রহী থাকলে আমি আরও কিছু টিউন করতে পারি এই স্পেস নিয়ে একদম খাটি!!
সহজ কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাকে টিউমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
সুন্দর ও সুস্থ থাকুন এই কামনায়।
ধন্যবাদ সবাইকে। 😆
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
কোনটা কিনবো বলেন?