আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। ভাল থাকলেই ভাল। আজ আপনাদের সামনে কিছু রহস্যময় তথ্য নিয়ে হাজির হলাম। বর্তমান পৃথিবী যেন এক অবাক রহস্য। মানুষের গবেষণার ফল হিসাবে মানুষ আজ পৃথিবীকে করেছে অবাক। বিজ্ঞান মানুষকে এত দূর নিয়ে গেছে যে মানুষ নতুন এই পৃথিবীতে দেখতে পারছে অনেক রহস্য। বিজ্ঞান যেমনি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনি বিজ্ঞানের আশীর্বাদে মানুষ আবিষ্কার করছে নতুন নতুন জিনিস।
বিজ্ঞানের আজব সব আবিষ্কারের মধ্যে একটি চরম আবিষ্কার হল ক্রসিং । আমরা সবাই মোটামুটিভাবে এই বিষয়টির সম্পর্কে পরিচিত। আমরা জানি যে ক্রসিং এর মাধ্যমে নতুন নতুন জাত সৃষ্টি করা যায়। নতুন নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করা যায়। কিছু প্রাণী আছে যারা নিজেদের প্রজাতিকে ঠিক রেখে নিজেরাই ক্রস ঘটিয়ে নতুন জাতকে পৃথিবীতে আমন্ত্রণ করে আর কিছু আছে যা মানুষ কৃত্তিমভাবে সৃষ্টি করে। এই নতুন নতুন জাতের মধ্যে মানুষের কিছু রহস্যময় ক্রসিং এর ইতিহাস আছে যেগুলো না দেখলেই নয়।
চলুন দেখে নেই এমন কিছু রহস্যময় ক্রস যা ঘটিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেছে আজব কিছু জাত।
hybrid এর মাধ্যমে এই প্রাণীর জন্ম। সিংহ আর বাঘিনীর সংকরে দেখতেই পাচ্ছেন কত বড় এই প্রাণীটির আকৃতি। এই প্রাণীটির ওজন প্রায় ৯০৪ পউন্দ। সবচেয়ে বড় যে liger hybrid এর মাধ্যমে পাওয়া গেছে সেটির ওজন ১৭৫৯ পাউন্ড এর চেয়েও বেশি। ছবিতে যে দুই বাক্তিকে দেখছেন উনাদের নিজস্ব একটি LIGER আছে। । উনারা এটাকে নিজেদের মনে করে পালছেন। । কি আজব কাজ।
Grolar Bear cross-breed এর জন্য অনেক বেশি অসম্ভব একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিন্তু সেই অসম্ভবকেও হার মানিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞান। Grizzlies পানি এবং বরফের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে চলাচল করতে পারে। অপরদিকে Polar bears বরফে সুন্দরভাবে থাকতে পারে। মজার বেপার হল এই দুই প্রাণীর মিশ্রণের ফলে যে Hybrid সৃষ্টি হয় সেটি আবার বাচ্চা জন্মও দিতে পারে। এদের বাচ্চাকে বলা হয় grayish teddy।
যেই প্রাণীটি দেখতে পাচ্ছেন এটার নাম হল Beefalo। মজার বেপার এই যে এই প্রাণীটি প্রাক্রিতিকভাবেই আমেরইকায় ১৮ শতাব্দী হতে দেখা যাচ্ছে
এবং ১৮০০ সাল হতে এই প্রাণীটি আমাদের অতি পরিচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে কাড়ন আমরা আন্তর্জাতিকভাবেই আমাদের গরুকে bison এর সাথে সংকর
ঘটাচ্ছি এবং আমাদের দেশেও এরকম সংকর প্রচলিত আছে।
এখন যেই প্রাণীটি দেখছেন আশা করি বুঝে গেসেন এটা কি। এটা ছাগল আর ভেড়ার সঙ্কর জাত। এটা স্বাভাবিকভাবে সৃষ্টি করা অসম্ভব ব্যাপার।
তাহলে এটা কিভাবে সৃষ্টি করা হল? এটা Ricombinent DNA প্রজুস্তির একটি ফশল। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সৃষ্টি কর্ষ হয়েছে এই সঙ্কর প্রাণীটিকে।
এখন যেই জাতটি দেখছেন এটা ঘটানো অনেকটা দুর্লভ ব্যাপার কারণ প্রকৃতিতে চিতাবাঘ খুব কম পাওয়া যায়। তার মধ্যে আবার এরকম ক্রস আর বেশি অশম্ভব। কিন্তু কন কিছুই অসম্ভব নয়। প্রথম ১৯১০ সালে এরকম প্রাণীর আস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন দেশ যেমন জাপান,জার্মানি প্রভৃতি দেশে এরম প্রাণীর ব্রিডিং করা শুরু হয়। ব্রিডিং করার কারণে এখন এই প্রাণীটি প্রকৃতিতে দুর্লভ হওয়া থেকে মুক্তি পেয়েছে।
আমরা মজা করে কম বেশি সবাইকে গাধা বলে ফেলি। এখন এই গাধার এক নতুন আপডেট ভার্সন হল এই প্রাণীটি। যাকে বলা হয় Zonkey।
শুনে নিশ্চয় মজা পেলেন। Donkey এর জায়গায় Zonkey???হ্যাঁ ভাই,এখন জেব্রা এর সাথে গাধার ক্রস ঘটিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে এরম
আজগুবি প্রানি। । এই প্রাণীটি গাধা অথবা জেব্রা কনটার মতই পুপাপুরি মনে হয়না। সুধু গায়ের মধ্যে জেব্রার pattern গুলো
আছে। আর এর পা গুলা মনে হই যেন উঁচা হীল জুতার মত। পুরুষ Zonkeyদেরকে মনে হয় অনেকটা সুন্দরী লম্বু রানির মত। কি আজব সৃষ্টি।
এবার আসেন আরেকটু আজব জিনিশ দেখাই। Green sea slug Elysia chlorotica এটা গভীর জলের বড় রকমের চোর।
খুব সুন্দরভাবেই এটি শিকারকে ধরতে পারে। সবচেয়ে আজব বেপার হল এটি কন প্রাণীর hybrid না। এতি হল প্রাণী আর উদ্ভিদের ফিউসন। পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই একমাত্র প্রতম প্রাণী যেটি
উদ্ভিদ ও প্রাণীর ফিউশন এর মাধ্যমে সৃষ্টি।
অনেকতো বকবক করলাম। আশা করি টিউনটি পরে আপনাদের ভাল লাগবে। পৃথিবীতে রহস্যের শেস নাই। বিজ্ঞান সামনে যে এগিয়ে যাচ্ছে তা কিন্তু অস্বীকার করবার নয়। আমরাও আশা করি বিজ্ঞান আর সামনের দিকে এগিয়ে যাক।
সময় হলে আমার ব্লগ এ ঘুরে আশতে পারেন।
ফেসবুক এ আমার পেজ। । কোনো সমস্যা থাকলে টিউমেন্ট এ জানাবেন।
আমি নিশান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 78 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সত্যই অদ্ভুত 😀