সৃষ্টি রহস্য অসীম একটা জিনিস । আমি তেমন বুঝিনা যা বুঝি খুব সহজ ভাবেই বুঝি । সে জন্য আমি তেমন এ জিনিসটা কঠিন মনে করি না । আর যে বুঝে তার কাছে সৃষ্টি রহস্যটাই খুবই কঠিন যেন বেড়া জাল । তার উত্তর সাধারণত জটিলই হয় । আমরাতো আর বিজ্ঞানীও না আর বিজ্ঞানটা কদাচিৎ জানি মাত্র । তাই তার সেই জটিল ভাষা তো আমরা বুঝবোইনা । আমরা সাধারণ । তাই জেনে নেয় সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু তথ্য ঃ
প্রশ্ন ঃ
পৃথিবীর মূল উপাদান কি কি ?
উত্তর ঃ কি চমৎকার এই পৃথিবী । এ শ্যামলের সিংহাসনে আমরা প্রজা হয়ে শ্যামলের পূঁজ করছি । কিন্তু আবিষ্কারী চক্ষু দেখে ভিন্ন কিছু । আবিষ্কারীদের হিসাবে এ শ্যামলের গঠন দেখেন কয়েকটা পদার্থের সমন্বয়ে । যার মধ্যে আছে ৭৮.০৮% নাইট্রোজেন,২০.৯৪% অক্সিজেন ,
০.৯৩% আর্গন আর ০.০৩৮% কার্বন ডাই অক্সাইড এবং এদের সাথে কয়েকটা পদার্থ । তবে প্রতি ঋতুতে ঋতুতে এই সব পদার্থের গঠনেও পরিবর্তন ঘটে । এর বায়ুমন্ডলেরও গঠন আছে এবং এ পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠেরও গঠন আছে । জেনে নেই সাধারণ ভাষায় ঃ
ভূপৃষ্ঠের গঠন ঃ
ভূপৃষ্ঠ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে দানাদার কণা সিলিকনের কঠিন কণিকা এবং কিছু জৌব পদার্থ । কঠিন সিলিকা (সিলিকন ডাই অক্সাইঠ) থেকেই ভূত্বকের উৎপত্তি । অর্থ্যাৎ, জৈব পদার্থের উপস্থিতিতে ভূমিক্ষয় আবহবিকার, বিচূর্নিভবন ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পাথর
থেকে মাটির উদ্ভব হয়েছে। সেই
কারণে অতি প্রাচীন কালের
মাটি পৃথিবীতে পাওয়া যায়না । ভূ-ত্বক,
জলস্তর, বায়ুস্তর এবং জৈবস্তরের
মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে পাথর থেকে মাটি তৈরি হয়।
শুকনো গুঁড়ো মাটিকে সাধারনভাবে ধুলো বলা হয় ।
মাটিতে খনিজ এবং জৈব পদার্থের মিশ্রণ
রয়েছে। এর উপাদানগুলো কঠিন, তরল ও
বায়বীয় অবস্থায় মাটিতে বিদ্যমান ।মাটির কণাগুলো আলগা ভাবে যুক্ত,
ফলে এর মধ্যে বাতাস ও জল চলাচলের
যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। এজন্য
মাটিকে বিজ্ঞানীরা ত্রি-দশা পদার্থ (Three state system) বলে অভিহিত
করেন। অধিকাংশ এলাকার মাটির
ঘনত্ব ১ থেকে ২ গ্রাম/ঘন সেমি।
পৃথিবীর উপরিভাগের অধিকাংশ মাটিই
Tertiary যুগের পরে গঠিত হয়েছে, আর
কোনস্থানেই Pleistocene যুগের পুরানো মাটি নেই।
বায়ু মণ্ডলের গঠন ঃ
আমাদের বায়ুমণ্ডল মূলত ৩টি উপাদানে গঠিত । তার মধ্যে গ্যাসীয় উপাদান আছে এগারোটি । নিচে তার শ্রেণী বিন্যস্ত করা হল ঃ
(১). গ্যাসীয় উপাদান ঃ
নাইট্রোজেন ঃ ৭৮.০১%
অক্সিজেন ঃ২০.৭১%
কার্বন ডাই অক্সাইড ঃ০.০৩%
ওজোন ঃ ০.০০০১%
আরগন ঃ ০.৮০%
নিয়ন ঃ ০.০০১৮%
হিলিয়াম ঃ ০.০০০৫%
ক্রিপ্টন ঃ ০.০০০১২%
জেনন ঃ ০.০০০০৯%
হাইড্রোজেন ঃ ০.০০০০৫%
নাইত্রাস অক্সাইড ঃ ০.০০০০৫%
মিথেন ঃ ০.০০০০২%
(২).জলীয় বাষ্প
এবং (৩). ধুলিকণা
এখন জানা যাক এ পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব কোথা থেকে আসলো ?
এটা কিন্তু একটু জটিল ভাবে বুঝতে হবে । কারণ সব জায়গায় সহজ হওয়া অনেক সময় বোকামি আর অনেক সময় অতৃপ্তি । তাহলে সহজের মাধ্যমে কঠিনকে আত্মসাধ করি ।
অনেকের ধারণা এমিনোএসিড থেকে প্রাণ বৈচিত্রের উৎপত্তি হয়েছে । আবার অনেকে বলে প্রকৃতির অশেষ মেহেরবানিতে এ ধরাতে প্রাণের আস্থা এসেছে । আরে ভাই অতশত বুঝিনা । এভাবে আমি বুঝি ঃ
আজ থেকে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন (এখানে প্রায় লাগিয়ে দিলাম । কারণ আমার দেখা প্রতি উৎসে ভিন্ন ভিন্ন উত্তরই পেয়েছি ।) বৎসর পূর্বে সংঘটিত মহাবিষ্ফোরণের মাধ্যমে পৃথিবীর
সৃষ্টি হয়েছে। মহাবিষ্ফোরণের ১০০
সেকেন্ড পর নবজাতক মহাবিশ্বের
একমাত্র উপাদান কোয়ার্ক (মৌলকণা) এর
স্যূপ ঘণীভূত হয়ে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম
এবং লিথিয়ামের নিউক্লিয়াস কেন্দ্র
সৃষ্টি করেছিল। এরপর তাপমাত্রা হ্রাস
পেয়েছে এবং তাপ বিকিরণের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি হয়েছে অন্যান্য মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ।
অতঃপর সৃষ্টি হয় ছায়াপথ, নক্ষত্র, গ্রহ বা উপগ্রহ ইত্যাদি ইত্যাদি ।
মহাকর্ষ বলের প্রভাবে রাসায়নিক পদার্থসমূহ প্লাজমা মেঘে পরিণত হয়েছিল। এই মেঘেরউপাদানসমূহ ছিল হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও কার্বনসহ ডজন খানেক মৌল। অতঃপর এক মিলিয়ন বৎসরেরও অধিক সময়
ধরে মেঘমন্ডল দশ মিলিয়ন কিলোমিটার
পর্যন্ত সঙ্কুচিত হয়েছিল। এসময়
এতে রাসায়নিক পদার্থসমূহের
মধ্যে বিক্রিয়া ঘটে। এক
পর্যায়ে তৈরী হয় হাইড্রোজেন
সায়ানাইড। অতঃপর এ
থেকে চারটি বিক্রিয়ার ধাপ
পেরিয়ে তৈরী হয় DNA base Adenine (ডি,এন,এ,এর উপাদানসমূহ জীব
কোষের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ-এ বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করে) ।
এভাবে পৃথিবী সৃষ্টির প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বৎসর
পর (নিউপ্রোটেরজইক যুগের শেষে এক সুদীর্ঘ বরফ যুগের চুগান্ত পর্যায়ে) তাতে প্রাণের উন্মেষ ঘটে।এ ঘটনার সূচনা কেবল হাইড্রোজেন ডাই ক্সাইড থেকেই ঘটেছে ।
আজ আর না । এতটুকুই থাক । পরে আবার নতুন নতুন তথ্যের সহজ সহজ উত্তর নিয়ে হাজির হব । ধন্যবাদ নিবন্ধনটি পড়ার জন্য ।
By সুরজিত সিংহ(সৌর)
®
আমি সুরজিত সিংহ সৌর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
একজন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রেমী... :)
Thank you Vi