অমরত্ব বলতেই আমাদের সবার চোখ যেন কেমন জ্বল জ্বল করে উঠে । হাজারো প্রশ্ন আসে মনে । আদেও কী সম্ভব , নাকি শুধুই তা রূপকথা আর সিনেমার জগতে রয়েছে ? অমর হয়ে কী কোন দিন অনন্তকাল বেচে থাকতে পারব আমি ? নাকি কেউ না কেউ পারবে ? সে ব্যাপারেই ইতি বাচক কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা ।
ফ্রি র্যাডিকেলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে অমরত্বের পথে আরেকধাপ নিয়ে গেলেন বিজ্ঞানিরা। ইউনিভার্সিটি অব অলঙ্গং (University Of Wollongong) এর একদল গবেষকেরা ফ্রি র্যাডিকেল বা মুক্ত মূলকেরা কিভাবে তাদের কাজ শুরু আর বন্ধ করা যায় তার রহস্য উন্মোচন করেছেন কিছুদিন আগে। এ গবেষণা “নেচার কেমিস্ট্রি” তে এক নিবন্ধে উপস্থাপন করেছেন।
UOW এর অধ্যাপক স্টিফেন ব্লাঙ্কসবি এবং পিএইচডি এর শিক্ষার্থী ডেভিড মার্শাল,অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর অধ্যাপক মাইকেল কুট এবং তার দলের সাথে একসাথে কাজ করে এ গবেষণা কাজ সম্পাদন করেন। তারা আবিষ্কার করেন যে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মুক্তমূলকের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা চালু বা বন্ধ করার জন্য একটি সাধারণ পরিবর্তন (যেমন অম্ল বা ক্ষার যোগ করার মাধ্যমে PH পরিবর্তন করে) যথেষ্ট।
সমযোজী সিগমা বন্ধনের বিষম ভাঙ্গনের ফলে উৎপন্ন বিজোড় ইলেকট্রনযুক্ত পরমাণু বা মূলককে মুক্তমূলক বলে ।যেমন ধরুন একটি সমযোজী যৌগে ৪ টি মুলক আছে । এখন বিষম ভাঙনের ফলে ৩ টি মূলক আলাদা হয়ে নতুন একটি যৌগ গঠন করল । তাহলে অন্য মূলকটির কী হবে ? এ মূলককেই বলা হয় মুক্তমূলক । মুক্তমূলকগুলো খুবই সক্রিয় হয় । তাই বন্ধন ভাঙার সাথে সাথে প্রকৃতির বা তার আশেপাশের অন্য কোন মৌল বা যৌগের সাথে বিক্রিয়া করে অন্য যৌগ গঠন করে ।এর কাজ হল অন্য কোন আয়ন, অণু বা মূলকের ক্ষতি অর্থাৎ তার থেকে ইলেকট্রন নিয়ে নিজে পূর্ণতা লাভ করে ওই আয়ন, অণু বা মূলকের ক্ষয় সাধন করে।
অধ্যাপক ব্লাঙ্কসবি বলেন,মুক্তমূলকের কারণে আমরা বৃদ্ধ হই,আমরা জরাক্রান্ত হই আর সময়ের সাথে আমাদের আয়ত্তের জিনিসপত্র গ্রাস করে নেয়। এর ফলে আমাদের গাড়ির রং থেকে শুরু করে দড়িতে কাপড় টাঙ্গানোর সুতায় রাখা ক্লিপ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এই গবেষণার প্রাপ্তি আমাদের নিয়ন্ত্রিতভাবে ও আধুনিক এবং আরও সুবিধাজনকভাবে মুক্তমূলক ব্যবহারের জন্য দিশারী হবে।
“মুক্তমূলকের একটু কুখ্যাতি রয়েছে কারণ এদের সক্রিয়তা অসাধারণ আবার কিছু ক্ষেত্রে বাছ-বিচারহীন। উদাহারনস্বরূপ বলা যায় মুক্তমূলকের অনিয়ন্ত্রিত বর্ধন দেহের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জৈবীয় অণু( আমিষ,ডি.এন.এ.) এর ক্ষতি সাধন করতে পারে। এর ফলস্বরূপ ক্যান্সার হতে পারে”।
এ গবেষণার একটি অংশ হিসেবে সম্পন্ন করা হয় কোয়ান্টাম রাসায়নিক হিসাব। এ হিসাব এ বিষয়ের ইঙ্গিত দেয় যে একটি জিনিসের ব্যাপক সম্ভাব্যতা রয়েছে আর তা হল প্রকৃতি হয়তবা জৈবীয় অণুসমূহকে মুক্তমূলকের ক্ষতি হতে রক্ষার জন্য ব্যবহৃত এই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকতে পারে। আর এর পথ ধরেই হয়তো অমরত্ব পেতে পারে মানুষ ।
আমি অরিন্দম পাল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 81 টি টিউন ও 316 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 20 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানসিক ভাবে দূর্বল । কোন কাজই কনফিডেন্টলি করতে পারি না , তবুও দেখি কাজ শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় । নিজের সম্পর্কে এক এক সময় ধারণা এক এক রকম হয় । আমার কোন বেল ব্রেক নেই । সকালে যে কাজ করব ঠিক করি , বিকালে তা করতে পারি না । নিজের...
তথাস্তু!