মহাশূণ্যে প্রাণের আবির্ভাব সম্পর্কে আমার আবিষ্কার [My Theory About Creation of Soul in Universe]
মহান বিষ্ময় নাম থেকে মহাবিশ্ব নামের উৎপত্তি । এমন কয়েকটি সংখ্যার সাথে এ মহাশূণ্যের তুলনা করা যায় যেটা অসমাপ্ত , অনুদীর্ঘ অক্ষর ও অক্ষয় ।যেমন , আলফা(গাণিতিক ইনফিনিটি ), পাই , শূণ্য (0) ইত্যাদি ।
বিভাজিত কিছু ধারা ও মান নিয়ন্ত্রিত কোন সম্পর্ক বিবেচনার জন্য বিজ্ঞানীরা মহাশূণ্যের সীমার মান
তৈরী করা হয়েছে ।
যেটা সম্পর্কে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং গবেষণা করেছিলেন ।
আমি বহুদিন যাবত আকাশ সম্পর্কে গবেষণা করেছি । 2010 সালে আমার সৃষ্টি রহস্য
সম্পর্কে জানতে খুব ইচ্ছে হল । এ সম্পর্কে লাইব্রেরী থেকে কয়েকটা বই ইসু করে নিয়ে আনি । বই গুলো পড়তে পড়তে আমার
একটা ধারণা জন্মায় । বই গুলোর মধ্যে একটার নাম "মহাবিশ্ব "-লেখক হুমায়ুন আজাদ । সেই বইয়ে মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে যে আলোচনা করা হয়েছে তার আলোকে আমি তৈরী করি "Self-Theory" বা "Creation System of Universe" ।
সূত্রটা আমার যেহেতু তৈরী সেহেতু সর্বসত্য আমি বহন করব ।
মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পূর্বে একটা যৌগিক মহাডিম্বক থেকে আজকের দৃশ্যমান জগৎ সৃষ্টি । এটা প্রায় সবারই জানা ।
আরও সামান্য বিবরণ দেয়া দরকার ......
অনেক আগে মহাবিশ্বের সব দিকে ভাসমান গ্যাস আর এদের মেঘ (Gass Cloud) বিদ্যমান ছিল । এই গ্যাসীয় মেঘ আর কয়েক মিলিয়ন বছর পর পদার্থের পরিব্যাপনের ফলে গ্যাস নিজেদের মধ্য কঠিন বন্ধন সৃষ্টি করে ।
এক পর্যায়ে সমস্ত শূণ্যের কেন্দ্রে একটা কঠিন পদার্থের সৃষ্টি হয় । যেটাকে মহাডিম্বক বলি । আরও মিলিয়ন মিলিয়ন বছর অতিবাহীত হওয়ার পর মহাডিম্বক অতি ঘনত্বপূর্ণ হয়ে উঠে । যখন পদার্থের ব্যাপন
ক্ষমতা অতি বৃদ্ধি পায় তখন মহাডিম্বকের
মধ্যে গ্যাস (He ও H মূল উপাদান) এর
সংঘর্ষ শুরু হয় ।
ঐ সময় ডিম্বকের ভেতর তাপমাত্রা কয়েক'শ মিলিয়ন সেন্টিগ্রেড ছিল । বিপুল পরিমাণ গ্যাসীয় কণার পারস্পরিক ঘর্ষণের কারণে এক পর্যায়ে মহাডিম্বকটি বিষ্ফোরিত হয় ।
এই মুহূর্তকে বলা হয় বিগ ব্যাং বা মহাগর্জন [Massive Explosion] ।
মহাগর্জনের পরবর্তী মুহূর্তে কি ঘটল ?
মহাডিম্বকের বিষ্ফোরণের ফলে সমস্ত মহাবিশ্ব এক অতিবো প্রলয় হুংকারের ঝড়ে কাঁপতে শুরু করল । মূল অবস্থান থেকে যেসকল বস্তু পিণ্ড ছিটকে গেল সেগুলোও অতিবিশাল ছিল । যার কারণে সেই তাপীয় পর্যায় ও যৌগিকতা তখনও দূর হয় নি । ঐ খণ্ড গুলোর মধ্যে মহাগর্জনের মত আবারও বিষ্ফোরণ ঘটল যা ঘটতে কয়েক শত মিলিয়ন বছর লেগেছিল । মহাডিম্বক বিভাজনের বিভাজন ঘটার পর মুহূর্তে সমস্ত মহাশূণ্যে এক আলোর ঝলকানিতে সৃষ্টি হয় সৌর জগৎ , গ্রহ , নক্ষত্র , উপগ্রহ , গ্রহাণুর মত বস্তু গুলো ।
আসলে আলোর ঝলকানি বললে ভুল হবে , দ্বিবিভাজিত হওয়ার পর আবারও ছিটকে যাওয়া বস্তুর মধ্যে তাপের অবস্থান ছিল । ঐ অবস্থায় ছোট বড় বস্তু পিণ্ডগুলোর মধ্যে যে তাপমাত্রা ছিল সেখানে কোন পরিবেশ গড়ে উঠা অসম্ভব । ঐ তাপ ধীরে ধীরে বিকিরিত হতে শুরু করে যা ঘটতে প্রায় কয়েক লক্ষ বছর লেগেছিল ।
সেটায় নক্ষত্রের রুপ নিয়েছে যে বস্তু পিণ্ড গুলো প্রথমবারেই বিভাজিত হয়েছিল। আর পরবর্তীতে দ্বিতীয়বারের মত যেগুলো বিভাজিত হল সে গুলোই অদীপ্ত সকল পদার্থ মূল । যেমন , গ্রহ,উপগ্রহ ইত্যাদি ।
এটা একটা ধীর গতিয় পদ্ধতি । এই প্রক্রিয়া আমাদেরকে হয়তো অনেক সময় বিব্রত করে কিন্তু এটা যতটুকু সম্ভব ভিক্তি পূর্ণ বলে আমি মনে করি । বিজ্ঞানের তথ্যের আলোকে এসব বিশ্লেষণ করে বুঝালাম ।
এখন আমি যে তথ্যটি আবিষ্কার করেছি সেটা সম্পর্কে কিছু বলি ।
একটা প্রশ্ন , পৃথিবীতে প্রণের উদ্ভব ঘটল কি ভাবে?
পৃথিবী থেকে সুর্যের দূরত্ব ১৪৯৬০০০০ কিলোমিটার বা ১.০০০ জ্যোতি একক ।
কক্ষ পথের নিকট তম দূরত্ব পেরিহেলিয়ন অবস্থানে ০.৯৮৩ জ্যোতি একক দূরে এবং দূরতম দূরত্বের অবস্থান আপহেলিয়নে ১.০১৭ জ্যোতি একক ।
এটি একটা পরিপূর্ণ অবস্থান যেটা একটা প্রাণী কূলের জন্য উপযোগী এবং পর্যাপ্ত তাপমাত্রার একটা অবস্থান ।
পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ৩৬৫.২৫৬ দিনে । এই কক্ষ পথে পৃথিবীর গতি প্রতি সেকেণ্ডে ২৯.৮ কিলোমিটার ।
এটা এমন একটা গতি যা কোন একটা প্রাণী কূলকে একটা নির্দিষ্ট ভারসাম্যকে বজায় রাখতে স্বচেষ্ট হয়।
পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর উলম্বভাবে (Vertically) ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪.১ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে একবার প্রদক্ষিণ করে । এই একটা পরিপূর্ণ সময় যে সময়টা অধিকাংশ প্রাণীর জীবন ধারণের জন্য পর্যাপ্ত । অর্থ্যাৎ এই সময় সীমার মধ্যে প্রাণীরা নিজেকে বিকাশ করতে পারেন ।
পৃথিবীর ভূ অক্ষ রেখা কক্ষ পথের উপর হেলে আছে ২৩ ডিগ্রী ২৭ সেকেন্ড কোণে । পৃথিবীর বিষুবীয় ব্যাসার্ধ প্রায় ৬,৩৭৮ কি.মি. এবং ব্যাস প্রায় ১২,৭৩৬ কি.মি. ৭৯০০ মাইল এবং মেরুব্যাসার্ধ ৬,৩৫৬ কি.মি. ।পৃথিবীর ভর (মোট বস্তুর পরিমাণ) প্রায় ৬x১০^২৪ কে.জি. । মোট হিসাব ৬,০০০ বিলিয়ন বলিয়ন টন ।
পৃথিবীর গড় ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে প্রায় ৫,৫০০ কেজি এবং প্রতি ঘন সেন্টি মিটারে প্রায় ৫.৫ গ্রাম । এই ঘনত্ব সাধারণ পানি থেকে ৫.৫ গুণ বড় ।
যে কঠিন মাটিতে ভর করে আমরা জীবনকে ধারণ করি সে মৃত্তিকা পৃষ্ঠের ঘনত্ব এমনই
যে কোন পরিবর্তনশীল প্রাণীকূলকে যথেষ্ঠ পরিমাণ বাহ্যিক বলের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারে ।
এটা একটা অপরিবর্তনশীল সত্য ।
প্রতিটি ঘনত্বই শীলা ও ধাতব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত । পৃথিবীর কেন্দ্রাঞ্চলের ঘনত্ব সাধারণ মাটির চেয়ে অত্যন্ত বেশী । তাই জীব কূলের ভারসাম্য রক্ষার্থে ভূ-পৃষ্টের মান
দন্ডীয়তা বেশি ।পৃথিবীর অভিকর্ষ প্রতি বর্গসেকেন্ডে ৯৮০ সেন্টিমিটার । ভূ পৃষ্টের কেন্দ্রে g এর মান ৯.৮১ ।
পৃথিবীতে এমন অবস্থানই নির্দেশ করে এটি একটি বিকশিত গ্রহকে বুঝায় ।
অর্থ্যাৎ সূর্য থেকে এমন এক অবস্থানে পৃথিবী আছে যেটা একটি অত্যানুকুল অবস্থান ।
সুতরাং আমি মনে করি যে , এমন একটি অত্যানুকুল অবস্থান যদি অন্য কোন নক্ষত্র ও গ্রহের মধ্যে থাকত তবে অবশ্যই ঐ পৃথিবী সমরুপ গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যেত ।
মন্তব্যঃ এখনও অবশ্যই ঐ ধরণের গ্রহ
আছে ।যে গুলো হয়তো আমাদের কাছ থেকে কয়েক শত আলোক বর্ষ দূরে অথবা আমাদের খুব নিকটে । হয়তো এন্ড্রোমিডা ছায়াপথের ছোট একটা গ্রহে নয়তো বা অন্য একটা গেলাক্সির আনাচে-কানাচে । হতেও পারে এমন অনেক কিছু যেটা একটা অসম্ভব একটা সীমা প্রান্তে । রহস্যের শেষ নেই । সীমাহীন দুয়ারে হাতছানি দিচ্ছে অসমাপ্ত সব
সমীকরণ । আজও আমি বিষ্মিত হয় উপরের সীমাহীন শূণ্যের দিকে আখিচারণ করলে । এটা বাস্তবিক । অনেক সময় আমি এ সব চিন্তার মুড়ে নিজেকে চীর কালের জন্য হারিয়ে ফেলি ।
shadow text ধন্যবাদ সবাইকে ।
আমি সুরজিত সিংহ সৌর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
একজন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রেমী... :)
AITA AI PORJONTO ABISHKAR HOWA SHOB THEORYR MODDHE BEST….AMAR MONE HOY EINSTEIN VAI,HAWKINK DADA AR NEWTON CHACHA EBONG OBOSSHOI APNI APNARA SHOBAI MILLA AITA ABISHKAR KORSEN…PRAN SRISTIR JE NIKHUT BORNONA DILEN AMI POIRA PURA TASHKI KHAISI…..HASHTE HASHTE AMAR JE PETE BATHA SHURU HOISE AKHON OSHUDH KINTE JAOA LAGBE….OK GOOD BYE