কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব-২১] :: বিভিন্ন নক্ষত্র ও উপগ্রহ

আসসালামুআলাইকুম ও শুভেচ্ছা সবাইকে 🙂 ।সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আশা করি।

কুরআনের আয়াতে কি রয়েছে?-

021.033 وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। প্রত্যেকে (মহাকাশীয় বস্ত্তসমূহ) আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণশীল। (আম্বিয়া, ২১ : ৩৩) )  (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)

041.037 وَمِنْ آيَاتِهِ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لا تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوا لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَهُنَّ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ

তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবস, রজনী, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজদা কর না, চন্দ্রকেও না; আল্লাহকে সিজদা কর যিনি এগুলি সৃষ্টি করেছেন। (ফুসসিলাত, ৪১ : ৩৭) )  (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)

071.015 أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا

071.016 وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا

তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করেছেন, একটির ওপর একটি এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন (উজ্জ্বল) প্রদীপরূপে। (নূহ, ৭১ : ১৫-১৬) )  (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)

 

সমৃদ্ধ আরবী ভাষা ও আরবীদের ভাষার দাম্ভিকতা-

পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের ভাষার প্রাঞ্জলতা রয়েছে এবং প্রায় সব দেশের ভাষায় বিশেষতঃ ইংরেজি ও বাংলা ব্যাকরণে দু’ধরনের সর্বনাম ও ক্রিয়া ব্যবহৃত হয় যথাক্রমে- একবচন ও বহুবচন। আলহামদুলিল্লাহ পৃথীবীর মথ্যে হাতে গোনা কয়েকটি সমৃদ্ধ ভাষার অস্তিত্ব আছে যার রয়েছে ভাষার গভীরতম প্রকাশভঙ্গিমা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগের আগমনের পূর্বে পৃথিবীটা কবিতা ও সাহিত্যের পদাচারনায় ছিল মুখরিত। সেই প্রাচীনকাল হতেই আরবরা নিজেদের ভাষার ব্যবহারে ছিল দক্ষ ও চতুর। তারা অন্যভাষীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলতো “তোমাদের ভাষার সমার্থক শব্দ আমরা বহুরুপে প্রকাশ করতে সক্ষম বিশেষ” আরবীতে বিশেষ করে এমন ভাষার ১০০-রও বেশি সমার্থক শব্দের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ ভাষার অসাধারন প্রাচুরর্যের শীষে তারা পৌছে গিয়েছিল তা আরবী কবিতা ও সাহিত্যর বিশাল সমৃদ্ধ ভান্ডার আজ আমরা দেখি। যখন তারা দাম্ভিকতার শীর্ষে ঠিক তখনই মানবজাতির সরল পথের আলোকবর্তীকা হয়ে কুরআন অবর্তীর্ন হয়েছে।প্রতিটি কবি সাহিত্যিক কুরআনের ব্যঞ্জনময় শব্দ, অতুলনীয় ছন্দ দেখে স্বীকার করে নিয়েছিলেন এ রচনা কোন মানুষের সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। ফলে তারা ইংসলামের ছায়াতলে এসে ধন্য হয়েছেন।

আরবি ব্যাকরণে দ্বি- বচনের ব্যাখ্যা-

আরবি ব্যাকরণে একটি তৃতীয় রূপের সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়, যা কেবল ‘দুই’ নির্দেশ করে। এই দ্বি- বচনের রূপটি বহুবচনের রূপ থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। (বহুবচন) যা ব্যবহৃত হয় দুইয়ের অধিক সংখ্যা নির্দেশ করার জন্যে। যারা আরবি ভাষার সঙ্গে পরিচিত তারা স্বীকার করবেন যে, উপরোল্লিখিত আয়াতসমূহে সূর্য ও চন্দ্রের জন্য যে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়েছে তা দ্বিবচনের রূপ নয়, বরং বহুবচনের রূপ। কুরআন মাজিদ এভাবে ইঙ্গিত করে যে, মহাকাশে সূর্য ও চন্দ্রের সংখ্যা কেবল দু’টি নয়, বরং অনেক।

বিজ্ঞান বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহের অস্তিত্বের জানান দেয়-

মহাকাশ বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণা দেখিয়েছে যে, এমন অনেক গ্রহ রয়েছে যাদের আছে একাধিক চন্দ্র (উপগ্রহ)। যেমন বৃহস্পতি গ্রহের ১৬ টি উপগ্রহ,  শনির ১৭টি। আবার কিছু গ্রহে সূর্যের সংখ্যা ২টি যা আমাদের সৌরমন্ডল হতে দুরে। এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, মহাকাশে আরো অনেক গ্রহজগত রয়েছে। এবং এ সকল জগতেও তাদের নিজস্ব সূর্য ও চন্দ্র রয়েছে। যেমন কেপলার (KEPLER SYSTEM 22)নামে একটি গ্রহ সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে যারও রয়েছে একাধিক উপগ্রহ এবং বিস্ময়করভাবে বিজ্ঞানীরা প্রানের অস্তিত্বের আশা করছেন সেখানে। এটি কুরআন মাজিদের আরো একটি আলৌকিকতা যে, তা সূর্য ও চন্দ্রের গতি বর্ণনার জন্যে সর্বনাম ও ক্রিয়ার ক্ষেত্রে দ্বিবচনের শব্দ ব্যবহার করে নি। বরং বহুবচনের শব্দ ব্যবহার করেছে। প্রকৃতির সাম্প্রতিক আবিষ্কার ও গবেষণা যার সাক্ষ্য বহন করে।

আপনাকে ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ার জন্য।

একটি উদ্যেগ আহবান:

এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশের 90% মুসলিম হয়েও এখনো বাংলা সহিহ হাদিসের Free digital Database বানানো হয়নি। প্রায় 22 কোটি বাংঙ্গালীগন অকাযর্করের ও অবহেলার ভূমিকা নিয়েছি, এ মহান দায়িত্ব থেকে আমরা মুসলিমগন একরকম নেহাতই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অনেকেই আছেন অন বা “অফ লাইনে কাজ করার সময় UNICODE টেক্সট হাদিস হাতের কাছে তৈরি না থাকায় সবাইকে কষ্ট করে টাইপ করতে হয় অথবা অনেকে ঝামেলা এড়িয়ে যান। কিন্তু এই দিন শেষ ।

আসুননা আমরা সমম্বিতভাবে উদ্বেগ নিয়ে বাংলা সহিহ হাদিসের Unicode Software সৃষ্টি করি। আপনারা শুনে খশি হবেন আমািদের সহিহ বুখারীর কাজ প্রায় শেষ ।মুসলিম শরীছফর কাজ চলছে। সফটওয়্যারটি chm ফরমেটে তৈরি হবে, ইনষ্টলের কোন ঝামেলা নেই। 1 click – এ ‍উইন্ডো ওপেন হবে এবং সহজেই ডাটা কপি,পেষ্ট করা যাবে, এছাড়াও রয়েছে পাওয়ারফূল সার্চ ও কিওয়ার্ড অপশন। যেহেতু হাজার হাজার হাদিস এর জন্য অবশ্যই টিম ওর্কের প্রয়োজন যার নামকরন করা হয়েছে সংক্ষেপে DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানিত ভায়েরা বিনা পারিশ্রমিকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন যার বেশিরভাই ছাত্র। উদ্দেশ্য একটাই-25 কোটি বাংলাভাষীর জন্য সম্পূর্ন বিনামূল্যে বাংলা হাদিসের অনবদ্য একটি ইউনিকোড সফটওয়্যার। এ মহৎ কাজে পিছিয়ে কেন ...আসুন আমাদের সাথে। সম্মানিত ভাই/ বোন যারা সদস্য হতে চান এ টিমের কর্মপদ্বতি হবে নিম্নরুপ-

1)যারা অংশ নেবেন Contribution- এ তাদের নাম ও প্রোফাইল লিংক থাকবে।

2) প্রত্যেককে সদস্য হতে হলে কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে নিম্নলিখিত এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে।(সময় খুব বেশি হলে মাত্র তিন ঘন্টার একটা কাজ)

3)পিডিএফ ফরম্যাটে হাদিস দেয়া হবে আপনি MS Word-এ টাইপ করে মেইলে এটাচ করে পাঠিয়ে দেবেন, আপনার প্রোফাইল লিংক যদি দেন ভাল হয়।

4) আপনার হাদিস পাবার পর সেটা আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেয়া হবে যেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন।

বিঃদ্রঃ:- এটি কোন কর্মাশিয়াল উদ্যেগ নয়। শধুমাত্র ভলান্টিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে DBHT-এর হাদিসের Digital interface তৈরি করার একটা যৌথ প্রচেষ্টা। বাংলাতে শুধু এন্ট্রি করবেন আরবী ও ইংলিশ আমরা ম্যানেজ করবো ইনশাআল্লাহ। যে কোন  Unicode ফন্টে ডাটা রেডি করতে পারবেন।আপনার প্রোফাইল লিংক ও Mob-নং ও বাংলাদেশের কোত্থেকে কাজ করছেন উল্লেখ করবেন। ১০ দিনের মধ্যে করতে পারলে ভালো হয়। আপনি ডাটা পাঠানোর পর আমরা সেটা অতি দ্রুত আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেবো ইনশাআল্লাহ ধন্যবাদ। যোগাযোগ করুন।

শাহরিয়ার আজম

মেইল এড্রেস-  [email protected]

Mob-01714351057

DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)

http://www.facebook.com/pages/DBHT/603417713008497

**অালহামদুলিল্লাহ আমরা তিনটি ভাষায় হাদিস প্রকাশ করছি (আরবী, বাংলা ও ইংলিশ) যা এখনো পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়নি।

 

অন্যান ওয়েব---

http://www.facebook.com/pages/Al-Quran-Modern-Science/140069416050931

http://muslim.zohosites.com/          http://www.quranic-science.blogspot.com

Level 0

আমি Sharear Azam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 365 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

Darun …Thanks vi apnake ato mulloban akta post dear jonno..

Level 0

ধন্যবাদ ভাই, সমালোচনা ছাড়া কাজের প্রকৃত মূল্য বোঝা যায় না|আপনি এগিয়ে যান

Level 0

thank u so much for your nice tune

Level 0

আপনাকে ধন্যবাদ, অনেক অজানা বিষয় আপনার লেখা থেকে জানা গেল।
আমি নতুন এ ব্লগে ঢুকে অনেক কিছু জানার সাথে সাথে আপনার লেখাটা দেখলাম ।খুব ভাল লাগল পড়ে। তবে সেই সাথে কিছু প্রশ্ন ছিল যদি উত্তর দেন।

তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। প্রত্যেকে (মহাকাশীয় বস্ত্তসমূহ) আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণশীল। (আম্বিয়া, ২১ : ৩৩) ) (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)

উক্ত আয়াতের অনুবাদে -মহাকাশীয় বস্তুসমূহ- ব্রাকেটে থাকার কারনটা জানা যাবে ? এটা কি অনুবাদকের নিজস্ব বক্তব্য নয়?
আপাত: দৃষ্টিতে আমরা সূর্য ও চন্দ্র কে তো সন্তরণশীলই দেখি। এখানে পৃথিবী যে সন্তরণশীল বা ঘূর্ণায়মান সেটা তো এ আয়াত দ্বারা বোঝা যাচ্ছে না । এ সম্পর্কে কোন আয়াত আছে? তাছাড়া উক্ত আয়াতের মত প্রায় হুবহু আর একটা আয়াত আছে যা নিম্ন রূপ-

সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। সূরা ইয়াসিন-৩৬:৩৮

উ্ক্ত আয়াত সম্পর্কে ইবনে কাথিরের তাফসিরে যা দেখা যায় তা নিম্ন রূপ-

Al-Bukhari recorded that Abu Dharr, may Allah be pleased with him, said, “I was with the Prophet in the Masjid at sunset, and he said: :

«يَا أَبَا ذَرَ، أَتَدْرِي أَيْنَ تَغْرُبُ الشَّمْسُ؟»

(O Abu Dharr! Do you know where the sun sets) I said, `Allah and His Messenger know best.’ He said:

«فَإِنَّهَا تَذْهَبُ حَتْى تَسْجُدَ تَحْتَ الْعَرْشِ، فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى:

﴿وَالشَّمْسُ تَجْرِى لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَـا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ ﴾»

(It goes and prostrates beneath the Throne, and that is what Allah says: (And the sun runs on its fixed course for a term. That is the decree of the Almighty, the All-Knowing.))” It was also reported that Abu Dharr, may Allah be pleased with him, said, “I asked the Messenger of Allah about the Ayah:

﴿وَالشَّمْسُ تَجْرِى لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَـا﴾

(And the sun runs on its fixed course for a term. ) He said:

«مُسْتَقَرُّهَا تَحْتَ الْعَرْش»

(Its fixed course is beneath the Throne.)” (The second view) is that this refers to when the sun’s appointed time comes to an end, which will be on the Day of Resurrection, when its fixed course will be abolished, it will come to a halt and it will be rolled up. This world will come to an end, and that will be the end of its appointed time. This is the fixed course of its time. Qatadah said:

﴿لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَـا﴾

(on its fixed course for a term (appointed).) means, “It has an appointed time and it will not go beyond that.” It was also said that this means, it keeps moving in its summer orbit for a certain time, and it does not exceed that, then it moves to its winter orbit for a certain time, and it does not exceed that. This was narrated from `Abdullah bin `Amr, may Allah be pleased with him. Ibn Mas`ud and Ibn `Abbas, may Allah be pleased with them, recited this Ayah as: (وَالشَّمْسُ تَجْرِي لَامُسْتَقَرَّ لَهَا) (And the sun runs with no fixed course for a term,) meaning that it has no destination and it does not settle in one place, rather it keeps moving night and day, never slowing down or stopping, as in the Ayah:

﴿وَسَخَّر لَكُمُ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ دَآئِبَينَ﴾

(And He has made the sun and the moon, both constantly pursuing their courses, to be of service to you) (14:33). which means, they will never slow down or stop, until the Day of Resurrection.

(সূত্র: http://www.qtafsir.com/index.php?option=com_content&task=view&id=1487)

উক্ত তাফসিরে দেখা যাচ্ছে যে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আল্লাহর আরশের নীচে গিয়ে অবনত ভাবে বসে থাকে। এখানে আরও বলা হচ্ছে- সূর্য গ্রীষ্ম কালে একটা কক্ষ ও শীত কালে ভিন্ন কক্ষে পরিভ্রমন করে। আরও বলা হচ্ছে – সূর্যের কোন নির্দিষ্ট কক্ষপথ নেই , এটা নাগাড়ে পরিভ্রমন করে , কোথাও দাড়ায় না , আর এভাবেই সে দিন ও রাত চলতে থাকে এবং একমাত্র কেয়ামতের দিনেই সূর্য তার পরিভ্রমন বন্দ করে দেবে।

এখন এ বিষয়গুলো আমি ঠিক মতো বুঝতে পারলাম না। আপনি কি দয়া করে এটা একটু বুঝিয়ে বলবেন ?

    @Charbak: আলহামদুলিল্লাহ।যদিও অত্যন্ত ব্যস্ত আমি তবুও আপনাকে সংক্ষিপ্ত আকারে দেয়ার চেষ্টা করবো এরপরেও প্রশ্ন থাকলে জানাবেন-
    1)প্রশ্ন:-উক্ত তাফসিরে দেখা যাচ্ছে যে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আল্লাহর আরশের নীচে গিয়ে অবনত ভাবে বসে থাকে।
    উত্তর:-প্রত্যেকটি ভাষার কিছু উপমা আছে যা শুধু আসল অর্থের দিকে ইঙ্গিত করেনা। এখানে ”অবনত ভাবে বসে থাকে” অনুবাদটা কোথায় পেয়েছেন জানিনা তবে তা সঠিক নয় ।প্রতিদিন আমরা খবরের কাগজে পরি সূর্যের 5.20 এ উঠবে 6.40 এ অস্ত যাবে । আসলে কি সূর‌্য অস্ত যায়? প্রকৃত অর্থে নয়। তাহলে কি আমরা বলতে পারি পক্রিকাগুলো ভূল! “অবনত হওয়া ” এখানে সূর্যের আনুগত্যের প্রকাশভঙ্গি। অন্যন্য সুষ্টির মতো একটা সৃষ্টি।

    2)প্রশ্ন:-উক্ত আয়াতের অনুবাদে -মহাকাশীয় বস্তুসমূহ- ব্রাকেটে থাকার কারনটা জানা যাবে ? এটা কি অনুবাদকের নিজস্ব বক্তব্য নয়?
    উত্তর:- আরবীতে একটা শব্দ আছে ”কুল্লুন” যার অর্থ প্রায় প্রত্যেকে। এখানে ব্রকেটে শব্দটি দেয়া হয়েছে পাঠকদের মহাকর্ষ সম্বন্ধীয় বস্তু সম্বন্ধে বোঝার জন্য।

    3)প্রশ্ন:এখানে আরও বলা হচ্ছে- সূর্য গ্রীষ্ম কালে একটা কক্ষ ও শীত কালে ভিন্ন কক্ষে পরিভ্রমন করে।
    উত্তর:- কোন আয়াত হতে পেলেন উল্লেখ করলেন না …আমি এধরনের কোন ব্যাপার আছে জানিনা।

    4)প্রশ্ন:-আরও বলা হচ্ছে – সূর্যের কোন নির্দিষ্ট কক্ষপথ নেই , এটা নাগাড়ে পরিভ্রমন করে , কোথাও দাড়ায় না , আর এভাবেই সে দিন ও রাত চলতে থাকে এবং একমাত্র কেয়ামতের দিনেই সূর্য তার পরিভ্রমন বন্দ করে দেবে।
    উত্তর:-মানুষ পবিত্র কুরআনকে আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এসে পর্যালোচনার মাধ্যমে এর যথার্থ সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষ তার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে প্রথমে ধারণা করে ছিল ‘‘সূর্য ঘুরছে, পৃথিবী স্থির। আবার পরবর্তীতে ধারণা করেছে যে সূর্য স্থির, পৃথিবী তার চতুর্দিকে ঘুরছে আর তাই দিন ও রাতের সৃষ্টি হচ্ছে। আসলে উক্ত দু‘টি মতবাদের কোনটাই সঠিক ছিল না বরং সূর্য ও পৃথিবী সহ মহাশুন্যে যা কিছু আছে সবই মহান শ্রষ্টার বেঁধে দেয়া নিয়মে সুনির্দিষ্ট পথে চলছে। সূর্যের ব্যাপারে কুরআন বলেছেঃ
    وَالشَّمْسُ تَجْرِي لِمُسْتَقَرٍّ لَهَا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ (سورة يس ৩৮)
    সূর্য তার নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গমন করছে। এটা পরাক্রমশালী মহাজ্ঞানীর সুনির্ধারিত ব্যবস্থা। (সূরা ইয়াছীন 36:৩৮) (অনুবাদ:-মাওলানা সালাহউদ্দীন ইউসুফ, পাকিস্তান
    নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের আবর্তন, যেমনটি উপরের আয়াতে উল্লিখিত হয়েছে- বিষয়টি ব্যাখ্যার দাবি রাখে। আমাদের ছায়াপথ একটি থালার আকৃতিতে বহু সংখ্যক নক্ষত্রপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। এই ছায়াপথে সেই থালার কেন্দ্র থেকে দূরে সূর্য একটি অবস্থান দখল করে আছে।ছায়াপথটি তার আপন অক্ষরেখার ওপর পরিভ্রমণ করে, যা তার কেন্দ্র। ফলে তা সূর্যকে একই কেন্দ্রের চারপাশে একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তিত করে। ছায়াপথটি তার আপন অক্ষরেখায় তার আবর্তন শেষ করতে সময় নেয় ২৫০ মিলিয়ন বছর।
    আধুনিক বিজ্ঞান বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, সূর্য তার কক্ষ পথে সেকেন্ডে ২৫০ কিঃ মিঃ বেগে পথ চলে। Encyclopedia Britannica, General Astro-Science বলা হয়েছে। সূরর্য নিদ্দিষ্ট একটা লক্ষে ধেয়ে চলছে যা VEGA POINT OT SOLAR VEGA নামে পরিচিত।

      Level 0

      @Sharear Azam:

      ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য।
      আমরা আসলেই কম জানি আর বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে অনেক তথ্যই খুব সহজে পেতে পারি যাই আর তাই অনেক পশ্নের উদ্রেক ঘটে। আপনি যে উত্তর দিলেন তাতে ‘অনেক উপকৃত হলাম। আপনার অন্যান্য নিবন্ধগুলোও পড়লাম ও অনেক তথ্য অবগত হলাম কিন্তু তারপরেও একটা প্রশ্ন রয়েই গেল। সেটা হলো – কোরানে চাঁদ বা সূর্য নয় পৃথিবী ঘোরার ব্যপারে কোন স্পষ্ট তথ্য আছে ? খালি চোখে তো আমরাই দেখি- চাঁদ ও সূর্য্য ঘোরাঘুরি করে। এটা কুরানে উল্লেখ করার আগেও মানুষ এটা জানত। এছাড়া আপনার নিবন্ধ পড়তে পড়তে একটা হাদিস দেখলাম যা নিম্নরূপ-

      আবু দার বর্ণিত- মসজিদের মধ্যে একদা আমি নবীর কাছে ছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- “ আবু দার, তুমি কি জান সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সে কোথায় যায় ? আমি উত্তর করলাম-“ আল্লাহ ও তার রসুল ভাল জানেন”। তিনি বললেন-“ এটা আল্লাহর আরশের নিচে যায়, বিশ্রাম করতে থাকে ও প্রার্থনা করতে থাকে পূনরায় উদিত হওয়ার জন্য। পরে তাকে আল্লাহ অনুমতি দিলে সে পূনরায় পূর্ব দিকে উদিত হয় যা আল্লাহ বর্ণনা করেছেন তার বানী ৩৬:৩৮ আয়াতে(সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।) ”। সহি বুখারি, বই-৬০, হাদিস-৩২৬ (http://bukharishareef.blogspot.com/2008/03/translation-of-sahih-bukhari-book-82.html)

      এ ব্যপারে আপনার কি বক্তব্য ? এটা কি রূপক ? আসলে দেখলাম ইবনে কাথিরের তাফসিরে এ হাদিস টির কথাই বলা হয়েছে। আপনি মনে হয় ভাল মতো ওটা পড়েন নি। পড়লে বুঝতে পারতেন।

      এছাড়া আর একটা সমস্যা হলো – কুরান বা হাদিসের কোনটা রূপক আর কোনটা রূপক নয় , তা বোঝার উপায় টা কি ? আপনি যেমন সহজেই এটা বুঝতে পারছেন , আমরা কিভাবে সেটা বুঝব ?

        @Charbak: thanks ভাই আসলে আপনি যে সব তথ্যসমুহ উপস্থাপন করছেন সেসব এন্টি ইসলামিক ওয়েবসাইট হকে উদ্ধৃত । এখানে আপনি ইবনে কাসিরের নাম বলছেন অথচ জিজ্ঞেস করলে দেখা যাবে এ সম্বন্ধে আপনার জানা নাই । আসলে ভাই ইসলামকে যদি সত্যিই জানতে চান সবার আগে কুরআন পড়বেন কারো কথায় কর্নপাত না করে তারপর রাসুলের জীবনী পড়বেন তারপর আসুন আলোচনায় । এন্টি ইসলামিক ওয়েবসাইটগুলি কুতর্ক ছাড়া কিছু সৃষ্টি করতে পারেনা। তারা কুরআনের এমন সব আয়াত দেখায় যা out of context । পৃথিবীর আবর্তনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার পূবের পর্বের এ শিরোনামে আপনি পাবেন। ”কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব-০৭] :: দিন ও রাতের গতিশীলতা কেন প্রয়োজন?”
        আরেকটা প্রশ্ন আপনার কাছে জানার জন্য চার্বাক সোসাইটি বাংলাদেশে আছে? কোন ওযেবপেজ আছে আপনার কাছে?

তার মানে কি চন্দ্রের নিজস্ব আলো আছে?

ও আল্লাহ্‌ কবে যে চাঁদে যেয়ে দেখে আসব রুপার মত জলজলে চাঁদের নিজের আলো ঠিকরে পরছে?

    @ProtibadiMan: কোথায় দেখলেন স্বপ্নটি-””তার মানে কি চন্দ্রের নিজস্ব আলো আছে?”

Level 0

@ProtibadiMan:

surah al furqan chapter 25 verse 61
কত মহান তিনি যিনি নভমন্ডলে সৃষ্টি করিয়াছেন রাশি চক্র, উহাতে স্থাপন করিয়াছেন প্রদিপ, সূর্য এবং চন্দ্র যার আছে ধার করা আলো।