আসসালামুআলাইকুম ও শুভেচ্ছা সবাইকে 🙂 ।সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আশা করি।
কুরআনের আয়াতে কি রয়েছে?-
021.033 وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। প্রত্যেকে (মহাকাশীয় বস্ত্তসমূহ) আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণশীল। (আম্বিয়া, ২১ : ৩৩) ) (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)
041.037 وَمِنْ آيَاتِهِ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لا تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوا لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَهُنَّ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবস, রজনী, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজদা কর না, চন্দ্রকেও না; আল্লাহকে সিজদা কর যিনি এগুলি সৃষ্টি করেছেন। (ফুসসিলাত, ৪১ : ৩৭) ) (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)
071.015 أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا
071.016 وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا
তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করেছেন, একটির ওপর একটি এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন (উজ্জ্বল) প্রদীপরূপে। (নূহ, ৭১ : ১৫-১৬) ) (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)
সমৃদ্ধ আরবী ভাষা ও আরবীদের ভাষার দাম্ভিকতা-
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের ভাষার প্রাঞ্জলতা রয়েছে এবং প্রায় সব দেশের ভাষায় বিশেষতঃ ইংরেজি ও বাংলা ব্যাকরণে দু’ধরনের সর্বনাম ও ক্রিয়া ব্যবহৃত হয় যথাক্রমে- একবচন ও বহুবচন। আলহামদুলিল্লাহ পৃথীবীর মথ্যে হাতে গোনা কয়েকটি সমৃদ্ধ ভাষার অস্তিত্ব আছে যার রয়েছে ভাষার গভীরতম প্রকাশভঙ্গিমা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগের আগমনের পূর্বে পৃথিবীটা কবিতা ও সাহিত্যের পদাচারনায় ছিল মুখরিত। সেই প্রাচীনকাল হতেই আরবরা নিজেদের ভাষার ব্যবহারে ছিল দক্ষ ও চতুর। তারা অন্যভাষীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলতো “তোমাদের ভাষার সমার্থক শব্দ আমরা বহুরুপে প্রকাশ করতে সক্ষম বিশেষ” আরবীতে বিশেষ করে এমন ভাষার ১০০-রও বেশি সমার্থক শব্দের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ ভাষার অসাধারন প্রাচুরর্যের শীষে তারা পৌছে গিয়েছিল তা আরবী কবিতা ও সাহিত্যর বিশাল সমৃদ্ধ ভান্ডার আজ আমরা দেখি। যখন তারা দাম্ভিকতার শীর্ষে ঠিক তখনই মানবজাতির সরল পথের আলোকবর্তীকা হয়ে কুরআন অবর্তীর্ন হয়েছে।প্রতিটি কবি সাহিত্যিক কুরআনের ব্যঞ্জনময় শব্দ, অতুলনীয় ছন্দ দেখে স্বীকার করে নিয়েছিলেন এ রচনা কোন মানুষের সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। ফলে তারা ইংসলামের ছায়াতলে এসে ধন্য হয়েছেন।
আরবি ব্যাকরণে দ্বি- বচনের ব্যাখ্যা-
আরবি ব্যাকরণে একটি তৃতীয় রূপের সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়, যা কেবল ‘দুই’ নির্দেশ করে। এই দ্বি- বচনের রূপটি বহুবচনের রূপ থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। (বহুবচন) যা ব্যবহৃত হয় দুইয়ের অধিক সংখ্যা নির্দেশ করার জন্যে। যারা আরবি ভাষার সঙ্গে পরিচিত তারা স্বীকার করবেন যে, উপরোল্লিখিত আয়াতসমূহে সূর্য ও চন্দ্রের জন্য যে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়েছে তা দ্বিবচনের রূপ নয়, বরং বহুবচনের রূপ। কুরআন মাজিদ এভাবে ইঙ্গিত করে যে, মহাকাশে সূর্য ও চন্দ্রের সংখ্যা কেবল দু’টি নয়, বরং অনেক।
বিজ্ঞান বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহের অস্তিত্বের জানান দেয়-
মহাকাশ বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণা দেখিয়েছে যে, এমন অনেক গ্রহ রয়েছে যাদের আছে একাধিক চন্দ্র (উপগ্রহ)। যেমন বৃহস্পতি গ্রহের ১৬ টি উপগ্রহ, শনির ১৭টি। আবার কিছু গ্রহে সূর্যের সংখ্যা ২টি যা আমাদের সৌরমন্ডল হতে দুরে। এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, মহাকাশে আরো অনেক গ্রহজগত রয়েছে। এবং এ সকল জগতেও তাদের নিজস্ব সূর্য ও চন্দ্র রয়েছে। যেমন কেপলার (KEPLER SYSTEM 22)নামে একটি গ্রহ সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে যারও রয়েছে একাধিক উপগ্রহ এবং বিস্ময়করভাবে বিজ্ঞানীরা প্রানের অস্তিত্বের আশা করছেন সেখানে। এটি কুরআন মাজিদের আরো একটি আলৌকিকতা যে, তা সূর্য ও চন্দ্রের গতি বর্ণনার জন্যে সর্বনাম ও ক্রিয়ার ক্ষেত্রে দ্বিবচনের শব্দ ব্যবহার করে নি। বরং বহুবচনের শব্দ ব্যবহার করেছে। প্রকৃতির সাম্প্রতিক আবিষ্কার ও গবেষণা যার সাক্ষ্য বহন করে।
আপনাকে ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ার জন্য।
একটি উদ্যেগ ও আহবান:
এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশের 90% মুসলিম হয়েও এখনো বাংলা সহিহ হাদিসের Free digital Database বানানো হয়নি। প্রায় 22 কোটি বাংঙ্গালীগন অকাযর্করের ও অবহেলার ভূমিকা নিয়েছি, এ মহান দায়িত্ব থেকে আমরা মুসলিমগন একরকম নেহাতই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অনেকেই আছেন অন বা “অফ লাইনে কাজ করার সময় UNICODE টেক্সট হাদিস হাতের কাছে তৈরি না থাকায় সবাইকে কষ্ট করে টাইপ করতে হয় অথবা অনেকে ঝামেলা এড়িয়ে যান। কিন্তু এই দিন শেষ ।
আসুননা আমরা সমম্বিতভাবে উদ্বেগ নিয়ে বাংলা সহিহ হাদিসের Unicode Software সৃষ্টি করি। আপনারা শুনে খশি হবেন আমািদের সহিহ বুখারীর কাজ প্রায় শেষ ।মুসলিম শরীছফর কাজ চলছে। সফটওয়্যারটি chm ফরমেটে তৈরি হবে, ইনষ্টলের কোন ঝামেলা নেই। 1 click – এ উইন্ডো ওপেন হবে এবং সহজেই ডাটা কপি,পেষ্ট করা যাবে, এছাড়াও রয়েছে পাওয়ারফূল সার্চ ও কিওয়ার্ড অপশন। যেহেতু হাজার হাজার হাদিস এর জন্য অবশ্যই টিম ওর্কের প্রয়োজন যার নামকরন করা হয়েছে সংক্ষেপে DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানিত ভায়েরা বিনা পারিশ্রমিকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন যার বেশিরভাই ছাত্র। উদ্দেশ্য একটাই-25 কোটি বাংলাভাষীর জন্য সম্পূর্ন বিনামূল্যে বাংলা হাদিসের অনবদ্য একটি ইউনিকোড সফটওয়্যার। এ মহৎ কাজে পিছিয়ে কেন ...আসুন আমাদের সাথে। সম্মানিত ভাই/ বোন যারা সদস্য হতে চান এ টিমের কর্মপদ্বতি হবে নিম্নরুপ-
1)যারা অংশ নেবেন Contribution- এ তাদের নাম ও প্রোফাইল লিংক থাকবে।
2) প্রত্যেককে সদস্য হতে হলে কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে নিম্নলিখিত এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে।(সময় খুব বেশি হলে মাত্র তিন ঘন্টার একটা কাজ)
3)পিডিএফ ফরম্যাটে হাদিস দেয়া হবে আপনি MS Word-এ টাইপ করে মেইলে এটাচ করে পাঠিয়ে দেবেন, আপনার প্রোফাইল লিংক যদি দেন ভাল হয়।
4) আপনার হাদিস পাবার পর সেটা আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেয়া হবে যেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন।
বিঃদ্রঃ:- এটি কোন কর্মাশিয়াল উদ্যেগ নয়। শধুমাত্র ভলান্টিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে DBHT-এর হাদিসের Digital interface তৈরি করার একটা যৌথ প্রচেষ্টা। বাংলাতে শুধু এন্ট্রি করবেন আরবী ও ইংলিশ আমরা ম্যানেজ করবো ইনশাআল্লাহ। যে কোন Unicode ফন্টে ডাটা রেডি করতে পারবেন।আপনার প্রোফাইল লিংক ও Mob-নং ও বাংলাদেশের কোত্থেকে কাজ করছেন উল্লেখ করবেন। ১০ দিনের মধ্যে করতে পারলে ভালো হয়। আপনি ডাটা পাঠানোর পর আমরা সেটা অতি দ্রুত আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেবো ইনশাআল্লাহ ধন্যবাদ। যোগাযোগ করুন।
শাহরিয়ার আজম
মেইল এড্রেস- [email protected]
Mob-01714351057
DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)
http://www.facebook.com/pages/DBHT/603417713008497
**অালহামদুলিল্লাহ আমরা তিনটি ভাষায় হাদিস প্রকাশ করছি (আরবী, বাংলা ও ইংলিশ) যা এখনো পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়নি।
অন্যান ওয়েব---
http://www.facebook.com/pages/Al-Quran-Modern-Science/140069416050931
http://muslim.zohosites.com/ http://www.quranic-science.blogspot.com
আমি Sharear Azam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 365 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Darun …Thanks vi apnake ato mulloban akta post dear jonno..