কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব–১৮] :: সৃষ্টির সময় কেমন ছিল মহাবিশ্ব?

আসসালামুআলাইকুম শুভেচ্ছা সবাইকে 🙂 ।সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আশা করি।

 কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব--১৮] :: সৃষ্টির সময় কেমন ছিল মহাবিশ্ব?

সৃষ্টির সময় কেমন ছিল মহাবিশ্ব?

মনে পড়ে ছোটবেলায় পড়েছিলাম-”সৃষ্টির আদিতে পৃথিবী একটি জলন্ত গ্যাস পিন্ড ছিল অতঃপর সেটি ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আকার ধারন করে জীব-জগতের সৃষ্টি হয়”

Facts গুলো আগে Theory বা বৈজ্ঞানিক কল্পনা ছিল-

আসলে এ মহাবিশ্ব কিভাবে পরিপূর্নতা লাভ করেছে বা হাজার কোটি বছর পেরিয়ে এসময়ে আমাদের সামনে স্বরুপ মেলে ধরেছে তা নিয়ে অবশ্য মতদৈততা রয়েছে বৈকি এবং সবমতই Theory একটাও প্রমানিত সত্য নয় তবুও বিজ্ঞান জগকে যত Facts আছে মানতে হবে নিদ্ধিধায় সেগুলো আগে Theory বা বৈজ্ঞানিক কল্পনা ছিল।

Interstellar মেটার থিওরি-

বিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞানের আরো মত হলো এই বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে ইন্টারস্টেলার মতে। Interstaller মেটার থিওরি হলো, আমাদের সৌর-জগৎ এই ক্ষুদ্র গ্যালাক্সি বিভিন্ন প্রকার ধুলোবালি , গ্যাস, ও বিভিন্ন মৌল ও যৌগের সংমিশ্রনের মাধ্যমে গ্রহ নক্ষত্রের সৃষ্টি। এখানে গ্যাস বলতে মূলত হাউড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসকে বুঝানো হয়। তবে এ দুধনের গ্যাসে অস্তিত্ব ছাড়ার এমন কিছু গ্যালাক্সি আছে ধারনা করা হয় তাদের উপাদান এ হিলিয়াম বা হাইড্রোজেন নয় , অন্যকিছূ। আর ইন্টারস্টেলার ধুলাবালি বা ডাষ্ট বলতে বুঝানো হয়েছে-পানি, বরফ, সিলিকন, গ্রাফাইট তার সাথে যোগ হয়েছে কালো মেঘ, ধুলোবালি এবং গ্যাস। সাধারন মহাবিশ্বের সৃষ্টির হালকা ব্যাখ্যা করলে দাড়ায় যে মহাবিশ্রে অবস্থা সর্বপ্রথমে এত উত্তপ্ত ও এত সংকুচিত ছিল যা কিনা একটি Sugar Cube-এর সমান সমগ্র মহাবিশ্রে আকার ছিল বলা যায় মিলিয়ন মিলিয়ন বছরধরে সেটি প্রচন্ডরুপে পাক খেতে খেতে বাস্পীয় চেহারা ধারন করে এবং ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, সৃষ্টি করে গ্যালাক্সি ও নক্ষত্র। এ মহাবিশ্ব এখনো বৃদ্ধি হচ্ছে এবং সময়ের আবর্তনে এর বৃদ্ধির দ্রুততা কমছেনা বেড়ে চলছে অবিরাম গতিতে।

কিন্তু প্রশ্ন জাগে ইন্টারস্টেলার থিওরির বিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে কুরআনের সাথে এই সম্পর্ক কোথায়?

ইন্টারস্টেলার থিওরির উপরোক্ত মতে বিশ্ব সৃষ্টির মূল উপাদান মূলত হাইড্রেজেন এবং হিলিয়াম গ্যাস। কুরআন বর্ণনা করছেঃ

ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ اِئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَا أَتَيْنَا طَائِعِينَ ﴿11﴾ (سورت الفصلت ১১

‘‘অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।(অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)

 

অর্থাৎ সমগ্র মহাবিশ্ব ও গোটা সৃষ্টিকূল ধুয়াশাঁবস্থায় পড়ে ছিল। সাধারনত আপাত দৃষ্টিতে এই ধূম্র বলতে বাস্পকে বুঝায়। এছাড়া অগুনতি হাজার হাজার দৈত্যাকৃতি আকারের নক্ষত্র রয়েছে যেগুলোর মূলত উপাদান হলো হাইড্রেজেন গ্যাস। তাছাড়া বিজ্ঞান অনুযায়ী হাইড্রেজেন গ্যাস নিজে জ্বলে। মহাশূন্যের কোটি কোটি নক্ষত্রও আলোকসজ্জা মূলত এই জ্বলন্ত হাইড্রোজেন গ্যাসেরই একটা সমষ্টি।

সুবিখ্যাত লেখক ড. মাজহার কাজি অত্যান্ত সুন্দরভাবে বিশ্লেষন করেছেন –

“এই আয়াত নির্দেশ করে, গ্রহ-নক্ষত্র সমেত বিভিন্ন ছায়াপথ গঠিত হওয়ার পূর্বে, সূচনালগ্নে মহাকাশ ছিল কেবল একটি ধুম্রকঞ্জ। Big Bang  (মহা বিস্ফোরণ) তত্ত্বের একটি পরিমার্জিত রূপ, যার নাম Inflationary theory (স্ফীতি তত্ত্ব)। এটি একটি শূন্যস্থান থেকে আদি ঘনীভূত বস্ত্তর উদ্ভব হওয়ার বর্ণনা দেয়। বর্তমানে জ্যোতির্বিদদের কাছে অন্যান্য ছায়াপথগুলি মহাজাগতিক স্বর্পিল বাষ্পকুন্ডলী ঘনীভূত হওয়ার মাধ্যমে গঠিত হওয়ার ছবি রয়েছে। সাম্প্রতিককালের এই দুই আবিষ্কার কুরআন মাজিদের উপরোক্ত আয়াতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূণ। যা হোক, এখার্নে লক্ষণীয় বিষয় হল, জ্যোতির্বিদরা যাকে Mist বা ‘বাষ্প’ বলেছে, কুরআন মাজিদ তাকে বলেছে Smoke বা ‘ধুম’। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না্র যে, ‘বাষ্প’ হল পানির একটি শীতল ও শান্ত উড়ন্ত ধারা বা স্প্রে। পক্ষান্তরে ধুম্র হল একটি উষ্ণ বায়বীয় পিন্ড যা কিছু উড়ন্ত অনুকণা ধারণ করে।মূলত: এটিও কুরআন মাজিদের একটি সাহিত্যগত মু’জিজার দৃষ্টান্ত যে, এটি আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে যথোপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করে তার যথার্থ বর্ণনা পেশ করে।”

আপনাকে ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ার জন্য।

 

 

একটি উদ্যেগ আহবান:

আসুননা আমরা সমম্বিতভাবে উদ্বেগ নিয়ে বাংলা সহিহ হাদিসের Unicode Software সৃষ্টি করি। ইনশাআল্লাহ প্রথমে আমরা সহিহ বুখারীর হাদিস নিয়ে কাজ শুরু করবো। chm ফরমেটে, ইনষ্টলের কোন ঝামেলা নেই। 1 click – এ উইন্ডো ওপেন হবে এবং সহজেই ডাটা কপি,পেষ্ট করা যাবে, এছাড়াও রয়েছে পাওয়ারফূল সার্চ ও কিওয়ার্ড অপশন। যেহেতু প্রায় 5000 হাদিস নিয়ে সহিহ বুখারী এর জন্য অবশ্যই টিম ওর্কের প্রয়োজন যার নামকরন করা হয়েছে সংক্ষেপে DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)। সম্মানিত ভাই/ বোন যারা সদস্য হতে চান এ টিমের কর্মপদ্বতি হবে নিম্নরুপ-

1)যারা অংশ নেবেন Software Contribution- এ তাদের নাম ও প্রোফাইল লিংক থাকবে।

2) প্রত্যেককে সদস্য হতে হলে কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে নিম্নলিখিত এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে।(সময় খুব বেশি হলে মাত্র তিন ঘন্টার একটা কাজ)

3)পিডিএফ ফরম্যাটে হাদিস দেয়া হবে আপনি MS Word-এ টাইপ করে মেইলে এটাচ করে পাঠিয়ে দেবেন, আপনার প্রোফাইল লিংক যদি দেন ভাল হয়।

4) আপনার হাদিস পাবার পর সেটা আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেয়া হবে যেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন।

আশা করি আপনারা এ মহান কাজে অংশ গ্রহন করবেন।কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে DBHT সদস্য হয়ে যান। পিডিএফ হাদিসের জন্য যোগাযোগ করুন।

বিঃদ্রঃ:- কারও কাছে হাদিস সফট কপি থাকলে অনুরোধ থাকবে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। এটি কোন কর্মাশিয়াল উদ্যেগ নয়। শধুমাত্র ভলান্টিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে DBHT-এর হাদিসের Digital interface তৈরি করার একটা যৌথ প্রচেষ্টা। ধন্যবাদ। যোগাযোগ করুন।

শাহরিয়ার আজম

B.Sc.IT (S. M University,India),/ M.A & Ph.D (Paris University, France), DEW, Belgium

মেইল এড্রেস-  [email protected]

Mob-01714351057

DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)

http://www.facebook.com/pages/DBHT/603417713008497

http://www.facebook.com/pages/Al-Quran-Modern-Science/140069416050931

http://muslim.zohosites.com/          http://www.quranic-science.blogspot.com/

Level 0

আমি Sharear Azam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 365 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুব সুন্দর……আপনাকে ধন্যবাদ

আপনাকে ও ধন্যবাদ

ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ اِئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَا أَتَيْنَا طَائِعِينَ ﴿11﴾ (سورت الفصلت ১১
‘অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।(অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব)

উক্ত আয়াত মতে আকাশ ও পৃথিবী একসাথেই সৃষ্টি হয়েছিল বুঝায়। তাই নয় কি ? কিন্তু বিজ্ঞান কি বলছে? বিজ্ঞান বলছে মহাবিশ্ব বিগ ব্যঙের মাধ্যমে প্রায় ১৪০০/১৫০০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল। আর আমাদের সূর্য সহ তার সকল গ্রহ মাত্র ৪৫০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয় । অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রায় ১০০০ কোটি বছর পরে আমাদের পৃথিবী সৃষ্টি হয়। তাহলে সৃষ্টির পর পরই পৃথিবী ও বাকী মহাবিশ্ব (ধুম্রকুঞ্জ) কে একসাথে কিভাবে সম্ভব যখন পৃথিবী তো দুরের কথা সূর্যেরই কোন অস্তিত্ব ছিল না ?

Level 0

ভাই সঠিক উত্তর পেতে ড: মরিস বুকাইলের বাইবেল, কোরআন ও বিজ্ঞান বইটি পডুন