শিশু মহাবিশ্ব ও তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ[Infant Universe and a Brief Description]
প্রযোজিত কোন কাজ করতে হলে আপাদমস্তক সকল উপাদানের উপস্থিতির প্রযোজন হয় ,প্রযোজন হয় কিছু উপস্থিত বুদ্ধির ।
নয়তো In a fixed হয়ে যেতে হয় । যেমন,আপনি অ্যালজেবরার কোন একটা মান নির্ণয় করতে যাচ্ছেন । এ ক্ষেত্রে আপনার
প্রযোজন হবেঃ
১. কয়েকটি মৌলিক সূত্রের ।
২. দ্বিতীয়ত আপনার জানতে হবে সূত্রের প্রযোগ বিধি ।
৩. এরপর কিছু কৌশল বা Technic এর ।
ঐ জিনিস গুলো আয়ত্ব করতে পারলে আপনি মুটামুটি মান নির্ণয় করতে পারবেন ।
¤ এতে আমরা কি বুঝলাম ?
হ্যা এতে আমরা বুঝতে পারলাম যে , কোন
কিছুর শিক্ষা নিতে চাইলে প্রথমে তার উৎস , বৈশিষ্ঠ তথা তার ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ বা সাধারণ ধারণা থাকতে হবে ।
এখন আমার মূল প্রসঙ্গে যাই ।
মূল প্রসঙ্গে যাবার আগে আমি উল্লেখ "আদি-ইতি" -এর উদাহরণ দিলাম যাতে পরের বিবরণটি বুঝতে যেন কারও কষ্ট না হয় ।
প্রথমেই আমি আমাদের এই গ্রহ থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের সূচনার কথা উল্লেখ করব । এবং পরবর্তীতে মহাশূণ্যের সৃষ্টি থেকে পৃথিবীর দিকে চলে আসব । সকল বিজ্ঞান সম্মত উত্তর ও ইতিহাসই এই প্রবন্ধের প্রাধান্য যোগ্য ।
প্রাণ থেকে মহাশূণ্য [From Soul to
Universe]
আমাদের বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ।অবিশ্বাস্য অথবা বিশ্বাস্য সকল কিছু দেখতে ও ব্যবহার করতে পারছি আমরা ।
আমরা কি কখনো চিন্তা করেছি কি তার আদি আর কোথায় তার অন্ত ?
হে এটা চিন্তা করারই ব্যাপার ।
আমরা মানুষ ।
আমরা এই ধরণীর বুকে ধারণ করা শ্রেষ্ঠ জীব । কারণ আমরা যা পারি তা এ পৃথিবীতে বসবাস রত সকল বস্তু বা প্রাণীর পক্ষে অসম্ভব ।
মানুষের বা প্রকৃতির উৎস হিসেব করলে আমরা দেখতে পাই কোন না কোন ভাবে মানুষবা অন্যান্য জীব/প্রাণী/বস্তু এ কঠিন মৃত্তিকা থেকেই আগত ।
তাহলে পৃথিবীর উৎস কি ?
বিজ্ঞানীদের চিন্তামতে , এ কার্বন গ্রহটির সৃষ্টি সুদূর অতীতে আমাদের নক্ষত্রের অর্থাৎ সূর্যে কাছ থেকে ছিটকে পরা একটি অংশ বিশেষ ।
এখন প্রশ্ন হল নক্ষত্রেরই বা সৃষ্টি কোথা থেকে?
প্রাচীন যুগ থেকে মানুষের চিন্তা চেতনার সম্প্রসারণের ফলে এই সৃষ্টির রহস্যটা আরও গভীর থেকে গভীরতর হয়ে যাচ্ছে ।
এখনকার বিজ্ঞান বলে যে , " এই সমস্ত মহাবিশ্বের কেন্দ্র কেবল সূর্য না ।
মহাবিশ্বের চিন্হিত বা আনুষ্ঠানিক কোন কেন্দ্র নেয় । তবে নিয়ম-নীতির তাগিদে এর কেন্দ্র একটা অতি বৃহৎ(Super Massive)
তারা থাকতে পারে বলে চিন্তা করছেন । এর সামান্য বিবরণ দেওয়া দরকার। আমাদের মহাবিশ্বের সু সঙ্গত কোন আকার অকল্পনীয় । " কোন বস্তুর ভর (Mass) ও তার ওজন (Weight) কে কেন্দ্র করেই তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি নির্ণয় করা হয়"। তাহলে আমরা সাধারণ ভাবে কি বুঝতে পারি ?
কোন বস্তুর ভর ও ওজন যত বেশী সে বস্তুর
আকর্ষণ শক্তিও তত বেশী । এখন একটা ছোট্ট উদাহরণ দেয় , একটা বাই-সাইক্যালের ওজন ২০ কে.জি. এবং ভর (সমগ্র বস্তুটির মোট পদার্থের পরিমাণ) ও একই । অন্যদিকে একটি মুটর সাইক্যলের ওজন ১২৫ কে.জি. এবং ভরও একই । বাতাসের উপস্থিতিতে বস্তুদ্বয়কে কোন উঁচু দালান থেকে একসাথে ফেললে অবশ্যই মুটর সাইক্যালটি আগে পড়বে । কারণ আগের সূত্রটির অনুসারে । এই পরীক্ষাটি গ্যালিলিও গ্যালিলিই পাতলা ও ভারী বস্তুকে একসাথে উঁচু দালান থেকে ফেলে পরীক্ষা করেছিলেন ।
এই সৌর জগৎ কোটি কোটি বছর আগে একটা বৃহৎ বিষ্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল ।যার বিজ্ঞান সম্মত নাম বিগ ব্যাং(Big Bang) ।এডুইন হাবল প্রথমে এই তত্ত্বটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উপস্থাপন করেছিলেন । কিন্তু ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পাব বেলজিয়ামের এক ধর্ম যাজক নাম জর্জেস ল্যামাইতার । তিনিই প্রথমে এই কথাটি উপ্ত করেছিলেন । তিনি ১৯২৯ সালে এই তথ্যের উপর পরীক্ষা চালান ।এরপর তিনি এর নামকরণ করেন ।প্রথমে তিনি এর নাম দেন "বিগ নয়েজ"(Big Noyes) । তার এই তথ্যটি বিজ্ঞানী হোয়েলের পছন্দ হয়। তিনি নামটি পরিবর্তন করে রাখেন "বিগ ব্যাং" (Big Bang)। জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ জর্জেস ল্যামাইতার একটা বিশেষ তথ্য দেন যাকে আমরা চিরন্তন রুপে ব্যবহার করতে পারি ।সেই তত্ত্বটি নিম্নরুপঃ
"মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল" ।
যদিও তাকে এই Universel Truth এর
অধীকারী ধরা না হয় ।
তাহলে এখন আমরা বুঝতে পারলাম "আমাদের সূর্যের বা নক্ষত্ররাজির উৎপত্তি সম্পর্কে সাধারণ কিছু জ্ঞান "।এরকম এক সময় একটা অতি বৃহৎ ডিম্বক থেকে আমাদের সমস্ত মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল ।
মহাশূণ্য থেকে পৃথিবী [From Space to Earth]ঃ
মহাবিশ্ব শুরুর আদিতে এই মহাশূণ্যে ছিল শুধু মেঘীয় গ্যাস (Cloudy Gass) । যার প্রধান উপাদান ছিল হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন ।
সৃষ্টির প্রারম্ভে এই মহাশূণ্য যে অতি বৃহৎ প্লাজমায়িত পদার্থ ছিল তার মধ্যে দুটি পদার্থ ছিল যার জন্য ডিম্বকটি গঠিত হয় ।
একটি হল কৃষ্ণ বস্তু (Dark Matter)
এবং অপরটি সৃষ্টি বস্তু (Anti Matter) ।
ঐ সময় সমস্ত ডিম্বকের পূর্ণ দুই ভাগে এই
বস্তুদ্বয় বিদ্যমান ছিল ।কেউ কেউ বিশ্বাস করতেন যে , ডার্ক ম্যাটার ও অ্যান্টি ম্যাটারের পরিমাণ সমান হলেও সামান্য পরিমাণ অ্যান্টি ম্যাটার বেশি ছিল অন্য বস্তুটির তোলনায় । যার জন্য মহাবিষ্ফোণ ঘটেছিল সৃষ্টির আদিতে ।
তবে এটাই ভিন্ন মত যে , পদার্থের উত্তাপের অতি বৈষ্ময়িকতার কারণে এক পর্যায়ে ডিম্বকটি তাপ সহ্য ক্ষমতাকে অতিক্রম করে ফেলে ।
ফিউশানের অতি তাপ উৎপাদনে ডিম্বকের অন্তঃস্থরে তাপ ও চাপের প্রকটতা বৃদ্ধির কারণে এক পর্যায়ে সমস্ত মহাশূণ্যে বিশাল একটা মহা বিষ্ফোরণ হয় । বিষ্ফোরণে ডিম্বক থেকে পদার্থ গুলো ছিটকে নানান দিকে ছিটকে যায় । এরপর বিলিয়ণ বিলিয়ণ বছর ধরে সে পদার্থ গুলো তাপ বিকিরণ করতে থাকে । এক পর্যায়ে অতি বৃহৎ খণ্ড গুলোর মধ্যেও বিগ ব্যাং-এর মত আবারও বিষ্ফোরণ ঘটে । পরক্ষণে যে উপখণ্ড গুলো ছিটকে যায়
সেগুলো গ্রহ , উপগ্রহ , কমেট , গ্রহাণুপুঞ্জতে পরিবর্তীত হয়েছিল ।
আর যে অবস্থানে বিষ্ফোরণ হয়েছিল সেস্থান থেকে একটি স্থায়ী তারার উদ্ভব হয়েছিল । এর পরবর্তীতে আরও বিলিয়ণ বিলিয়ন বছর অতিবাহীত হওয়ার পর তাপ বিকিরণের কারণে গ্রহ উপগ্রহ গুলো শান্ত হয়ে যায় ।
এর পর যে গ্রহ বা উপগ্রহে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সে বস্তু গুলোতে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে । যেমন , পৃথিবী ।
তেমনি আর অনেক গ্রহ বা মহাশূণ্যের অনেক
বস্তুই থাকতে পারে যেখানে প্রাণের ক্ষুদ্র বিকাশ ঘটেছে । হয়তো পৃথিবীর মানুষের চাইতে বুদ্ধিমান নয়তো কেবল ইনসেন্ট প্রাণী । এখন অন্য একটা বিষয়ের কথায় আসি ।
অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি । ধন্যবাদ সবাইকে ।
অবশ্যই ভাল লাগল কিনা জানাতে ভুলবেন না ।
আমি সুরজিত সিংহ সৌর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
একজন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রেমী... :)