কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব-০৪] :: সম্প্রসারিত মহাবিশ্ব

কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব-০৪] :: সম্প্রসারিত মহাবিশ্ব

আসসালামুআলাইকুম ও শুভেচ্ছা সবাইকে :)।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য

তাত্বিকগতভাবে প্রতিভাবান বিজ্ঞানী আইনেষ্টাইন প্রথম সম্প্রসারিত মহাবিশ্বের” মডেল উপস্থাপনা করেন, সে সময়টা মানুষ মহাবিশ্বের স্থিরতায় বিস্বাসী ছিল, তুখোর বিজ্ঞানী আইনেষ্টাইন তা বিস্বাস করতেননা, তিনি সবার নিকট সম্প্রসারিত মহাবিশ্বের তত্বটা প্রন্তাবিত করেন, যা বেশিরভাগ প্রথাগত বিজ্ঞানীরাই হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। মহাকাশ বিজ্ঞানীগণ শতাব্দীর বিশ দশক পর্যন্ত ধারণ করতেন যে, মহা বিশ্ব স্থির রয়েছে। অর্থাৎ এর কোন শুরুও নেই পরিবর্তন নেই। তাদের কাছে প্রকৃত সত্য তখনো এসে পৌঁছেনি। বিংশ শতাব্দির গোড়ার দিকে রাশিয়ান পর্দাথবিদ Alexander Friedman এবং বেলজিয়ামের মহাবিশ্বতত্ববিদ  George Lemaitre থিওরি দিয়ে বা তত্বগতভাবে গননা করে দেখেন যে এই মহাবিশ্ব অবিরত গতিময় হচ্ছে, অর্থাৎ এর গতি সময়ের সাথে সাথে কমছেনা বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯২৯ সালে পর্যবেক্ষনমূলক তথ্যের মাধ্যমেও এব্যাপারে নিশ্চিত প্রমানিক হয়। আমেরিকান জ্যের্তিবিদ Edwin Hubble টেলিস্কোপ পর্যবেক্ষন প্রমানের মাধ্যমে আবিষ্কার করেন প্রতিটি নক্ষত্রমন্ডলী আর গ্যালাক্সীগুলো একে অপর হতে দুরে সরে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, এ মহাবিশ্বে প্রতিটি অংশই পরস্পর থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। যা আমরা বিখ্যাত বেলুন সুত্রে দেখতে পাচ্ছি (সুত্র: ছবি)। পরে এ আবিষ্কারকে জ্যের্তিবিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার বলে ঘোষনা দেয়া হয়। এই সুচারু observation-এর সময় হাভেল দেখলেন নক্ষত্রগুলো পরস্পর হতে সরে যাচ্ছে ও ক্রমাগত নিষ্প্রভ হয়ে যাচ্ছে, তা পদার্থবিজ্ঞানের সুত্রানুযায়ী নিকটবর্তী কাছের নক্ষত্রগুলো থাকে উজ্জল বেগুনি রঙের কিছু সময়কাল পর্যবেক্ষন পর দেখা যায় তা লালচে রঙ ধারন করেছে এবং আরো বেশ কিছু সময় পর এর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাছে অর্থাৎ সেটি দুরে... হারিয়ে যাচ্ছে।  বছরের পর বছর এভাবে গবেষনার পর পরিশেষে আধুনিক বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে যে, মহা বিশ্ব ক্রমান্বয়ে সুষমভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে অর্থাৎ গ্যালাক্সিগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ২০১১ সালে দুজন মার্কিন মহাকাশ-পদার্থ বিজ্ঞানী আবারো ভিন্ন আঙ্গিকে প্রমান করেন এই মহাবিশ্বের সম্প্রসারন গতি দ্রুত হতে দ্রুততর হচ্ছে , এই যুগান্তকারী তথ্যবহুল বিস্তারিত বিশ্লেষনের জন্য তারাঁ যৌথভাবে নোবেল পুরষ্কাররে সম্মাননা অর্জন করেন।

এছাড়াও বহু বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানীগণ মহা বিশ্বের এই সম্প্রসারন সমর্থনে বহু বাস্তব থিওরি পেশ করেছেন যা অস্বীকার করার মত নয়। অথচ পবিত্র কুরআন তাদের এই আবিষ্কারের বহু পূর্বে নিখুঁত ও নির্ভুলভাবে এই মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ তথ্যটি জানিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে যা সর্বতোতভাবে গ্রহনযোগ্য। ১৪০০ বছর পূর্বে জ্যের্তিবিদ্যা ছিল অপরিপক্ক,অথচ এই তথ্য কুরআনে উল্লেখ রয়েছে সুরা জারিয়াত-৫১:আয়াত-৪৭-

“আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে মহাকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছি আর আমি নিঃসন্দেহে তা প্রসারিত করছি।।”

সুবিখ্যাত মহাকাশ পদার্থবিজ্ঞানী Stephen hawking তাঁর বিখ্যাত বই  ’A brief history of time’-এ বলেন-দ্বাদশ শতাব্দিতে এটাই সবচাইতে বড় বৈপ্লবিক আবিষ্কার। পবিত্র কুরআন সম্প্রসারিত বিশ্ববক্ষান্ডের তথ্য এমন একটা সময়ে প্রকাশ করছে যখন মানুষ টেলিস্কোপ বানাতে শেখেনি।

কুরআনের এই বর্ণনাটি সত্যই বিজ্ঞানের চূড়ান্ত রায়ের সাথে হুবহু মিলে যায়। যা শত শত বছর গবেষণার পর বিজ্ঞানীগণ অর্জন করেছেন। তাতে প্রশ্ন দাড়ায় জ্ঞান বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ১৪০০ বছর পূর্বে তা কি রূপে সম্ভব হলো? এই প্রশ্নটি প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষকেই ভাবিত করবে এবং এর সঠিক উত্তর পেতে হলে আল-কুরআন যে স্বয়ং আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত ও সর্বশেষ নবীও রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর নাজিলকৃত এক অলৌকিক জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ তা নির্দ্বিধায় মেনে নিতেই হবে।

আল্লাহ বলেন সুরা ফুসিলাত ৪১:৫৩-

অচিরেই আমি এদেরকে র্সবত্র আমার নির্দশনসমূহ দেখাবো এবং তাদের নিজেদেরে মধ্যও ৷ তাদের কাছে একথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এ কুরআন যর্থাথ সত্য এটাই কি যথেষ্ঠ নয় যে, তোমার রব প্রতিটি জিনিষ দেখছেন? ”

শাহরিয়ার আজম

B.Sc.IT (Sikkim Manipal University,India),/ M.A & Ph.D (Paris University South France), DEW of CERIS Institute, Brussels,Belgium

http://www.facebook.com/pages/Al-Quran-Modern-Science/140069416050931

http://muslim.zohosites.com/

http://www.quranic-science.blogspot.com/

Level 0

আমি Sharear Azam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 365 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

vhaijan khub darun hoyecha

    @MOSTAK MOLLICK: আলহামদুলিল্লাহ…ধন্যবাদ অন্যান্য পোষ্টগুলো পড়েছেন তো? আপনারা সাপোর্ট ও উৎসাহ দিলে লেখতে আরো ভালো লাগে

      @Sharear Azam: জি হা আমি আপনার অন্যান্য পোষ্টগুলো সোব পোড়েছি

Level 0

vi.amar sprint s10 asa…ata ki modem ar moton pc ta chalano jaibo ? amar email: [email protected]

Level 0

Wow, awesome post, we want more……. (y)

ভাই পারলে এমন কিছু পোস্ট করেন যেটা কুরআনে আছে কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনও আবিম্কার বা ধারনা দিতে পারে নাই। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করার পর এইটা আগে থেকেই কুরআনে ছিল বইলা লাভ কি?

    @কল্পলোক: দুনিয়ায় দাজ্জালের আবির্ভাব হবে, ঈসা (আঃ) ‍পূণঃরায় দুনিয়ায় আসবেন, ইয়াজুজ-মা’জুজ মুক্ত হবে, সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে কেয়ামত হবে যা পবিত্র কোরআন এ লেখা আছে কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনও আবিস্কার করতে পারে নাই। লেখকের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ আপনাকে কারন গঠনমূলক বা সমালোচনামূলক মন্তব্য না করলে আলোচ্য বিষয়টির মর্মার্থ অনেক সময় উদ্ধার করা যায়না।

      Level 0

      দাজ্জ্বাল=এন্টি-ক্রিস্ট, ঈসা ( আঃ)= জিসু, এবং ইয়াজুজ-মা’জুজ=গগ-মাগগ ।
      এগুলো মুসলিম এবং খ্রিস্টান উভয় ধর্মের বিশ্বাষ।

      “আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি। বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্থিত হবে। ( আন নিসা ১৫৭, ১৫৮, ১৫৯)”

      আহলে-কিতাব বলতে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের বুঝায়। এরা ইমান আনবে হযরত ঈসা(আঃ) এর উপর। তার মানে এই নয় যে, শুধু আমরাই ( মুসলিমরা) অপেক্ষা করছি বা আমরাই তার উপর ইমান আনব বরং আল্লাহর রহমত যার উপর থাকবে সেই সঠিক পথে থাকবে।

      আমার পরিচিত এবং খুবই ঘনিষ্ঠ একজন মার্কিন খ্রিস্টান লোক, যিনি সুদ ছাড়া হাজার হাজার ডলার লোন দিচ্ছেন বিশ্ব জুড়ে গরিব মানুষদের এবং এককালিন দান করছেন অনেক মানুষকে। তিনি বাংলাদেশে আসবেন বিভিন্ন এতিম খানায় দান করতে এবং আমার সাথে দেখা করতে।

      আমাদের দ্বারা ( বাংলাদেশী মুসলিমদের) এরকম কাজ আজ শুধুই কল্পনা। আমরা সুদ ছাড়া কিছুই করিনা। কিছু রাজনীতি বিদ যদিও দান করতেছেন তা কিন্তু লোক দেখানো এবং লোক দেখানো দান ইসলামে হারাম।

        @Aslam: বস্তুত ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত শান্তির ধর্ম। এছাড়া সব ধর্মই একই উদ্দেশ্য বহন করে।আর একটা কথা না বললেই নয়, ফেরাউন এর পরিনতির কথা স্পষ্ট কুরআন এ লেখা আছে যা আসলে আমাদের জানার কথা ছিলনা কিন্তু তা আমরা এখন দেখছি।এরদ্বারা কি আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমানিত হয়না।

    @কল্পলোক: ৥কল্পলোক…ধন্যবাদ সম্মানিত ভাই…অনাবিষ্কৃত লিষ্টের সংখ্যা বিশাল। যাকে সায়েন্সের ভাষায় থিওরি বলে। কয়েকটি বলছি-
    1. জ্বীন–
    “জিনদের সৃষ্টি করেছি আগুনের শিখা থেকে”৷ (15:27)
    “তারপর যখন সুলাইমানের ওপর আমি মৃত্যুর ফায়সালা প্রয়োগ করলাম তখন জিনদেরকে তার মৃত্যুর খবর দেবার মতো সেই ঘুণ ছাড়া আর কোন জিনিস ছিল না যা তার লাঠিকে খেয়ে চলছিল৷ এভাবে যখন সুলাইমান পড়ে গেলো, জিনদের কাছে একথা পরিষ্কার হয়ে গেলো যে, যদি তারা অদৃশ্যের কথা জানতো তাহলে এ লাঞ্জনাকর শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না৷ ”

    2.ফেরেশতা–
    অথচ তোমাদের ওপর পরিদর্শক নিযুক্ত রয়েছে( ফেরেশতা) , এমন সম্মানিত লেখকবৃন্দ , যারা তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ লিপিবদ্ধ করে৷ (82:10-12)
    3. মৃত্যুর পরবর্তী জীবন
    4.পৃথিবীর বাইরে জীবের অস্তিত্ব।
    আবারো ধন্যবাদ সম্মানিত ভাইকে. আপনার topic relaed সুন্দর প্রশ্নের জন্য ও পোষ্টটি মূল্যবান সময় নিয়ে পড়ার জন্য। techtunes- এর সাথে থাকুন সবসময়।

Level 0

আপনি যে অসাধারন টিউন করে থাকেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না…… পরবর্তি টিউনের অপেক্ষায় থাকলাম।

    @Udoy: সমস্ত প্রশংসার দাবীদার আল্লাহ। ধন্যবাদ

Level 0

ki r komu vai bigganira sadhona kore r
hujrra bole ota koran deke banano.
mittha carer ekta sima thaka ucid.

    @LR: khub valo kotha bolsen……kisu example den……amrao dekhi……

ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর টি উন উপহার দেওয়ার জন্য ।কিন্তু আমার একটা সমস্যা হচ্ছে যে আপনার টউন এ যে স্কিন শর্ট গুলো দেন তা আমার পিসিতে দেখা যায় না শুধু ছোট একটা আইকন আসে কী করব একটু বলে দেন?

    @jamal sheikh: অনেক কারন থাকতে পারে, আপনি এ সেটিংস (টিক দেয়া) আছে কিনা দেখুন–tools-option-content-load image automatically ধন্যবাদ সম্মানিত ভাইকে. পোষ্টটি মূল্যবান সময় নিয়ে পড়ার জন্য। techtunes- এর সাথে থাকুন সবসময়।

Level 0

প্রতিদিন বা সপ্তাহে একটি করে টিউন নিয়মিত করুন তবে টিউন গুলো আরও বড় করে দিলে ভাল হয়। চালিয়ে যান…

    @Aslam: ধন্যবাদ সম্মানিত ভাইকে. পোষ্টটি মূল্যবান সময় নিয়ে পড়ার জন্য। techtunes- এর সাথে থাকুন সবসময়।

আসসালামুআলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য…ধন্যবাদ আল্লাহকে আমাকে লেখার তওফিত দেয়ার জন্য…আমাদের দেশের সবচাই জনপ্রিয় টেক ওয়েবকে-techtunes-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন না করলেই নয় কারন এই brilliant & informative webportal techtunes…বাংলাদেশীদের প্রযুক্তিকতার সুরের মুর্ছনায় আচ্ছন্ন করে রেখেছে। অনেক কিছু শিখছি । ইউরোপেও এরকম well-organise, creative web team আছে মাত্র হাতে গোনা কয়েককটি। techtunes-কে নিয়ে আমি গর্ব করি।

another example of qurans authenticity could be aliens……..scientists are baffled about this for many years but in quran its clearly said there are alien lifes in the universe…….

    @sheikh nahid: ধন্যবাদ নাহিদ ভাই এব্যাপারে বেশিরভাগ ওলামা ও বিজ্ঞানীগন একমত তবে…মতদৈততাও কম নয়…কিন্তু কেন জানি….সবাই চায় ব্যাপারটা সত্য হোক এ নিযে তো কম ছবি রিলিজ হয়নি এখনো অনেক লেখালেখিও চলছে বিস্তর।

Level 0

খুবি সুন্দর লেখা ভাই। আললাহ আপনাকে আরো লেখার তাওফিক দিন।