আসসালামুআলাইকুম।
সম্মানিত বন্ধুরা কেমন আছেন? 🙂 আজ ২য় পর্ব নিয়ে এসেছি আপনাদের সেবায়। আসুন ২ মিনিট সময় নিয়ে আর্টিকেলটা পড়ি, ধন্যবাদ :)-
সেই যুগের মানুষ আকাশে আরোহণের উপমাকে কাল্পনিক ধারণা করেছিল। কাল্পনিক ধারণা করাই স্বাভাবিক কারণ সেই যুগে রকেট, বিমান, হেলিকপ্টার কিছুই আবিস্কার হয়নি অথচ আয়াতটি এই ইঙ্গিত বহন করে যে, মানুষ তাদের জীবনে আকাশে আরোহণ করতে সক্ষম হবে। আর এই উপমা কাল্পনিক নয় বরং বাস্তবিক বর্তমানে মানুষ উর্ধে গমনের মাধ্যমে জানতে সক্ষম হচ্ছেই যে, যত উপরে উঠা যায় তাতে অক্সিজেন ততই কমতে থাকে। বাতাসে অক্সিজেন কম থাকলে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হয়, হৃদয় সংকীর্ণ হতে থাকে।
অথচ বিজ্ঞানের আবিষ্কারের বহু পূর্বে আল কুরআন এসব বর্ণনা করেছে-:
فَمَنْ يُرِدِ اللَّهُ أَنْ يَهدِيَهُ يَشْرَحْ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ وَمَنْ يُرِدْ أَنْ يُضِلَّهُ يَجْعَلْ صَدْرَهُ ضَيِّقًا حَرَجًا كَأَنَّمَا يَصَّعَّدُ فِي السَّمَاءِ (سورة الأنعام .১২৫)
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ যাকে সত্যপথ দেখাবার সংকল্প করেন তার বক্ষদশে ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দেন৷ আর যাকে তিনি গোমরাহীতে নিক্ষেপ করার সংকল্প করেন তার বক্ষদশে সংর্কীণ করে দেন এবং এমনভাবে তাকে সংকুচিত করতে থাকনে যে (ইসলামের কথা চিন্তা করতেই )তার মনে হতে থাকে যেন তার আত্মা আকাশের দিকে আরোহণ করেছে।৷
(সূরা আনআম ৬:১২৫)
বর্তমানে আমরা অত্যাধুনিক বিজ্ঞানের যুগে বসবাস করছি এমন এক যুগে যখন আমরা বিস্ময়কর ও অত্যাশ্চার্য বস্তুর আবিস্কারের সাক্ষি হচ্ছি প্রতিনিয়ত। যা যুগ যুগ পূর্বেও মানুষ স্বপ্ন বলে কল্পনা করতো, অসম্ভব বলে ধারণা করতো। এমন কি যদি একশত বছর পূর্বে এমন কথা কেউ বলতো তবে তাকে পাগল বলা হতো অথচ বর্তমানে সেগুলো বাস্তবে পরিণত হচ্ছে, স্বচক্ষে অবলোকন করছে সারা বিশ্ব। মানুষ আজ উপগ্রহ স্থাপন করছে, আকাশে উড়ছে, চাঁদে পৌছেছে, পৃথিবীর চতুর্পার্শ্বে ঘুরছে, অন্য গ্রহে রোবট যান (কিউরিওসিটি, পাথফাইন্ডার ইত্যাদি) পাঠিয়ে কোটি কোটি মাইল দুর হতে রোবটিকে চালনা করা, ছবি তোলা, মাটি পরীক্ষা- নিরীক্ষা সহ অনেক জটিল অকল্পনীয় ঐতিহাসিক কীর্তী স্থাপন করে যাচ্ছে অবিরত। আধুনিক বিজ্ঞান বর্ণনা করছে যে অক্সিজেন পূর্ণ বাতাস এই পৃথিবীকে বেষ্টন করে রেখেছে। আর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সবসময় মানুষের এই অক্সিজেনের প্রয়োজন। বিজ্ঞান আরও বর্ণনা করছে, পৃথিবী থেকে উপরের দিকে অক্সিজেনের পরিমাণ কম। এমন কি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৬৭ মাইল উপরে আর কোন অক্সিজেন থাকে না। তাই মানুষ যত উপরে উঠতে থাকে অক্সিজেন অভাবে তার শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট হতে থাকে, উদাহরন স্বরুপ বলা যায়- যখন যাত্রীবাহী বা ফাইটার প্লেন সীমাতিরিক্ত উচ্চতায় পৌছে যায় তখন অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় কারন প্রত্যেক যাত্রী অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে থাকে যেন তাদের বক্ষদশে সংর্কীন হয়ে গেছে তাই এভিয়েশন কর্তাব্যক্তিগন সর্তক থাকেন যেন প্লেনের অভ্যান্তরে ও সব যাত্রীর মাথার উপরে সবসময়ই তৎক্ষনাৎ অক্সিজেনে মাস্ক প্রস্তুত থাকে। আর যেসব যাত্রী মহাকাশযানের মাধ্যমে বায়ুমন্ডল ভেদ করে অন্য গ্রহে বা স্যাটলাইটের উদ্দশ্যে পাড়ি জমান তাদের কথা না বললেই হয়। মানুষের আকাশে উড়ার ১৪০০ শত বছর পূর্বে কুরআনের এমন তথ্য এটাই প্রমাণ করে যে, এই কুরআন কোন মানুষের রচনা নয় বরং সেই মহান সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত গ্রন্থ। আল্লাহ বলেন সুরা ফুসিলাত-৪১:৫৩-
অচিরেই আমি এদেরকে সর্বত্র আমার নিদর্শনসমূহ দেখাবো এবং তাদের নিজেদের মধ্যেও ৷ যাতে এদের কাছে একথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কুরআন যথার্থ সত্য এটাই কি যথেষ্টে নয় যে, তোমার রব প্রতিটি জিনিষ দেখছেন
আল্লাহকে ধন্যবাদ আমাকে লেখার ও আপনাকে পড়ার সামর্থ্য দিয়েছেন।
আপনাকে আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে ২য় পর্বটি পড়ার জন্য।
শাহরিয়ার আজম
আমি Sharear Azam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 365 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Bahi allahpak apnar mongol korun.aro kichu udgaton korun amra jeno hedayet hote pari sei jonno doa korun- Amin