স্বাস্হ্য বিজ্ঞানের একটা মৌলনীতি হল এই যে, মানুষের অন্তরে যখন শান্তি লাভ হয় তখন দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলির শক্তিও কয়েকগুন বেড়ে যায় । আর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের শক্তি শারীরিক সুস্হতার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে । যার ফলে মানুষের শুধু প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তার বিক্ষিপ্ততা এবং চিন্তার ভিড় থেকে নিঃস্কৃতি লাভ হয় না বরং শারীরিক দিক দিয়েও মানুষের শক্তি সামর্থ্য বৃদ্ধি পায় ।
বর্তমান যুগের মানুষ বিশেষ করে পাশ্চাত্য জগত দুষিত ও বিকৃত ধ্যানধারনার এমনভাবে শিকার হয়ে পড়েছে যার ফলে শান্তির মহৌষধ এবং ঘুমাবার পিলও তাদের কোন কাজে আসছেনা । বস্তুত প্রকৃত আরোগ্য শুধুমাত্র বাহ্যিক বস্তুসমূহে অন্বেষন করাই তাদের বঞ্চিত হওয়ার প্রধান কারন । সুস্ততা একমাত্র আল্লাহর হাতে এটা তারা ভুলেই গিয়েছে।
যেমন ইব্রাহীম আঃ বলেছেনঃ "এবং আমি অসুস্হ হয়ে গেলে তিনিই আমাকে সুস্হতা দান করেন । সূরা শুআরাঃ আয়াতঃ ৮"
এ ব্যাপারে সর্বোত্তম পন্থা হল ঔষধের সাথে সাথে দুআ করা । তাই বেশী বেশী করে আল্লাহর স্মরন করা এবং আল্লাহর প্রতি রুজু হওয়া উচিত । আর নামাযের মাধ্যমে এই কাজটা আমরা সবচেয়ে সুন্দরভাবে করতে পারি।
আমরা যারা মুসলমান আমরা সবাই নামাযের উপকারিতা খুব ভাল করেই জানি। কিন্তু বিধর্মী কিংবা অন্য ধর্মের লোকদের দৃষ্টিতে কিছুটা ভিন্ন। আমাদের অনুভূতি তাদের অনুভূতি বিস্তর ফারাক । তাই নামাযের যে শুধু রুহানী শক্তি ছাড়াও বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থনীতিও এর সাথে জড়িত আছে তা আমরা মুসলমানরা ছাড়াও বিধর্মীরা পর্যন্ত হতবাক হয়ে যাবেন।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম প্রায় ১৪০০ সাল আগে বলে গিয়েছিলেন -" নিশ্চয়ই নামাযে শেফা ও আরোগ্য রয়েছে "। (ইবনে মাজাহ )
মুসলমান ছাড়া এমনকি বিধর্মীরা পর্যন্ত জানেন এবং অনেকে মানেন যে নবীজী কখনও মিথ্যা বলেননি । তাই তারা এই হাদীসটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখা করেছেন ভিন্ন ভাবে। মুসলমানদের মধ্যে পাকিস্তানের বিখ্যাত হৃদরোগ চিকিৎসক ডাক্তার মুহাম্মদ আলমগীর একটি মেডিক্যাল টীম তৈরী করেন যখন বিধর্মীরা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখা চান । পাকিস্তানী একজন নামাজীর শরীরে তারা নামাযরত অবস্থায়ই ইলেকট্রনিক radiology মাধ্যমে পরীক্ষা করেন এবং নবীজীর কথার সত্যতা যাচাই করেন। আমি নিচে তা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ননা করছি --
মানুষের বয়ঃবৃদ্ধির সাথে সাথে তার দেহের কোল্যাষ্টোল (CHOLESTEROLF) চর্বির দ্বারা দেহের শিরাগুলি ক্ষীন হতে ক্ষীনতর হতে থাকে । এই ক্ষীনতার কারনেই অসংখ্য রোগ-ব্যাধি দেখা দেয় । যেমন, ব্লাড প্রেসার, অর্ধাঙ্গ, হৃদরোগ, বৃদ্ধতা, হজম মন্দা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখ্য । এই চর্বির বৃদ্ধিতারোধ করার সর্বোওম পন্হা হলো ব্যায়াম । যা নামাযের মাধ্যমে অতি উওমভাবে পূরন হয়ে যায় ।
নামাযের এই নড়চড়াগুলির দ্বারা একটি উত্তম ব্যায়াম হয়ে থকে । নামাযের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকার কারনে কুদরতী ভাবে ব্যায়ামের মধ্যেও একটি সামঞ্জস্য সৃষ্টি হয় । অন্যান্য ব্যায়ামের মত এতে কোন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্হার সৃষ্টি হয়না । উত্তম পন্থায় রক্ত সঞ্চালিত হওয়ার কারনে হৃদযন্ত্র সম্পূর্ন রূপে সুস্থ থাকে । এতে না ত রক্ত ঘন হয়ে যায় আর না রক্তের সঞ্চালনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় ।
হেকমত—এখানে আল্লাহর হেকমতগুলি একটু খেয়াল করুন—পুরুষ এবং মহিলা মানুষের নামাযের ভিন্নতা । খেয়াল করুন সেজদার সময় আমাদের বুক রানের সাথে মিলাতে হয়না কিন্তু মেয়েদের বেলায় বুক রানের সাথে মেলানোর নিয়ম। আমরা এখন ভাল করেই জানি পুরুষদের হাড় এবং শরীরের অন্যান্য জোড়াগুলি মেয়েদের তুলনায় অনেক শক্ত । কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে তা ঠিক উল্টো । তারা অনায়াসেই বুক রানের সাথে মিশিয়ে ফেলতে পারবে । যারা ব্যায়াম করেন তারা ভাল করেই জানেন মেয়েদের ব্যায়ামগুলি কিছুটা অদ্ভুদ এবং তাদের শরীরের জোড়াগুলির ব্যায়ামগুলির প্রসারতা একটু বেশী করতে হয় ছেলেদের তুলনায় ।কেননা মেয়দের জোড়াগুলি নরম হওয়ার কারনেই এটা করতে হয় ।তাই নামাযের সেজদার সময় তাদের জন্য এই নিয়ম করা হয়েছে। আমাদের জন্য যদি এই নিয়ম হত তাহলে বুঝুন আমাদের কি অবস্হাটা হতো । কিন্তু আল্লাহ হলেন মহজ্ঞানী এবং মহাচিকিৎসক এবং আমাদের নবীজী হলেন তার প্রচারক এবং বাহক। সেই সময় কোন ডাক্তারী সরঞ্জাম ছিলনা কিংবা কোন চেকআপ মেশিন । আল্লাহ মানুষকে তৈরী করেছেন এবং আমাদের শরীরের গঠন তিনিই সবচেয়ে ভালভাবে জানেন । যা তিনি নবীজীকে জানিয়ে দিয়েছেন । অবিশ্বাসীদের জবাব এখানেই রয়েছে ।
আর আমরা যার মুসলমান আমাদের অবশ্যই উচিত নামাযকে আকড়িয়ে দড়ার । কেননা নবীজী মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্তু বারবার নামাযের কথাই বলেছেন । একমাত্র বিছানায় রোগীদের ক্ষেত্রে নামায ঘরে আদায় করতে বলেছেন আর সর্বক্ষেত্রে নামায আমাদের আদায় করতেই হবে হবে হবে । কোনমতেই ছাড়া যাবেনা ।
নিচের ছবিগুলো খেয়াল করুন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন আমরা কি এই সব মূহুর্ত ছাড়াও নামায পড়ছি না কিংবা নামাযকে এমনিতেই ছেড়ে দিচ্ছি বিনা অজুহাতে। যে যেখানে যেই অবস্হায় থাকিনা কেন নামায ছাড়া যাবেনা ।
আমি shohel islam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 139 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই আমি জানি না আপনাকে কি ভাবে ধন্যবাদ দিব । শুধু এটুকু বলি আপনি আমার মনের টিউনটিই প্রকাশ করেছেন । এ রকম ঢিউনের করার কথা আমি কাল রাতেই চিত্তা করেছিলাম । ভাই আপনি ভাল থাকবেন মহান আল্লাহর কাছে এই দোযা করি । ধন্যবাদ আবার ও………