বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ বিজ্ঞানের দৃশ্টিতে নামাযের ব্যাখা (মুসলমান বিধর্মী সকলের জন্য ) (আপডেটেড)

স্বাস্হ্য বিজ্ঞানের একটা মৌলনীতি হল এই যে, মানুষের অন্তরে যখন শান্তি লাভ হয় তখন দেহের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলির শক্তিও কয়েকগুন বেড়ে যায় । আর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের শক্তি শারীরিক সুস্হতার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে । যার ফলে মানুষের শুধু প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তার বিক্ষিপ্ততা এবং চিন্তার ভিড় থেকে নিঃস্কৃতি লাভ হয় না বরং শারীরিক দিক দিয়েও মানুষের শক্তি সামর্থ্য বৃদ্ধি পায় ।

বর্তমান যুগের মানুষ বিশেষ করে পাশ্চাত্য জগত দুষিত ও বিকৃত ধ্যানধারনার এমনভাবে শিকার হয়ে পড়েছে যার ফলে শান্তির মহৌষধ এবং ঘুমাবার পিলও তাদের কোন কাজে আসছেনা । বস্তুত প্রকৃত আরোগ্য শুধুমাত্র বাহ্যিক বস্তুসমূহে অন্বেষন করাই তাদের বঞ্চিত হওয়ার প্রধান কারন । সুস্ততা একমাত্র আল্লাহর হাতে এটা তারা ভুলেই গিয়েছে।

যেমন ইব্রাহীম আঃ বলেছেনঃ  "এবং আমি অসুস্হ হয়ে গেলে তিনিই আমাকে সুস্হতা দান করেন । সূরা শুআরাঃ আয়াতঃ ৮"

এ ব্যাপারে সর্বোত্তম পন্থা হল ঔষধের সাথে সাথে দুআ করা । তাই বেশী বেশী করে আল্লাহর স্মরন করা এবং আল্লাহর প্রতি রুজু হওয়া উচিত । আর নামাযের মাধ্যমে এই কাজটা আমরা সবচেয়ে সুন্দরভাবে করতে পারি।

নামায

আমরা যারা মুসলমান আমরা সবাই নামাযের উপকারিতা খুব ভাল করেই জানি। কিন্তু বিধর্মী কিংবা অন্য ধর্মের লোকদের দৃষ্টিতে কিছুটা ভিন্ন। আমাদের অনুভূতি তাদের অনুভূতি বিস্তর ফারাক । তাই নামাযের যে শুধু রুহানী শক্তি ছাড়াও বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থনীতিও এর সাথে জড়িত আছে তা আমরা মুসলমানরা ছাড়াও বিধর্মীরা পর্যন্ত হতবাক হয়ে যাবেন।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম প্রায় ১৪০০ সাল আগে বলে গিয়েছিলেন -" নিশ্চয়ই নামাযে শেফা ও আরোগ্য রয়েছে "।  (ইবনে মাজাহ )

মুসলমান ছাড়া এমনকি বিধর্মীরা পর্যন্ত জানেন এবং অনেকে মানেন যে নবীজী কখনও মিথ্যা বলেননি । তাই তারা এই হাদীসটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখা করেছেন ভিন্ন ভাবে। মুসলমানদের মধ্যে  পাকিস্তানের বিখ্যাত হৃদরোগ চিকিৎসক ডাক্তার মুহাম্মদ আলমগীর একটি মেডিক্যাল টীম তৈরী করেন যখন বিধর্মীরা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখা চান । পাকিস্তানী একজন নামাজীর শরীরে তারা নামাযরত অবস্থায়ই ইলেকট্রনিক radiology মাধ্যমে পরীক্ষা করেন এবং নবীজীর কথার সত্যতা যাচাই করেন। আমি নিচে তা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ননা করছি --

বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ বিজ্ঞানের দৃশ্টিতে নামাযের ব্যাখা (মুসলমান বিধর্মী সকলের জন্য )

মানুষের বয়ঃবৃদ্ধির সাথে সাথে তার দেহের কোল্যাষ্টোল (CHOLESTEROLF)  চর্বির দ্বারা দেহের শিরাগুলি ক্ষীন হতে ক্ষীনতর হতে থাকে । এই ক্ষীনতার কারনেই অসংখ্য রোগ-ব্যাধি দেখা দেয় । যেমন, ব্লাড প্রেসার, অর্ধাঙ্গ, হৃদরোগ, বৃদ্ধতা, হজম মন্দা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখ্য । এই চর্বির বৃদ্ধিতারোধ করার সর্বোওম পন্হা হলো ব্যায়াম । যা নামাযের মাধ্যমে অতি উওমভাবে পূরন হয়ে যায় ।

2009-12-16 09 45 012009-12-16 09 45 33 2009-12-16 09 45 492009-12-16 09 46 012009-12-16 09 46 20

  • তাকবীরে উলা – তাকবীরে উলা অর্থাৎ নিয়ত বাঁধার জন্য যখন কনুই পর্যন্ত হাত কাঁধ বরাবর উঠানো হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই রক্ত সঞ্চ।লনের   তীব্রতা বেড়ে যায় ।
  • কিয়াম – অর্থাৎ দাড়ানো অবস্হায় হাত বেঁধে রাখার সময় কনুই থেকে কব্জি ও আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত হাত ব্যবহৃত হয় । এতে রক্তের চলাচল তীব্র হয় ।
  • রুকু – রুকুর সময় হাঁটু কনুই কব্জি এবং কোমরের সবগুলি জোড় প্রবলভাবে ঝাকুনী দেয় ।
  • সেজদা – সেজদার অবস্হায় হাত পা পেট পিঠ কোমর রান ও শরীরের সবগুলি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জোড়ায় নাড়া পড়ে এবং টানটান অবস্হায় থাকে । সেজদারত অবস্হায় মেয়ে লোকদের বুক রানের সাথে মিশে থাকে । এতে তাদের বিশেষ অভ্যন্তরীন রোগব্যাধির উপশম হয়। এতদ্ব্যতীত  সেজদার সময় রক্ত মস্তিষ্ক পর্যন্ত সঞ্চালিত হয়। যা সুস্ততার জন্য একান্ত আবশ্যকীয় ।
  • তাশাহহুদ - এই অবস্হায় কোমর থেকে পা পর্যন্ত রগগুলি টানটান হয়ে থাকে । একদিকে থাকে টাখনো ও পায়ের অন্যান্য জোড় এবং অন্যদিকে থাকে কোমর এবং গর্দানের জোড়াগুলি ।
  • সালাম – সালাম ফেরানোর সময় গর্দানের দুই দিকের জোড়াগুলিই কাজ করে এবং গর্দান ঘুরানোর সময় রক্ত সঞ্চালন তীব্র হয় ।

নামাযের এই নড়চড়াগুলির দ্বারা একটি উত্তম ব্যায়াম হয়ে থকে । নামাযের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকার কারনে কুদরতী ভাবে ব্যায়ামের মধ্যেও একটি সামঞ্জস্য সৃষ্টি হয় । অন্যান্য ব্যায়ামের মত এতে কোন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্হার সৃষ্টি হয়না । উত্তম পন্থায় রক্ত সঞ্চালিত হওয়ার কারনে হৃদযন্ত্র সম্পূর্ন রূপে সুস্থ থাকে । এতে না ত রক্ত ঘন হয়ে যায় আর না রক্তের সঞ্চালনে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় ।

হেকমত—এখানে আল্লাহর হেকমতগুলি একটু খেয়াল করুন—পুরুষ এবং মহিলা মানুষের নামাযের ভিন্নতা । খেয়াল করুন সেজদার সময় আমাদের বুক রানের  সাথে মিলাতে হয়না কিন্তু মেয়েদের বেলায় বুক রানের  সাথে মেলানোর নিয়ম। আমরা এখন ভাল করেই জানি পুরুষদের হাড় এবং শরীরের অন্যান্য জোড়াগুলি মেয়েদের তুলনায় অনেক শক্ত ।  কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে তা ঠিক উল্টো । তারা অনায়াসেই বুক রানের সাথে মিশিয়ে ফেলতে পারবে । যারা ব্যায়াম করেন তারা ভাল করেই জানেন মেয়েদের ব্যায়ামগুলি কিছুটা অদ্ভুদ এবং তাদের শরীরের জোড়াগুলির ব্যায়ামগুলির প্রসারতা একটু বেশী করতে হয় ছেলেদের তুলনায় ।কেননা মেয়দের জোড়াগুলি নরম হওয়ার কারনেই এটা করতে হয় ।তাই নামাযের সেজদার সময় তাদের জন্য এই নিয়ম করা হয়েছে। আমাদের জন্য যদি এই নিয়ম হত তাহলে বুঝুন আমাদের কি অবস্হাটা হতো ।     কিন্তু আল্লাহ হলেন মহজ্ঞানী এবং মহাচিকিৎসক এবং আমাদের নবীজী হলেন তার প্রচারক এবং বাহক। সেই সময় কোন ডাক্তারী সরঞ্জাম ছিলনা কিংবা কোন চেকআপ মেশিন । আল্লাহ  মানুষকে তৈরী করেছেন এবং আমাদের শরীরের গঠন তিনিই সবচেয়ে ভালভাবে জানেন । যা তিনি নবীজীকে জানিয়ে দিয়েছেন । অবিশ্বাসীদের জবাব এখানেই রয়েছে ।

আর আমরা যার মুসলমান আমাদের অবশ্যই উচিত নামাযকে আকড়িয়ে দড়ার । কেননা নবীজী মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্তু বারবার নামাযের কথাই বলেছেন । একমাত্র বিছানায় রোগীদের ক্ষেত্রে নামায ঘরে আদায় করতে বলেছেন আর সর্বক্ষেত্রে নামায আমাদের আদায় করতেই হবে হবে হবে । কোনমতেই ছাড়া যাবেনা ।

নিচের ছবিগুলো খেয়াল করুন এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন আমরা কি এই সব মূহুর্ত ছাড়াও নামায পড়ছি না কিংবা নামাযকে এমনিতেই ছেড়ে দিচ্ছি বিনা অজুহাতে। যে যেখানে যেই অবস্হায় থাকিনা কেন নামায ছাড়া যাবেনা ।

2009-12-12 11 56 21

2009-12-12 11 57 41

2009-12-12 11 58 10

2009-12-12 11 58 38

2009-12-12 11 59 05

2009-12-12 11 59 39

2009-12-12 12 00 07

2009-12-12 12 00 36

2009-12-12 12 01 07

2009-12-12 12 01 36

2009-12-12 12 02 11

2009-12-12 12 02 36

2009-12-12 12 02 58

2009-12-12 12 03 27

Level 0

আমি shohel islam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 139 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 2

ভাই আমি জানি না আপনাকে কি ভাবে ধন্যবাদ দিব । শুধু এটুকু বলি আপনি আমার মনের টিউনটিই প্রকাশ করেছেন । এ রকম ঢিউনের করার কথা আমি কাল রাতেই চিত্তা করেছিলাম । ভাই আপনি ভাল থাকবেন মহান আল্লাহর কাছে এই দোযা করি । ধন্যবাদ আবার ও………

ভাই আপনার জন্যও দোয়া করি । কমেন্ট নয় এই টিউনটি থেকে যেন আমাদের ভিতরের বিবেকটা যেন একটু ধাক্কা খায় তাহলেই সার্থক ।

funny…

    ভাই আপনি মুসলিমদের আপমান করছেন কেন?????

Level 0

ভাই ধন্যবাদ… দোয়া রইলো… আপনার ছবিগুলি কিন্তূ দেখাচ্ছে না এই লেখার… MyPicx.com দেখাচ্ছে… আপনি ছবিগুলি Techtunesএই re-upload করেন…

    Level 0

    Thank You once again for re-uploading pictures and re-editing this…

@ Littleboy -> What do you mean by ” Funny ” ??? Every word of the tune is true.

If you’re not muslim,,, I suggest you ” Come to Islam & do Namaz ! ” And If you’re muslim then you’re a complete Son of a …. ” for using the word ” Funny ” against Namaz.

Level New

ভাল। কিন্তু মনে রাখবেন ব্যয়াম হিসেবে আমরা নামাজ পড়বনা, আল্লাহ কে ভয় করে পড়ব।

ভাই আপনার টিউনটি দেখে মনে হচ্ছে আপনি হাজাও মুসলমানদের অন্তর থেকে টিউনটি বেড় করে লিখেছে। অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Level 0

ধন্যবাদ জনি খানকে তার জোরালো প্রতিবাদের জন্য।
ROBAYETHকেও ধন্যবাদ সবচাইতে মুল্যবান কথাটাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।

ভাল কাজ করতে গেলে শয়তান পিছে লেগেই থাকে তার প্রমান আবারোও পেলাম। ছবি সবসময়ই আপলোড করে টিউন করছি কিন্তু আজকে ছবি আসছে না কেন বুঝলাম না।

    Absolutely Most wanted tune!! Hope you will be continue with the such wonderful tuning

ধন্যবাদ এই টিউনটির জন্য। অসাধারন হয়েছে।

অসাধারন বলা যায়।অনেক ধন্যবাদ

thanks to everybody to read this tune.

    অনেক অনেক ধন্যবাদ Shohel Islam ভাই।

ভাষা অপ্রকাশযোগ্য ধন্যবাদ জানাই

Level 0

Shohel ভাই আপনাকে ধন্যবাদ।

Level 0

আপনি আমার মনের টিউনটিই প্রকাশ করেছেন। ভাই আপনার জন্যও দোয়া করি ।

Level 0

আপনি আমার মনের টিউনটিই প্রকাশ করেছেন। ভাই আপনার জন্য দোয়া করি ।

নির্বাচিত টিউন হিসেবে দেখতে চাই।ও টিনটিন ভাই আপনে কই ??

খুব ভাল হয়েছে। চালিয়ে যান।

ভাল কাজ করতে গেলে শয়তান পিছে লেগেই থাকে তা আবারো প্রমান করলেন। “বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ বিজ্ঞানের দৃশ্টিতে নামাযের ব্যাখা” করতে যেয়ে ধর্ম নিয়ে টানাটানি শুরু করলেন। আশা রাখি নিজ ধর্মের সাথে সাথে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করবেন।
আর প্রত্যেক ধর্ম বা সভ্যতাতেই বৈজ্ঞানিক ব্যাখা করা যায়। যোগ ব্যয়ামের কথাই ধরুন। আজ থেকে চার হাজার আগে মানুষ কিভাবে তা আবিষ্কার করল! আর যোগা এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখা জানতে গুগুলে সার্চ করতে পারেন। ধন্যবাদ

    ভাই আমি তো এখানে অন্য ধর্মকে অসম্মান করে লেখা কিছুই দেখলাম না। আর এখনে সবচেয়ে বড় শয়তান পিছে লেগেছে আপনার। আপনাকে একটা কথা বলি এখানে ধর্ম নিয়ে টানাটানি করা হলেও আপনি কি জানেন এই টিউনটি পড়ে অনেক মুসলমান নামায পড়া শুরু করে দিয়েছে ( আমার বিস্বাশ)। কি ভাইয়েরা কি বলেন??? শুরু করেছেন তো?????

সচারচব এই নামে কাউকে মন্তব্য করতে দেখিনা । আপনি কেরে ভাই। প্রথমে বলি কোন ধর্মের প্রতি কোন খারাপ কিছুই তো বলিলি। আপনার লাগলো কোনখানে। আর যোগ ব্যায়াম কি কোন ধর্ম কিংবা কোন ইবাদত। আর চার হাজার বছর আগে কোন যোগ ব্যায়ামের কথা বললেন সেটা কার কাছে ছিল কোন হিন্দু ঋশির কাছে নাকি কোন পদ্রীর কাছে। কোন খানে পাইলেন আপনি ।

“বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ বিজ্ঞানের দৃশ্টিতে নামাযের ব্যাখা”-এর মাধ্যমে আপনি মুসলমানদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং উদ্ভূদ্য করতে চেয়েছেন । এ ব্যপারে আপনার সাথে একমত। কোন ধর্মের প্রতি কোন খারাপ কিছু বলেননি , কিন্তু বিধর্মীদের কাছে কি চাচ্ছেন তা বুঝলাম না। আপনার টিউনে সাবজেক্ট সহ “বিধর্মী” শব্দের বহুল ব্যবহার আমাকে কিছুটা হতাশ করল । স্পশকাতর শব্দের ব্যবহারের ব্যপারে আপনার সচেতনতা কামনা করছি।

যোগার উদাহরন দিলাম ধর্ম বা ইবাদত নয়, প্রাচীন রীতি নিয়ে(উইকি অনুযায়ী Indus Valley Civilization 3300–1700 B.C.E.)। এটি মানুষ যখন আবিস্কার করে ছিল তখন ও কিন্তু সেই সময় কোন ডাক্তারী সরঞ্জাম ছিলনা কিংবা কোন চেকআপ মেশিন । এটিও প্রতিভা ও বুদ্ধিমত্তার বিক্ষিপ্ততা এবং চিন্তার ভিড় থেকে নিঃস্কৃতির পাশাপাশি শারীরিক দিক দিয়েও মানুষের শক্তি সামর্থ্য বৃদ্ধি্তে সহায়তা করে এবং বর্তমানে বিেশ্ব জনপ্রিয় ও বিজ্ঞান কর্ত্রিক স্বীকৃত । মনে হয়না এটি আপনাকে কখনো হতবাক করেছে ( তা সত্য হলে আপনি বোধহয় নিদিষ্ট বিষয়েই হতবাক হন যা আমাকে হতবাক করবে )।
যোগা নিয়েই বা আপনার এত আপত্তি কোথায় ? যদি ঋষির বা কোন পাদ্রীর আবিষ্ক্রত হয় কি না এজন্য??

শুনুন ভাই যোগা বলুন আর যাই বলুন আপনি ইতিহাস খুজে বের করুন সেই সময় হযরত নূহ (আঃ) এবং দাউদ (আঃ) এর যমান ছিল। আপনি বোধ হয় ইসলামী ইতিহাস মানবেন না । আল্লাহ তাকে বেশ কয়েকটি কিতাব দিয়েছিলেন। তার মধ্যে কৃষি চাষ পদ্ধতি এমনকি আপনি উপরে যে যোগার কথা বললেন তাছাড়াও আরোও অনেক কিছু যেমন– হিসাব নিকাশের জন্য গনিত যা পরবর্তীতে সংস্করন হয়েছে অনেকবার । ঔই সময় শুধুমাত্র একটি গোত্রই ছিল আর তা হলো নূহ (আঃ) এর বংশধর । পরবর্তীতে তাদের বংশধররা বিভিন্ন গোত্রে ভাগ হয়ে যায় । জন্ম নেয় ইহুদী – নাসারা- হিন্দু- বৌদ্ধ- পূজারী সকল গোত্র । চাই আপনি ১০,০০০ bc এর যমানার কথা বলুন । আপনিই বলুন কোন মাধ্যম ছাড়া মানুষ কিভাবে যোগা বলুন আর গানিতিক শিক্ষাই বলুন শিখলো কোথা থেকে । আপনা আপনি
বলবেননা নিশ্চয়ই । অবশ্যই কোন কিতাব আছে । কি সেই কিতাবের নাম?

আর যোগা তো কোন ইবাদাতই নয় । আপনি যোগার উদাহরন আনতে গেলেন কেন ।
আর মার্কেটে যদি অনেক ভাল এবং আসল কোন জিনিস বা ভাল কোন বিশয়ে কিছু বের হয় — তাহলে তো সেই জিনিসকে ব্যবহার বা জানার জন্য আপনি সবাইকে আহবান করবেন তাই না। কিন্তু অন্য জিনিসের খারাপ দিকটা রেফারেল করতে পারবেন না । আমি তাই করেছি । আমি অন্য কোন ধর্মের ইবাদতের খারাপ দিকটা রেফারেল নিয়ে কিছুই বলিনি। আর যদি আপনি বলতে বলেন তাহলে অন্য ধর্মের
ভুল দিক লিখতে লিখতে মাস শেষ হয়ে যাবে তবুও লেখা শেষ হবেনা । আপনি যদি চান তাহলে আমার সাথে contact করতে পারেন [email protected]

Level 0

বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ বিজ্ঞানের দৃশ্টিতে নামাযের ব্যাখা (মুসলমান বিধর্মী সকলের জন্য )

এখানে বিধর্মী বলতে যারা মুসলমান নয় তাদের বোঝানো হয়েছে। বুঝলেন।

তবে মনে রাখতে হবে-মুসলমান হতে হলে তাকে ঈমানের পরে বাধ্যতামূলক নামাজ পড়তে হয়। না হলে সেই ব্যক্তি মুসলমান বলে দাবী করতে পারে না।
কারন মুসলমান ও কাফিরের মধ্যে মুল পাথ্ক্য হচ্ছে নামাজ। (কাফির মানে যারা অবিশ্বাসী)

এই নামাজ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে সহায়তা করে এবং সকল বিপদ থেকে বাচিয়ে রাখে-যদি সেই ঈমান নিয়ে নামাজ পড়া যায়।

আর ইসলামের সকল কাজেই কোন না কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। কেননা যিনি সব সৃষ্টি করেছেন কেবলমাত্র তিঁনিই জানেন তাঁর সৃষ্টি কিভাবে চলবে।
এজন্য তিঁনিই সব নিয়ম বলে দিয়েছেন।

ধন্যবাদ সুন্দর একটা টিউন করার জন্য।
আরও সুন্দর সুন্দর টিউন করুন…..

Level 0

ধন্যবাদ সুন্দর একটা টিউন এর জন্য

আমি আপনার মত মনে করি না যে হিসাব নিকাশ, গনিত, চাষবাস বা কোন জ্ঞান শুধু মাত্র একক কোন সভ্যতার অবদান। বর্তমান বিশ্বের জ্ঞান বিজ্ঞানে সকল মানব সভ্যতারই অবদান রয়েছে। গ্রীক, মিশর, মায়া, চৈনিক, ভারতবর্ষ, আরবীয় সভ্যতা… সকল সভ্যতাতেই মানুষ এর জ্ঞান চর্চার নিদর্শন পাওয়া যায়। কেউ তা আবিস্কার করেছে কেউ বা তা চর্চা করে আরও উন্নত সংকরন। আশা করি অন্যদের অবদানও স্বীকার করবেন, একক কোন সভ্যতার অবদান মনে করে বসে থাকবেন না। জ্ঞান আহরন এর জন্য প্রয়োজনে সুদূর চীনে যেতে বলা হয়েছে, জানেন নিশ্চয়ই।

যোগার উদাহরন দিলাম এটি ধর্ম বা ইবাদত নয়। তাই যে কেউ এর সুফল ভোগ করতে পারে। যোগার ইতিহাস জানতে http://en.wikipedia.org/wiki/Yoga লিঙ্কে যেতে পারেন (নেট খুজলে আর পাবেন)। Buddhism,Yogacara, Buddhis,Ch’an (Seon/Zen) Buddhism, Indo-Tibetan Buddhism, Jainism, Islam(11th century), Christianity, Tantra সবার কথাই বলা আছে। তবে অনেকেই একে নানা অজুহাতে ফতোয়া দিয়ে নিষিদ্ধ করছেন(উইকি অনুযায়ী)। আমি নই, বরং তারাই ইসলামী ইতিহাস মানবেন না ।

আর আপনি যোগা কে খারাপই মনে করছেন কেন। আপনি নিশ্চয়ই আপনার টিউনে “বিধর্মী”-দের নামায পরতে বলেন নি (মানে ধর্ম পরিবর্তন করতে বলেন নি)। কিন্তু বিধর্মীদের কাছে কি চাচ্ছেন তা এখনও বুঝলাম না। তবে অন্যের ভুল ধরে মাস পার করার ইচ্ছা ভালই আছে(আপনার কমেন্ট অনুযায়ী)! এটাই কী আপনার অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান জানানোর নমূনা??

Arokom pic aro ber korte chai but kivabe?

thanks for the publish islamic content.All the best of that.I hope u publish more content like that.
http://iusbd.blogspot.com

binarypirates-এর কমেন্টের সূত্র ধরে সবাইকে বলছি- এটা হচ্ছে বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতা করা। ব্যাপারটা এমন যে, সরকার যত ভাল কাজই করুক না কেন বিরোধীদল তার বিরোধিতা করবে। আর একথাও সত্য যে, বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতা করা স্ববিরোধিতারই নামান্তর। কারণ যখন আমরা বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতা করি তখন অনেক সত্যকে উপেক্ষা করতে হয়।

আমার মনে হয় এসমস্ত কমেন্টের রিপ্লে না দিয়ে অবজ্ঞাভরে এড়িয়ে গেলে খুব দোষনীয় হবে না।আর তারপরও যদি খোঁচাখুচি করে তাহলে উপযুক্ত জবাবও তাকে দেওয়া যাবে।

সবশেষে, সোহেল ইসলাম কে অসংখ্য ধন্যবাদ টিউনটির জন্য।

Level 0

ধন্যবাদ, ভাই বিধর্মী শব্দের অর্থ বুঝিয়ে বলবেন কী?