বুধবার সার্ন গবেষণাগারের ভিড়ে ঠাসা অডিটোরিয়ামে সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল রল্ফ হয়ের ঘোষণা করলেন, “পেয়েছি। যা খুঁজছিলাম, তা পেয়েছি।” আর ওই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই জানা গেল, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সব চেয়ে ব্যয়বহুল, সব চেয়ে প্রতীক্ষিত পরীক্ষার ফল। জানা গেল, ‘ঈশ্বর কণা’ সত্যি সত্যিই আছে। সেই সঙ্গে শুরু হল গবেষণার নতুন অধ্যায়। কারণ, যে কণাটির খোঁজ মিলেছে, তা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর কল্পিত ‘বোসন’ গোত্রের হলেও, পিটার হিগস কল্পিত কণার সঙ্গে হবহু এক নয়। তবে, তার খুব কাছাকাছি। নতুন কণার আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা উল্লসিত। কারণ, হিগস-কল্পিত কণা যেখানে ব্যাখ্যা করত শুধু পদার্থের ভর, সেখানে নতুন কণাটি সমাধান করতে পারে ব্রহ্মাণ্ডের আরও বহু রহস্যও। জেনিভার অদূরে সার্ন-এর বিশাল অডিটোরিয়ামে দু’দল বিজ্ঞানী যখন ঘোষণা করছিলেন তাঁদের পরীক্ষার ফল, তখন সেখানে হাজির থাকতে এডিনবরা থেকে উড়ে এসেছিলেন স্বয়ং হিগস। আবিষ্কৃত কণা না-ই বা হল তাঁর কল্পনার সঙ্গে হুবহু এক, পদার্থের ভর ব্যাখ্যা করার মতো কণার অস্তিত্ব যে আছে, তাতেই খুশিতে আপ্লুত হিগস। এবং তাঁর চোখে জল। বললেন, “অবিশ্বাস্য, আমার জীবদ্দশাতেই এটা ঘটল। আজ আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।” সার্ন-এর ঘোষণার দিকে তাকিয়ে ছিলেন সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা। আগ্রহ তুঙ্গে উঠেছিল সার্ন-এর নিজস্ব গবেষকদেরও। সকাল ন’টার সভায় হাজির থাকতে তাই সেমিনার রুমের সামনে লাইন পড়েছিল ভোর পাঁচটা থেকে। হলের বাইরে ভিড় দেখে সার্ন-এর এক কর্তার মন্তব্য, “আমাদের সেমিনার রুম পাল্টাতে হবে।” |
ওঁদের অধীর প্রতীক্ষা সহজেই অনুমেয়। বস্তুর ভর এই ব্রহ্মাণ্ডে প্রায় সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। কণার ভর না থাকলে তা ছোটে আলোর বেগে। জোট বাঁধে না কারও সঙ্গে। অথচ এই ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে বস্তুর পাহাড়। গ্যালাক্সি, গ্রহ-নক্ষত্র। পৃথিবী নামে এক গ্রহে আবার নদী-নালা গাছপালা। এবং মানুষ। সবই বস্তু। কণার ভর না থাকলে, থাকে না এ সব কিছুই। পদার্থের ভর, সুতরাং, অনেক কিছুর সঙ্গে মানুষেরও অস্তিত্বের মূলে। ভর-রহস্যের সমাধান মানে, মানুষের অস্তিত্ব ব্যাখ্যা। এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে পারে যে কণা, তার নাম তাই সংবাদ মাধ্যমে হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘গড পার্টিকল’। ‘ঈশ্বর কণা’। ‘ঈশ্বর কণা’ গুরুত্বপূর্ণ আরও এক কারণে। ব্রহ্মাণ্ড ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানীদের সব চেয়ে সফল তত্ত্বের নাম স্ট্যান্ডার্ড মডেল। ওই তত্ত্বে বলা হয়েছে যতগুলি কণার কথা, তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি কেবল ওই ‘ঈশ্বর কণা’। অথচ, তা কি না অন্য কণাদের ভর জোগায়। এ হেন কণার খোঁজ না মিললে স্ট্যান্ডার্ড মডেল যেন মুণ্ডহীন ধড়। অনাবিষ্কৃত কণাটির গুরুত্ব সাধারণ মানুষকে বোঝাতে ১৯৯৩ সালে কলম ধরেছেন লিও লেডারম্যান। বইয়ের নাম কী হবে? লেডারম্যান বললেন, “নাম হোক হিগস বোসন।” ঘোর আপত্তি প্রকাশকের। বললেন।, “এমন নামের বই বিক্রি হবে না। ভাবা হোক জুতসই কোনও নাম।” বিরক্ত লেডারম্যান বললেন, “তা হলে নাম থাক গডড্যাম পার্টিক্যাল।” অর্থাৎ, দূর-ছাই কণা। প্রকাশক একটু ছেঁটে নিলেন সেটা। বইয়ের নাম হল ‘দ্য গড পার্টিকল’। নামের মধ্যে ঈশ্বর! বই বিক্রি হল হু হু করে। এ হেন কণার খোঁজে সার্ন গবেষণাগারের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে চার বছর ধরে চলেছে খোঁজ। সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে আলোর বেগে ধাবমান বিপরীতমুখী প্রোটন কণা। মুখোমুখি ঠোকাঠুকিতে ধ্বংস হয়েছে তারা। মিলেছে অকল্পনীয় পরিমাণ ‘এনার্জি’। সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড জন্মের এক সেকেন্ডের দশ লক্ষ ভাগের এক ভাগ সময়ের পরের অবস্থা। আর সংঘর্ষের বিপুল এনার্জি থেকে আলবার্ট আইনস্টাইন-আবিষ্কৃত নিয়ম অনুযায়ী তৈরি হয়েছে কোটি কোটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা। যারা আবার জন্মের পর সেকেন্ডের কোটি কোটি ভাগের কম সময়ের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে জন্ম দিয়েছে আরও নতুন কণার। বিজ্ঞানের হিসেব বলছে, প্রোটন-প্রোটন সংঘর্ষের এনার্জি থেকে জন্মাবে পদার্থের ভর ব্যাখ্যাকারী ‘ঈশ্বর কণা’। যারা আবার জন্মেই ধ্বংস হবে নতুন কণার জন্ম দিয়ে। সত্যিই ‘ঈশ্বর কণা’ জন্মেছে কি? |
প্রোটন-প্রোটন সংঘর্ষ ঘটেছে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের অ্যাটলাস এবং সিএমএস নামে দুই যন্ত্রে। সেখানে ধ্বংসস্তূপ বিশ্লেষণ করে ‘ঈশ্বর কণা’র জন্মের খোঁজ নিয়েছেন ওই দুই যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত দু’দল বিজ্ঞানী। যাঁরা আজ পেশ করলেন তাঁদের বিশ্লেষণের ফলাফল। স্পষ্ট জানা গেল, দু’দলই পাচ্ছেন নতুন একটি কণার চিহ্ন। যে কণার ভর ১৩৩টি প্রোটনের মোট ভরের সমান। তিল ধারণের জায়গা-শূন্য সেমিনার রুমে অ্যাটলাস-দলের মুখপাত্র ফ্যাবিওলা গিয়ানোত্তি ঘোষণা করলেন, “আমাদের তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন এক কণার।” তাঁর মতে, এই শনাক্তকরণ এতটাই নিখুঁত যে, তাতে ভুলের সম্ভাবনা ৩৫ লক্ষে ১। গিয়ানোত্তি জানান, ফলাফল প্রকাশে শীঘ্রই পেপার ছাপাচ্ছেন তাঁরা। সিএমএস দলের মুখপাত্র জো ইনকান্ডেলা ঘোষণা করলেন, একই রকম ভরের কণার সন্ধান তাঁরাও পেয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, “আমরা যা দেখেছি তা নাটকীয়। আমরা খুঁজে পেয়েছি নতুন এক কণা। এটা যে ‘বোসন’, সে বিষয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই। এটা আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সব চেয়ে ভারী ‘বোসন’। এমন ‘বোসন’ খুঁজে পাওয়ার তাৎপর্য গভীর। আমাদের খুব ভেবেচিন্তে কথা বলতে হচ্ছে।” “এটা এমন এক মুহূর্ত যে উত্তেজিত না হয়ে পারছি না,” বললেন সার্ন-এর রিসার্চ ডিরেক্টর সার্জিও বার্তোলুচি, “গত বছর আমরা বলেছিলাম, ২০১২ সালে হয় খুঁজে পাব হিগস-এর কাছাকাছি নতুন কোনও কণা, অথবা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের বাইরের হিগস বোসন। ঠিক তাই হল। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেও বলতে পারি, আমরা গবেষণার পথে নতুন এক বাঁকের সামনে দাঁড়িয়ে। আমাদের এ বার নতুন কণা সম্পর্কে গভীরে জানতে হবে।” অতঃপর? এ বার এই নতুন কণার চরিত্র অনুধাবনের লক্ষ্যে এগোবে এই গবেষণা। এর ধর্ম হিগস-কল্পিত কণার থেকে কতটা আলাদা? অনেকটা আলাদা কি? তেমন সম্ভাবনার কথা ভেবেই মহা উল্লসিত পদার্থবিজ্ঞানীরা। কারণ, স্ট্যান্ডার্ড মডেল ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ব্রহ্মাণ্ডের মোট পদার্থের। খোঁজ মিলেছে মাত্র ৪ শতাংশ বস্তুর। বাকি ৯৬ শতাংশ গেল কোথায়? বিজ্ঞানীদের আশা, আবিষ্কৃত নতুন কণা সন্ধান দেবে সেই নিখোঁজ ৯৬ শতাংশের।ব্রহ্মাণ্ডের ভর জোগানদার কণাটিকে একেবারে হাতে-নাতে ধরে ফেলা না-গেলেও তার নাম কী হবে বা হওয়া উচিত, তা নিয়ে শোরগোল চলেছে বিজ্ঞানীমহলে। বিতর্কের কেন্দ্রে আরও বড় একটা বিষয় নোবেল পুরস্কার। সংবাদমাধ্যমে যার পরিচয় ‘ঈশ্বর কণা’ নামে, তাকে ওই নামে ডাকতে বিজ্ঞানীদের ঘোর আপত্তি। সঙ্গত কারণেই। এই ঈশ্বর তিনি নন, ধার্মিকেরা যাঁর পুজো করেন। আর ধার্মিকদের সঙ্গে বিজ্ঞানীদের আদায়-কাঁচকলায়। বিজ্ঞানের গূঢ় একটা বস্তু চেনাতে ‘ঈশ্বর’ শব্দটির আমদানি তাই বিজ্ঞানীদের ঘোরতর না-পসন্দ। সমস্যা এখানে কণার বৈজ্ঞানিক নাম ঘিরে। সে নাম হিগস-বোসন। দু’টি শব্দে উপস্থিত দুই বিজ্ঞানী স্কটল্যান্ডের পিটার হিগস এবং ভারতের সত্যেন্দ্রনাথ বসু। বোসন-এ কারও আপত্তি নেই, কারণ বোসন হল জাত-পরিচয়, এবং ঈশ্বর কণা সত্যিই ‘বোসন’ জাতের। গোল বেঁধেছে ‘হিগস’ নিয়ে। বোসনের আগে কি থাকবে শুধু স্কটল্যান্ডের ওই বিজ্ঞানীর নাম? নাহ্, ভুল বলেছিলেন শেক্সপিয়র। দেখা যাচ্ছে, নামে অনেক কিছুই আসে-যায়। বোসনের আগে শুধু হিগস শব্দটিতে অনেকের আপত্তি। ওঁদের যুক্তি, এতে মনে হবে যেন পদার্থের ভরের কারণ আবিষ্কারের মূলে একা পিটার হিগস। যা আদৌ সত্যি নয়। বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নোবেল পুরস্কারের প্রেক্ষাপটে। ঈশ্বর কণা বা ওই জাতের কিছু, যা কিনা পদার্থকে ভর জোগায়, তা পদার্থবিজ্ঞানে এত মূল্যবান যে, শনাক্ত হলেই নোবেল কমিটি নড়েচড়ে বসবে। পুরস্কার অবধারিত। সুতরাং নামের মধ্যে শুধু হিগসের উপস্থিতি অবশ্যই চিন্তার কারণ! হিগস-বোসন মানে যদি শুধু হিগসেরই কৃতিত্ব বোঝায়, তা হলে তো নোবেল কমিটি পুরস্কার দেবেন শুধু তাঁকেই! অথচ ঘটনা হল, পদার্থের ভরের ব্যাখ্যাদাতা হিগস একা নন। ১৯৬০-এর গোড়ায় পদার্থের ভর ব্যাখ্যার পিছনে বহু বিজ্ঞানী দৌড়েছিলেন। সকলের নাম করলে ডজন গড়িয়ে যাবে। এঁদের অনেকেই সরাসরি কণা সংক্রান্ত গবেষক নন। তাঁরা কাজ করছিলেন ‘সলিড স্টেট ফিজিক্স’ বা বহু কণার একত্রিত চরিত্র নিয়ে। যেমন, ফিলিপ অ্যান্ডারসন। তাঁর কাজে কিছুটা সূত্র পেয়েছিলেন কণা পদার্থবিজ্ঞানীরা। তেমনই ‘ক্লু’ মিলেছিল আরও দু’জনের গবেষণায় ইয়াচিরো নাম্বু ও জেফ্রি গোল্ডস্টোন। এল ১৯৬৪। মহা গুরুত্বপূর্ণ বছর। একই বছরে অনেকগুলো গবেষণাপত্র। ভরের রহস্য ব্যাখ্যা করতে। সর্বাগ্রে রবার্ট গাউট ও ফ্রাঁসোয়া এঙ্গলার্ট। দু’জনেই বেলজিয়ামের। ওঁদের পরে পেপার ছাপেন পিটার হিগস। তার পরে একই বিষয়ে পেপার লেখেন এক সঙ্গে তিন জন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টমাস কিবল্ এবং তাঁর দুই মার্কিন সহযোগী জেরাল্ড গুরালনিক এবং কার্ল হাগেন। অর্থাৎ পদার্থের ভর ব্যাখ্যাকারী মূল বিজ্ঞানীর সংখ্যা ছ’জন। তা হলে বাকি পাঁচকে বাদ দিয়ে ঈশ্বর কণার বৈজ্ঞানিক নামে কেন শুধু হিগস ঠাঁই পাবেন? সকলে জানেন, ছ’জনের মধ্যে শুধু হিগস-ই প্রথম বলেছিলেন বিশেষ কোনও কণার কথা, যা পদার্থকে ভর জোগাবে। বাকি পাঁচ জন কণার কথা বলেননি। কিন্তু কণার অস্তিত্বের অনুমানই তো সবচেয়ে বড় কথা নয়! ভর সৃষ্টির কৌশল ব্যাখ্যা করাও বিরাট কাজ। যা করেছিলেন ওই পাঁচ জন। মজার ব্যাপার, স্বয়ং পিটার হিগস মনে করেন, মহা গুরুত্বপূর্ণ কণাটিকে শুধু তাঁর নামে চিহ্নিত করা ঠিক নয়। যদিও তাঁরই এক ছাত্র গবেষণাপত্র লেখার সময়ে প্রথম ‘হিগস-বোসন’ নামটা ব্যবহার করেছিলেন। হিগসও মানেন, কণাটির নামের সঙ্গে ছ’জন বিজ্ঞানীরই উপাধি যুক্ত থাকা উচিত। কিন্তু তা হলে যে একটা কণা বোঝাতে প্রায় একটা বাক্য লিখতে হবে! ইতিমধ্যে বহু বছর গড়িয়ে গিয়েছে। এত দিন পরে বিশেষ কণাটিকে নতুন নামে চিহ্নিত করা উচিত কি না, সে প্রশ্নে চলেছে বিতর্ক। তাতে যোগ দিয়েছে বিখ্যাত জার্নাল ‘নেচার।’ তার এক সম্পাদকীয়তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এত দিন পরে নামবদল ভুল কাজ হবে। কেন? নেচারের ব্যাখ্যা: ব্র্যান্ডিং (পণ্যের নামকরণ) হল বিপণনের মস্ত বড় দিক। ঈশ্বর কণা ‘ব্র্যান্ডেড’ হয়ে গিয়েছে ‘হিগস-বোসন’ নামে। এখন তা পাল্টানো ঠিক হবে না। কিন্তু কৃতিত্বের দাবি? নেচারের মতে, বিজ্ঞানে এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। যেমন, ব্রহ্মাণ্ড যে প্রসারণশীল, তা প্রথম বলেছিলেন বেলজিয়ামের পাদ্রি জর্জ লেমাইত্রে। অথচ পরে ওই তত্ত্বের আবিষ্কর্তা হিসেবে চিহ্নিত হন আমেরিকার এডুইন হাবল্। আবার রসায়নে ‘অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা’ হিসেবে যা পরিচিত, তা প্রথম গণনা করেছিলেন জোহান জোশেফ লকস্মিট। বলা বাহুল্য, বহু বিজ্ঞানী এ সব যুক্তি মানেন না। নানা পত্র-পত্রিকায় এ ব্যাপারে মতামত প্রকাশিত হয়েই চলেছে। ব্লগের তো অন্ত নেই। এবং এতে মোটেই অবাক নন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী জন এলিস। তাঁর মন্তব্য, “যা-ই বলা হোক, প্রশ্নটা এখানে নোবেল প্রাইজের।” উল্লেখ্য, পদার্থের ভর ব্যাখ্যার কৃতিত্ব যে শুধু হিগসের প্রাপ্য নয়, ২০১০-এ তা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার বিখ্যাত পুরস্কার ‘সাকুরাই প্রাইজ’ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ছ’জনকে। তার পরে গত বছর প্রয়াত হয়েছেন রবার্ট ব্রাউট। সুতরাং নোবেলের দাবিদার আপাতত পাঁচ। কিন্তু নোবেল যে কখনও এক সঙ্গে তিনের বেশি গবেষককে দেওয়া হয় না! হিগসের বয়স ৮৩। বাকি চার জন অত বয়স্ক নন। আর নোবেল যে হেতু প্রয়াত বিজ্ঞানীকে দেওয়া হয় না, সে হেতু নোবেল কমিটি নিশ্চয়ই পুরস্কার ঘোষণা করতে বসে হিগসের নাম মাথায় রাখবেন। তবে প্রশ্ন থাকছে, তিন জন খেতাব পেলে হিগস ছাড়া অন্য দু’জন হবেন কে কে? পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এলিস বলছেন, “ভাগ্যিস আমি নোবেল কমিটিতে নেই!”তথ্যসূত্র: আনান্দবাজার পত্রিকা |
আমি ARPAN MISHRA। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অপনার লেখা পড়ে ঈশ্বরের কণা সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা হল। ধন্যবাদ আপনাকে।