টেকটিউন্সের সকল বন্ধুদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা। অনেক আগের টেকটুইটস লেখা একটি টুইট আজ শেয়ার করছি সবার সাথে। খারাপ লাগবে না আশা করি কারন লেখাটি মহাকাশ নিয়ে। জীবনের কিছুনা কিছু সময় যার দিয়ে তাকিয়ে মানুষ অভাব হয়ে ভাবে। হ্যা, ঐ সুবিশাল মহাআকাশ।
আমাদের সবাইকে এ বিশাল মহাকাশ সবাইকেই কম বেশি আকর্ষন করে। সবাই চায় ঐ আকাশকে একটু ছুঁয়ে দিতে। তবে আকাশ বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব না থাকার জন্যই ছোঁয়া যায় না। আর মানুষের একটা বৈশিষ্ট হচ্ছে যেটাকে পাওয়া যাবে না সেটার পিছনেই ছোটা। তাই তো আকাশ নিয়ে, এ মহাকাশ নিয়ে মানুষের অনেক জল্পনা-কল্পনা। সবাই কোন না কোন সময় এ আকাশের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে অন্য আরেক জগতে হারিয়ে যায়। আর মহাকাশের অনেক গুলো বিস্ময়ের মধ্যে এক বিস্ময় হচ্ছে নেবুলা।
নেবুলা (nebula ) বাংলায় নীহারীকা। মহাকাশের ধুলিকণা একত্রে মিলিত হয়ে নেবুলা বা নীহারীকার সৃষ্টি হয়। গ্যাস বা ধূলিকণা একত্রে মেঘের মত দেখতে হয়এ নেবুলা যা রাতের আকাশে দেখা যায়। গ্যাস গুলোর মধ্যে রয়েছে ইন্টারস্টেলার ক্লাউড বা মেগ, হাইড্রোজেন গ্যাস, হিলিয়াম গ্যাস এবং অন্যান্য আয়নিক গ্যাস গুলো। আরো রয়েছে প্লাজমা। বেশির ভাগ গ্যাসই প্লাজমা অবস্থায় রয়েছে নীহারিকার মধ্যে। প্লাজমা অবস্থায় থাকার কারন হচ্ছে উচ্চ তাপ। এ উচ্চ তাপে সকল গ্যাসই প্লাজমা অবস্থায় চলে যায়।
উপরে নামে একটা শব্দ ইন্টারস্টেলার ক্লাউড বলছি, আমাদের গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ ও অন্যান্য ছায়াপথের মধ্যে বিদ্যমান গ্যাস, ধূলিকনা, প্লাজমা গুলোর একত্রে সংগৃহীত রূপকে ইন্টারস্টেলার ক্লাউড বলে।
আসলে নীহারিকা হচ্ছে ছায়াপথ সহ সকল মহাজাগতীক বস্তুর সাধারন নাম যা মিল্কি ওয়ের ( আকাশ গঙ্গা) বাহিরে অবস্থিত। উদাহরন হিসেবে দেওয়া যায় যে, এডুইন হাবল কতৃক গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ আবিস্কারের পূর্ব পর্যন্ত বর্তমানে উল্লেখিত এনড্রোমিডা ছায়াপথের পূর্ব নাম ছিল এনড্রোমিডা নীহারিকা।
নিছে বিস্তারিত সহ বিভিন্ন প্রকারের কিছু নেবুলার ছবি দিলাম। হাই রেজুলেশনে ছবি গুলো দেওয়া আছে। আমার মত যারা মহাকাশকে পছন্দ করেন তারা ইচ্ছে করলে ছবি গুলো ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ছবিটির নাম হচ্ছে Pillars of Creation বাংলা করলে দাঁড়ায়- সৃষ্টির খুঁটি। নাসার বিখ্যাত একটা ছবি। যা Eagle Nebula কে ফুঁটিয়ে তুলছে। ১৯৯৫ সালে Hubble Space Telescope ব্যবহার করে ছবিটি তৈরি করা হয়।
Horsehead Nebula হচ্ছে কালো নেবুলার একটা উদাহরন। এ নেবুলা গুলো আস্তে আস্তে সকল দিকে ছড়িয়ে পড়ে তাই এ গুলোর কোন সীমানা নেই।
যে সকল নেবুলা গুলো আলো বীকিরন করে সেগুলোকে Emission Nebula বলে, আর Omega Nebula হচ্ছে Emission Nebula এর উদাহরন।
নক্ষত্র গুলোর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয় Supernova Remnant নেবুলা গুলো। আর এসব Supernova Remnant নেবুলার উদাহরন হচ্ছে Crab Nebula।
আরো কিছু নেবুলাঃ
কি সুন্দর নাম, Cat's Eye Nebula বাংলা করলে কি দাঁড়ায়? বিলাই চোখা? হ্যাঁ বেড়ালের চোখের মত দেখতে দেখা যায় তাই এর নাম Cat's Eye Nebula।
লাল এবং আয়াতাকার দেখতে তাই তো এ নেবুলার নাম Red Rectangle Nebula।
সামুতে নেবুলা নিয়ে হুমায়রা হারুন নামক ব্লগারের দুটি লেখাঃ
ব্লগটিতে মহাকাশ নিয়ে অনেক তথ্যা পাবেন। তাছাড়া যারা সাইন্স ফিকশন পছন্দ করেন তাদের জন্য রয়েছে উনার লেখা কিছু সাইন্সফিকশন।
কেমন হল তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ভালো থাকবেন সেই কামনায় আল্লাহ হাফেজ।
আমি জাকির হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 224 টি টিউন ও 1487 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
পৃথিবীতে অল্পকয়েক দিনের জন্য অনেকেই আসে, হেঁটে খেলে চলে যায়। এর মধ্যে অল্প কয়েক জনই পায়ের চাপ রেখে যায়।ওদের একজন হতে ইচ্ছে করে। প্রযুক্তির আরেকটি সেরা ব্লগ টেকটুইটস। আপনাদের স্বাগতম, যেখানে প্রতিটি বন্ধুর অংশ গ্রহনে গড়ে উঠেছে একটি পরিবার। আপনাদের পছন্দ হবে আশা করি। ফেসবুকে আমি - ?জাকির!
জাকির ভাই বহু দিন পর আপনার টিউন পেলাম 🙂 শুভ নববর্ষ ২০১২