আশাকরি মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সবাই নিজ নিজ স্থানে ভালো ও সুস্থ আছে।
বন্ধুরা এই পৃথিবীর চতুর কোনায় জড়িয়ে আছে রহস্য। আর মানুষ জন্ম থেকেই রহস্যের প্রবল আকর্ষণ বুধ করে। আর তাই আজকে আমার এই টিউনে সেই আকর্ষণ কে কেন্দ্র করে। বর্তমানে এই পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে কখনই সাধারণ মানুষ যেতে পারে না। শুধু তালিকাবদ্ধ হাতে গুনা কয়েকজন মানুষ যেতে পারবেন সেখানে। এই জায়গাগুলোর নিরাপত্তা খুবই কঠোর। সেখানে যাওয়া তো দূরের কথা খুব কম মানুষ জানেন ঐসব জায়গার কথা। রসসে ঘেরা ঐসব জায়গায় গুলোর মধ্যে অনেক জায়গায় এমন কিছু কাজ করা হয় যা আপনার পিলে চমকে যাবে। বন্ধুরা ঐসব জায়গাগুলোতে যাওয়া নিষিদ্ধ হলেও জায়গা সম্পর্কে জেনে নিতে তো কোন অসুবিধা নেই। আসুন জেনে নেই পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ৫টি সীমিত প্রবেশকারীদের স্থান সম্পর্কে।
বন্ধুরা চলুন আর দেরি না করে মূল টপিকে চলে যাই।
পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্টি দুর্লভ জায়গাগুলোর মধ্যে প্রথম কাতারেই থাকবে আমেরিকার নেভাডা অঙ্গরাজ্যের সামরিক স্থপনা এরিয়া-৫১। এই এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। দুর্ভেদ্য বেষ্ঠনীতে ঘেরা এ ঘাটির প্রবেশ পথে লেখা আছে সংরক্ষিত এলাকার দিকে প্রবেশ করার চেষ্টা করলেই থাকে গুলি করা হবে। তাই এই জায়াগাটি নিয়েই বিশ্ববাসীর বেশি কৌতূহল। কী আছে এর ভেতরে? কীইবা এমন কাজ করা হয় এই ঘাটিতে, যা দরুন সেখানকার তালিকাভুক্ত কর্মিদের ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া যায় না? এরিয়া ৫১ এমন এক সামরিক ঘাটি, সেখানকার কর্মিরা সরাসরি প্রেসিডেন্টের কাছে দায়বদ্ধ। এরিয়া ৫১ এর ভেতরে আজ পর্যন্ত বে সামরিক কেউ ঢুকতে পারে নি। আর যদি কেউ ঢুকেও থাকেন তাহলে ফিরে এসেছেন লাশ হয়ে।
এরিয়া ৫১ এলাকাটিকে আমেরিকা সরকারী এতটাই গোপন করে রেখেছিল যে আমেরিকা ও সোভেয়েত ইউনিয়নের মধ্যেকার স্নায়ুযুদ্ধ এটির সম্পর্কে সোভেয়েত ইউনিয়নের বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও এর অস্তিত্ত শ্বিকার করেন নি ওয়াশিংটন। বশেষে ১৮ আগষ্ট ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো আমেরিকা সরকার স্বীকার করে নেয় যে হ্যাঁ এই এরিয়া ৫১ এর অস্তিত্ব আছে। তারা স্বীকার করে যে আমেরিকার সরকার দেশটির এক গোপন সামরিক পরিক্ষার স্থান হিসেবে এরিয়া ৫১ নামক জায়গাটি ব্যবহার করে। এই জায়গাটি নিয়ে রয়েছে অনেক ধরনের জল্পনা আর বিতর্কও।
আশেপাশের এলাকার অনেক অধিবাসীরা বলে থাকেন এই স্থানটিতে ভিন গ্রহের প্রাণীদের কাল্পনিক যান ফ্লাইং সসার উড়তে দেখা যায়। এছাড়া চাদে যাওয়ার যে দৃশ্য টেলিভিশনে ধারণ করা হয়েছিলো সেটিও এই এরিয়া ৫১ তে ধারণ করা হয়েছিলো বলে বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় এইসব বিতর্কের কোন কূল - কিনারা আজ পর্যন্ত হয় নি।
এ জায়গাটি জাপানে অবস্থিত। এটি জাপানের সবচেয়ে গোপনীয় জায়গা। ধারণা করা হয় খ্রীস্টপূর্ব ৪ সালে ইসি গ্রান্ড মন্দির তৈরি করা হয়। সূর্যের দেবী আমাতেরাসুর উদ্দেশ্য উৎসর্গীকৃত এই মন্দিরে আজ পর্যন্ত এখানে জাপানের রাজপরিবার এবং ধর্মযাজক ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করতে পারে নি। প্রতি ২০ বছর পর পর মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। ইতিহাস বিদদের ধারণা এখানে জাপানিজ দের সাম্রাজ্যের মূল্যবান এবং হাজার হাজার বছরের পুরনো নথিপত্র লুকানো আছে যা বিশ্ববাসীর কাছে একেবারেই অজানা।
জাপানের রুপকার বহুল প্রচলিত ও পবিত্র আয়না এই মন্দিরেই আছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। কথিত আছে এই আয়নায় নাকি অতিথ ভবিষ্যৎ আর বর্তমান দেখা যায়। কিন্তু এই মন্দিরে কারো প্রবেশাধিকার না থাকায় এই জনশ্রুতির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় নি। জাপানির রাজপরিবার থেকেও কখনো আই আয়না সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। আর তাই আজও অমীমাংসিত আছে এই আয়নার কথা।
বিশ্বের অন্যতম সেরা বিনোদন স্পট ও অ্যামইউজমেন্ট পার্ক হিসেবে ডিজনিল্যান্ড এর রয়েছে আলাদা একটি পরিচয়। শুধু বিনোদনের জন্যই পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিন বহুমানুষ ছুটে আসেন এই ডিজনিল্যান্ডে। মূল ডিজনিল্যান্ড সবার জন্য উন্মুক্ত হলেও এখানকার একটি স্থান খুবই গোপন। এখানে চাইলেই কেউ ঢুকতে পারে না। পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন ও রহস্যময় তালিকায় উঠে আসা একমাত্র ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের স্থান এটি। বাকি গুলোর সাথে কোন না কোন দেশ বা কোন না কোন গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত। তবে ডিজনিল্যান্ড এর নিউ অরলিন্স স্কয়ারে অবস্থিত ক্লাব ৩৩ নেহায়েতই একটি ব্যক্তিগত ক্লাব। ওয়াল্ড ডিজনি নিজেই এর প্রতিষ্ঠাতা। তার খুব প্রিয় একটি ক্লাবটি খুব সংরক্ষিত করে রাখা হয়।
এখানে প্রায় সব সময় মদ বিক্রি করা হয়। তবে কাগজে কলমে কোথাও কোন উল্লেখ নেই। দাপ্তরিকভাবে মদের ব্যাপারটা একেবারেই চাপা দেওয়া হয়েছে। এই ক্লাবের সদস্য হওয়াটাও চাট্রিখানি কথা নয়। আপনি এখনই যদি সদস্য হওয়ার ইচ্ছা পূষন করেন তাহলে আপনাকে প্রচুর টাকা গুনতে হবে। খরচের পরিমাণ হবে ১০ থেকে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলা টাকায় প্রায় ৩০ লক্ষ্য টাকা। আর এখানকার বার্ষিক চাদা ৩২৭৫ থেকে ৬২০০ মার্কিন ডলার। আর টাকা গুনলেই যে সদস্য হওয়া যাবে একথা ঠিক নয়।
কারণ আজকে আবেদন করলে সবকিছু যাচাই বাছাই করে যদি রেজাল্ট পজেটিভ হয়, তাহলেও এখানকার সদস্য হওয়ার জন্য ১৪ বছর লাগবে। সাধারণ জনগণ ও অন্যদের জন্য এখানে প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ। এমনকি আইনশৃংখলা বাহিনীর ও এখানে সুনির্দিষ্ট কাজ এবং সুনির্দিষ্ট ব্যতিরেকে প্রবেশ করতে পারে না।
পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক গুলো পট পরিবর্তন ও গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনা প্রবাহদের সাক্ষি ক্রিটানদের নগররাষ্ট্র সব ভ্যাটিকান। আর ভ্যাটিকান সিটির ভেতরে সবচেয়ে রহস্যের জয় গাটি হলো ভ্যাটিকান সিটি আর্কাইভ বা সংগ্রহ সালা। জয় গাটিকে বলা হয়, স্টোর হাউস অব সিক্রেট। অর্থাৎ গোপনীয়দের সংগ্রহশালা। এই জয়গাটিতে তো সাধারণ মানুষ নয়েই, ভ্যাটিকান সিটির পন্ডিতরাও ঢুকার অনুমতি পাননা। খুব কম সংখ্যক পন্ডিতের এখানে ঢুকার ভাগ্য হয়েছে বা হয়। তাও পোপের অনুমতি ছাড়া এটি একেবারেই অসম্ভব।
অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থান টিকে পবিত্রতার দিক থেকেও আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে প্রায় ৮৪ হাজার বই আছে আর এটি প্রায় ৮৪ কি.মি দীর্ঘ। ধারণা করা হয় খ্রিস্টান মিশনারী, প্যাগান আর অনেক ধর্ম মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট। এখানে সংরক্ষিত আছে।
বিশ্বের অন্যতম গোপনিয় ও রহস্যময় শহর হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার মস্কো মেট্রো ২। এটি কেন গোপনীয় ও রহস্যময় শহর সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষের পরিস্কার ধারণা নেই। স্পষ্ট করে বললে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি। পুরো একটি শহর অথচ কারো জানা নেই, এখানে কারা থাকে, কী করে অথবা দেখতে কেমন ইত্যাদি। ধারণা করা হয় রাশিয়ার গোপন তৎপারতা গুলোর অনেক কিছুই এখান থেকে পরিচালিত হয়। তাই রাশিয়ান সরকার কোন মতেই চাইবে না এগুলো প্রকাশ হোক।
এ কারনেই পুরো জায়গায়িকে স্বীকৃতি না দিয়েই অস্থিত্বহীন করে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ মনে করছে কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হয় এই আন্ডারওয়ার্ল্ড সিটি তৈরি হয়েছিলো স্টালিনের আমলে। আর এখান থেকেই রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি তাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। আন্ডারওয়ার্ল্ড সিটির অস্থিত্বে এই আন্ডারওয়ার্ল্ড সিটি ক্রেমলিন বিশ্বাস করে এমন কিছু মানুষের দাবি। এই আন্ডারওয়ার্ল্ড সিটি ক্রেমলিনের সঙ্গে এফএসবি হেডকোয়ার্টারের সংযোগ স্থাপন করে আছে।
বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের টিউন। জানিনা কৌতুহলি মনের কিছুটা খরাগ দিয়ে পেরেছি কিনা? আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে, আর যদি ভালো লেগেই থাকে এমন টিউন নিয়ে আমার এই রহস্যময় পর্ব সাজাবো।
বন্ধুরা আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। আর সেই সময় পর্যন্ত সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
বন্ধুরা এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমার এই টিউন দেখার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি মাহবুব আলম তারেক। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, সিলেট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 95 টি টিউন ও 129 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
I am a Graphics Designer, and have worked on a few other Web Sites.
প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
লিস্ট বেইসড টিউনে ফরমেটিং সঠিক হয়নি।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের
খেয়াল রাখুন
১. টিউনে H2, H3 বা H4 সহ যে কোন হেডিং কখনও বোল্ড করা যায় না ও লিংক করা যায় না।
২. লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর বাংলা নিচের ফরমেটে থাকতে হয়।
১. আইটেম ১
২. আইটেম ২
এখানে প্রথমে বাংলা ক্রমিক নম্বর, তারপর একটি ডট, ডটের পর স্পেস তারপর আইটেমের নাম।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের প্রতি আইটেমে হুবহু এই ফরমেটে ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
উদারহরণ সরূপ টিউন ১ ও টিউন ২ লক্ষ করুন।
এখানে লিস্ট বেইড টিউনে লিস্টের
করণীয়:
গাইডলাইন অনুযায়ী সংশোধন করুন।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।