প্রথমে সবাইকে শুভেচ্ছা । আজ আমার ফাইন্ড দ্য টাইম অফ ‘‘আর্থ ডেস্ট্রাকশান’’ সায়েন্স ফিকশান এর দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করলাম । আমি বাংলা টাইপ ভলো করতে না পারার কারোনে আপনাদের পড়তে অসুবিধা হচ্ছে বলে মার্জনা করবেন । আস্তে আস্তে ঠিক করে ফেলার চেষ্টা করছি । আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্তো কাম্মো।
[ N.B.: যারা আগ্রহ নিয়ে এই গল্পটি পড়ছেন, তাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ: আপনারা একটু কষ্ট করে প্রথম পর্বের অধ্যায় দুই. পৃথীবির ইতিহাস থেকে আপডেটেড নির্ঘন্ট পর্যন্ত একটু নজর বুলিয়ে আসুন । ]
[ N.B.: প্রথম পর্ব প্রকাশের পর ‘মন্তব্য’ তে একটি বিষয় নিয়ে অনেক মন্তব্য হবে ভেবেছিলম । কিন্তু কি আশ্চার্য ! অন্তত যারা মন্তব্য করেছেন, তাদেরও বিষয়টি মাথাতেই এলোনা ??? ]
[ আমার এই সায়েন্স ফিকশান বুঝতে অনেকের সমস্যা হচ্ছে তাই একটুথানি সারাংশ দেবার চেষ্টা করলাম, গল্প-উপন্যাসের বইএর শেষে যেমনটি থাকে ।
কাহীনি সংখেপ: সময় 4248 থ্রীষ্টাব্দ । পৃথীবি অনেক আগে ধ্বংশ হয়ে গিয়েছে, মানুষ বসবাসের অযোগ্য । মানুষ বিভিন্ন গ্যালাক্সির অসংখ গ্রহ-উপগ্রহতে বসবাস করছে । সকল গ্রহ-উপগ্রহ থেকে সকল গ্রহ-উপগ্রহে সহয যোগাযোগ ব্যাবস্থা । বেশিরভাগ গ্রহের আবহাওয়াই চাষাবাদের অযোগ্য । মানুষ ফুড মেকার যন্ত্রের সাহায্যে ইলেকট্রন-প্রটন-নিউট্রন এর বিভিন্ন কম্বিনেষনে খাবার প্রস্তুত করে । ‘ফাইন্ডার’ হল সরকারী বিগ্গান সংস্থার এক বিষেশ টিম ।................আর বলবো না, তহলেতো সব এখানেই জেনে ফেলবেন । টিউনটি আমি খুব কষ্ট করে লিখেছি, আপনিও কষ্ট করে পড়ুন ! আনেক লম্বা কাহীনি, অনেকদিন ধরে আমার মাথায় আছে । সায়েন্স ফিকশান প্রেমিদের অবশ্যই ভাল লাগবে আশাকরি । ]
এবার মুল গল্পে ফিরে আসি:
অধ্যায় দুই. পৃথীবির ইতিহাস (প্রথম অংশ থেকে চলমান )
দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে, মনুষ্য ইতিহাসের সবচেয়ে হতাশাজনক সংবাদ মানুষের আদি বসতি, আদি সভ্যতা ‘পৃথীবি’ নামক গ্রহের ধংশ হয়ে যাওয়ার কারন নিয়ে আনুমানিক ধারনা, তথ্য বিশ্লেষন ।
পৃথীবি ঠিক কোন সময় ও কি কারনে মানুষ বসবাসের জন্য সম্পুর্ণরূপে অযোগ্যে হয়ে পড়ে তার কোন সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়না । তিন হাজার চারশত থ্রীষ্টাব্দ পর্যোন্ত রেকর্ড করা কিছু কিছু ‘ক্রিষ্টাল ডিক্স ’ পাওয়া যায় এবং তার ভিত্তিতে ধরে নেওয়া যায় তিন হাজার চারশত থ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত পৃথীবি মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েনি ।
কারন নির্ণয় করতে গিয়ে দুটি কারন প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করা হয় । একটি হল প্রাকৃতিক ও ওন্যটি হল মানুষের সাথে মানুষের যুদ্ধ ।
প্রাকৃতিক কোন বড় বিপর্যয়ের কারনে হাজার বছরের মনুষ্য সভ্যতা ধ্বংষ হতে পারে, তার তেমন কোনো বড় যুক্তি পাওয়া যায়নি । ধারনা করা হয় মানুষের সাথে মানুষের যুদ্ধই পৃথীবি ধ্বংষের মূল কারোন । মানুষের সাথে মানুষের এই যুদ্ধে তারা ভয়ানক কোন তেজক্রিয় অস্ত্র ব্যাবহার করে, যার ফলে পুরো পৃথীবিই তেজক্রিয়তার ফলে তার স্বভাবিক গতি হারিয়ে ফেলে । সকল প্রাণিজগত ও উদ্ভিদকূল ক্রমে ক্রমে সম্পুর্ণরূপে ধ্বংষ হয়ে যায় । সাথে সাথে পৃথীবিও ধ্বংষ হয় ও ধ্বংষ হয় প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচিন মনুষ্য সভ্যতা ।
তৃতীয় পর্বে রয়েছে, পৃথীবির বাইরে মনুষ্য সভ্যতা ছড়িয়ে পড়ার উপর সংখিপ্ত ইতিহাস ।
দুই হাজার খ্রীষ্টাব্দের শেষের দিকে পৃখীবির মানুষ চিন্তা করে, শুধুমাত্র পৃথিবীতেই নয়, সারা বিশ্বভ্রমান্ডে মনুষ্য সভ্যতার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে । তখন তারা বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহকে মানুষ বসবাসের উপযোগি করে গড়ে তোলা শুরু করে । তাদের তখনকার সেই সিদ্ধান্তের কারনেই আজ আমরা সভ্যতার আলোটুকু নিয়ে বেচে আছি । তবে এই প্রক্রিয়া মানুষের জন্য প্রানী হিসাবে স্বভাবিক ছিলোনা । কেননা, এই বিশ্বভ্রমান্ডে পৃথীবিই একমাত্র আদর্শ গ্রহ যেখানে প্রকৃত মানুষের স্বভাবিকভাবে বেচে থাকা সম্ভব । পৃথীবির বাইরে অন্যান্য গ্রহে প্রকৃত মানুষ স্বভাবিকভাবে বেচে থাকতে পারে না । স্বভাবিকভাবে বেচে থাকার জন্য একজন মানুষের যে পরিমান অক্সিজেন প্রয়জন, কৃত্তিম উপায়ে একটি সম্পুর্ণ গ্রহে ততটুকু অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব না । একটি ছোট উপগ্রহে সম্ভব, এই জন্যই ইপগ্রহগুলিতেই প্রথমে উন্নত শহর, নগর গড়েওঠে এবং সমস্ত এডমিনিস্ট্রেষন ও কেদ্রিয় অফিসগুলি গড়ে ওঠে । তার কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় গ্রহের সাথে, গ্রহের প্রকৃতির সাথে মিলে যাওয়ার কৃত্তিম প্রচেষ্টা । জিনেটিক ইন্জিনিয়ারিং ব্যাবহার করে মানুষের শরীরে অক্সিজেনের প্রয়োজনিয়তা কমিয়ে আনা হয় । এবং এই সকল গ্রহে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয় । তবে সবাই এই পদ্ধতি তখন মেনে নেয়নি কারন, তদের ধারনা ছিলো, এভাবে নিযেদের পরিবর্তন করতে করতে মানুষ এক সময় তার স্বকীয়তা হারাবে । এই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে কিছু মানুষকে শিতল ক্যাপসুলে রাথা আছে, যারা আসোলেই সত্যিকারের মানুষ ।
এই পর্যন্ত স্টাডি করে রুহান তার মডিউলটা বন্ধ কোরে বোসে বোসে চিন্তা করে । সে কি সত্যিকারের মানুষ নয় ? একজন সত্যিকারের মানুষের সাথে তার এমন কি পার্থক্য । কম পরিমান অক্সিজেন নিয়ে বেচে থাকলেই কি সে সত্যিকারের মানুষ থেকে আলাদা হয়ে যাবে? শরীরের অল্প কিছু অংশ যদি যাত্রিক হয়ে তাকে সাহায্য করে তাতে অসুবিধা কোথায় ?
রুহান জানে, কোনোই অসুবিধা নেই । শরীরে এই সামান্য কিছু পরিবর্তন না আনলে এই গ্রহে কেউই বেচে থাকতে পারতো না । শুধু এই গ্রহে কেন, কোন গ্রহ-উপগ্রহেই কেউ বেচে থাকতে পারতো না । তবুও মাঝে মাঝে এই চিন্তাটা রুহানের মাথায় কেন আসে রুহান নিজেও জানে না । রুহান উঠে রুমের বাইরে বেরিয়ে আসে । কিরিনার সাথে দেথা করতে যেতে হবে । আজকের এই ইতিহাসগুলো নিয়ে কিরিনার সাথে কিছু আলোচনা করতে হবে । কিছু কিছু বিষয়ে সে ভালো করে বুঝতে পরেনি । কিরিনার সাথে আলোচনা করে ঐ বিষয়গুলো সম্মন্ধ্যে স্বচ্ছ ধারনা নিতে হবে ।...........( চলবে )
[ *** পরবর্তি পর্ব থেকে রয়েছে আকর্ষন । মুল কাহীনি শুরু হচ্ছে পরবর্তি পর্ব থেকে ]
...
......
..........
...............
[ Extra: ধুমপায়ীদের জন্য আকর্ষন: E-Health Cigarette ]
মাস তিনেক আগে নিউমার্কেট থেকে কিনেছিলাম হেব্বি মজার এক Cigarette. USB charger. একটা lighterও কিনেছিলম সেটাও USB charger. E-Health Cigarette টাতে connection নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কয়েকদিন আগে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েছিলাম । তখন কিছু ভিডিও দেখেছিলাম, আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, মজা পেতে পারেন ।
আমি Triple A। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 252 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Very Good Man
কি ব্যাপার। এই পর্বে কোন মন্তব্য নেই কেন। ভাল হয়েছে চালিয়ে যান। 😀