২০১৫ সালের সেরা ১০ বাজেট স্মার্টফোন

'২০১৫ সালের সেরা ১০ স্মার্টফোন' লেখাটিতে আমি লিখেছিলাম যে বছরের শেষে বা শুরুতে অনেকেই নতুন নতুন স্মার্টফোন কিনে থাকেন নতুন বছর উদযাপনের একটি অংশ হিসেবে এবং এজন্য বছরের সেরা ১০টি ফোনকে তালিকাবদ্ধ করতে চেষ্টা করেছিলাম।

তালিকাটিতে স্থান পেয়েছিল আইফোন, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৬, নোট ৫ ইত্যাদি বাঘা বাঘা সব ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস। আর এটাই স্বাভাবিক কেননা যখন 'সেরা' টার্মটিকে ব্যবহার করা হয় তখন সেখানে মূলত ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসগুলোই রাজত্ব করে। কিন্তু, আমাদের মধ্যে অনেক স্বল্প আয়ের মানুষও রয়েছেন বা বলা চলে আমাদের দেশে স্বল্প আয়ের মানুষের পাল্লাই বেশি এবং তাদের বেশিরভাগের পক্ষেই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসগুলো কেনা অনেকটা বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে। তাই তারা নিম্ন-বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতেই খুশী থাকেন, থাকতে হয় আরকি! তবে এর মানে কিন্তু এরকম নয় যে কম মূল্যের স্মার্টফোনগুলো ভালো নয়! বছরঘুরে ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস আর কয়টা আসে প্রযুক্তি বাজারে? বাজার ঘুরলে আপনিও বুঝতে পারবেন যে ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসগুলোই নয় বরং বাজারে মিড-এন্ট্রি বা কম মূল্যের স্মার্টফোনগুলোই বেশি বেচাকেনা হয়ে থাকে।

আর তাই আমার মত যারা বছর শেষে নতুন স্মার্টফোন হিসেবে লো বা মিড এন্ট্রির স্মার্টফোন কিনবেন বলে মনস্থির করেছেন তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি লিখে ফেললাম। আজকের তালিকায় এনেছি এমন কিছু স্মার্টফোন যেগুলোর মূল্য মোটামুটি কম হলেও পারফর্মেন্স চমৎকার। চলুন তাহলে, শুরু করা যাক আজকের সংক্ষিপ্ত রিভিউটি।

হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড মেট ২ ৪জি 

হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড মেট ২ ৪জি স্মার্টফোনকে কিন্তু আমরা ফ্যাবলেটও বলতে পারি! জ্বি হ্যাঁ, ডিভাইসটিতে রয়েছে বেশ বড় একটি ডিসপ্লে প্যানেল। এর ৬.১ ইঞ্চি আকারের আইপিএস স্ক্রিনের সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহার করেছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩ প্রযুক্তি। এছাড়াও স্মার্টফোনটিতে রয়েছে একটি ১.৬ গিগাহার্জ গতি বিশিষ্ট কোয়াড-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৪০০ কর্টেক্স এ-৭ প্রসেসর এবং ২ গিগাবাইট র‍্যাম। ডিভাইসটিতে বিল্ট ইন স্টোরেজ হিসেবে দেয়া হয়েছে ১৬ গিগাবাইট অন-বোর্ড মেমরি এবং ডিভাইসটি এক্সটার্নাল মেমরি কার্ডও সাপোর্ট করে। অ্যাসেন্ড মেট ২ ৪জি ডিভাইসটিতে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা এবং ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা যা বেশ ভালোই আউটপুট দিয়ে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৩ সমৃদ্ধ এই ডিভাইসটি আপনি এক চার্জেই বেশ খানিকটা সময় ব্যবহার করতে পারবেন কেননা এতে যুক্ত করা হয়েছে ৩৯০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি।

মূল্য: প্রায় ৩০০ ডলার

ওয়ানপ্লাস ওয়ান 

ওয়ানপ্লাস ওয়ান ডিভাইসটি প্রযুক্তি বাজারে গতবছরের এপ্রিলে প্রকাশ করা হয়েছিল ইনভাইটেশন সিস্টেমের মাধ্যমে। চমৎকার স্পেসিফিকেশন এবং মোটামুটি কম মূল্যের মিশ্রণে ফ্লাগশিপ এই ডিভাইসটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল বেশ কম সময়েই।

ডিভাইসটিতে রয়েছে একটি কোয়াড কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮-১ প্রসেসর, ৩ গিগাবাইট র‍্যাম এবং ৫.৫ ইঞ্চি আকারের একটি বিশাল আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে প্যানেল। এছাড়াও ডিভাইসটিতে রয়েছে বেশ শক্তিশালী ১৩ মেগাপিক্সেলের সনি সেন্সর বিশিষ্ট রিয়ার ক্যামেরা এবং ৫মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং শুটার। বুঝতেই পারছেন, ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসতো আর এমনিই নাম দেয়া হয়েছিল না। গত বছরের জনপ্রিয় এই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসটিকে আপনি যদি বর্তমানের কোন স্মার্টফোনের সাথে তুলনা করতে চান তবে হেরে গেলেও খুব চমৎকার একটি প্রতিযোগীতা উপহার দিতে সক্ষম হবে।

মূল্য: ১৬ গিগাবাইট ভ্যারিয়েন্টের মূল্য প্রায় ২৯৯ ডলার।

আসুস জেনফোন ২

তাইওয়ানের স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচারার আসুস জেনফোন ২ এর ঘোষণা দিয়েছিল ২০১৫এর জানুয়ারির দিকে। পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠানটি বাজারে ডিভাইসটির দুটি ভ্যারিয়েন্ট বাজারে প্রকাশ করে, একটিতে ছিল ২গিগাবাইট র‍্যাম এবং অন্যটিতে ৪গিগাবাইট। এছাড়া দুটি স্মার্টফোনেই রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা ইউনিট এবং ৫.৫ ইঞ্চি আকারের চমৎকার স্ক্রিন। পাশাপাশি ডিভাইসটির বিল্ড কোয়ালিটও চমৎকার এবং এতে এলজির বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোর অনুকরণে ব্যবহার করা হয়েছে ব্যাক-বাটনও।

৪ গিগাবাইট মডেলটির রয়েছে ২ গিগাবাইট ভ্যারিয়েন্টের থেকে বেশি স্টোরেজ এবং দ্রুত প্রসেসিং স্পিড। প্রযুক্তি বাজারে ৪ গিগাবাইট র‍্যাম সমৃদ্ধ প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে তালিকায় নাম লিখিয়েছে এই স্মার্টফোনটি।

মূল্য: ১৯৯ ডলার থেকে ২৯৯ ডলার প্রায়।

মটোরোলা মটো জি (২০১৫)

বর্তমান সময়ে যদি কোন কম মূল্যের তালিকা তৈরি করা হয় তবে অবশ্যই মটো জি ডিভাইসগুলো বাদ যাবেনা, এটা অসম্ভব। যখন মটোরোলা (সম্ভবত ২০১৩) তাদের প্রথম মটো জি এডিশনটি বাজারে প্রকাশ করে সে সময়টায় এই মূল্যে মটো জি ডিভাইসটির আশেপাশেও কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলোনা। বুঝুন, কত আগ থেকেই এই তালিকায় রাজত্ব করে আসছে ডিভাইসটি।

এবছরের নতুন মটো জি'র এই এডিশনে আপনি কিছুটা মটোরোলার শেষ ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস মটো এক্স এর ছোঁয়া পাবেন। দ্বিতীয় প্রজন্মের এই মটো জি ডিভাইসটিতে রয়েছে ডুয়াল-সিমের সুবিধাও। এছাড়াও ডিভাইসটিতে আপনি একই সাথে পাবেন চমৎকার পারফরমেন্স, ডিসেন্ট ডিসপ্লে এবং ক্যামেরা, অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ এবং অসাধারণ ব্যাটারি ব্যাক-আপ।

মূল্য: প্রায় ১৮০ ডলারের কাছাকাছি।

সনি এক্সপেরিয়া এম২ 

মাত্র ১৮০ ডলারের এই সার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১.২ গিগাহার্জের কোয়ালকমের স্ন্যাপগ্রাগন ৪০০ প্রসেসর যা খুবই কম ব্যাটারি খরচ করে থাকে। এছাড়াও ডিভাইসটিতে যুক্ত করা হয়েছে ১ গিগাবাইট র‍্যাম যা মাল্টি টাস্কিং-এর জন্য মোটামুটি বলা যায়। ৪.৮ ইঞ্চি আকারের স্ক্রিনের এই স্মার্টফোনটির পিক্সেল ঘনত্ব ২২৯।

ডিভাইসটিতে বিল্ট ইন স্টোরেজ হিসেবে দেয়া হয়েছে ৮ গিগাবাইট অন-বোর্ড মেমরি তবে আপনি চাইলে মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে তা বৃদ্ধি করতে পারবেন। স্মার্টফোনটির রিয়ার ক্যামেরা ইউনিটে ডিসেন্ট ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামের থাকলেও সামনে রাখা হয়েছে ভিজিএ ক্যামেরা যা স্মার্টফোনটির একমাত্র ড্র-ব্যাক হতে পারে। তবে যেহেতু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে তাই ২৩০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার যুক্ত এই স্মার্টফোনটি এক চার্জে বেশ ভালোই ব্যাক-আপ দিবে বলে আমি আশাবাদী।

মূল্য - প্রায় ১৮০ ডলার।

মটোরোলা মটো জি (২০১৪)

ভাবছেন উপরেইতো একবার মটো জি ডিভাইসটির কথা লিখেছি? হ্যাঁ, তা লিখেছি তবে এটি কিছুটা পুরাতন ভার্সন, মটো জি (২০১৪)।

ডিভাইসটির স্পেসিফিকেশনতো উপরেই লিখেছি তবে একটু খেয়াল করলে দেখবেন এর স্পেসিফিকেশন অনেকটাই সনি এক্সপেরিয়া এম২ এর সাথে মিলে যায়। এতে রয়েছে একই কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪০০ প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র‍্যাম, ৮গিগাবাইট স্টোরেজ এবং ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা তবে এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি সামান্য কম। ডিভাইসটিতে রয়েছে ২০৭০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি ইউনিট।

মূল্য: প্রায় ১৭৯ ডলার।

এইচটিসি ডিজায়ার ৬১০

কম মূল্যের চমৎকার এই স্মার্টফোনটিতে আপনি ডিজাইনের ক্ষেত্রে এইচটিসির প্রিমিয়াম দুটি স্মার্টফোন ওয়ান এম৮ এবং ওয়ান এম৯ -এর ছোঁয়া পাবেন। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ২৩৪ পিপিআই সমৃদ্ধ একটি ৪.৭ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লে যা আপনার দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহার করেও বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন আপনি কেননা এর ডিসপ্লে খুব বেশি বড়ও নয় আবার ছোটও নয়। আর এইচটিসির সেন্স ইউআই ৫.৫তো রয়েছেই।

ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪০০ প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র‍্যাম এবং ৮ গিগাবাইট বিল্ট-ইন স্টোরেজ যা আপনি ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন এক্সটার্নাল এসডি কার্ড স্লট ব্যবহারের মাধ্যমে। এইচটিসি ডিজায়ার ৬১০ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা এবং ১.৩ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। খুব আহামরি কিছু হয়ত এই স্মার্টফোনটিতে আপনি খুঁজে পাবেন না তবে মাত্র ১৭৫ ডলার মূল্যের একটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে এর চাইতে বেশি কিছু আশা করাও কিছুটা বোকামি।

মূল্য: প্রায় ১৭৫ ডলার।

শাওমি রেডমি ২

শাওমির এই ডিভাইসটি শাওমি হংমি ২ নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। মাত্র ১৪০ ডলার মূল্যের এই স্মার্টফোনটিতে আপনি পাবেন ৪.৭ ইঞ্চি আকারের একটি ডিসপ্লে প্যানেল যার পিক্সেল রেজ্যুলেশন এই মূল্যের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডিভাইসগুলোকে ধারে কাছেও ঘেষতে দেবেনা। ডিভাইসটির ডিসপ্লে ইউনিটের পিক্সেল ঘনত্ব ৩১২ পিপিআই যা সত্যিই চমৎকার, নয় কি। এছাড়াও ডিভাইসটিতে রয়েছে ১.২ গিগাহার্জ গতির স্ন্যাপড্রাগন ৪১০ প্রসেসর। শাওমি প্রতিষ্ঠানটি এই ডিভাইসটির দুটি ভ্যারিয়েন্ট বাজারে প্রকাশ করেছে, একটিতে রয়েছে ৮ গিগাবাইট স্টোরেজ এবং ১ গিগাবাইট র‍্যাম এবং অন্যটিতে ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ এবং ২ গিগাবাইট র‍্যাম, আর পাশাপাশি মাইক্রোএসডি কার্ড স্লটতো থাকছেই।

ক্যামেরার দিক দিয়ে বিবেচনা করলেও স্মার্টফোনটি বেশ কিছুটা এগিয়েই থাকবে কেননা এতে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং শুটার। শুধু যে এর পেছনের ক্যামেরাটিই ভালো তা কিন্তু নয় বরং সেলফি প্রেমীরা এর ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললে কিছুটা অবাকই হবেন, বেশ ভালো আউটপুট দিয়ে থাকে এর ফ্রন্ট ক্যামেরা ইউনিটটি। ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে ২২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ইউনিট যা এক চার্জে খুব সহজেই আপনাকে সারাদিন ব্যাক-আপ দিতে সক্ষম বলেই আমি মনে করি।

মূল্য: ১৪০ ডলারের কাছাকাছি।

মটোরোলা মটো ই (২০১৫) 

আজকের কম মূল্যের স্মার্টফোনের তালিকায় থাকা সবচাইতে কম মূল্যের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি হচ্ছে মটোরোলার মটো ই (২০১৫)। হ্যাঁ, এই স্পেসিফিকেশনের স্মার্টফোন এর থেকেও কম মূল্যে আপনি অন্যান্য নন-ব্র্যান্ডের মধ্যে পাবেন তবে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের কোন স্মার্টফোনই দামের দিক দিয়ে মটো ই ডিভাইসটিকে হারাতে পারবে না। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে একটি ডুয়াল-কোর প্রসেসর এবং ১ গিগাবাইট র‍্যাম। ডিজাইনের দিক দিয়ে স্মার্টফোনটিতে আপনি কিছুটা মটো জি এবং মটো এক্স ডিভাইস দুটির ছোঁয়া পাবেন বলা যায়। স্মার্টফোনটিতে রয়ছে কার্ভড ব্যাক পার্ট যা হাতে চমৎকার গ্রিপ প্রদান করে এবং এর বিল্ড কোয়ালিটিও বেশ শক্তিশালী।

ডিভাইসটির অপারেটিং সিস্টেমকেও করা হয়েছে বেশ অপটিমাইজড এবং এর ব্যাটারি পারফর্মেন্সও চমৎকার। তবে এই মূল্যে এতসব ভালো দিক তুলে ধরার জন্য মটোরোলার মটো ই-কে বেশ কিছু দিক দিয়ে কিছুটা ছাড়ও দিতে হয়েছে। যেমন ধরুন, এতে আপনি পাবেন ৫মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা যা মোটামুটি মানের ছবি তুলতে সাহায্য করবে এবং একটি ৪.৩ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লে প্যানেল যা দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে দেখতেও আপনার কিছুটা কষ্ট হবে। তবে মাত্র ৯২ ডলারের একটি স্মার্টফোনে চমৎকার এতগুলো দিক থাকার পরেও আসলেই কি দোষ ধরার মত কিছু থেকে যায়?

মূল্য: ৯২ ডলার (প্রায়)।

মাইক্রোসফট লুমিয়া ৪৩০ 

কম মূল্যের স্মার্টফোনের তালিকায় যে শুধু অ্যান্ড্রয়েডই রাজত্ব করবে তা কীভাবে হয়? মাইক্রোসফটও বেশ কিছু স্মার্টফোন সম্প্রতি বের করেছে যেগুলো বেশ কম মূল্যেই ব্যবহারকারীরা উপভোগ করতে পারছেন এবং বেশ পছন্দও করছেন। মাইক্রোসফটের লুমিয়া ৪৩০ এমন একটি ডিভাইস। মাত্র ৭০ ডলার মূল্যের এই স্মার্টফোনটিতে প্রতিষ্ঠানটি যোগ করেছে ৪.০ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লে প্যানেল যার পিক্সেল ঘনত্ব ২৩৫ পিপিআই। এছাড়াও রয়েছে ১.২ গিগাহার্জ গতি সম্পন্ন একটি ডুয়াল কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২০০ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট অন-বোর্ড মেমরি এবং ১ গিগাবাইট র‍্যাম। আমার মতে এই মূল্যে এরকম স্পেসিফিকেশন দেখার পর নিশ্চয়ই কেউ আর অন্তত কোন অভিযোগ করবেন না! হ্যাঁ, ক্যামেরার দিক দিয়ে তুলনা করলে স্মার্টফোনটি বেশ কিছুটা পিছিয়েই থাকবে তবে আবারও ঐ একই কথা বলব, এই মূল্যে আমার মতে এটাও কম কিছু নয়।

মূল্য - প্রায় ৭০ ডলারের কাছাকাছি।

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।

সময় থাকলে আমার সাইট ভিজিট করবেন এখানে ক্লিক করে

 

Level 0

আমি ফয়সাল আমিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

টেক জগতটাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি টেকটিউন্সকে। অনেক কিছুই শিখিয়েছে এটি আমাদের। চেষ্টা করছি কিছু দেবার।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস