উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ। প্রকৌশল হোক কিংবা বাণিজ্য হোক—দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করেই শিক্ষার্থীরা মাস্টার্স বা পিএইচডি অর্জনের জন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন শুরু করেন।
জিআরই, জিম্যাট—দুটো পরীক্ষাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য প্রাথমিক শর্তগুলোর একটি। এমবিএ কিংবা বাণিজ্যের বিষয়গুলোতে পড়ার জন্য জিম্যাট স্কোর জরুরি শর্ত। অন্য যেকোনো বিষয়ে পড়তে জিআরই স্কোর গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, স্কলারশিপ ও ফান্ডিং অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে এই দুই পরীক্ষার স্কোরের উপর।
জিআরই
গ্র্যাজুয়েট রেকর্ডস এক্সামিনেশনসের সংক্ষিপ্ত রূপ জিআরই। যুক্তরাষ্ট্রের এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস (ইটিএস) এই পরীক্ষার তত্ত্বাবধায়ক। ইটিএস অনুমোদিত নির্ধারিত পরীক্ষার কেন্দ্রে কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে হয়। ছয়টি অংশে বিভক্ত এ পরীক্ষার মোট সময় তিন ঘণ্টা ৪৫ মিনিট।
লিখিত পরীক্ষা: পরীক্ষার শুরুতে দুটি নিবন্ধ লিখতে হয়। ইস্যু টাস্ক ও আর্গুমেন্ট টাস্ক নামের এই অংশে বরাদ্দ ৩০ মিনিট করে মোট এক ঘণ্টা সময়। ইস্যু টাস্কে একটি বিষয়ে দুটি বক্তব্য দেওয়া হয়। সেই বক্তব্যের পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি লিখতে হয়। পরের অংশে আর্গুমেন্ট টাস্কে একটি বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হয়। যুক্তি দিয়ে সেই বক্তব্যের পেছনের কারণ, আলোচিত দিক, দুর্বলতা বা শক্তি সম্পর্কে লিখতে হয়। শূন্য থেকে ৬ নম্বরের মধ্যে স্কোর দেওয়া হয়।
ভারবাল রিজনিং: দুটি ভাগে বিভক্ত এই অংশের জন্য মোট ৬০ মিনিট বরাদ্দ। ৩০ মিনিটে আলাদাভাবে দুই অংশে ২০টি করে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এ অংশে এমসিকিউ ধরনের শূন্যস্থান পূরণ, বাক্য সম্পূর্ণ করা, রিডিং কমপ্রিহেনশনের প্রশ্ন আসে।
কোয়ানটিটেটিভ রিজনিং: এ অংশও দুই ভাগে বিভক্ত, মোট সময় ৭০ মিনিট। ৩৫ মিনিটে আলাদাভাবে দুই অংশে ২০টি করে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সাধারণ গাণিতিক হিসাব, বীজগণিত ও জ্যামিতির ওপর বিভিন্ন প্রশ্ন আসে।
অন্যান্য অংশ: জিআরই পরীক্ষায় গবেষণা, পরীক্ষামূলক নামে আরেকটি অংশ থাকে। এই অংশের নম্বর যোগ হয় না। তবে শিক্ষার্থীদের জানানো হয় না কোন অংশটি গবেষণা বা পরীক্ষামূলক অংশ।
স্কোর: জিআরই পরীক্ষার স্কোর প্রকাশের পাঁচ বছর পর্যন্ত মূল্যায়ন করা হয়। ভার্বাল ও কোয়ানটিটেটিভ অংশে ১৩০ থেকে ১৭০-এর মধ্যে স্কোর প্রদান করা হয়। এ ছাড়া অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিংয়ে শূন্য থেকে ৬-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হয়।
এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ধরন ও রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে জানতে লগইন করুন ets.org ওয়েবসাইটে।
জিম্যাট
গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্টকে জিম্যাট পরীক্ষা বলা হয়। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ ডিগ্রির জন্য পড়াশোনার জন্য এই পরীক্ষার স্কোর প্রয়োজন। মোট চারটি অংশে বিভক্ত এ পরীক্ষার সময় থাকে তিন ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
অ্যানালাইটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট: এ অংশে ৩০ মিনিটে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। একটি বক্তব্য প্রশ্ন হিসেবে দেওয়া হয়। আপনাকে সে ঘটনা বা সিদ্ধান্ত বিশ্লেষণ করতে হবে। নিজের মতামত নয়, ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে হয়। ১ থেকে ৬-এর মধ্যে নম্বর দেওয়া হয়।
ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং: এই অংশে গ্রাফিকস ইন্টারপ্রিটেশন, টু পার্ট অ্যানালাইসিস, টেবিল অ্যানালাইসিস ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে ৩০ মিনিটে ১২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
কোয়ানটিটেটিভ: সাধারণ গণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি থেকে ৩৭টি প্রশ্ন থাকে। মোট সময় ৭৫ মিনিট। এতে ডেটা সাফিসিয়েন্সি-সংক্রান্ত প্রশ্ন থাকে।
ভার্বাল: রিডিং কমপ্রিহেনশন, ক্রিটিক্যাল রিজনিং, বাক্য সংশোধনের ওপর ৭৫ মিনিটে ৩৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
জিম্যাট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ধরন ও রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে জানতে লগইন করুন mba.com ওয়েবসাইটে।
জিআরই/জিম্যাট প্রস্তুতি
স্নাতক পড়ার সময়েই জিআরই/জিম্যাট পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা যেতে পারে। বছরের বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে, তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।
প্রস্তুতির জন্য ব্যারনস, কাপলান, প্রিন্সটনের বিভিন্ন বইয়ের সাহায্য নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন। ঢাকার আমেরিকান সেন্টার ও ইএমকে সেন্টার থেকে পরীক্ষার নিবন্ধন, ফি, পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন। ঢাকার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান জিআরই ও জিম্যাট পরীক্ষার বিভিন্ন বই ও পড়াশোনার জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: িজআরই ও জিম্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
ক্যারিয়ার ও উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত যেকোন সাহায্যের জন্য সাইটটি(Career Foundation) ভিজিট করতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন।
আমি রাজিব মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন ছাত্র। প্রযুক্তি নিয়ে থাকতে ভালোবাসি। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বিষয়ক নতুন নতুন তথ্য জানতে এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসি।আমাদের দেশ তথ্য প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,জীবনের প্রতিটি পার্যায়ে এখন তথ্য প্রজুক্তির ছোঁয়া।উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহণে তথ্য প্রযুক্তির কোন বিকল্প নাই।তাই আমাদের সবার উচিত তথ্য প্রযুক্তির সাথে থাকা
khub dorkari tune…thnx vai.