আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনসে নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে, আইপি ক্যামেরা কী? আইপি ক্যামেরার সঠিক ব্যবহার নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে।
আজকাল প্রায় প্রতিটি মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য ক্যামেরা ব্যবহার করে। ক্যামেরা দিয়ে সাধারণত ছবি তোলা, ভিডিও তৈরি, নিরাপত্তা, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ, রেকর্ড সংরক্ষণ, সাক্ষ্য এবং আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের জন্য ভিডিও রেকর্ডের কাজে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি আপনার বাড়ি, অফিস, দোকান ইত্যাদি সুরক্ষিত এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই সিসিটিভি (আইপি ক্যামেরা) ক্যামেরা লাগাতে হবে।
বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা ইতোমধ্যেই তাদের কাজের সময় এবং কর্মচারীদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে সিসিটিভি ক্যামেরা সাহায্য নিচ্ছেন। বর্তমানে, ট্র্যাফিক পুলিশও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করে লাল বাতি জাম্পিং এবং অতিরিক্ত গতিতে চলমান গাড়িগুলো শনাক্ত করছে। যাইহোক, স্মার্টফোনের ক্যামেরা, ডিএসএলআর ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরার মতো অনেক ধরনের ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু আমরা যখন CCTV ক্যামেরার কথা বলব, তখন এনালগ এবং আইপি ক্যামেরার কথা চলে আসে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে এনালগ ক্যামেরা নিয়ে কথা বলবো না, আজকে আমি আপনাদের সাথে আইপি ক্যামেরা কী, এটি কীভাবে কাজ করে এবং এর সুবিধা – অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
IP ক্যামেরার পূর্ণরূপ অথবা পুরো নাম হল Internet Protocol camera বা ইন্টারনেট প্রোটোকল ক্যামেরা। এই ধরনের ক্যামেরাকে ইন্টারনেট ক্যামেরা বা নেটওয়ার্ক ক্যামেরাও বলা হয়ে থাকে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন প্রযুক্তির বিকাশ হচ্ছে, তেমনি আধুনিক প্রযুক্তি ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ক্যামেরা প্রতিনিয়ত বাজারে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বের এনালগ সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে বর্তমানে আইপি ক্যামেরা তৈরি হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত আইপি ক্যামেরার নতুন নতুন ভার্সন তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে এই আইপি ক্যামেরা সারাদিনের প্রায় সব কাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
আইপি ক্যামেরা (Internet Protocol Camera) হলো, এক ধরনের ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা। এই ক্যামেরা একটি আইপি নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা পাঠায় এবং ডেটা গ্রহণ করে। একটি আইপি ক্যামেরা, ভিডিও সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করে এবং নেটওয়ার্ক বায়ারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডারে (NVR) দিয়ে ভিডিও ডেটা সেন্ড করে। আপনি ইন্টারনেট সংযোগ নেটওয়ার্ক অথবা ভিডিও রেকর্ডার ছাড়াও আইপি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারবেন না।
বিশ্বের প্রথম আইপি ক্যামেরাটি ১৯৯৬ সালে অ্যাক্সিস কমিউনিকেশনস গ্রুপ দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। একে বলা হত Axis Neteye 200। এটি ক্যামেরার ইন্টারনাল একটি কাস্টম ওয়েব সার্ভার ব্যবহার করা হয়েছিলো। ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে, কোম্পানিটি তাদের ক্যামেরা চালানোর জন্য এমবেডেড লিনাক্স ইউজ করা শুরু করে। Axis, “VAPIX” নামে তার লো-লেভেল API-এর জন্য ডকুমেন্টেশনও প্রকাশ করে, যা HTTP এবং রিয়েল টাইম স্ট্রিমিং প্রোটোকল (RTSP)-এর ওপেন স্ট্যান্ডার্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এই উন্মুক্ত আর্কিটেকচারটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার নির্মাতাদের সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবস্থাপনা এবং রেকর্ডিং সফটওয়্যার বিকাশে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
প্রথম বিকেন্দ্রীভূত (Decentralized) আইপি ক্যামেরাটি ১৯৯৯ সালে মোবোটিক্স দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছিল। ক্যামেরার লিনাক্স সিস্টেমে ভিডিও, অ্যালার্ম এবং রেকর্ডিং ম্যানেজমেন্ট ফাংশন ছিলো, এই ক্যামেরা সিস্টেমে রেকর্ডিং ইভেন্ট বা ভিডিও পরিচালনা করার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভিডিও ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় না। Intellio দিয়ে ২০০৫ সালে অনবোর্ড ভিডিও কনটেন্ট অ্যানালিটিক্স (VCA) সহ প্রথম আইপি ক্যামেরা প্রকাশিত হয়েছিল। এই ক্যামেরাটি বিভিন্ন ইভেন্ট শনাক্ত করতে সক্ষম ছিল, যেমন কোন নির্দিষ্ট বস্তু। পরবর্তীতে, আইপি ক্যামেরা ধীরে ধীরে আপডেট হতে হতে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে।
আইপি ক্যামেরা প্রধানত নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি কোনো দোকানের মালিক হন। তাহলে আপনি আপনার দোকানে আইপি ক্যামেরা ইনস্টল করতে পারেন। এরপর যেকোনো সময় আপনার কাছে থাকা যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার করে আপনার দোকানের নিদিষ্ট সময়ের ফুটেজ সরাসরি দেখতে পারেন। এটি করার মাধ্যমে আপনি আপনার দোকানের কর্মীদের এবং আপনার গ্রাহকদের ট্র্যাক করতে পারেন। লাইভ ফুটেজ দেখা ছাড়াও, এই ক্যামেরাটি দিয়ে যেকোন সময়ের সমস্ত ফুটেজ রেকর্ড করতে পারবেন, যা আপনি পরে যে কোন প্রয়োজনে দেখতে পারবেন।
রেকর্ডিংয়ের সুবিধা হল যে, আজ যদি আপনার দোকানে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে (যেমন – চুরি, ডাকাতি), তাহলে আপনি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানতে পারবেন যে কী ঘটেছে এবং কারা এটি করেছে। আপনি এই ধরনের ক্যামেরা যে কোনও জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন যেমনঃ হাসপাতালে, বাড়িতে, হোটেলে, অফিসে, স্কুল এবং কলেজে ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে এই ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজন এবং সঠিক সিন্ধান্ত। আপনার বাড়ি, দোকান বা যেকোন প্রতিষ্ঠান নিরাপদ রাখতে, অবশ্যই আপনার আইপি ক্যামেরা ব্যবহার করা উচিত!
এতক্ষণ আমরা আইপি ক্যামেরার ইতিহাস, ব্যবহার বিধি ইত্যাদি সম্পর্কে নতুন অনেক কিছুই জানতে পারলাম। আচ্ছা এবার যদি আপনি আমার টিউন পড়ে আইপি ক্যামেরা কেনার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে যান তাহলে তো শুরুতেই আপনাকে আইপি ক্যামেরা ইন্সটল প্রসেস সম্পর্কে জানতে হবে। প্রসেস বললে কিছুটা ভুল হবে৷ আমরা এই পর্বে মূলত আইপি ক্যামেরা লাগানোর জন্য কোন কোন জিনিসগুলো অনেক বেশি প্রয়োজন সে সকল জিনিস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
LED টিভি বা মনিটরের সাহায্যে লাইভ সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে HDMI কেবলের সাহায্যে NBR-কে মনিটরের সাথে সংযুক্ত করতে পারেন। তাহলে আপনার আইপি ক্যামেরা সেটআপ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
একটি আইপি ক্যামেরা আপনাকে আপনার লোকাল কম্পিউটারে এবং NVR (নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার) ছাড়াই দূরবর্তী যে কোন জায়গা থেকে লাইভ ভিডিও ভিডিও দেখার সুবিধা দিবে। এই ক্যামেরাগুলি যেকোন জায়গায় লাগানো একদম সহজ। এছাড়া যে কোনও জায়গায় লাগানো যায়। পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে আপনি সরাসরি এই ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে পারবেন। ফুটেজ দেখে যে কোনো সমস্যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।
আইপি ক্যামেরা ব্যবহারকারীরা যদি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে, তাহলে ব্যবহারকারীরা সব সময়, সব জায়গা থেকে আইপি ক্যামেরা অ্যাক্সেস করতে পারবে। আইপি ক্যামেরা, এর ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত যে কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস থেকে নিদিষ্ট স্থানের সরাসরি লাইভ ভিডিও দেখতে পারে। আইপি ক্যামেরা ব্যবহারকারীরা যে কোন ডিভাইস থেকে লাইভ ফুটেজ দেখার পাশাপাশি, সেই ভিডিওটি বিশ্বের যে কোনো স্থানে পাঠাতে পারেন।
ভালো ভিডিও কোয়ালিটি সম্পুর্ন আইপি ক্যামেরাগুলো 4K রেজুলেশন পর্যন্ত ভিডিও সাপোর্ট করে। যার কারণে এই ক্যামেরাগুলো দিয়ে ভিডিও কোয়ালিটি খুব ভালো দেখা যায়। এছাড়াও আপনি অন্য ক্যামেরার মতো, বিভিন্ন রেজুলেশনের আইপি ক্যামেরা বাজারে পাবেন। আপনি যত ভালো রেজুলেশনের ক্যামেরা নিবেন, আপনার ভিডিও কোয়ালিটির মান তত ভালো হবে। ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হওয়ার জন্য, সবকিছু আপনি সহজে শনাক্ত করতে পারবেন।
পৃথিবীতে প্রতিটি সুবিধাজনক জিনিসের অসুবিধাময় পরিস্থিতিও রয়েছে। এ যেনো এক মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ বলতে পারে। আচ্ছা তাহলে আমরা একটু আগে আইপি ক্যামেরা সুবিধাগুলো খুব ভালোভাবেই জানলাম। তাহলে অবশ্যই এই পর্বে আমাদেরকে আইপি ক্যামেরার অসুবিধাগুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ যদি আমরা কোনো জিনিস ব্যবহারের সময় সেই জিনিসের অসুবিধাগুলো ভালোভাবে জানতে পারি তাহলে সেই জিনিসটি আমাদের জন্য অনেক বেশি সুরক্ষিত হয়। তাই চলুন আইপি ক্যামেরার অসুবিধাগুলো জেনে নেই।
তবে কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকলে এগুলো ব্যবহার করতে খুব একটা সমস্যা হবে না। আইপি ক্যামেরা সবাই পরিচালনা করতে পারে না। ক্যামেরা পরিচালনার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন পড়ে। আইপি ক্যামেরা পরিচালনার জন্য দক্ষ মানুষে পাওয়া যায় না। আইপি ক্যামেরার এটিও একটি বড় সমস্যা।
যেহেতু আইপি ক্যামেরা ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকে, তাই এটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। বিভিন্নভাবে আইপি ক্যামেরা হ্যাক হতে পারে যেমনঃ ফিজিক্যাল টেম্পারিং, ফিশিং বা স্ক্যামিং, ম্যালওয়্যার, পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং ইত্যাদি। তাই আইপি ক্যামেরা হ্যাকিং থেকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সর্বোচ্চ সর্তকতা এবং সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। নয়তো আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় ডেটা, অথবা ভিডিও যেকেউ খুব সহজেই দেখে নিতে পারবে অথবা মুছে ফেলতে পারে। তাই অবশ্যই আইপি ক্যামেরা হ্যাকিং থেকে রক্ষা করতে হবে৷ আইপি ক্যামেরা হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে আপনার আইপি ক্যামেরার নিরাপত্তা এবং সিকিউরিটি আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন।
এইচডি ক্যামেরা ডিজিটাল ক্যামেরা হল এনালগ ক্যামেরার একটি উন্নত ভার্সন। যা 720 পিক্সেল থেকে 1920 পিক্সেল পর্যন্ত ফুল এইচডি ভিডিও সাপোর্ট করে। ডিভিআর অর্থাৎ ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারে ডিজিটাল ক্যামেরায় ইনস্টল করা হয়। এই ধরনের ক্যামেরা দূরবর্তী কোনো স্থান থেকে অ্যাক্সেস করা যায় না। বরং সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার অ্যাক্সেস করা হয়। বাজারে 2 মেগাপিক্সেল থেকে 8 মেগাপিক্সেল পর্যন্ত ডিজিটাল ক্যামেরা পাওয়া যায়। ক্যামেরার কতটা উন্নত অথবা ক্যামেরার ছবি, ভিডিও রেকর্ড করার ক্ষমতা সবটাই ক্যামেরার দামের উপর নির্ভর করে। তবে বর্তমান সময়ে ভিডিও বানানো থেকে শুরু করে ছবি তোলা পর্যন্ত প্রায় সকল কাজেই ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যবহার করা হয়।
আইপি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডারে (NVR) আইপি ক্যামেরা কানেক্ট করা হয়। একটি আইপি ক্যামেরা, ইন্টারনেট প্রোটোকলের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। আইপি অ্যাড্রেসের সাহায্যে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে আইপি ক্যামেরাগুলোতে অনলাইনে অ্যাক্সেস করা যায়। সব আইপি ক্যামেরার ভিন্ন ভিন্ন আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে। আইপি ক্যামেরা দিয়ে এইচডি ভিডিও রেকর্ড করা যায়। আইপি ক্যামেরায় আপনি ভিডিওটি বেশ কয়েকবার জুম করে দেখতে পারেন, কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরায় জুম ফিচারটি পাবেন না। ডিজিটাল ক্যামেরার চেয়ে আইপি ক্যামেরার দাম কিছুটা বেশি। বাজারে 2 মেগাপিক্সেল থেকে শুরু করে 12 মেগাপিক্সেল পর্যন্ত আইপি ক্যামেরা পাওয়া যায়। আইপি ক্যামেরার ভিডিও রেকর্ডিং কালারফুল অথবা সাদাকালোর আলোকচিত্রের পারফরম্যান্স সবটাই প্রায় তার দামের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনি যতো ভালো আইপি ক্যামেরা নিবেন আপনাকে ততো বেশি অর্থ গুনতে হবে।
আজকের আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন যে, বর্তমান সময়ে আইপি ক্যামেরার কতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি আপনার বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, দোকান বা এমন কোন জায়গা থাকে যেখানে আপনি সর্বদা নজরদারি করতে চান এবং জায়গাটা নিরাপদ রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় স্থানে আইপি ক্যামেরা ইন্সটল করতে পারেন। তাহলে আপনি সহজেই সেই স্থান ৭ দিনের ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করতে পারবেন। আইপি ক্যামেরা আপনাকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তুত। বর্তমান সময়ে আইপি ক্যামেরার বিকল্প কিছু নিরাপত্তার জন্য নাই।
এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায়, কোন ব্যক্তি আপনার ঘরে চুরি করতে এসে আপনার সেই স্থানে আইপি ক্যামেরা লাগানো দেখে সেখান থেকে চলে যাবে। কারণ সে জানে এখানে চুরি করলে কালকে সকালে খবরের কাগজে বড়ো অক্ষরে ছবি সহ তার নাম ছাপা হবে। এছাড়াও বর্তমানে আইপি ক্যামেরার কারণে অনেক জটিল কেসগুলোও পুলিশ সহজেই সমাধান করতে পারছেন। কারণ যেখানে সেখানে এই আইপি ক্যামেরা থাকার কারণে মানুষের অপরাধের সকল কার্যক্রম ভিডিও আকারে অপরাধীর অজান্তেই রেকর্ড হয়ে যায়। যা সত্যি অপরাধ দমনের জন্য অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের, আইপি ক্যামেরা সম্পর্কিত যতোটা সম্ভব হয়েছে বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনারা আজকে নতুন অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলেন।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, আইপি ক্যামেরা কী? আইপি ক্যামেরার সঠিক ব্যবহার! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।