আসসালামু আলাইকুম, আজকের এই টিউনে আমি টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর করে আবার কিভাবে টেকটিউনসের সাথে কাজ শুরু করেছি এই বিষয় নিয়ে কথা বলব। তাহলে চলুন মূল টপিকে চলে যাই।
স্বপ্ন ছিল অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার, কিন্তু কীভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করব? অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ইউটিউব, ফেসবুক সহ গুগলে সার্চ করতে লাগলাম, এখান থেকে অনেক অনেক সাইটের কথা জানতে পারলাম কিন্তু সব ছিল ফেক এবং ধোঁকা বাজ সাইট। তারপর মনে হলো আমার পক্ষে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা হয়ত সম্ভব না। পরবর্তীতে জানতে পারলাম বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক টেকটিউনস এর কথা। টেকটিউনস এর কথা জানার পর থেকে শুরু করি টেকটিউনস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি, অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করার পর মনে হলো হ্যাঁ টেকটিউনস থেকে ইনকাম সম্ভব। তারপর থেকে টেকটিউনস এর সাথে ছুটতে লাগলাম এবং শেষ পর্যন্ত টাকা ইনকাম করতে আমি সক্ষম হলাম আলহামদুলিল্লাহ। আমার মনে হয় টেকটিউনস একমাত্র সাইট যেখান থেকে সঠিক নিয়ম এবং টেকটিউনস এর সকল গাইডলাইন মেনে কাজ করলে আপনিও সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রথমেই আমি আমার পরিচয় দিয়ে নিচ্ছি, আমার নাম মাহবুব আলম তারেক। বাবার নাম রহমত উল্লাহ। আমার জন্মস্থান সিলেটে এবং লেখাপড়া থেকে এ পর্যন্ত সিলেটেই বসবাসরত অবস্থাতেই আছি। আমি এখন ও পর্যন্ত কোন চাকরি অথবা ব্যবসার সাথে জড়িত হইনি অর্থাৎ আমি একজন ছাত্র।
বর্তমানে আমার একমাত্র ইনকাম সোর্স হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক টেকটিউনস। ছাত্র অবস্থাতেই এখান থেকে অনেক ভালো ইনকাম করতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ। টেকটিউনসে কাজ করে আমি আমার পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাই। আমি আশাকরি টেকটিউনস এর গাইডলাইন মেনে যদি পরিশ্রম করি তাহলে এখান থেকেই সফল হতে পারব।
অনেক দিন আগে ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখেছিলাম যেখানে বলেছিলো, বর্তমানে ফেসবুকে একটা টিউন করতে হলেও কিছু না কিছু লিখে আমরা টিউন করে থাকি। আমরা ফেসবুকে লিখে যে টিউন করে থাকি তাতে কিন্তু ফেসবুক আমাদের কোন টাকা দেয় না, আমাদের কোন লাভ হয় না, এক কথায় ফেসবুকে যে সময় দেই আমরা তা সম্পূর্ণ অযথা সময় কাটানো। কিন্তু ফেসবুকে না লেখালেখি করে অন্যান্য সাইটে লেখালেখি করেও কিন্তু ইনকাম করা যায়। ইউটিউবে এই ভিডিও দেখে আমি কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি। তারপর থেকে কোন কোন সাইটে বাংলা লিখে ইনকাম করা যায় তা খুঁজতে লাগলাম এবং প্রচুর লেখালেখি করতাম মোবাইলে।
বর্তমানে পড়া লেখার পাশাপাশি অনেক ছোট ছোট চাকরি করা যায়। যেমন কোন দোকানে ম্যানেজার, কোন হোটেল ম্যানেজার, অথবা কোন জায়গায় কর্মচারী। কিন্তু এই চাকরি গুলো করে লেখাপড়া করা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে, তাই যদি লেখালেখি করে ইনকাম করা যায় তাহলে লেখাপড়ারও কোন ক্ষতি হবে না।
মনে মনে ভাবতাম ছাত্র জীবনে যদি কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারি তাহলে এটা হবে এটা হবে আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য অনেক সাইট পেয়েছিলাম কিন্তু সবগুলো ছিল ধুঁকা বাজ। এই সাইটগুলোতে অনেক সময় দিয়েছি কিন্তু কোন উপকার হয় নি।
অনেক সময় ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখতাম, যেখানে বলত ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া অনলাইনে ইনকাম সম্ভব না, তখন আমার মন ভেঙ্গে যেতো। মনে মনে ভাবতাম তাহলে হয়ত আর কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করা সম্ভব হবে না। কিন্তু হার মানতাম না। ভাগ্য ক্রমে হঠাৎ করে এক ভাইয়ের কাছ থেকে টেকটিউনস এর কথা জানতে পারি। যখন জানতে পারলাম টেকটিউনস এর গাইডলাইন মেনে টেকটিউনসে কাজ করলে সত্যি ইনকাম করা সম্ভব। তখন কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রতি আরো আসক্ত হয়ে পড়ি এবং কাজ ও শুরু করে দেই।
এক কথায় কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করার জন্য যে সুযোগ সুবিধা আমি পেয়েছি তা আমার মনে হয় না অন্য কোন ভাবে সম্ভব। তাই কন্টেন্ট রাইটিং করতে আমার খুব ভালো লাগে। পরিবারে একা হওয়ার জন্য সময় অনেক কম পেয়ে থাকি। কিন্তু অবসর হলেই কন্টেন্ট রাইটিং করি।
কন্টেন্ট রাইটিং করতে অনেক ভালোবাসি তাই অনেক ধরনের কন্টেন্ট লিখে থাকি আমি। কন্টেন্ট লিখে লিখে আমি নিজেও অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যত কন্টেন্ট লিখেছি তত আরো নতুন কন্টেন্ট নিয়ে ভাবতে শুরু করি, এভাবেই কন্টেন্ট লিখে থাকি আমি।
ছোটবেলা থেকেই আমার টেকনোলজি, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে জানার খুব বেশিই আগ্রহ ছিল। তাই টেকনোলজি বা প্রযুক্তি নিয়ে কন্টেন্ট করতে আমার খুব বেশি ভালো লাগে। এ ধরনের কন্টেন্ট প্রায় নিয়মিত করার ইচ্ছে জাগে আমার, তাই এগুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনা ও বেশি।
তাছাড়া আইটি সেক্টর অর্থাৎ কম্পিউটার বিষয়ে ও কন্টেন্ট করে থাকি। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ফ্রিলান্সিং ইত্যাদি বিষয়ে বেশ ধার থাকায় এগুলো নিয়ে ও কন্টেন্ট করে থাকি।
এক কথায় কন্টেন্ট করার অনেক ইচ্ছে থাকায়, চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়েও কন্টেন্ট করার জন্য। মোবাইলের বিষয়েও কন্টেন্ট করে থাকি। টেকটিউনসে আমার বেশিরভাগ টিউন মোবাইলের বিষয়ে রয়েছে।
কন্টেন্ট রাইটিং অনেক আগে থেকেই করতাম। কিন্তু অনেকবার ধুঁকা খেয়ে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে এক বন্ধুর কাছ থেকে টেকটিউনস এর কথা জানতে পারলাম। তার কাছ থেকে টেকটিউনস সম্পর্কে জানলাম কীভাবে টেকটিউনস ক্যাশ প্রসেস করে। কীভাবে টাকা দেয়। এবং টেকটিউনসে কাজ করার নিয়ম।
তারপর গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করলাম টেকটিউনস লিখে। এখান থেকে ও অনেক ধারণা পেয়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক টেকটিউনসে কাজ করলে আর ধোঁকা খেতে হবে না। এভাবেই টেকটিউনস এর সাথে পরিচিত হলাম।
যখন থেকেই জানতে পারলাম যে বাংলা লিখেও ইনকাম করা যায়, তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে বিভিন্ন সাইটের সাথে পরিচিত হলাম। কিন্তু ওই সাইটগুলোতে কাজ করে আমি সফল হতে পারিনি, তার কারণ ছিল সাইট গুলো সম্পূর্ণ ধোঁকাবাজ। ধোঁকা খেতে খেতে এক পর্যায়ে টেকটিউনস এর কথা জানতে পারলাম। টেকটিউনস এর কথা জানার পর টেকটিউনস সম্পর্কে সার্চ করতে লাগলাম। এক পর্যায়ে বুঝতে পারলাম টেকটিউনসে কাজ করে সফল হওয়া সম্ভব।
তারপর জানতে পারলাম টেকটিউনসে কাজ করতে হলে, টেকটিউনস এর কিছু গাইডলাইন রয়েছে সেই গাইডলাইন মেনে কাজ করতে হবে। তারপর ভিজিট করলাম টেকটিউনসে। কিছুদিন সময় দেওয়ার পর টেকটিউনস এর সকল গাইডলাইন জানতে পারলাম। এবং বুঝতে পারলাম টেকটিউনসে ইনকাম করতে হলে আগে ট্রাস্টেড টিউনার হতে হবে।
সবকিছু মিলিয়ে যখন বুঝতে পারলাম হ্যাঁ টেকটিউনস হলো ট্রাস্টেড সাইট তখন সিদ্ধান্ত নিলাম যে করেই হোক ট্রাস্টেড টিউনার হতেই হবে। এভাবেই টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
প্রথমেই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমাকে ট্রাস্টেড টিউনার হতে হবে। তারপর টেকটিউনসে প্রবেশ করে টেকটিউনস এর সকল গাইডলাইন কয়েকবার পড়তে শুরু করলাম। টেকটিউনস এর গাইডলাইন পড়ে যে বিষয়গুলো আমার বুঝতে সমস্যা হয়েছিলো সে বিষয়গুলোকে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়তে লাগলাম। গাইডলাইন পড়ার পর বুঝতে পারলাম যে ট্রাস্টেড টিউনার হওয়ার জন্য আমাকে, টেকটিউনস এর গাইডলাইন অনুযায়ী, টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ করতে হবে, এবং টেকটিউনস গাইডলাইন অনুযায়ী ১০ টি টিউন প্রকাশ করতে হবে।
তারপর প্রথমেই টেকটিউনস গাইডলাইন অনুযায়ী, টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ করলাম। তারপর টেকটিউনস ডেস্কে ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করলাম। যদিও টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ করতে কিছু ভুল হয়েছিলো, টেকটিউনস ভুল গুলো উল্লেখ করার পর ভুল গুলো সংশোধন করলাম। তারপর টেকটিউনস গাইডলাইন অনুযায়ী ১০ টি টিউন প্রকাশ করলাম। তারপর টেকটিউনস টিউনগুলো ভেরিফাই করে, এভাবেই টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার হবার কাজ শুরু করলাম।
টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার হবার পর অনেক উৎসাহের সাথে কাজ করতে শুরু করলাম। কিন্তু হটাৎ করে আমার একটি পারিবারিক সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। তারপর ইচ্ছে থাকলেও টেকটিউনসে কাজ করতে পারিনি। তারপর আমার হাতে থাকা স্মার্টফোন হারিয়ে যায়।
তার কয়েকদিন পর যখন আবারও নতুন আরেকটি স্মার্টফোন হাতে নেই তখন টেকটিউনসে কাজ করার ইচ্ছে জাগে। কিন্তু Gmail তো পাওয়া সম্ভব হচ্ছিলো না এবং প্রায় ১ বছর হয়ে যাওয়ায় টেকটিউনস এর পাসওয়ার্ড ও ভুলে গিয়েছিলাম। এ কারণেই আমার টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার হিসেবে কাজ করা ব্যবহত হলো।
আমি আমার মোবাইল সহ Gmail হারিয়ে টেকটিউনস থেকে ব্যবহত হলাম। কিন্তু আমার টার্গেট ছিল আমি আবারও টেকটিউনসে কাজ করব। কারণ টেকটিউনস এর মতো আর কোনো সাইটে আমি কন্টেন্ট লিখে ইনকামের সুযোগ পাইনি। টেকটিউনস হলো বিশ্বাসযোগ্য একটি সাইট, যেখানে কোন রকম প্রতারণা করা হয় না। টেকটিউনসে কাজ করে আমি বুঝতে পেরেছি যে এখানেই কাজ করে ভবিষ্যতে কিছু করা সম্ভব। আমি আরো বুঝতে পেরেছি এখানে সময় যত বেশি দিবো অর্থাৎ যত বেশি অ্যাক্টিভ থেকে কন্টেন্ট লিখব তত বেশি ইনকাম।
সব কিছু মিলিয়ে আমি যখন বুঝতে পারলাম টেকটিউনস হতে পারে আমার বর্তমানে ইনকামের সেরা উপায়। এবং এখানে কাজ করে আমি একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারব। এই সব কিছু মাথায় রেখেই আমি আবার টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার হিসেবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
প্রথমে সবকিছু মাথায় রেখে আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম যে টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার হিসেবে কাজ করব, তখন থেকে শুরু করলাম টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার রিস্টোর এর কাজ।
আমার আগের Gmail হারানো এবং টেকটিউনস এর পাসওয়ার্ড ভুলার কারণে আমি আমার আগের টেকটিউনস অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারছিলাম না। তারপর নতুন আরেকটি Gmail দিয়ে নতুন আরেকটি টেকটিউনস অ্যাকাউন্ট খুলে টেকটিউনস কে আমার পুরো সমস্যার কথা জানাই। তারপর টেকটিউনস আমার আগের অ্যাকাউন্টের লিংক চাইলে আমি আমার আগের টেকটিউনস অ্যাকাউন্টের লিংক দেই। এবং টেকটিউনস আমাকে যাচাই করার জন্য আমার ইন্টারভিউ নেয়, এভাবে আমি টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনার রিস্টোর এর কাজ শুরু করলাম।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর করার জন্য আমি প্রথমে টেকটিউনস ডেস্কে টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোরের জন্য আবেদন করি। তারপর টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর পিরিয়ডে রেখে আমাকে কিছু নির্দেশনা দেয় এবং টেকটিউনস ফেসবুক গ্রুপে টিউন সাবমিটের এক্সেস ও টেকটিউনস থাম্বনেইল টেম্পলেটের এক্সেস প্রধান করে এবং আমাকে 4 Week সময় দেওয়া হয় এই 4 Week এর প্রত্যেক Week এ টিউন টাস্ক হিসেবে টিউন ড্রাফট মিলিয়ে কমপক্ষে ৩ টি টিউন সাবমিট করতে হবে।
১. টিউনার প্রোফাইল সেটআপ।
২. ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিজের টেকটিউনস অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া।
৩. টিউন টাস্ক গাইডলাইন অনুযায়ী, অ্যাসাইন করা টিউন পাবলিশ করতে হয়।
নিচে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হলো
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর করতে টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ করতে হয়। তাই আমিও প্রথমে টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ করেছি। টেকটিউনস প্রোফাইল সেটআপ করার পর ভেরিফিকেশন এর জন্য টেকটিউনস ডেস্কে আবেদন করেছি।
আমাকে আমার এই টেকটিউনস অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে। টেকটিউনস অপস টিম আমাকে কয়েকটি প্রশ্ন করে, প্রশ্ন এর উত্তর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় দিয়েছিলো আমি সেই সময় মতো সব গুলো উত্তর দিয়েছি। আমি আমার ইন্টারভিউ সফল ভাবে শেষ করার পর আমার টেকটিউনস অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়েছি।
ইন্টারভিউ চলাকালীন সময়ে আমাকে কোন প্রশ্ন করতে দেওয়া হয় নি, কিন্তু ইন্টারভিউ শেষে আমাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি যত গুলো প্রশ্ন করেছি সবগুলোর আশানুরূপ উত্তর প্রধান করে টেকটিউনস অপস টিম। এরকম করেই আমার ইন্টারভিউ শেষ হয়। এবং ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে আমি সফল হই।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর করার সাথে সাথে টেকটিউনস থেকে কিছু টাস্ক দিবে সে টাস্ক গুলো করে দিতে হয়। এখানে টাস্ক বলতে টেকটিউনস ইংরেজি আর্টিকেল দিবে, এগুলোকে বাংলা করে দিতে হয়। বাংলা করতে গিয়ে কোনো রকম ট্রান্সলেশন করা যাবে না। টাস্ক গুলো করতে গিয়ে টাস্কের ভেতরে অর্থাৎ টিউনের ভেতরে এক লাইনের সাথে আরেক লাইন অথবা এক শব্দের সাথে আরেকটি শব্দের মিল নেই এরকম কিছু করা যাবে না। এককথায় টিউন টাস্ক পলিসি - সোর্স রাইট আপ গাইডলাইন অনুযায়ী করতে হয়।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর করতে এই প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর হতে আমি অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি তার মধ্যে একটি হলো বিকাশের সমস্যা। আমার মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় সিমটা ও হারিয়ে গিয়েছিল, যার NID কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা ছিল তিনিও দেশে নেই। এমন অবস্থায় অনেক বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে টেকটিউনস কে সম্পূর্ণ বিষয় খুলে বলার পর টেকটিউনস এই সমস্যা সমাধান করে দেয়। আমি আমার NID কার্ড দিয়ে অন্য নাম্বারে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে তারপর টেকটিউনস প্রোফাইলে সেট করে দেই।
আমাকে যখন টেকটিউনস থেকে টিউন টাস্ক করার জন্য দেওয়া হয়েছিল, তখন এই টিউন টাস্ক নিয়ে বুঝতে একটু সমস্যা হয়েছিলো, তারপর টেকটিউনস অপস টিম আমার এই সমস্যা টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয় তখন আমি বুঝতে পারি। এখন আর এরকম সমস্যা হয় না।
আমার এরকম যত সনস্যা হয়েছিলো টেকটিউনস এর সাহায্য পেয়ে আমি সব সমস্যার জন্য চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি।
টেকটিউনসে ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর হতে গিয়ে আমাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেক কিছু বুঝতে সমস্যা হয়েছে কিন্তু সব কিছুর জন্য আমি টেকটিউনস এর সাপোর্ট পেয়েছি, একবার না বুঝলে আবার ও বুঝাতো এরকম গুরুত্ব সব সাইটে কিন্তু দেয় না এটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
যখন আমি আমার পুরোনো অর্থাৎ এই টেকটিউনস অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার জন্য টেকটিউনস এর কাছে আবেদন করি তখন তারা আমার একটা ইন্টারভিউ নিয়ে ছিল, ব্যক্তিগত ভাবে এটি আমার কাছে ভালো লেগেছে কারণ- আমার ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে টেকটিউনস নিশ্চিত হতে পেরেছে যে এই অ্যাকাউন্ট আমার।
টেকটিউনসে টিউন থাম্বনেইল তৈরি করার জন্য Canva তে একটি ডিজাইন করে দিয়েছে টেকটিউনস। গাইডলাইন অনুযায়ী শুধু ছবি, শিরোনাম এবং কালার চেঞ্জ করলেই একটি থাম্বলেইল হয়ে যায়। এটিও আমার কাছে অত্যন্ত ভাল লেগেছে।
টিউন টাস্ক সম্পূর্ণ অথবা টিউন করার জন্য টেকটিউনস একটি সময় দেয় যে এত দিনের ভেতরে ওই টিউন টাস্ক অথবা টিউন গুলো সাবমিট করতে হবে। কিন্তু আমার একটু সমস্যা থাকার কারণে টেকটিউনস কে জানিয়ে তাদের কাছ থেকে কিছুদিন সময় নিয়েছিলাম, এটাও আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লেগেছে।
এক কথায় টেকটিউনস সব দিক দিয়ে সর্বোচ্চ সাপোর্ট করে থাকে।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর হবার পর এতটাই আনন্দিত ছিলাম যা লিখে প্রকাশ করা অসম্ভব। টেকটিউনসে পুনরায় ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর হবার পর মনে হয়েছিলো যেন নিজের একটি ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছি। কেউ যদি একটি চাকরি পায় সে কিন্তু মনে করে সারা জীবনে যতটুকু কষ্ট করেছে এখন সব কষ্ট সফল হলো, ঠিক একি ভাবে আমিও এতটাই আনন্দিত হয়েছি।
ছাত্র জীবনে কী করব? তা নিয়ে ছিল বিশাল চিন্তা। যে সময়ে টাকা ইনকাম করা অনেক কষ্ট, ঠিক একই সময়ে টেকটিউনস থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব এটা ভাবতেই অনেক হ্যাপি লাগে। টেকটিউনস কে ধন্যবাদ জানাই আমাদের মতো মানুষকে এরকম সুযোগ সুবিধা করে দেওয়ার জন্য।
টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউনারশীপ রিস্টোর করার মূল কারণ হলো আমি টেকটিউনসে অ্যাক্টিভ থেকে এবং নিয়মিত টিউন করে নিজেকে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। টেকটিউনস কে বর্তমানে আমি আমার জীবিকার মূল উৎস মনে করি।
টেকটিউনস থেকে যেন আমি আমার ভালো একটি ভবিষ্যৎ গড়তে এটাই আমার পরিকল্পনা। এখানে কাজ করে নিজেকে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যাওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। টেকটিউনসে আজ থেকে শুরু করলাম নতুন যাত্রা। আশাকরি টেকটিউনসে কাজ করে আমি আমার পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারব।
পরিশেষে, টেকটিউনস এর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকলাম আমাদের মতো মানুষকে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে ইনকাম করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমি আশাকরি টেকটিউনস হবে মানুষের জীবিকার উৎস। যারা আমাদের মতো রয়েছেন তারা টেকটিউনসে কাজ শুরু করতে পারেন। আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে টেকটিউনস কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তারা যেন তাদের অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে পারে আল্লাহ এর দরবারে সে দোয়া করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম, খোদা হাফেজ।
আমি মাহবুব আলম তারেক। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, সিলেট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 95 টি টিউন ও 129 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
I am a Graphics Designer, and have worked on a few other Web Sites.
উপকৃত হলাম