আমাদের পৃথিবীতে অনেক ইতিহাস রয়েছে যেগুলোর প্রকৃত ব্যাখ্যা আজও পাওয়া সম্ভব হয় নি। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, মৃত সাগরের মত অসংখ্য হারিয়ে যাওয়া শহরের ঘটনা মানুষকে চিন্তিত এবং সেগুলো অনুসন্ধানে উৎসাহিত করে। হাজার বছরেরও বেশী সময় আগে মিশরের পিরামিড, ব্যবিলনের হারিয়ে যাওয়া শহর, টাইটানিকের মত বিখ্যাত জাহাজ ডুবি, লুকিয়ে থাকা গুপ্তধন, ভ্যাটিক্যান সিটির রহস্যের মত অসংখ্য ঘটনা প্রবাহে পৃথিবীর মানুষ মুগ্ধ। এইরকম কিছু ঘটনা প্রবাহের অনুসন্ধান নিয়েই আজকের টিউনটি সাজানো হয়েছে..........
মিশরীয় পিরামিড সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট স্থাপত্যের একটি। কেননা এটি কখন নির্মান করা হয়েছে এই বিষয়ে শক্তিশালী কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে এটি যেসময় নির্মান করা হয়েছিল তখন স্থাপত্যের বিকাশ তেমন একটা ঘটেনি, তারপরেও কিভাবে এত বড় পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়। পিরামিড নির্মানের পিছনেও অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যেমন পিরামিড নির্মানের উদ্দেশ্য কি এবং কখন এই সুবিশাল পিরামিড নির্মিত হয়েছিল। বেশ কিছুদিন আগে বিঞ্জানীগন এইসব প্রশ্নের কিছু উত্তর খুজে বের করার চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মনে করেন পিরামিড ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্ব আগে নির্মান করা হয়েছিল, তবে অনেক বিজ্ঞানী এটি নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হন এই বলে যে পিরামিড অন্তত ১০,০০০ বছরেরও পুরানো। পিরামিডের সবচেয়ে অশ্চর্যের বিষয়টি হয় তখনকার সময় ভারী পাথর সরানো বা সাজানোর কাজগুলো কিভাবে করা হয়েছিল যেখানে পিরামিডের এক একটি পাথরের ওজন ২-৯ টন। এত উচুতে তারা কিভাবেই বা পাথরগুলো উঠাল এবং বসাল। মরুভূমির মধ্যে এত পাথরই বা তারা কোথায় পেল? এইসব প্রশ্নের উত্তর আজও বিশ্বের মানুষের কাছে এক রহস্য হয়ে রয়েছে যা হয়ত পৃথিবী বিলুপ্ত হবার আগ পর্যন্ত থাকবে।
ডেড সী বা মুতসাগর সম্পর্কিত প্রায় ৯০০ টি প্রাচীন তথ্য আবিষ্কার করা হয়েছে ১৯৪৭-১৯৫৬ সালের মধ্যে। এই নথিগুলো থেকে একটি তথ্য পাওয়া যায় যে এই মৃতসাগরটি ১০০ খ্রিষ্টপূর্বের আগে তৈরি হয়েছে। হিব্রু ভাষায় কপারশিটে লিখিত কয়েকটি ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে যেগুলোতে রয়েছে কোথায় কোথায় মহামূল্যবান রত্নভান্ডার ছিল সেগুলোর লিস্ট। অনেকেই বিশ্বাস করে যে ডেড সি বা মৃতসাগর থেকে কিছুটা দূরে ১ বিলিয়নেরও বেশী ডলারের স্বর্ন এ রৌপ্য এখানে লুকিয়ে রয়েছে।
ধারনা করা হয় খ্রীষ্টপূর্ব ৪ শতাব্দিতে এটি একটি শক্তিশালী রাজ্য ছিল এবং এখানে প্রায় ২০০০০ লোকের দৈনিক সমাগম হত ব্যবসা বানিজ্যের কেন্দ্র হওয়ার জন্য। যারা এই শহরের অধিবাসী ছিলেন তারা এই শহরটিকে ভালবেসে 'নাবাতাইনস' বলে ডাকত। আরবীয় যাযাবরের একটি দল পেত্রা আসেন এবং পেত্রায় অবস্থান করেন এবং শহরের সবকিছু পাথর দিয়ে তৈরি করেন। এই শহরের মধ্যে তখনকার সময়ের তৈরি একটি থিয়েটার, মন্দির, ভোজ হল, প্রায় ৩০০০ পাহাড় কেটে সেখানে পাহাড়ী মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। এই শহরটি কি কারনে পরিত্যাক্ত করা হয়েছে এটি নিয়েই রহস্যের সৃষ্টি। তবে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন হয়ত ৩৬৩ খ্রীষ্টাব্দের প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পে শহরটির ৫০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখনও এই শহরটি দর্শনার্থীদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। এটাকে পৃথিবীর সপ্তাষ্চর্যের একটি ধরা হয়।
১৯৭৯ সালের দিকে সোভিয়েত প্রত্নতত্ববিদ আফগানিস্তানের একটি ভূমি খনন করে ২০০০০ স্বর্ন মুদ্রা এবং সেগুলো ধারনা করা হয় ২০০০ বছর পুরানো ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশেষজ্ঞগন মনে করেন যে সিল্ক রোডের কাছের শহর ব্যাক্টরিয়ার সংস্কৃতি আফগানিস্তান ইতিহাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। কেউই এই গুপ্তধনের ব্যাপারে সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি তবে অনেকেই মনে করেন এই গুপ্তধন আফগানিস্তান যুদ্ধের পূর্বে কেউ লুকিয়ে রাখতে পারে। এই সব গুপ্তধনের বিষয়টি খুবই সতর্কতার সহিত গোপন রাখা হয় কেননা ৮০% ধনরত্ন তালেবানরা লুট করে নিয়ে গেছে বলে ধারনা করা হয়। ব্যাক্টরিয়া রাজ্যের গুপ্তধন থেকে ৬টি বড় ধরনের তালা মারা বাক্স পাওয়া গেছে যেখানে অসংখ্য পরিমান স্বর্ন এবং রৌপ্য পাওয়া গেছে।
নাজির গুপ্তধন নিয়ে লোকমুখে অজশ্র গল্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো সত্য হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজি সেনাবাহিনী এডলফ হিটলারের অধীনে যুদ্ধ পরিচালিত করে। অসংখ্য স্বর্ন রৌপ্য, মূল্যবান কারুকাজ, মূল্যবান শিল্পকর্ম তারা সারা ইউরোপ থেকে সংগ্রহ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকান সেনাবাহিনী তাদের কিছু গুপ্তভান্ডারের খোজও পেয়েছিল।
যেসব মূল্যবান রত্ন আমেরিকান সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছিলঃ
আপনাদের ভাল লাগলে পরবর্তীতে এগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত টিউন হবে..... সকলকে ধন্যবাদ............
আমি রাখাল বালক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 202 টি টিউন ও 1117 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এদেশের ৯৯% মানুষই কোন না কোন ভাবে দূর্নীতির সাথে জড়িত। হয়ত কেউ ঘুষ দেয় অথবা কেউ নেয় দুটোই তো সমান অপরাধ। আর মায়ের পেটে থাকা শিশুটিও দূর্নীতির অর্থে কেনা খাবার খেয়ে বড় হয়ে উঠে। আর আমরা আশা করছি দেশপ্রেমিক এক নেতা। এটা নিম গাছ লাগিয়ে আম আশা করার মত হয়ে...
😀 ভালো লাগলো…