হুয়াওয়ে (অনেকে আদর করে একে হাওয়াই বলেন) ব্রান্ডের স্মার্টফোনগুলো আমাদের দেশে বেশ ভালোই ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে স্যামসং ডিভাইসগুলো সবথেকে বেশি চলে আর তারপরেই রয়েছে Huawei এর স্থান। আর যারা গত বছরের কোনো স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন তারা সহ যারা হেভি কোনো স্মার্টফোন কেনার চিন্তা ভাবনা করছেন কিংবা এই কোরবানি ঈদে স্মার্টফোন আপগ্রেডের কথা ভাবছেন তাদের জন্যেই আমার আজকের এই টিউন। বাংলাদেশে মাত্র কয়েকদিন হলো Huawei P20 Pro স্মার্টফোনটি অফিসিয়াল ভাবে এসেছে, আর আমি চলে এলাম ডিভাইসটির উপর ছোট একটি রিভিউ নিয়ে। Huawei P20 Pro হতে পারে আপনার পরবর্তী হাই ফাই স্মার্টফোন! কিন্তু কেন?
কারণ এই ডিভাইসে রয়েছে ট্রিপল লেন্সের ব্যাক ক্যামেরা! হ্যাঁ স্মার্টফোনে সব থেকে ভালো কোয়ালিটির ক্যামেরা আপনি পাবেন এই ডিভাইসে! আপনি হয়তো মনে করবেন যে ডুয়েল লেন্সের ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোনগুলো সবে মাত্র বাজারে ঢোকা শুরু করেছে কিন্তু হ্যাঁ এদিকে Huawei অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে গেল। তবে শুধুমাত্র ক্যামেরা দিয়েই কি একটি স্মার্টফোন চলে? এটাই হচ্ছে এখন দেখার বিষয়।
ডিভাইসটির ভালো দিক | ডিভাইসটির খারাপ দিক |
চমৎকার ট্রি-লেন্সের ক্যামেরা | কোনো হেডফোন জ্যাক নেই (3.5mm) |
বৃহৎ স্টোরেজ এবং র্যাম | এর থেকেও দ্রুতগতির স্মার্টফোন বাজারে রয়েছে |
আকর্ষণীয় নজরকারা ডিজাইন | ওয়্যারলেস চাজিং ফিচারটি নেই |
আপগ্রেডেড EMUI ইন্টারফেস | Notch এর সফটওয়্যার এডাপ্টশন আরো ভালো হতে পারতো |
মারাত্বক ব্যাটারি লাইফ | |
হাই কোয়ালিটি ডিসপ্লে |
কী ফিচার:
চীনের গুপ্তচরের অভিযোগে আমেরিকায় বর্তমানে এই Huawei ব্রান্ডের স্মার্টফোন সহ সকল ডিভাইসয়ের বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে। আর এই ঘটনার গোপনে Huawei জবাব দিলো এই চমৎকার ডিভাইসটির উৎপাদনের মাধ্যমে! হুয়াওয়ে এই P20 Pro ডিভাইসটির মাধ্যমে সরাসরি বাজারে টপ ২টি স্মার্টফোন Samsung Galaxy S9 এবং Apple iPhone X এর সাথে সরসরি প্রতিযোগীতায় নেমেছে। মনে রাখবেন P20 Pro কিন্তু এখন হুয়াওয়ের সুপার ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন!
P20 Pro হচ্ছে একটি টিপিক্যাল চাইনিজ স্মার্টফোন যেটায় হেভি উচ্চতর কনফিগারেশন দিয়ে রাখা হয়েছে এবং একই সাথে নজরকারা ডিজাইনও দেওয়া রয়েছে। তবে অনান্য চাইনিজ ব্রান্ডের থেকে কনফিগারেশন এবং ডিজাইনের সুন্দর কম্বিনেশন করতে পেরেছে Huawei। আর সেজন্যই স্যামসংয়ের পরেই চাইনিজ ব্রান্ড হিসেবে নাম আসে হুয়াওয়ের। অন্যদিকে এত টাকা দিয়ে যখন কোনো স্মার্টফোন আপনি কিনবেন তখন ফোনটি হাতের মধ্যে ধরে যদি কোনো প্রিমিয়াম “ফিল” যদি না পান তাহলে কেন আপনি সেটটা কিনবেন? কিন্তু Huawei তাদের এই ডিভাইসে প্রিমিয়াম “ফিল”টাকে অনেক সুন্দর করেই বসাতে পেরেছে। ডিভাইসটি কেনার পর বক্স থেকে বের করে হাতে নিলেই আপনি পেয়ে যাবেন একটি প্রিমিয়াম ফিল! ডিভাইসের সামনে এবং পেছনে দুটিতেই ব্যবহার করা হয়েছে গ্লাস প্রটেক্টশন সিস্টেম। ডিভাইসের ভিতরতে রয়েছে বিশাল 4000mAH ব্যাটারি, সাথে রয়েছে আইফোন এক্স এর মতোই বড় ডিসপ্লে। ডিভাইসটির গ্লাস ডিজাইনের একটা অসুবিধে হচ্ছে পেছনের কভারে এর জন্য আঙ্গুলের ছাপ বা ছোপ লেগে থাকে; যে সমস্যাটা আপনি গ্যালাক্সি এস৯ এবং আইফোন এক্স ডিভাইসেও পাবেন। এছাড়াও পেছনের ক্যামেরার লেন্সের সাইজও বেশ বড় এবং একদম আইফোন এক্স এর মতোই, যারা কারণে ডিভাইসটিকে উপুর হয়ে ফ্ল্যাট ভাবে কোথাও রাখতে গেলে একটু সমস্যায় আপনাকে পড়তে হবে।
অন্যদিকে প্রথমবার যখন আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে ডিভাইসের ফিংঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি সামনে রাখা হয়েছে তখন এটাকে আপনার কাছে একটু আর্শ্চযকর মনে হতে পারে। কারণ অনেকেই এই ফিংঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি তাদের ডিভাইস থেকে তুলেই নিয়েছে (যেমন অ্যাপল), অনেকেই একে ফোনের পিছনে নিয়ে গেছে (যেমন স্যামসং), আবার অনেকেই একে ডাইরেক্টলি ডিসপ্লের ভিতরে নিয়ে এসেছে (যেমন ভিভো)। তবে আপনি প্রথম বার থেকেই যখন এই সামনের ফিংঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি ব্যবহার করা শুরু করবেন তখন থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন যে সামনে ফিংঙ্গারপ্রিন্ট রাখাটাই হচ্ছে সবথেকে শ্রেয়। Huawei P20 Pro এর ফিংঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি বেশ “বেশ” ফাস্ট এবং একুরেট; এবং চোখের পলকেই আপনি আপনার আঙ্গুলের ছোঁয়া দিয়ে ডিভাইসটি আনলক করে নিতে পারবেন।
এটার পাশাপাশি ডিভাইসটিতে রয়েছে ফেস আনলক অপশন। অ্যাপলের ফেস আনলককের সাথে প্রতিযোগীতায় সামনেই হুয়াওয়ে ডিভাইসতে এই ফিচারটি দিয়ে রেখেছে। ডিভাইসটির ফেস আনলক অপশনটি আপনি ২৪ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরার সাহায্যে ব্যবহার করতে পারবেন। ডিভাইসটি ফেস আনলক ৯০% একুরেট এবং কঠিন কঠিন অবস্থাতেও ডিভাইসটি আপনার ফেসকে চিনে নিতে পারবে। তাই বলে কি এটা অ্যাপলের থেকেও সিকুরিটি ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী? না! তবে Huawei P20 Pro ডিভাইসের ফেস আনলক অপশনটি বেশ ফাস্ট এবং একুরেট।
স্ক্রিণের ব্যাপারে বলতে গেলে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.১ ইঞ্চির near-edge-to-edge ফুল এইচডি + ফুলভিউ ডিসপ্লে। সাধারণত ব্যবহারের জন্য একটি ৬ ইঞ্চির ডিভাইস বেশ বড়ই! এতে রয়েছে 18.7:9 aspect রেশিও। আর P20 Pro ডিভাইসটি P20 ফ্যামিলির একমাত্র ডিভাইস যেখানে আপনি পাবেন OLED স্ক্রিণ প্যানেল। আর ডিভাইসটির কালার আপনি নিজে থেকেই পছন্দমতো সেটিংস করে নিতে পারবেন। এছাড়াও স্ক্রিণে আপনি পাবেন 2160 x 1080 রেজুলেশনের ঝকঝকে ছবি। আর আগেই বলেছি ডিভাইসটির স্ক্রিণের উপরে আইফোন এক্স স্টাইলের ছোট notch রয়েছে।
Huawei এর EMUI সফটওয়্যারটি দিয়ে আপনি P20 Pro ডিভাইসকে আইফোনের মতো কিংবা অ্যান্ড্রয়েড স্টাইলের notch ব্যবহারের সুযোগ পাবেন!
এবার আসি ডিভাইসটির সফটওয়্যার সেক্টরে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে পূঁজি করে হুয়াওয়ে তাদের Emotion UI বা EMUI ব্যবহার করে থাকে। হুয়াওয়ের অনান্য ডিভাইসে এই EMUI কে অনেকেই পছন্দ নাও করতে পারেন কিন্তু P20 Pro ডিভাইসের EMUI বেশ চমৎকার করে এবং অনান্য হুয়াওয়ে ডিভাইসের থেকে আলাদা করে আপগ্রেড করা হয়েছে। P20 Pro ডিভাইসে আপনি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে পাচ্ছেন Android 8.1 Oreo কে। যেটা পরবর্তীতে অ্যান্ড্রয়েড পি (৯) সম্পূর্ণ রূপে রিলিজ পেলে সেটায় আপগ্রেড করার সুবিধা আপনি পাবেন। EMUI এর লেটেস্ট সংষ্করণে P20 Pro ডিভাইসে আপনি পাবেন চমৎকার পারফরমেন্স! কারণ হার্ডওয়্যার হিসেবে আপনি পাচ্ছেন Kirin 970 প্রসেসর জন্য ৬ গিগাবাইটের র্যাম।
এবার আসি ডিভাইসটির মূল Key Feature নিয়ে! হ্যাঁ! তা হলো ডিভাইসটির ক্যা-মে-রা! ডিভাইসটির সামনের রয়েছে ২৪ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা, পেছনে আপনি পাবেন f/1.8 এর ৪০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা, f/1.6 এর ২০ মেগাপিক্সেলের মনোক্রোম ক্যামেরা এবং f/2.4 এর ৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো ক্যামেরা। আপনি যদি গণিতে পটু হন তাহলে বুঝতে পারবেন যে ডিভাইসটিতে রয়েছে টোটাল ৯২ মেগাপিক্সেলের ইমেজ প্রসেসিং সিস্টেম!
এই ৯২ মেগাপিক্সেলকে হুয়াওয়ে বেশ স্মার্টভাবে চারটি ভাগে ভাগ করে ডিভাইসটিতে বসিয়ে দিয়েছে, যেটা অনেক আগে নোকিয়া তাদের PureView ক্যামেরায় 808 এবং Lumia 1020 ডিভাইসগুলোতে করেছিলো। ডিভাইসটি আপনি পাবেন এ যাবৎকালের সবথেকে সেরা লো লাইট ক্যামেরা ফিচার। আমি টিউনের শেষে একটি ইউটিউব ভিডিও লিংক করে দেবো সেখানে আপনি এই ফিচারটির সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
ডিভাইসের ক্যামেরা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে গিয়ে প্রথমবার আপনার একটু কঠিন মনে হতে পারে। কারণ এখানে আপনি প্রায় ডজনখানেকের মতো অপশন পাবেন। ৪০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরাটি দিয়ে আপনি panorams, portraits, monochrome, burst ইত্যাদি মোডে ছবি তুলতে পারবেন। সাধারণত ডিভাইসটির ক্যামেরা অ্যাপ নিজে নিজেই আপনার বর্তমান অবস্থার জন্য বেস্ট সেটিং গঠন করে দিতে পারবে, তবে আপনি Pro Mode অন করে দিয়ে নিজে নিজেই ক্যামেরা অ্যাপের বিভিন্ন অপশনকে ঘেঁটে নিয়ে নিজের পছন্দমত সেটিংস করে নিতে পারবেন। ডিভাইসটিতে রয়েছে Master AI ফিচার যেটা হচ্ছে একটি trained-up image recognition system যা আপনার বর্তমান অবস্থাকে বিবেচনা করে দ্রুত গতিতে ক্যামেরার সেটিংসগুলোকে সেট করে নিতে পারবে।
গ্যালাক্সি এস৯ এর সাথে ম্যাচিং করে হুয়াওয়ে পি২০ প্রো ডিভাইসে আপনি পাবেন ৯৬০FPS এর সুপার স্লো-মো 720p রেজুলেশনে ভিডিও শুটের ফিচার। এছাড়াও আইফোনের সাথেও পাল্লা দিতে ডিভাইসটিতে রয়েছে Studio lighting যেটা ডিভাইসের ফ্রন্ট ক্যামেরায় রয়েছে; এর মাধ্যমে আপনি আরো চমৎকার এবং ড্রামাটিক লুকের সেলফি তুলতে পারবেন। অন্যদিকে ডিভাইসটির পেছনের ৩ নাম্বার ক্যামেরাটি ইমেজে জুমিং করার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। ৩ নাম্বার ক্যামেরাটি দিয়ে আপনি 3x অপটিক্যাল জুম কিংবা 5x হাইব্রিড জুম সিস্টেমটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এবার আসি ডিভাইসটি অডিও স্পিকারে। নরমাল চাইনিজ ফোনে লাউড স্পিকারে অডিও ফাইল চালালে যেমনটা শব্দ অনেক “exposed” হয়ে বিশ্রি হয়ে যায় এই P20 Pro ডিভাইসে কিন্তু তা হয় না। Shrill বা distored হওয়া ছাড়াই আপনি ডিভাইসটিতে জোরে জোরে অডিও গান বাজাতে পারবেন, এছাড়াও বাইরে ভ্রমণকালে ডিভাইসটির রিংটোন বেশ ভালো মতোই আপনি শুনতে পারবেন। যদিও ডিভাইসটিতে কোনো হেডফোন জ্যাক নেই (কি বলেন! ৮০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্টফোন কিনলেন কিন্তু হেডফোনই ঢুকাতে পারবেন না!) তবুও আপনি যেকোনো ওয়্যারলেস হেডফোন ডিভাইসটির সাথে ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ ডিভাইসটি উচ্চতর বিটরেটের Bluetooth অডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য LDAC ফিচারটি সার্পোট করে।
এবার আসি ব্যাটারি লাইফ নিয়ে! ৬ ইঞ্চির ডিভাইসে আপনি পাচ্ছেন 4000mAh ক্ষমতার ব্যাটারি। যা আহামরি টাইপের কিছু না। ৭ হাজার টাকার ওয়ালটন ডিভাইসেও আপনি 4000mAh ব্যাটারি পাবেন (লুল!)। তবে Huawei এর ভাষ্যমতে P20 Pro ডিভাইসটি ২ দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। হেভি ব্যবহার ছাড়াই ৩২ ঘন্টার মতো ডিভাইসটি চালু রাখার পরেও ৫২% চার্জ থেকে যায়। অন্যদিকে হেভি ব্যবহার করেও ২৪ ঘন্টায় আপনি ৭০% চার্জ খেতে পারবেন মানে ৩০% চার্জ বাকি থাকবে। আর ডিভাইসটিতে নেই কোনো wireless চাজিং সিস্টেম, যা ২০১৮ সালের “সুপার ফ্ল্যাগশীপ” ক্লাসের স্মার্টফোনের জন্য একটি দুঃখজনক খবর বটেই! তবে আপনি যদি হেভি ইউজার না হন তাহলে দুই দিনে একবার ডিভাইসটিতে চার্জ দিতে হবে আর এক্ষেত্রে ওয়্যারলেস চার্জিং ফিচারটি তেমন কোনো পার্থক্য করবে না। হেভি ইউজার মানে সারাদিন গেমস এবং অনলাইন স্ট্রিমিং করার কথা আমি এখানে বুঝিয়েছি। ৮০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্টফোন কিনে এখান সারাদিন গেমস খেলবেন আপনি?
নিচে Huawei P20 Pro ডিভাইসের কনফিগারেশনটি আমি দিয়ে দিচ্ছি:
ডিভাইসটি মুক্তি পেয়েছে | এপ্রিল, ২০১৮ সালে |
নেটওর্য়াক টেকনোলজি | GSM / HSPA / LTE |
ডিভাইসটির ওজন | ১৮০ গ্রাম |
সিম | সিঙ্গেল ন্যানো সিম / ডুয়াল ন্যানো সিম (ডুয়াল স্ট্যান্ডবাইট) |
ডিসপ্লে টাইপ | AMOLED (16M Colors) |
ডিসপ্লে সাইজ | ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি (6.1 inc) |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ (ওরিও) |
প্রসেসর চিপ | Hisilicon Kirin 970 |
সিপিইউ | অক্টা কোর |
জিপিইউ | Mali-G72 MP12 |
মেমোরি কার্ড সার্পোট | নেই! |
বিল্ড ইন স্টোরেজ | ১২৮ গিগাবাইট |
র্যাম | ৬ গিগাবাইট |
মূল ক্যামেরা | ট্রিপল ক্যামেরা: 40 MP (f/1.8, 27mm) 20 MP (B/W, f/1.6, 27mm) 8 MP (f/2.4, 80mm, 3x optical zoom) |
মূল ক্যামেরার ফিচার | Leica optics LED Flash HDR Panorama |
মূল ক্যামেরার ভিডিও | 2160p@30fps, 1080p@60fps, 1080p@30fps (gyro-EIS), 720p@960fps |
সামনের ক্যামেরা | 24 MP (f/2.0, 26mm) |
সামনের ক্যামেরার ফিচার | Leica optics |
সামনের ক্যামেরার ভিডিও | 1080p@30fps |
ব্যাটারি | Non-removable Li-po 4000 mAh |
ব্যাটারি লাইফ | ৮৯ ঘন্টা |
ডিভাইসটির অনান্য ফিচারসমূহ | Wi-Fi 802.11 Bluetooth 4.2 GPS NFC Infrared port USB 3.1 (Type-C 1.0) Finger Print (Front mounted) Accelerometer Gyro Proximity Compass Color Spectrum Fast Batter Charging (58% in 30 Min) |
ডিভাইসটি যে যে রংয়ে পাওয়া যাবে | Twilight, Black, Midnight Blue এবং Pink Gold |
ডিভাইসটির অফিসিয়াল মূল্য | ৭৯০ ইউরো / ৯০১ মার্কিন ডলার/ ৭৬ হাজার টাকা |
Huawei P20 Pro আসলেই একটি আকর্ষণীয় এবং কাজের একটি স্মার্টফোন! নজরকারা ডিজাইন, বড় ডিসপ্লে, কোয়ালিটি ব্যাটারি লাইফ এবং স্মার্টফোনের সবথেকে সেরা ক্যামেরা সিস্টেমের জন্য আপনি ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে। স্যামসংয়েল ২০১৮ সালের গ্যালাক্সি এস৯ এবং এস৯ প্লাস ডিভাইসের থেকে এই Huawei P20 Pro অনেক দিক থেকে বহুগুণে ভালো। এছাড়াও হুয়াওয়ের নিজস্ব Mate 10 Pro ফ্লাগশীপ স্মার্টফোনের থেকেও এই P20 Pro ডিভাইসটি বেশ ভালো পারফরমেন্স আপনাকে দিতে পারবে। ইউনিক ক্যামেরা বাদ দিয়ে ডিভাইসটিতে রয়েছে হুয়াওয়ের সবথেকে শক্তিশালি প্রসেসর kirin 970, রয়েছে ৬ গিগাবাইটের র্যাম, ১২৮ গিগাবাইটের বিশাল স্টোরেজ এবং ৪০০০mAh ব্যাটারি। এটা স্ট্যার্ন্ডাড Huawei P20 এবং Huawei P20 Lite ডিভাইস থেকে বেশ এগিয়ে রয়েছে। আর রিভিউতে ডিভাইসটির পারফরমেন্স নিয়ে আলাদা করে আমি কিছু লিখিনি কারণ সুপার ফাস্ট প্রসেসর, ৬ গিগাবাইট র্যামের ডিভাইস কেমন ফাস্ট এবং দ্রুত পারফরমেন্স দিতে সেটা ক্লাস ২/৩ এর বাচ্চারাও জানে! আশা করবো আমার আজকের এই রিভিউটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে! আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি, আগামীতে অন্য টপিক নিয়ে আমি চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি সোশাল প্লাটফর্ম টেকটিউনস এ। সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!