এর আগে পর্ব এক এবং পর্ব দুই তে মূলত ইউন্ডোজ সেভেনের এক্সক্লুসিভ ফিচার এবং শর্টকাটসগুলো তুলে ধরেছিলাম। কেই প্রথম দুটি টিউন না পড়ে থাকলে অথবা পুরোনো টিউন কে ভূলে গিয়ে থাকলে নিচের লিংক দুটি হতে পড়ে নিতে পারবেন -
উইন্ডোজ সেভেনের কয়েকটি এক্সক্লুসিভ ফিচার এবং টিপস - ১
উইন্ডোজ সেভেনের কয়েকটি এক্সক্লুসিভ ফিচার এবং টিপস -২
এই পর্বে আমি শুধুমাত্র ইউন্ডোজ সেভেনের লাউব্রেরী ফিচারটা কে নিয়ে ডিসকাস করব। এটি ইউন্ডোজ সেভেনের ফেমাস ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। কেন এই ফিচার এত ফেমাস এবং কিভাবে একে আরো প্রডাক্টিভ করা সম্ভব তাই রিভিউ করা হবে এই টিউনে - ইউন্ডোজের সৃষ্টির শুরু থেকেই যে ফিচারটা আমরা পেয়ে আসছি তা হল ফোল্ডার। ডেভেলপারদের ভাষায় - Storage area for files and folders and that's about it
ধরুন আপনার কয়কেটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সম্বলিত ফোল্ডার আছে যেখানে আপনি নিয়মিত কাজ করে থাকেন। এবং এই ফোল্ডার হয়ত আপনার বিজনেস এবং কাজের স্বার্থে আরো মানুষের সাথে শেয়ার করতে হয়। তবে বর্তমানে এই রকম সিকিউরিটি এ্যাওয়ারনেস এর যুগে কেউই তার অর্জিনাল ফোল্ডার ডিরেক্টরি শেয়ার করতে চায় না এবং সময় স্বল্পতার কারনে অনেকে হয়ত সেই ফোল্ডারের দিকে ঠিকমত লক্ষ্যও রাখেননা যে আসলে কি জমা হচ্ছে এবং বর্তমানে কি অবস্থায় আছে সেই ফোল্ডারটি।
উপরে যে সমস্ত সিচুয়েশনের কথা বললাম, তা বলার উদ্দেশ্য হল এই অবস্থায় নিজের ফাইল এবং ফোল্ডার সমূহ খুবই ফ্রিকোয়েন্টলি হ্যান্ডেল করার জন্যে উইন্ডোজ সেভেনে ভিউ নামে একটি এক্সক্লুসিভ ফিচার সংযুক্ত করা হয়েছে। এর সাহায্যে আপনি চাইলে একটি ফোল্ডার ক্রিয়েট এবং ফাইল ফোল্ডার সমূহকে মেইনটেইন ও এক্সপ্লোর করতে পারবেন ঐ ফোল্ডার লোকেশানে না গিয়ে। চাইলে আপনি সেই ফোল্ডারকে শেয়ার করতে অনেক সংরক্ষিত উপায়ে। যার সাথে শেয়ার করবেন সে বুঝতেও পারবেন না যে আপনি ঐ ফোল্ডারটি আবার সম্পূর্ণভাবে ঠিক ঐ ফোল্ডারটি শেয়ার করছেন না। অর্থাৎ এর সাহায্যে আপনি শেয়ারার এর ভিউ কন্ট্রোল করছেন। আর এই ফিচারটিই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তুলে দিয়েছে উইন্ডোজ সেভেনের লাইব্রেরীকে।
এই লাইব্রেরী ফিচারটি মূলত উইন্ডোজ সেভেনের উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে ঢোকার সাথে সাথেই বাম দিকে পাওয়া যাবে। আর এই লাইব্রেরীর আওতায় তাকছে ডকুমেন্টস, মিউজিক, ছবি এবং ভিডিও।
নতুন লাইব্রেরী ক্রিয়েট করা খুবই সিম্পল তবে এটি সিস্টেম ট্রে তে রেসট্রিকটেড করা। অর্থাৎ শুধুমাত্র সিস্টেম ট্রেতে ই এ্যাপিয়ার করবে। মাই কম্পিউটারের বাম দিকে আপনি লাইব্রেরী অপশনটি দেখতে পারবেন। এখান থেকে রাইট ক্লিক করে নিউ লাইব্রেরী অপশন বেছে নিতে হবে। লাইব্রেরী এ্যাড করে এন্টার করার পর এবার পালা আপনার লাইব্রেরীর আন্ডারে ফোল্ডার এ্যাড করা যেগুলো মূলত কন্টেন্ট আকারে প্রদর্শিত হবে। এখান থেকে ইনক্লুড ফোল্ডারে ক্লিক করে আপনি যে সমস্ত ফাইল এখানে দেখতে চান শুধু সেই সমস্ত ফোল্ডারের লোকেশান ডিফাইন করে দেন।
চলবে .....................................
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
মাইক্রোসফট ঘোষনা দিল উইন্ডোজ ৭ আর সি ভার্সন আগামী বছর ১০ই জুন পর্যন্ত চলবে তারপর থেকে ২ঘন্টা পরপর অফ হয়ে যাবে। এটা আমাদের জন্য দুঃসংবাদ। কেউ কোনো সমাধান পেয়েছেন কি?
windows 7 টা কি আপনার কাছে আছে ? ওটা যদি সেয়ার করতেন তা হলে খুবই উপকৃত হতাম / আমার ইমেল হচ্ছে : [email protected]
ধন্যবাদ আপনাকে /