EaseUS Todo Backup Home 105 সিম্পল কিন্তু পাওয়ারফুল উইন্ডোজ ব্যাকআপ সফটওয়্যার উইন্ডোজ ১০/৮১/৮/৭/ভিস্তার জন্য [রিভিউ]

টিউন বিভাগ রিভিউ
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

এটি একটি Sponsored টিউন। এই Sponsored টিউনটির নিবেদন করছে 'EaseUs Software'
Sponsored টিউন by Techtunes tAds | টেকটিউনস এ বিজ্ঞাপণ দিতে ক্লিক করুন এখানে

আপনার কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলোকে ব্যাকআপ করা বা সম্পূর্ণ হার্ড ড্রাইভ ব্যাকআপ করে রাখা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং ফিউচার প্রুফ ট্যাস্ক। হার্ড ড্রাইভ ব্যাকআপ করে রাখলে, অনাকাঙ্ক্ষিত হার্ড ড্রাইভ ক্র্যাশ বা ভুল করে কোন ফাইল ডিলিট হয়ে যাওয়া—আপনার মোটেও ব্যথিত করতে পারবে না। হার্ড ড্রাইভের কোনই ভরসা নেই, এমনকি সিন্দুকে বসে থাকতে থাকতে ও কোন হার্ড ড্রাইভ ক্র্যাশ করতে পারে। তাই ডাটা লস থেকে বাঁচতে অবশ্যই হার্ড ড্রাইভ ব্যাকআপ আদর্শ উপায়!

আর এই ব্যাকআপের কাজ গুলো যদি আপনি EaseUS Todo Backup Home —এর মতো পাওয়ারফুল সফটওয়্যারের হাতে ছেড়ে দেন, তো আপনার লাইফ অনেকটা সহজ করে ফেলা সম্ভব। সফটওয়্যার'টিতে কিছু মাস্ট হাভ ফিচার রয়েছে, যার জন্য একে ট্র্যায় করা অবশ্যই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে।

EaseUS Todo Backup Home

ডাটা ব্যাকআপ প্রোগ্রাম হিসেবে EaseUS Todo Backup Home — প্রোগ্রামটি একটি অসাধারণ চয়েজ। স্বয়ংক্রিয় ডাটা ব্যাকআপ আর সুপার সিম্পল ইউজার ইন্টারফেস, এই সফটওয়্যারটিকে ব্যবহার করার চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। এই সফটওয়্যার'টি যেকোনো সাধারণ ডাটা ব্যাকআপ সফটওয়্যারের মতো শুধু ফাইল, ফোল্ডার, মেইল ইত্যাদি ব্যাকআপ করে না, সাথে সম্পূর্ণ হার্ড ড্রাইভ, পার্টিশন, এমনকি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইজ পর্যন্ত ব্যাকআপ করতে সাহায্য করে।

এই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করা সুপার সহজ, কেনোনা এতে রয়েছে বিল্ডইন স্টেপ বাই স্টেপ সেটআপ ওয়িজার্ড, ফলে আপনার ব্যাকআপ জব হয়ে উঠে পানির মতো সহজ, এতে কমপ্লেক্স নামের কোন শব্দই খুঁজে পাবেন না! সফটওয়্যার'টি আরো স্ট্যান্ডার্ড ফিচার সমর্থন করে, যেমন- কমপ্রেশন, এবং ইমেইল নোটিফিকেশন—তবে এই ফিচার গুলো ফ্রী ভার্সনে খুঁজে পাবেন না।

EaseUS Todo Backup Home সফটওয়্যারটি আপনার নতুন হার্ড ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম মাইগ্রেট করা বা হার্ড ড্রাইভ ক্লোন করার ক্ষেত্রেও অসাধারণ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।

ধরুন, আপনার পুরাতন হার্ড ড্রাইভ'টি মৃত্যুর পর্যায়ে চলে গিয়েছে, কিংবা আপনি চাচ্ছেন আগের হার্ড ড্রাইভ পরিবর্তন করে নতুন এবং বড় সাইজের হার্ড ড্রাইভ কিনবেন, সেই ক্ষেত্রে EaseUS Todo Backup Home সফটওয়্যারটি আপনার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেবে, আপনাকে কোনই ডাটা লস করতে হবে না। আর এর জন্য সফটওয়্যারটির ডিস্ক ক্লোনিং নামক অসাধারণ ফিচারকে ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন, ডিস্ক ক্লোনিং মানে হচ্ছে আপনার পুরাতন হার্ড ড্রাইভ থেকে বিট-ফর-বিট ডাটা উঠিয়ে একটি নির্ভুল কপি তৈরি করা এবং নতুন হার্ড ড্রাইভে ডাটা গুলোকে এক্সট্রাক্ট করে দেওয়া।

আপনি নতুন হার্ড ড্রাইভ সিস্টেমে লাগাবেন, কিন্তু আপনার কম্পিউটার সেটা মোটেও বুঝতে পারবে না, আপনাকে উইন্ডোজও রি-ইন্সটল করতে হবে না। চিন্তা করতে পেড়েছেন, এই অসাধারণ ফ্রী সফটওয়্যারটি আপনার কতোটা ঝামেলা কমিয়ে দেবে! মাত্র আধা থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে আপনার সম্পূর্ণ প্রসেস শেষ হয়ে যাবে। তবে আপনার ডাটা যদি আরোবেশি পরিমানের হয়, সেক্ষেত্রে আরো সময় লাগতে পারে, তবে ম্যানুয়ালি ওএস ইন্সটল করা বা একের পর এক ফাইল ট্র্যান্সফার করার চেয়ে এটি সর্বদা বেস্ট পদ্ধতি।

আমি যেই সময় টিউনটি লিখছি, এই মুহূর্তে এই অসাধারণ ডাটা ব্যাকআপ সফটওয়্যার'টির পেইড ভার্সন মাত্র $২৯ ডলারে কিনতে পাবেন, যেটার দাম বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৳২, ৩৫০ টাকার মতো। যদি আপনি লাইফ টাইমের জন্য এবং যেকোনো ফিউচার ভার্সনের জন্য সফটওয়্যার'টিকে কিনতে চান তো $৫৯ ডলার চার্জ করা হবে, যেটা প্রায় ৳৪, ৮০০ টাকার সমতুল্য প্রাইস। সবচাইতে ভালো কথা হচ্ছে, এরা উইন্ডোজের প্রায় যেকোনো ভার্সন যেমন- উইন্ডোজ ১০/৮.১/৮/৭/ভিস্তা —সবকিছু'কেই সমর্থন করে।

নোটঃ যেকোনো পেইড ডাটা ব্যাকআপ সফটওয়্যারে আপনার মূল্যবান টাকা খরচ করার আগে অবশ্যই সেটি চেক করে দেখুন যে সেটা আপনার জন্য কতোটুকু উপকারি এবং এতে আপনার চাহিদা অনুসারে ফিচার গুলো রয়েছে কিনা। সাথে যেহেতু এর ফ্রী ভার্সনও রয়েছে, তাই পূর্বে অবশ্যই ফ্রী ভার্সনটি ব্যবহার করে দেখুন।

আমি বিশ্বাস করি EaseUS Todo Backup Home সফটওয়্যার'টি নিজেও কোয়ালিটি প্রোডাক্টে বিশ্বাস রাখে, আর এই জন্যই এরা পেইড ভার্সন সফটওয়্যারটি আপনাকে ৩০ দিনের সম্পূর্ণ জন্য ফ্রী'তে অফার করে, যদি আপনার ভালো লাগে এবং মনে হয়, "হ্যাঁ, সফটওয়্যারটি বেস্ট এবং আমি কিনতে চাই" ঠিক তখনোই আপনি সেটাকে কিনতে পারেন। এখানে রিস্ক নেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। আরো বিস্তারিত

ফিচার

এমনিতেই তো সফটওয়্যারটির মধ্যে এক বিশাল ফিচার ধামাকা লুকিয়ে রয়েছে, সাথে আমার যেটা সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো, সফটওয়্যার'টির অসাধারণ সুপার সিম্পল ইন্টারফেস। সফটওয়্যার'টি একত্রে অনেক টাইপের ব্যাকআপ সমর্থন করে। আপনি বর্তমান হার্ড ড্রাইভ ব্যাকআপ, ফাইল ব্যাকআপ, সিস্টেম ব্যাকআপ, মেইল ব্যাকআপ, নির্দিষ্ট পার্টিশন ব্যাকআপ, এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইজ ব্যাকআপ করতে পারবেন।

এই সফটওয়্যার'টি ব্যবহার করে তৈরি করা ব্যাকআপ ফাইলটি PBD নামক একটি সিঙ্গেল ফাইলের মধ্যে সংরক্ষিত হবে, যেটাকে আপনি লোকাল হার্ড ড্রাইভ, নেটওয়ার্ক ড্রাইভ, কিংবা এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভে সেভ করতে পারবেন। হ্যাঁ, অবশ্যই সফটওয়্যার'টি ক্লাউড ব্যাকআপ সমর্থন করে।

আপনার পছন্দের যেকোনো ক্লাউড সার্ভিসে লগইন করুন, যেমন- গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, ওয়ানড্রাইভ, ইত্যাদি —আর সফটওয়্যার'টি ব্যাকআপ ফাইল ক্লাউডে পাঠিয়ে দেবে। তো আপনার ফ্রী অনলাইন ব্যাকআপ ওয়েবসাইট সাইট গুলোকে EaseUS Todo সফটওয়্যারটি পেইড ব্যাকআপ সার্ভিসের মতো কাজ করাতে পরিবর্তন করিয়ে দেবে।

নিচে এই সফটওয়্যার'টির সম্পূর্ণ ফিচার গুলোকে উল্লেখ্য করলাম;

  • EaseUS Todo Backup Home —সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের প্রায় যেকোনো ভার্সন সমর্থন করে, যেমন- উইন্ডোজ ১০/৮.১/৮/৭/ভিস্তা এবং হ্যাঁ, এটি উইন্ডোজ এক্সপি'তেও কোন প্রকারের সমস্যা ছাড়া চলতে পারে।
  • আপনি ব্যাকআপ ফাইলটিকে আলদা আলদা কাস্টম সাইজে টুকরা করতে পারবেন, এতে স্টোরেজ ম্যানেজ করতে অনেক সুবিধা হবে আপনার।
  • যখন ব্যাকআপ প্রসেস চলবে, সেই মুহূর্তে সফটওয়্যারটি কতোটা আপনার কম্পিউটার প্রসেসর পাওয়ার ব্যবহার করবে সেটা সেট করে দিতে পারবেন। ফলে ব্যাকআপ প্রসেস চলার সময়ও আপনার কম্পিউটারের পারফর্মেন্স হারিয়ে যাবে না!
  • আপনি ব্যাকআপ রীড/রাইট স্পীড'কেও কাস্টম রেটে লিমিট করে দিতে পারবেন, এতে অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন গুলো স্লো হয়ে পড়বে না।
  • স্মার্ট ব্যাকআপ ফিচারটি স্মার্টলি কাজ করে আপনার সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় ব্যাকআপ গ্রহন করার সময় কোন ফাইল পরিবর্তন হয়ে গেলে সেটাকে মনিটর করার ক্ষমতা রাখে।
  • সফটওয়্যারটি কম্প্রেসিং ব্যাকআপ কেও সমর্থন করে।
  • আপনার উইন্ডোজ স্টার্ট হওয়ার আগেই আপনি EaseUS Todo Backup Home সফটওয়্যার'টিকে রান করাতে পারবেন। এই ফিচারটি ব্যবহার করার জন্য কোন ডিভিডি বার্ণ, বা ইউএসবি ড্রাইভের প্রয়োজন নেই আর এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনি ডিস্ক/পার্টিশন/সিস্টেম ব্যাকআপ নিতে পারবেন।
  • ব্যাকআপ তৈরি করার সময় আপনি হার্ড ড্রাইভ বা পার্টিশনের প্রত্যেকটি সিঙ্গেল সেক্টর ব্যাকআপ করতে পারবেন। এতে সোর্সের হুবহু ব্যাকআপ ড্রাইভ বানানো সম্ভব।
  • যদি ব্যাকআপ প্রসেস অনেক লং হয়ে যায় আর আপনি যদি না চান কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে তো নো টেনশন! ব্যাকআপ জব সফটওয়্যার'টির হাতে ছেড়ে দিন, ব্যাকআপ শেষে সফটওয়্যারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কম্পিউটার অফ করে দেবে।
  • আপনি সম্পূর্ণ হার্ড ড্রাইভ/পার্টিশন ব্যাকআপ করার পরেও রিস্টোর করার সময় নির্দিষ্ট যেকোনো ফাইল পছন্দ করে রিস্টোর করতে পারবেন।
  • মিস ব্যাকআপ জব সফটওয়্যারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু করতে পারে।
  • ডিস্ক বা পার্টিশন ক্লোন আপনি সরাসরি আলাদা ড্রাইভে লাইভ প্রসেসে করতে পারবেন, এতে প্রথমে ব্যাকআপ ইমেজ তৈরি না করলেও চলবে।
  • সিস্টেম ব্যাকআপ নেওয়ার পরে সেটাকে ইউএসবি ড্রাইভে বা পেনড্রাইভে রিস্টোর করার মাধ্যমে পোর্টেবল উইন্ডোজ ভার্সন তৈরি করতে পারবেন।
  • আপনি যেকোনো ব্যাকআপ প্লানের সাথে বর্ণনা যুক্ত করে রাখতে পারবেন, এতে পরে ব্যাকআপ ফাইল গুলো ম্যানেজ করতে সুবিধা হবে।
  • সার্চ এবং ফিল্টার ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট ব্যাকআপ ফাইল খুঁজে পেতে পারবেন এবং রিস্টোর করতে পারবেন।
  • যেকোনো ব্যাকআপকে আপনি ভার্চুয়াল ড্রাইভে রিস্টোর করতে পারবেন, এতে ব্যাকআপকে কপি, পেস্ট, এডিট করতে পারবেন কোন টেনশন ছাড়ায়!
  • ব্যাকআপ তৈরি করার আগেই এতে একটি ক্যালকুলেটর রয়েছে, যেটা আপনার ব্যাকআপ সাইজ কতো হবে সেটা মাপতে সাহায্য করে। সাইজ অনুসারে আপনি ধারণা পেয়ে যাবেন, যেখানে ব্যাকআপ ফাইল সেভ করবেন সেখানে ঠিকঠাক স্পেস ফ্রী রয়েছে কিনা।
  • আপনি শিডিউল ব্যাকআপ রান করাতে পারবেন।
  • আপনার ব্যাকআপ সেভ করার ফোল্ডারে যদি পর্যাপ্ত পরিমানে স্পেস ফাঁকা না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ম্যাসেজ প্রদান করবে এবং আপনার ব্যাকআপ ফাইল হোল্ড করে রাখবে, স্পেস ফাঁকা করার পরে ব্যাকআপ সেভ করতে আরম্ভ করবে।
  • সফটওয়্যারটি লগ থেকে যেকোনো জব সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাবেন, এটি ব্যাকআপ ফেইল রেকর্ডও জমা করে রাখে।
  • শুধু ডাটা ব্যাকআপ নয় বরং ডাটা চিরতরে ইরেজ করে দেওয়ার জন্যও এই টুলটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোগ্রাম আপডেট চালু হয়ে যাবে, মানে আপনাকে প্রোগ্রাম আপডেট করার জন্য বারবার ওয়েবসাইট ভিজিট করে আপডেটেড ভার্সন সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ম্যানুয়ালি ইন্সটল করার প্রয়োজন পড়বে না।

কিভাবে ড্রাইভ ক্লোন করবেন?

শুরু করার পূর্বে আপনার কাছে একটি নতুন হার্ড ড্রাইভ থাকতে হবে এবং আরো কিছু জিনিষ প্রয়োজনীয় হবে। আপনাকে একত্রে দুইটি হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে হবে কম্পিউটারে। যদি আপনি ডেক্সটপ কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তো পুরাতন হার্ড ড্রাইভটির পাশাপাশি নতুন হার্ড ড্রাইভ লাগানো তেমন বিশাল ব্যাপার নয়, কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এটা একটু মুশকিল প্রসেস। যাই হোক, এটা অসম্ভব ব্যাপারও না, আপনার একটি স্যাটা-টু-ইউএসবি ক্যাবল প্রয়োজনীয় হবে, যার মাধ্যমে ইউএসবি ব্যবহার করে আপনি হার্ড ড্রাইভকে ল্যাপটপের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন।

তো এবার প্রসেস শুরু করা যাক। প্রথমে আপনাকে EaseUS Todo Backup Home —সফটওয়্যারটির ট্রায়াল ভার্সন এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এবার বাকি উইন্ডোজ সফটওয়্যার গুলোর মতোই একে আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করুন। ইন্সটল করা হয়ে গেলে সফটওয়্যারটি ঝটপট করে রান করে ফেলুন এবং উপরের ডান দিকে দেখুন CLONE নামে একটি অপশন রয়েছে, সেখানে ক্লিক করুন।

আবার সঠিকভাবে আপনার সিস্টেম ড্রাইভ এবং আরো পার্টিশন ব্যাকআপ করতে চাইলে সেগুলোকে সিলেক্ট করুন। সিস্টেম ড্রাইভ অবশ্যই "C" ড্রাইভ হবে, তাই অবশ্যই সি ড্রাইভ সিলেক্ট করতে ভুলে গেলে চলবে না।

এবার আপনার টার্গেট ড্রাইভ পছন্দ করার পালা, আর যেটা আপনাকে পছন্দ করতেই হবে। যদি আপনার ড্রাইভটি আগে কখনোই ব্যবহৃত না হয়ে থাকে তো অবশ্যই এটি একটি বড় ড্রাইভ অথবা ফ্রী ড্রাইভ আকারে প্রদর্শিত হবে। বারবার চেক করে নিন, আপনি সঠিক টার্গেট ড্রাইভ সিলেক্ট করেছেন কিনা, ভুল ড্রাইভ সিলেক্ট করলে আপনার আসল ড্রাইভই ইরেজ হয়ে যাবে, তো সাবধান! হ্যাঁ, টার্গেট ড্রাইভটি সিলেক্ট করার পরে এটির সবকিছু ইরেজ হয়ে যাবে।

EDIT বাটনে ক্লিক করে কুইক পার্টিশন চেক করে নিতে পারেন। সামনের প্রসেসে এগোনোর আগে এটা সব সময়ই একটি ভালো আইডিয়া!

সবকিছু সেট করে নেওয়ার পরে ব্যাস এবার আপনি প্রসেস রান করার জন্য একেবারেই প্রস্তুত! এবার জাস্ট “Proceed” বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমেই আপনার প্রসেস শুরু হয়ে যাবে!

এখন এই প্রসেস কতো সময়ে সমাপ্ত হবে সেটা নির্ভর করবে আপনার কম্পিউটার ড্রাইভ স্পীডের উপর। এই প্রসেসে ১৫ মিনিট থেকে শুরু করে ১ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আমার প্রসেসে এক্ষেত্রে ৪৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছে, প্রসেস শেষ হয়ে গেলে জাস্ট  “Finish” বাটন প্রেস করুন! ব্যাস আপনার কাজ শেষ!

সফটওয়্যারটির যে বিষয় গুলো আমার ভালো লেগেছে

আমার সবচাইতে ভালো লেগেছে এর সিম্পল ইউজার ইন্টারফেস সাথে আপনি নিজেও দেখলেন, এটি ব্যবহার করা কতোটা সহজ! আমি টিউটোরিয়াল না দেখালেও আপনি সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারতেন। সাথে আপনি কোন ইমেজ ক্রিয়েট না করেই সরাসরি রিয়াল টাইম ব্যাকআপ ডিস্ক ক্লোন করতে পারবেন। সাথে এর শিডিউল ব্যাকআপ ফিচার আপনাকে যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদে রাখবে।

আরেকটি বিষয় আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে, তাহলো, আমি কখনোই এমন কোন ব্যাকআপ সফটওয়্যার দেখিনি যেটা উইন্ডোজ রান করার আগেই নিজে থেকে রান হতে পারে এবং কোন ডিস্ক না বুটেবল ইউএসবি পেনড্রাইভেরও প্রয়োজনীয়তা নেই। এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনি উইন্ডোজে সমস্যা থাকা কম্পিউটার থেকেও ব্যাকআপ তৈরি করতে পারবেন, এর জন্য হার্ড ড্রাইভ খুলে আলাদা কম্পিউটারে লাগিয়ে ব্যাকআপ করতে হবে না।

স্পেশাল অফার!

টেকটিউনস রীডারদের জন্য গ্রেট নিউজ! আপনি EaseUS Todo Backup Home সফটওয়্যার'টি পেয়ে যেতে পারেন একদম ফ্রী'তে! ফ্রী লাইসেন্স একদম প্রো'র মতোই কাজ করবে, শুধু টেকনিক্যাল সাপোর্ট পাবেন না, সফটওয়্যার'টির নতুন আপগ্রেড আসলে পাবেন না, ব্যাস। ব্যাট আমার মতে হোম ইউজের ক্ষেত্রে এটা কোন ব্যাপার নয়। যাই হোক, সফটওয়্যারটি ফ্রী'তে এক্ষুনি লুফে নেওয়ার জন্য স্টক শেষ হবার আগেই এই লিঙ্ক ক্লিক করুন! এই লিঙ্ক থেকে আপনি চাইলে সফটওয়্যারটি রেগুলার প্রাইজ থেকে ৫০% অফে সফটওয়্যারটি কিনতে পারবেন। তো দেরি কীসের বন্ধু?


ব্যাস, এই ছিল সফটওয়্যারটির সম্পর্কে সম্পূর্ণ রিভিউ এবং আমি চেষ্টা করেছি সফটওয়্যারটির প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি বিষয় গুলোর উপর বিশেষ আলোকপাত করার জন্য। এই টিউন থেকে নিশ্চয় সফটওয়্যারটির সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা হয়ে গিয়েছে। আর ধারণা নেওয়ার জন্য সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে দেখতে পারেন। চিন্তার কোন কারণ নেই, কেনোনা সফটওয়্যারটি ৩০ দিনের জন্য একেবারেই ফ্রী! তারপরে যদি ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি কিনতে পারেন।

এটি একটি Sponsored টিউন। এই Sponsored টিউনটির নিবেদন করছে 'EaseUs Software'
Sponsored টিউন by Techtunes tAds | টেকটিউনস এ বিজ্ঞাপণ দিতে ক্লিক করুন এখানে

Level 0

আমি Techtunes tAds। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 134 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ভালো