ইদ-উল-ফিতর নিয়ে মেগা টিউন, সম্পূর্ণ ইদ কালেকশন (ইদে-উল-ফিতর এর সব কিছু এই টিউনে) এই টিউন মিস তো অনেক কিছু মিস!!

আসসালামু আলাইকুম! সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন? আর ভাল থাকবেন কারন আমাদের মুসলিম এর অন্যতম খুশির দিন পবিত্র ইদ উল ফিতর আমাদের খুব সামনে ! দীর্ঘ এক মাস রুজা রাখার পর আমাদের সামনে পবিত্র ইদ উল ফিতর।

আমার পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ইদ উল ফিতর এর শুভেচ্ছা!   সেই সাথে সবাইকে অগ্রিম ইদ মোবারক  🙂 আর সবাই একটু চেষ্টা করবেন পথ শিশুদের কিছু কিছু না কিছু দেওয়ার, যাথে তারা মনে না করে তা এতিম, তাদের আপন জন কেও নাই ! তাদের মুখে হাসি ফুটলে মহান আল্লাহ্‌ তায়লা খুশি হন, আমারা আল্লাহ্‌ তায়লাকে খুশি করার জন্য কত কিছু করি! তাই তাদের কিছু না কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবেন।  

EID MUBAROK

আজকের আমার এই সম্পূর্ণ টিউনটি ইদ কালেকশন দিয়ে সাজিয়েছি। মানে, আজকের টিউনে থাকবে, ইদ এস এম এস, ইদ ওয়ালপেপার, ইদ কাভার ফটো, ইদ এর ইতিহাস সহ আরো অনেক কিছু। আমাদের মুসলিম সবাই জানা ইদ সম্পর্কে। কিন্তু আমি প্রথম থেকে শুরু করতেছি। আশা করি বানান ভুল গুলা ক্ষমার চুখে দেখবেন। "মানুষ মাত্রই ভুল' 

 

বিদ্রঃ টিউনের অনেক কিছু আনলাইন থেকে সংগ্রহীত করা হয়েছে এবং কোন তথ্য ভুল হলে তা ধরিয়ে দিবেন (আপডেট অপশন ওন)।

 

ইতিহাস

ইদ উল ফিতর এর তারিখঃ-

হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুসারে রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর উৎসব পালন করা হয়। তবে এই পঞ্জিকা অনুসারে কোনও অবস্থাতে রমজান মাস ৩০ দিনের বেশী দীর্ঘ হবে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজানের সমাপ্তিতে শাওয়ালের প্রারম্ভ গণনা করা হয়। ঈদের আগের রাতটিকে ইসলামী পরিভাষায় ‍‍লাইলাতুল জায়জা‌ (অর্থ: পুরস্কার রজনী) এবং চলতি ভাষায় "চাঁদ রাত" বলা হয়। শাওয়াল মাসের চাঁদ অর্থাৎ সূর্যাস্তে একফালি নতুন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন ঈদ হয়, এই কথা থেকেই চাঁদ রাত কথাটির উদ্ভব। ঈদের চাঁদ স্বচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেয়া ইসলামী বিধান। আধুনিক কালে অনেক দেশে গাণিতিক হিসাবে ঈদের দিন নির্ধারিত হলেও বাংলাদেশে ঈদের দিন নির্ধারিত হয় দেশের কোথাও না-কোথাও চাঁদ দর্শনের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে। দেশের কোনো স্থানে স্থানীয় ভাবে চাঁদ দেখা গেলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে ঈদের দিন ঠিক করা হয়। মুসলমানদের জন্য ঈদের পূর্বে পুরো রমজান মাস রোজা রাখা হলেও ঈদের দিনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ বা হারাম

ঈদের নামাযঃ- 

ঈদের দিন ভোরে মুসলমানরা স্রষ্টার ইবাদত বা উপাসনা করে থাকে। ইসলামিক বিধান অনুসারে ২ রাকাত ঈদের নামাজ ৬ তাকবিরের সাথে ময়দান বা বড় মসজিদে পড়া হয়। ফযরের নামাযের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ঈদুল ফিতরের নামাযের সময় হয়। এই নামায আদায় করা মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব। ইমাম কর্তৃক শুক্রবারে জুম্মার নামাজের পূর্বে খুৎবা (ইসলামিক বক্তব্য) প্রদানের বিধান থাকলেও ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে তা নামাজের পরে প্রদান করার নিয়ম ইসলামে রয়েছে। ইসলামের বর্ননা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে খুৎবা প্রদান ইমামের জন্য সুন্নত ; তা শ্রবণ করা নামাযীর জন্য ওয়াজিব। সাধারণত: ঈদের নামাজের পরে মুসলমানরা সমবেতভাবে মুনাজাত করে থাকে এবং একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের সম্ভাষণ বিনিময় করে থাকে। ঈদের বিশেষ শুভেচ্ছাসূচক সম্ভাষণটি হলো, "ঈদ মুবারাক"। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া নামক স্থানে।

প্রস্তুতিঃ- 

মুসলমানদের বিধান অনুযায়ী ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার আগে একটি খেজুর কিংবা খোরমা অথবা মিষ্টান্ন খেয়ে রওনা হওয়া সওয়াবের (পূন্যের) কাজ। ঈদুল ফিতরের ব্যাপারে ইসলামী নির্দেশসমূহের মধ্যে রয়েছে গোসল করা, মিসওয়াক করা, আতর-সুরমা লাগানো, এক রাস্তা দিয়ে ঈদের মাঠে গমন এবং নামাজ-শেষে ভিন্ন পথে গৃহে প্রত্যাবর্তন। এছাড়া সর্বাগ্রে অযু-গোসলের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার বিধানও রয়েছে। ইসলামে নতুন পোশাক পরিধান করার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিভিন্ন দেশে তা বহুল প্রচলিত একটি রীতিতে পরিনত হয়েছে।

ফিৎরাঃ-

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের রমযান মাসের রোযার ভুলত্রুটির দূর করার জন্যে ঈদের দিন অভাবী বা দুঃস্থদের কাছে অর্থ প্রদান করা হয়, যেটিকে ফিৎরা বলা হয়ে থাকে। এটি প্রদান করা মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব। ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিৎরা আদায় করার বিধান রয়েছে। তবে ভুলক্রমে নামাজ পড়া হয়ে গেলেও ফিৎরা আদায় করার নির্দেশ ইসলামে রয়েছে। ফিৎরার ন্যূনতম পরিমাণ ইসলামী বিধান অনুযায়ী নির্দ্দিষ্ট। সাধারণত ফিৎরা নির্র্দিষ্ট পরিমাণ আটা বা অন্য শস্যের (যেমনঃ যব, কিসমিস) মূল্যের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। সচরাচর আড়াই সের আটার স্থানীয় মূল্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম ফিৎরার পরিমাণ নিরূপণ করা হয়। স্বীয় গোলাম-এর ওপর মালিক কর্তৃক ফিৎরা আদায়যোগ্য হলেও বাসার চাকর/চাকরানি অর্থাৎ কাজের লোকের ওপর ফিৎরা আদায়যোগ্য নয় ; বরং তাকে ফিৎরা দেয়া যেতে পারে। ইসলামে নিয়ম অনুযায়ী, যাকাত পাওয়ার যোগ্যরাই ফিৎরা লাভের যোগ্য।

ঈদ উৎসবঃ- 

বাংলাদেশ সহ অন্যান্য মুসলিম-প্রধান দেশে ঈদুল ফিতরই হলো বৃহত্তম বাৎসরিক উৎসব। বাংলাদেশে ঈদ উপলক্ষে সারা রমজান মাস ধরে সন্ধ্যাবেলা কেনাকাটা চলে। অধিকাংশ পরিবারে ঈদের সময়েই নতুন পোষাক কেনা হয়। পত্র-পত্রিকাগুলো ঈদ উপলক্ষে ঈদ সংখ্যা নামে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে থাকে। ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকদিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করে। ঈদের দিন ঘরে ঘরে সাধ্যমত বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। ঈদের দিনে সেমাই বা অন্যান্য মিষ্টি নাস্তা তৈরি করার চল রয়েছে। বাংলাদেশের শহরগুলো হতে ঈদের ছুটিতে প্রচুর লোক নিজেদের আদি নিবাসে বেড়াতে যায়। এ কারণে ঈদের সময়ে রেল, সড়ক, ও নৌপথে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়।

সুত্রঃ- উইকপেডিয়া 

 

ইদ এর সেরা ১০ কাভার ফটোঃ-

EID COVER01
EID COVER 02
EID COVER 03
EID COVER
EID COVER 04
EID COVER05
EID COVER 06
eid cover 07
eid cover 08
eid cover 09
eid cover 10

 

আর কাভার ফটো পেতে এখানে ক্লিক করুন।

এখন ইদের সেরা ১০ প্রোফাইল পিকঃ-

 

01
02
03
04
05
06
07
08
09
10

 

 

ইদ নিয়ে সেরা ১০ মেসেজঃ-

1) যে দিন দেখবো ঈদ এর চাঁদ খুশি মনে কাটাবো রাত নতুন সাজে সাজব সেদিন সেদিন হলো ঈদের দিন আনোন্দে কাটাবো সারা দিন! ঈদ মোবারক

2) শুভেচ্ছা রাশি রাশি গরু না খাসি? টিক্কা না ঝালফ্রাই? এনটিভি না চ্যানেল-আই? রিলাক্স না বিজি? শাড়ি না শার্ট? Wishing from heart EID MUBARAK

3) বলছি আমি আমার কথা, ঈদে থাকবে নাকো মনের ব্যাথা, আমার জীবনে অনেক চাওয়া, ঈদ থেকে সব পাওয়া, ঈদের প্রতি তাই এত্ত ভালোবাসা, ঈদ মোবারক

4) এই এসএমএস, যার কাছে যাবি, যাকে পাবি, তাকেই আমার সালাম দিবি, লাল গোলাপের ভালোবাসা দিয়ে ঈদের দাওয়াত জানাবি, আর মিষ্টি করে বলবি ঈদ মোবারক

5) রং লেগেছে মনে মধুর এই ক্ষনে, তোমায় আমি রাংগিয়ে দিবো এই ঈদের দিন, " ঈদ মোবারক "

6) বন্ধু তুমি অনেক দূরে, তাই তোমার কথা মনে পরে, সুন্দর এই সময় কাটুক খুশিতে, সব কষ্ট ভুলে যেও আপনজনের হাসিতে, "ঈদ মোবারক"

7) ঈদের শুভেচ্ছা জানাই তোমাকে, অনেক বেশি খুশি ঘিরে রাখুক তোমাকে, সব আপনজনের মায়া মাতিয়ে রাখুক তোমাকে, শুধু যখন সালামি পাবে মনে করিও আমাকে

8) তোর ইচ্ছে গুলো উরে চলুক পাখনা দুটি মেলে, দিন গুলি তোর যাকনা কেটে এমনি হেসে খেলে, অপূর্ন না থাকে যেন তোর কোনো শখ, এই কামনায় বন্ধু তোকে ঈদ মোবারক

8) তোর ইচ্ছে গুলো উরে চলুক পাখনা দুটি মেলে, দিন গুলি তোর যাকনা কেটে এমনি হেসে খেলে, অপূর্ন না থাকে যেন তোর কোনো শখ, এই কামনায় বন্ধু তোকে ঈদ মোবারক

10) নতুন সকাল নতুন দিন। শুভ হোক ঈদের দিন।নতুন রাত বাকা চাঁদ। রঙ্গীন হোক ঈদের রাত। ঈদ মোবারক

1) Aj Dukkho Vular Din, Aj Mon Hobe Je Rongin, Aj Pran Khule Shudu Gan Hobe, Aj Sukh Hobe Simahin Tar Ektai karonAj Eid Er Din Eid Mubarak

2) 2mi Hashi khusi teko, jemon hashi thake fule,,,,, Dunier sob dukho jak 2may vhule,,,, Melo 2 hat, Uro Akashe, hoye jao aaj pakhi,,,, aaj moder kusir Eid ogo aamar Sokhii "Eid Mubarak

3) Shopno Gulo Sotti Hok, Sokol Asha Purno Hok, Dukkho Dure Jak, Sukhe Jibon Vore Jak, Jibonta Hok Dhonno, Eid Mubarak Tumar Jonno!

4) Kichu Kotha Obekto Roye Jay, Kichu Onuvuti Moner Maje Theke Jay, Kichu Valobashar Srithi Nirobe Kade, Sudhu Ai Din Sob Vulie dai, "Eid Mobarok"

5) Shuvo rat, shuvo din Agami kal eid er din Enjoy korbo simahin Eid pabona protidin Tomar dawat roilo eid er di 6) NotuN cHater agomoNe sara jagLo a moNeeid alo pobitro diNe dukho-bedoNa vuLe giae Enjoy koro Eid-er diNe Jodi boNdhu moNe pore,aso boNdHu amar taNeInvite korLam a suvoggoNeAsai asi asbe boLe Eid-mubarak

7) Aamar bari NETROKONA(Teligati),2mar bari koi ?Ashbe kn2 EiD'r din, hok problem jotoi Khusir dine notun saje aste hobe bariSMS kore address deyo,patheya debo gari

!!! (EiD MUbAROk)

8) Megla akash, Megla din,Eider baki 1din Asbe sobar khusir din,Kapor chupor kine nin,Gorib dukhir khobor nin, dawaath roiloeider din Eid Mubarak

9) Sonali SHOKAL, Rodela DUPUR,Poronto BIKEL, Godhuli SONDHA,Chandni RAAT,SOB rong-a Rangiyeathak apnar sarata bochor, sarata jibonAi kamonay-"EID MUBARAK"

10) Magla akesh magla din Eider bake kicho din Sobar mukhe futbe hase ful futbe rashe rashe Notun surjo notun dine Eid katuk hase mone

ইদ-উল-ফিতর এর রান্নাঃ-

রান্না

ইদে সব কিছু যেমন তেমন কিন্তু রান্না না হলে কি হয়?  তাই এখন কিছু রান্না শেয়ার করবঃ-

 

খাশির পাক্কি বিরিয়ানিঃ-

DSC06760

উপকরনঃ

খাসির মাংস- ২ কেজি

আলু- ১/২ কেজি

পোলাও চাল/ বাসমতী চাল- ১ কেজি

আলু বোখারা- ১০টি

পিঁয়াজ কুচি- ২ কাপ

আদা বাটা- দেড় টেবিল চামচ

শাহী জিরা- বাটা ১ চা চামচ

রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ

টক দই- ১ কাপ

মরিচ গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ

লবণ-প্রয়োজন মতো

পোস্তা বাটা- ১ টেবিল চামচ

ঘি- ১/২ কাপ

তেল- ১ কাপ

গুড়া দুধ- ১/৪ কাপ

জয়ফল ও জয়ত্রী বাটা- ১/২ চা চামচ করে

এলাচ ৫টি

গোল মরিচ ৮টি

দারচিনি ৩-৪ টি

তেজপাতা ৩ ৮ টি

গরম পানি ৮ কাপ

শান বোম্বাই বিরিয়ানির মসলা হাফ প্যাকেট

প্রণালীঃ

মাংসের সঙ্গে দই, বাটা মশলা, মরিচ গুঁড়া, লবণ ও শান বিরিয়ানির মসলা দিয়ে মাখিয়ে ১-২ ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। ম্যারিনেট করা মাংস তেল দিয়ে রান্না করুন। আলু কেটে ভেজে নিন।পোলাওর চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ঘি তেল একসঙ্গে চুলায় দিয়ে একটু গরম হলে তাতে পেয়াঁজ কুচি দিয়ে নাড়ুন, বাদামী করে বেরেস্তা ভেজে তুলে রাখুন। ঐ তেলে গরম মসলা, কিসমিস ও তেজপাতার চাল হালকা ভাজে নিন। এখন চালে পানি দিয়ে দিন। পানি ফুটে উঠলে গুড়া দুধ ও লবন দিয়ে দিন। চাল আধা সিদ্ধ হলে রান্না করা মাংস দিয়ে দিন। আলু বোখারা ও আলু দিয়ে ঢেকে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। মৃদু আঁচে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। নামিয়ে উপরে বেরেস্তা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

চিকেন কোরমা (মুরগির/ মুরগীর কোরমা)-

DSC06177-001

উপকরনঃ 

মুরগীর ১ টি

আলু ২ টি টুকরা করা

পেঁয়াজ বাটা ১/৪ কাপ

কাঁচামরিচ ৪ টি

আদা বাটা ১ টেবিল চামচ

রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ

জিরাবাটা ১চা চামচ

চিনি ১ চা চামচ

দারুচিনি ২ টি

এলাচ ৪ টি

তেজপাতা ২ টি

গরম মশলা পাউডার ১/২ চা চামচ

টক মিষ্টি দই ১/২ কাপ

কিসমিস ৭/৮ টি

লেবুর রস ১ টেবিল চামচ

তেল ১ কাপ

ঘি ১ টেবিল চামচ

লবন স্বাদমতো

প্রনালীঃ

কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে আলু ভেঁজে উঠিয়ে রাখুন। এখন বাকি তেল দিয়ে সব বাটা মশলা গুলো দিয়ে একটু কষিয়ে দই দিন। এবার মাংস ও আলু দিয়ে কষিয়ে পরিমান মত পানি দিয়ে ডেকে দিন। নামানোর কিছুক্ষন আগে কিসমিস, লেবুর রস,চিনি,কাচামরিচ ও ঘি দিয়ে ঢেকে দিন। মাংসে তেল উঠে এলে নামিয়ে দিন। পোলাও এর সাথে পরিবেশন করুন।

 

জর্দা সেমাইঃ-

1380803_347631368716413_1945480707_n

উপকরণঃ

সেমাই ২৫০ গ্রাম

ডিম ২টি

চিনি ১ কাপ

ঘি ১ কাপ

দারুচিনি ১ টুকরা

পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ

তেজপাতা ২ টি

কিসমিস ১০-১২ টি

গরম পানি ১/২ কাপ।

প্রণালীঃ

১/ সেমাই ঘিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। গরম পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
২/চিনি, ডিম একসঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে নিন।
৩/ অল্প আঁচে সেমাই মধ্যে মিশ্রণ দিন ও ভালো করে নাড়তে থাকুন। দারুচিনি,বাদাম কুচি, কিসমিস ও তেজপাতা দিন।
৪/ চিনি গলে মিশ্রণটি একদম মিশিয়ে ফেলতে হবে।
৫/ ঘন ঘন নাড়ুন। সেমাই ঝারঝরা হলে নামিয়ে ফেলুন।

 

দুধ ডিম সেমাইঃ-

 

993328_310871009059116_668965555_n (1)

উপকরণ : 

সেমাই ২৫০ গ্রাম (নরমাল)

দুধ ২ লিটার

এলাচ ৩ টুকরা

দারচিনি ২ টি

বাদাম ১ টেবিল চামচ

কিশমিশ ১ টেবিল চামচ

ডিম ২ টি

চিনি ২ কাপ (পরিমাণমতো)

প্রণালীঃ

সেমাই দিয়ে হাল্কা বাদামি করে ভেজে নিন। দুধ অল্প আঁচে জ্বালিয়ে ১-৫ লিটার করে ঠাণ্ডা করুন। ডিম অনেক করে ফেটে দুধের সাথে মেশান। এখন চুলাই দিয়ে দুধ ও ডিম এর মিশ্রণে ভেজে রাখা সেমাই, চিনি, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে নাড়ুন। ৫ মিনিট নাড়ুন। এখন পরিবেশনের পাত্রে ঢেলে বাদাম কুচি ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

 

টিকিয়া কাবাবঃ-

1377153_345872838892266_480453981_n-001

উপকরনঃ

মাংস ১/২ কেজি(হাড় ও চর্বি ছাড়া)

আদা, রসুন ও পেঁয়াজ টুকরা করা ১ কাপ

শুকনা মরিচ ৫-৭টি

লবণ স্বাদ অনুযায়ী

গরম মশলা আস্ত দুই-তিনটি

এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ, শাহি জিরা ১/২ চামচ

জিয়াত্রি ১ চা চামচ

ডিম দুইটি

ছোলার ডাল ২৫০ গ্রাম

পরিমাণমতো পানি ও তেল ভাজার জন্য।

প্রনালিঃ

প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে একটু ছেঁচে নিন। তাতে সব কাটা মশলা, আস্ত গরম মশলা, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, ডাল ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে শুকনা শুকনা করে গরম অবস্থায় বেটে তাতে একে ডিম দিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে মাখিয়ে গোল গোল চ্যাপটা করে গরম ডুবো তেলে ভেজে কিচেন টিস্যুতে তুলে সার্ভিং ডিশে সাজিয়ে পরিবেশন করুন টিকিয়া কাবাব।

 

ঈদ-উল-ফিতর সম্পর্কিত রাসূল ﷺ এর সুন্নাহঃ-

 

১। রাসূল ﷺ সাদকাত-উল-ফিতর আদায় করতেন এবং সকল স্বাধীন নারী-পুরুষদের সাদকাত-উল-ফিতর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সাদকাত-উল-ফিতর ঈদের নামাজের আগেই দিয়ে দিতে হবে। ঈদের নামাজের পর দিলে তা

সাদকাত-উল-ফিতর হিসেবে বিবেচিত হবে না, তবে সাধারণ দান হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত: রাসূল ﷺ সবাইকে ঈদ এর নামাজের আগেই সাদকাত-উল-ফিতর আদায় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
Bukhari :: Book 2 :: Volume 25 :: Hadith 585
আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসূল ﷺ এর সময়ে আমরা এক সা' পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা' পরিমাণ বার্লি অথবা এক সা' পরিমাণ শুকনো গ্রেপ ফল সাদকাত-উল-ফিতর হিসেবে দিতাম।
Bukhari :: Book 2 :: Volume 25 :: Hadith 584
ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত: আল্লাহর নবী সাদকাত-উল-ফিতরকে অত্যাবশকীয় করে দিয়েছেন এবং সাদকাত-উল-ফিতর হিসেবে এক সা' বার্লি অথবা এক সা' খেজুর প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পরুষের এবং বৃদ্ধ ও সকল স্বাধীন পুরুষ ও দাসের অবশ্যই আদায় করতে হবে।
(এক সা' = ২ কেজি ২৫০ গ্রাম)
Bukhari :: Book 2 :: Volume 25 :: Hadith 588,
Muslim :: Book 5 : Hadith 2153
আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন: অনেকেই ঈদের এক বা দুই দিন আগেই সাদকাত-উল-ফিতর আদায় করতেন।
Bukhari :: Book 2 :: Volume 25 :: Hadith 587
উপরোক্ত হাদীসগুলো আলোকে, সাদকাত-উল-ফিতর হিসেবে খাদ্য দ্রব্য দেওয়া ভালো, কারণ এটাই রাসূল ﷺ তাঁর জীবদ্দশায় করে গিয়েছেন এবং এটাই উনার সুন্নাহ আর সাহাবীরাও এভাবে দিতেন। এটা সমাজের প্রচলিত খাদ্য হতে হবে যেমন: দুই কেজি আড়াইশ গ্রাম (এক সা' হিসেবে) পরিমাণ চাল অর্থাৎ ঈদের দিন যাদের সামর্থ্য নেই তারাও যেন ভালো খেতে পারে সে মূল্যমানের খাদ্য মোট কথা সমাজের প্রচলিত খাদ্য হলেই চলবে।
সকল স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পরুষের এই সাদকাত-উল-ফিতর আদায় করতে হয় কারণ এটাই রাসূল ﷺ করতে বলেছেন। অর্থাৎ যার যার সাদকাত-উল-ফিতর তার তার আদায় করতে হবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে সাদকাত-উল-ফিতর ঈদের নামাজের আগে আদায় করতে হয়, দুই একদিন আগেও দিলেও হয় যেহেতু রাসূল ﷺ এর সাহাবীরা দিয়েছেন।
সাদকাত-উল-ফিতর কাদের জন্য:
সাদকাত-উল-ফিতর যে এলাকায় দেওয়া হবে সে এলাকার গরীব মুসলমানদের দিতে হবে। আবু দাউদ কর্তৃক বর্ণিত, ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, আল্লাহর রাসূল (স) রমাদান মাসে গরীবদের খাওয়ানোর জন্য সাদকাত-উল-ফিতর দিতে বলেছেন।
২।তাকবীর দেওয়া: ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে তাকবীর দিতে হয় এবং এই তাকবীর দেওয়া ঈদের নামাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়ে যায় অর্থাৎ নামাজ শুরু হয়ে গেলে আর তাকবীর দিতে হবে না।
আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবর,আল্লাহু আকবর,আল্লাহু আকবর, ওয়া লিল্লাহিল হামদ (আল্লাহ সবচেয় বড়, আল্লাহ সবচেয় মহান, আল্লাহ সবচেয় বড়, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবচেয় বড়,আল্লাহ সবচেয় মহান,আল্লাহ সবচেয় বড়, এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য)
এই তাকবীর নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। তবে পুরুষদের উচ্চ স্বরে পড়তে হয় এবং উচ্চ স্বরে পড়তে পড়তে ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যেতে হয় এবং ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরতে হয়, এটাই রাসূল এর সুন্নাহ।
৩। রাসূল ﷺ ঈদের দিন ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে বিজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। আমরা যদি এইভাবে খাই তাহলেও আমরা এই থেকে দুইটি জিনিস পাবো। এক হলো খেজুর খাওয়ার মজা, দুই হলো রাসূল ﷺ এর সুন্নাত পালন করার মজা।
আনাস বিন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত: আল্লাহর নবী কখনই খেজুর খাওয়া ব্যাতীত ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ পড়তে যেতেন না। আনাস (রা) আরো বর্ণনা করেন: রাসূল ﷺ বিজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন।
Bukhari :: Book 2 :: Volume 15 :: Hadith 73
৪। রাসূল ﷺ নারী-পরুষ সকলকে ঈদ গাহে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন।
উম্মে আতিয়া (রা) থেকে বর্ণিত: আল্লাহর নবী ﷺ আমাদের সকল নারীদের(বিবাহযোগ্য, বিবাহিত, বয়স্ক), মাসিকরত থাকা নারীরাকেও ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহায় ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দিতেন; মাসিকরত থাকা নারীরা নামায না পড়ে ঈদ জামাতের পিছনে দাড়িয়ে থাকত তবে দান করার কাজে তারাও অংশগ্রহন করতেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম: আল্লাহর রাসূল ﷺ, যদি আমাদের মধ্যে কারো জিলবাব(পর্দার জন্য মুখ ও শরীর ঢাকার কাপড় যেমন: বড় চাদড়) না থাকে? তিনি ﷺ বললেন: তাকে তার বোনের জিলবাব দ্বারা ঢেকে দাও।
Muslim :: Book 4 : Hadith 1934
উপরোক্ত হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম নারীদেরও ঈদ গাহে যাওয়ার জন্য রাসূল ﷺ আদেশ দিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই জিলবাব পড়ে যেতে হবে(পর্দার জন্য মুখ ও শরীর ঢাকার কাপড় যেমন: বড় চাদড়)।
৫। আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: নামাজ পড়ে শেষ করা পড়া রাসূল ﷺ খুতবা দিতেন। এরপর তিনি মানুষদেরকে দান করার জন্য নির্দেশ দিতেন। তিনি ﷺ বলতেন: ''ওহে পুরুষেরা, দান কর''। এরপর তিনি নারীদের দিকে যেয়ে বলতেন: "ওহে নারীরা, দান কর"। (সংক্ষেপিত)
Bukhari :: Book 2 :: Volume 24 :: Hadith 541
উপরোক্ত হাদীস থেকে আমারা জানলাম, রাসূল ﷺ ঈদের দু'রাকাত নামাজের পড় খুতবা দিতেন তারপর মানুষদেরকে দান করার জন্য নির্দেশ দিতেন।
৬। ফজরের নামাজের পর ঈদের নামাজের আগে পরে কোন নামাজ নেই।
ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত: রাসূল ﷺ ঈদ-উল-ফিতরের দিন দুই রাকাত নামাজ পড়তেন এবং এই নামাজের আগে পড়ে তিনি কোন নামাজ পড়তেন না।
Bukhari :: Book 2 :: Volume 15 :: Hadith 81
৭। দুই ঈদ ; ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহার দিন রোযা রাখা নিষেধ। 
আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসূল ﷺ আমাদেরকে দুই ঈদ; ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহার দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।
Muslim :: Book 6 : Hadith 2536

ঈদুল ফিতরের পূর্ব রাতের ফজিলত:-

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এখন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর অত্যাসন্ন। ঈদ-উল-ফিতর মানে রোজা ভাঙ্গার উৎসব। গত একমাস ধরে সিয়াম সাধনার মধ্যে দিয়ে রোজাদার যে কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে, আজ তা থেকে উত্তীর্ণের সময় ক্রমেই ঘনিয়ে এসেছে। চতুর্দিকে তাই আজ ঈদের আমেজ সুস্পষ্ট। মুসলিম
সমাজ জীবনে ঈদ-উল-ফিতরের অবারিত আনন্দধারার তুলনা চলে না। কারণ, প্রথমত এ আনন্দোৎসবের আমেজ গরিবের পণ্য কুটির হতে ধনীর বালাখানা পর্যন্ত সমানভাবে মুখরিত। শহর নগর গ্রামগঞ্জ সর্বত্র এর ঢেউ বিবৃÍত। দ্বিতীয়ত এ আনন্দ অতি পবিত্র ও নির্মল।
সহীহ হাদীস শরীফ সমূহে বছরের যে পাঁচটি রাতকে অতি মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এর মধ্যে ঈদ-উল-ফিতর পূর্ববর্তী রাত অন্যতম। হাদীস শরীফে এসেছে রমজানের ইফতারের সময় প্রত্যেক দিন আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা এক হাজার জাহান্নামীকে নরকমুক্ত করেছেন, তাদের প্রত্যেকের জন্য দোযখে যাওয়া অবধারিত ছিল। আর রমজান মাসের শেষ দিন যখন আসে আল্লাহ সেদিন রমজানের প্রথম থেকে ওই দিন পর্যন্ত যত পাপীতাপীকে ক্ষমা করেছেন তার সমসংখ্যক অপরাধীকে ক্ষমা করে দেন। (সুবহানাল্লাহ)। তাই দেখা যায়, নেককার মানুষ শব-ই-কদরের ন্যায় ঈদপূর্ব রাতেও ইবাদতে মশগুল হয়।
সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদি) এক দীর্ঘ হাদীসে বর্ণনা করেন : যখন ঈদ-উল-ফিতরের রাতের আগমন হয় ওই রাতকে পুরস্কার দানের রজনী হিসেবে অভিহিত করা হয়। যখন ঈদের সকাল নামে তখন আল্লাহ প্রতিটি দেশে ফেরেস্তা প্রেরণ করেন। তারা পথের ধারে অবস্থান নেন এবং ডাকতে থাকেন। তাদের আহ্বান মানুষ ও জ্বীন ব্যতীত সব মাখলুকই শুনতে পায়। তারা বলেন : ওহে উম্মতে মুহাম্মদী (স)! বের হয়ে এসো মর্যাদাবান প্রতিপালকের পানে। তিনি অধিক পরিমাণে দান করে থাকেন, মারাত্মক অপরাধও ক্ষমা করে দেন।
বস্তুত ঈদ-উল-ফিতরের দিবস হচ্ছে পুরস্কারের দিন, আত্মোপলব্ধির দিন। সমাজ ও যুগের নানা অবক্ষয়ের ছোঁয়ায় ঈদের অনুষ্ঠানেও নানা অতিরঞ্জিত বিষয় ও বাড়াবাড়ি এসে পড়েছে। আমাদের এ ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে মহানবী (স) এর প্রবর্তিত পবিত্র ঈদের শিক্ষা ও বরকত হতে আমরা বঞ্চিত না হই। আজকের লাগামহীন ঈদের আনন্দে আমাদের অনেকে ঈদের উপরিউক্ত ধর্মীয় গুরুত্ব ও মর্যাদার কথা বেমালুম ভুলে থাকে। যার কারণে আমরা লক্ষ্য করছি, মুসলমানদের ঈদ ক্রমশ হয়ে পড়েছে নিষ্প্রাণ উদ্দেশ্য লক্ষ্যহীন। বস্তুত রমজান যেমন সাধনার মাস এতে সিয়াম, কিয়ামসহ কঠিন ইবাদতসমূহের মাঝামাঝি রয়েছে ইফতার সাহরীর আনন্দদায়ক মুহূর্তগুলো, তেমনি ঈদ-আনন্দও কিছু বিধিনিষেধে পরিপূর্ণ যা অনিয়মতান্ত্রিকতাকে নিরুৎসাহিত করে এক সুশৃঙ্খল ও ধারাবাহিক দায়িত্ব কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেয়। যেমন :
ঈদের নামাজের প্রাক্কালে কিছু মুস্তাহাব কাজ করার বিধান রয়েছে। এর মধ্যে ১/ ঈদগাহে গমনের পূর্বে ফজরের পর কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ, ২/ গোসল করা, ৩/ মিসওয়াক করা, ৪। খুশবু ব্যবহার করা, ৫/ উত্তম কাপড়-চোপড় পরিধান করা, ৬/ ঈদের নামাজে গমনের পূর্বে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা, ৭। প্রত্যুষে বিছানা ত্যাগ করা, ৮/ সকাল সকাল ঈদগাহে উপস্থিত হওয়া, ৯/ হেঁটে হেঁটে ঈদগাহভিমুখে গমন করা, ১০/ চলতে পথে নীচু কণ্ঠে তাকবীর বলে যাওয়া (তাকবীর ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ্)। ১১/ এক পথে যাওয়া, ভিন্ন পথে আসা, ১২/ সাজগোজ করা, ১৩/ উন্মুক্ত আকাশের নিচে খোলা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করা।
ঈদের আনন্দে যেন আমরা ঈদের পালনীয় আহকামগুলো ভুলে না যাই, সে দিকে আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
মাসব্যাপী এ কলামে আমরা রোজা নামাজ ও যাকাতের বিভিন্ন বিধিবিধান নিয়ে আলোচনা করেছি। একইভাবে ইসলামে অন্যান্য আদব ও সৌন্দর্যগুলোও তুলে ধরেছি। আমাদের উদ্দেশ্য এ মোবারক মাসে এ কলামের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিজ্ঞানসম্মত ও সময়োপযুক্ত আচরণগুলো হৃদয়ে স্পর্শ করে যায়। আল্লাহ আমাদের উদ্দেশ্য কবুল করুন।

কালেক্টেডঃ-

 ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ পড়ার নিওমঃ-

প্রথমে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের নিয়ত* করিয়া তাকবীর (আল্লাহু আকবর) বলিয়া তাহরিমা বাঁধিতে (বুকের নীচে) হইবে ইমামের সাথে সাথে। এরপর নীরবে সুবহানাকা ও তাসমিয়া পাঠ করিতে হইবে।

এরপর ইমাম তিনবার উচ্চঃস্বরে তাকবীর বলিবে। প্রত্যেকবার তাকবীর বলিবার সাথে সাথে কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলিতে হইবে। প্রথম দুইবার হাত নীচে ছাড়িয়া দিতে হইবে আর তৃতীয়বার হাত বুকের নীচে বাঁধিতে হইবে। অতঃপর ইমাম উচ্চঃস্বরে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করিবে। মুক্তাদিগন উহা শ্রবন করিবে। ইমামের পিছনে রুকু-সেজদা করিয়া দ্বিতীয় রাকাতে একই ভাবে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করিতে হইবে। দ্বিতীয় রাকাতের শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে ইমাম তিনবার তাকবীর পাঠ করিবে। তিনবারই হাত ছাড়িয়া দিতে হইবে, বুকে বাঁধা যাইবে না। চতুর্থ তাকবীরে রুকুতে যাইতে হইবে। এর পার সাধারন নামাজের মতোই ইমামের ইমামতিতে নামাজ শেষ করিতে হইবে।

নামাজ শেষে ইমাম খুতবা পাঠ করিবে ও সবশেষে মুনাজাত করিবে। জুম্মার নামাজের আগে খুতবা পাঠ করা হয়। কিন্তু ঈদের নামাজের শেষে খুতবা পাঠ করা হয়।

মুক্তাদীর জন্যে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের নিয়তঃ (বাংলায়)
ছয় তাকবীরের সহিত ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের ওয়াজিব নামাজ কিবলামূখী হইয়া আদায় করার জন্যে ইমামের পিছনে দাড়াইয়া নিয়ত করিতেছি

ইদ এর গানঃ

রমজান এর রুজার শেষে এই গানটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন  তাছারা আরো গান শুনতে বা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

 

আপনার সুখি সুন্দর প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে ইদ কাটুক, এই কামনায় বিদায়,  এবং আবার ও ইদ মোবারক   

আর হে অবশ্যই

পথ শিশু

এদের জন্য কিছু একটা করবেন

!

এই দেখেন তারা ইদের কাপড় পেয়ে কত খুশি মনে হচ্ছে তারা এখন সবচেয়ে সুখি মানুষ

কত খুশি!

 

 

বিশেষ আকর্ষণঃ-

 

আপনি যদি গল্প পড়তে বা লিখতে ভালবাসেন তাইলে এখানে দেখতে পারেন     

 

 story-গল্প  

আমায় পাবেন ফেসবুকেঃ-   kashim uddin masum 

কম্পিউটার, ব্লগিং, এডসেন্স, এসিও এসব বিষয়ের আরও ইনফরমেশন পাবেন Blogging Tips ওয়েবসাইট এ।

Level 2

আমি কাশিম উদ্দিন মাছুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 64 টি টিউন ও 225 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Just awesome! চালিয়ে যান ভাইয়া। 🙂

এক কথায় অসাধারন টিউন ।ভালো লাগার মত এবং ভালো লেগেছে এ যেন ঈদের আগে আরেক ঈদ ।ধন্যবাদ ধন্যবাদ রাশি রাশি ধন্যবান ।

ভাই আমার যতদূর মনে হতে চান একজন হ্যাকার এই শিরোনামে টিউন আপনি করছেন ।তো ৪ পর্বের পর কোথায় লুকাইছেন ।কোন একজন ভাই মনে হয় বলেছিল ২ ৩ পর্বের পলাইবেন কথাটা ঠিক হল R আপনি বলেছেন না না আছি আমি এখন কোথায় ।ঈদের দাওয়াত ভালো থাকবেন

    ভাই ৪ নয় ৫ পর্ব করেছি বাকি ৭,৮, ড্রাফট করা আছে! 😛 কিছু সমস্যার কারণে আর পাবলিশ করতেছি না! কিন্তু খুব শিগ্রই করব ! আপনার মনে থকার জন্য আবার ধন্যবাদ

৫ নাব্মার টা পাই নাই আামার জানা ৪ পযন্ত আইছে ।উত্তর দেওয়ার ধন্যবাদ

https://www.techtunes.io/hacking/tune-id/355248 ভাই এই ৫ নাম্বারটা 😀

“খাশির পাক্কি বিরিয়ানি” এবার ঈদে অবশ্যই রান্না করব। রেসিপির জন্য ধন্যবাদ।

Level 2

টিউন টা আসলেই ভাল হয়েছে।

it’s not mega tune.I think it’s “Giga” tune..Really Suppppperrrr tune….Thanksssssss you bro for this “Giga” tune…

    আপনার ভাল লাগলে আমার সার্থক ! ধন্যবাদ ভাই অসাধারণ মন্তভ্য করার জন্য 😀 😀 😛

এক টিউনে সবকিছু ধন্যবাদ।

Procur Porisrom korecen ta nissondehe buja jacce. Many Many thank to you for this tune.

    জি ভাই কালকে সারা দিন লেগেছে ! কিন্তু আপনাদের ভাল লেগছে ! এটাই সার্থক 😀