গত ১২ অক্টোবর ২০১১ তারিখে কুয়েটের(খুলনা প্রোকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) সকল ছাত্র-ছাত্রী ইভ-টিজিং বিরোধী আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে এবং সেই সাথে তাদের সকল দাবি ভিসির কাছে পেশ করে।এ নিয়ে আমি টেকটিউনসে একটা পোষ্ট করেছিলাম ।পোষ্টটি দেখতে এখানে ক্লিকান।
বর্তমান কুয়েটে একদিকে চলছে সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম আর অন্য দিকে চলছে ইভ-টিজিং বিরোধী সক্রিয় আন্দোলন।কোনটাই থেমে নেই,দুটাই চলছে সমান তালে ;)তাহলে বলতে হবে এখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ করে ছাত্রীরা ধৈর্য্যশীলা বাধ্যগত রমনী(রমনী শব্দটা নিয়ে আমার একটু কনফিউশন আছে তাই ভুল হলে মাফ করে দিয়েন ;))।যাদেরকে যেমন ইছা চালানো যায় 😛
কারন অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় হলে দেখা যেত এক্সাম বাদ দিয়া শুধুই আন্দোলন করেই যাচ্ছে।যেন ছাত্র জীবনের এটাই একমাত্র উদ্দেশ্য 😀 ।এর কারন একটাই আমরা এক্সাম পিছানোর বস্ 😉 দেখা যায় ক্যাম্পাসে কোন আন্দোলন হচ্ছে কোন দূর্নীতি কিংবা প্রশানের বিরুদ্ধে,এই সব আন্দোলনে যত না ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত থাকবে তার চেয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে অনেক বেশি ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত থাকবে যদি এক্সাম পিছানোর জন্য কোন আন্দোলন হয় 😉 ওই সময় সবাই নিজেকে ক্যামন যেনো বীর বীর মনে করে 😛 তাই নিয়ম অনুসারে এখানেও ছাত্রদের উপস্থিতি(সম্ভবত ৫০%) দুঃখ জনক।
বুয়েটে এখন পর্যন্ত কোন এক্সাম প্রশাসনের দেয়া প্রথম তারিখে হয়েছে বলে আমার জানা নাই।এক্সাম আসলে ওরা নানা সমস্যায় ভুগতে থাকে 😛
কুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীরা আগের কোন এক সেমিস্টারের একটা এক্সাম কোন একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্জন করে কিন্তু কুয়েট প্রশাসন ঐ এক্সাম ঐ সেমিস্টারে আর দেয়ার সুযোগ দেয় নি,ঐ এক্সাম দিতে হয়েছে তার পরের সেমিস্টার ফাইনাল এক্সামের সাথে(সম্ভবত এই বার আমি সিওর না)।তাহলে বলতে হয় এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল কলেজ শেষ করে আবার স্কুলেই(কুয়েট) ভর্তি হয়েছে।
তাহলে চিন্তা করে দ্যাখেন একবার কুয়েট প্রশাসনের কি দাপট!!!(:P) আর এত কঠিন প্রশাসনসের কারনেই কুয়েটের স্টুডেন্টরা চার বছরের বি এস সি ইঞ্জিনারিং কোর্স তারা চার বছরের আগেই শেষ করে বেড়িয়ে যায়।যা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অসম্ভব 🙁
এতক্ষন তো শুনলাম প্রশাসনের গুন-গান।তো দেখা যাক এই প্রোশসন এখন কোন অবস্থানে আছে(!!)
প্রশাসনের নিরপেক্ষ বিচারের ফল হিসাবে আজ কুয়েটের সকল ছাত্রীরা প্রশাসন ঘেরাও করে এবং এক পর্যায়ে প্রশাসনের প্রধান গেটে ছাত্রীরা তালা ঝুলিয়ে দেয় 😀 উদ্দেশ্য একটাই ইভ-টিজারদের বিচার।কেন এতদিন ইভ-টিজারদের বিরুদ্ধে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া হল না।তাহলে প্রশ্ন জাগে এই দাপুটে প্রশাসন এখানে নিশ্চুপ কেন???
আমার এক কুয়েট ফ্রেন্ড আমাকে বলল্”আমরা বলব কুয়েটে কোন মেয়ে ভর্তি হইও না।আমরা মেয়ে চাই না,আমি চাই না আমার কোন ছোট বোন এইখানে আইসা আমার মতো গালি খেয়ে যাক।তুই চাস তোর ছোট বোন গালি খাক এই খানে আইসা???”
হুম… এই হল এক ছাত্রীর তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভিউ।একজন ছাত্র বা ছাত্রী কোন পর্যায়ে আইসা তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এই ধরনের মনোভাব প্রকাশ করে তা আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইলো(??)।
(প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রীরা)
লন তাহলে দেইখা আসি ওদের দাবীগুলো কি কি…। 😉
>ইভ-টিজিং মুক্ত সুস্থ এবং সুন্দর পরিবেশ চাই।
>ইভ-টিজিং বিরধী কমিটি চাই যা রোকেয়া হলের ছাত্রীদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে গঠন করা হবে।
>ইভ-টিজার বিরোধী কমিটি দ্বারা তিন দিনের মদ্ধে ইভ-টিজারদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।
>ইভ-টিজারদের দৃষ্টান্ত মূলক কঠোর শাস্তি চাই।
>যারা বার বার ইভ-টিজার হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে,ইভ-টিজিং বিরোধী আন্দোলনের বাধা দান কারী এবং যারা ইভ-টিজিং বিরোধী কর্মকান্ডে অংশগ্রহনকারী ছাত্রদের মারধর করেছে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল(গুলজার-সিভিল ফোর্থ ইয়ার,সাকিল-সিভিল ফোর্থ ইয়ার,ফজলে রাব্বি-সিভিল ফোর্থ ইয়ার,জয়ন্ত সাহা-সিভিল ফোর্থ ইয়ার)।
>ইভ-টিজিং প্রতিবাদীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত চাই।
দেখা যায় কয় একজন ছাত্রের জন্য কুয়েটের আজ এই অবস্থা। এই কয় একজন বকাটে মুলত কুয়েটের সকল ছাত্রকে বকাটে হিসাবে পরিচিতি দিচ্ছে।যারা এই নিউজটা জানবে তারা হয়তো কুয়েটের ছাত্র মানেই বকাটে, ইভ-টিজার এইরকম ধারনা নিয়েই থাকবে যা কোন মতেই কাম্য নয়।
তো দেখা যাক অদূর ভবিষ্যতে কি হয়(!!!!)
আমার কাছে এই মূহুর্তে কোন পিক সংগ্রহে নাই বলে দিতে পারলাম না 🙁 আসা মাত্র দিয়ে দিব।আর কালকের দৈনিকে হয়তো আপনারা আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমি Walking Man। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 76 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
www.facebook.com/freemaan
এই টিউন টা কি টেক টিউনস এর সাথে সামঞ্জস্য !!