নারী নির্যাতন প্লাস ইভ টিজিং বিরোধী কর্ম কান্ডগুলা কেমন চলছে আপনাদের?ভালই তাই না বস্?আসল কথা হল আপনারা চলবেন আপনাদের নিয়মে আর নারী নির্যাতন প্লাস ইভ টিজিং চলবে তার নিয়মে সাথে আইন চলবে তার নিজস্ব গতিতে,একটার সাথে আর একটার কোনো মিল নাই রে ভাই।সবাই চাপা মারার বস্।
বলেন তো আমাদের সমাজে কোথায় ইভ-টিজিং বেশি হয়?এবং কারা এর জান্য দায়ী?আর সাধারণ ছাত্ররা এর জন্য কতোটা দায়ী?কি বলবেন আপনি?
আমরা দৈনিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রায়ই ইভ টিজিং নিয়ে বিভিন্ন নিউজ পড়ি এবং এর কিছু ভয়ানক ফলাফলও দেখি।বেশির ভাগ ভয়ানক ফলাফল ধটে স্কুল পরুয়া মেয়েদের ক্ষেত্রে।ইভ টিজিং এর শিকার হয়ে এদেশের হাজারো মেয়ে আত্যহত্তা করছে এর ভয়ংকর উদাহরন আমার চেয়ে আপনিই হয়তো বেশি জানেন।কিছু দিন আগে এক দৈনিকে দেখলাম ইভ টিজিং এর শিকার হয়ে আত্যহনন কারি এক মেয়ে একটি চিরকুটে লিখে গেছে “আমাকে ওরা যেভাবে ইভ টিজিং করেছে তা একটা মেয়েকে রাস্তায় ফেলে ধর্ষনের চেয়েও ভয়ংকর”।লেখাটি পড়ে আমি থ হয়ে গিয়েছিলাম।কিছুদিন আগে ভিকারুননেছানুন স্কুলে কি ধটেছিল তা আমরা সবাই জানি।পারসনায় কি নিয়া বানিজ্য চলছে আজ তা কারো অজানা নয়।
(পিক টা একটা পেজ থেকে নেয়া)
স্কুল কলেজের মেয়েরা বেশি ভুক্তভোগী কথাটা যেমন সত্যি ভার্সিটি পরুয়া মেয়েরা কম ভুক্তভোগী নয়।পার্থক্য হল বয়সের।ওরা স্কুল কলেজের সময়টা অতিক্রম করে আসছে আর ওরা জানে এদেশের সমাজ ব্যবস্থা কেমন আর কেমন এদেশের আইন।আর তাই বেশির ভাগ মেয়েরা আছে সব সহ্য করে।আর যারা একটু সাহসী তারা প্রতিবাদ করে এবং দেখেছে লাভের লাভ কিছুই হয় না।
-“ওই মাগী কই যাছ?”
-“কোন শুয়ারের বাচ্ছা এই কথা কইলো? সাহস থাকলে সামনে আইসা ক”
এই যদি হয় ভার্সিটির কোন এক সিনিয়র ভাই আর এক জুনিয়র বোনের কথা তাহলে বলতে হবে ওই সিনিয়র ভাইগুলা এক একটা নিজিস 😉
একবার ভেবে দেখেন তো তৃতীয় বর্ষে পরুয়া একটা মেয়ের সাথে যদি তার ভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের বড় ভাইয়েরা এইরকম ব্যবহার করে,অকথ্য ভাষায় গালি দেয়।।বিষয়টা খুবই মর্মান্তিক। যেখানে সিনিয়র ভাইয়েরা হবার কথা জুনিয়রদের আদর্শ,অনুপ্রেরনা সেখানে তাদের ইচ্ছা মত স্লেজিং করা হয়।হ্যা এইরকম কাহিনি নিয়মিত ঘটে যাচ্ছে আমাদের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয় হল কুয়েট(খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)।সম্প্রতি কুয়েটে ইভ টিজিং এতোটাই চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছে যে সেখানকার মেয়েরা বাধ্য হয়ে আজ মানব বন্ধন করেছে এই মানুষ রুপি কিছু অমানুষের বিরুদ্ধে।
ওইখানে তৃতীয় বর্ষ প্লাস চতুর্থ বর্ষের কিছু ছাত্র ছিল কিন্তু আমি সিনিয়রদের কথাই বললাম কারণ সিনিয়রদের সাথে থেকে কোন জুনিয়র নিজের স্বাধীনতায় কোন মেয়ের সাথে এই রকম ব্যবহার করতে পারে না।
বিশ্ববিদ্যালয় গেটের পাশেই অবস্থিত কুয়েটের “খানজাহান আলী হল্” তবে নাম যাই হোক এটা ইভ টিজিং এ শ্রেষ্ঠ খাজা হল নামেই পরিচিত।এই হলের সামনে থেকে যাবার সময় কোন মেয়েকেই খালি হাতে ফেরানো হয় না,ইভ টিজিং এর কিছু অদৃশ্য প্যাকেট ছুড়ে দেয়া হয় গিফট হিসাবে।যাইহোক কাজের কথায় আসি।
ঐ দিনের ঘটনার পর ভুক্তভোগী মেয়েটি তাদের ফেসবুক গ্রুপে ঐ ঘটনার হালকা আভাস দিয়ে একটা পোষ্ট দেয়,নিয়ম অনুসারে বেশ কিছু কমেন্ট পরে এবং যথারীতি খাজা হলের ছাত্রদের কুকর্মের বিরুদ্ধে।এই ঘটনার রেশ ধরে ভার্সিটির সিনিয়র নেতারা ঐ কমেন্টারদের ধরে পিটায় খাজা হলের অতি ভদ্র নীরিহ ছাত্রদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য এবং সত্যের ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করে :P।আহারে বেচারা 🙁
সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদ হিসাবে কুয়েটের সকল ছাত্রী এক হয়ে এইসব সন্মানী সকল ভাই প্লাস সহপাঠিদের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং আজ তাদের সাহসী কর্মসূচী পালন করে ক্যাম্পাস জুড়ে আর তাদের সাথে থাকে ক্যাম্পাসের বাকী সকল সিনিয়র জুনিয়র ছাত্ররা।যথারীতি খাজা হলের সামনে থেকে মানব বন্ধনের সময় আবার কিছু অকথ্য স্লেজিং। যতদূর জানি সকল ছাত্রীরা ভিসির কাছে ঐ সকল ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দিবে। আরও বিস্তারিত এবং হয়তো কিছুটা বিকৃত খবর কালকের মধ্যে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন দৈনিকে।
কুয়েটে এখন সেমিস্টার ফাইনাল এক্সাম চলছে এবং কালও একটা এক্সাম হবার তারিখ আছে তাই আপনাদের সবার কাছে তাদের সকলের জন্য দোয়া করার অনুরধ রইল।
আমি Walking Man। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 76 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
www.facebook.com/freemaan
ghotonata kichukhon agei ek apu janalo.