আজ আমি একটু অন্য বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।টিউনের প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই Mukut ,Nirzonalo ভাই সহ অন্যানদের যারা সুন্দরবনকে ভালোবেসে তাদের জন্য লিখেছেন এবং ভোট প্রদানে উৎসাহীত করার জন্য আপানাদের অতি মূল্যবান সময় দিয়েছেন। আশা করছি আপনাদের ভালোবাস ও সবার সহযোগীতায় এগিয়ে যাবে সুন্দরবন।
যেদিন নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্সে এর রেংকিং চেক করতে গিয়ে দেখি সুন্দরবন ৮ নম্বর স্থানে সেদিন কেমন যে লেগেছিলো তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না ।কারণ এই প্রতিযোগীতা শুরু হওয়া থেকে আমি আমার মধ্যে লালন করি যে সুন্দরবন অবশ্যই এই প্রতিযোগীতায় জয়ী হবে এবং প্রথম দিকে কক্সবাজার ও সুন্দরবন কিন্তু খুব দূরন্ত সূচনা করেছিল।তালিকার ১ম ২টি স্থানেরই দখল ছিল কক্সবাজার ও সুন্দরবনের।কিন্তু বেশ কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রথমে বাদ পড়তে হয় সুন্দরবনকে এবং পর্যাক্রমে কক্সবাজারকেও বিদায় নিতে হয়।কারণটা কি কেউ বলতে পারেন? না জানলে বলি মূলত আমাদের অগ্যতা ও অব হেলার জন্যই বাদ পড়তে হয় এই শীর্ষ ২টি স্থানকে।কেননা তাদের নিয়ে আমাদের কোন প্রচার-প্রচারণাই ছিলো না।কিন্তু যখন আমরা বুঝতে পারলাম যে আমাদের ভূল হয়েছে তখন আমরা আবার এগিয়ে গেলাম এবং শেষ রক্ষা হিসাবে আমরা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হলাম "সুন্দরবনকে " ফিরিয়ে আনতে।এবং তারপর থেকেই মোটামুটি ভাবে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে এগিয়ে আসতে লাগলো সবাই।যার দরুন আমাদের সুন্দরবন ও এগিয়ে গেছে অনেক খানিক।
কিন্তু এত কিছুর পরও আমাদের সুন্দরবনের অবস্থান আবার ও নিম্নমূখী।এর জন্য একটি অন্যতম কারণ হলো আমাদের জন্য যে পরিমানের ভোট ও প্রচার- প্রচারণা প্রয়োজন সেই পরিমানে হচ্ছে না।কেন হচ্ছে না?
কারণ আমরা আমাদের দেশের জন্য সেভাবে কিছু করতে পারছিনা।আমাদের যে ৩-৫ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যব হার করছে তার মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা আজ অনধি জানে না কিভাবে বা কোথায় গিয়ে সুন্দরবনকে ভোট দিব।আবার এমন অনেকেই আছে যে সুন্দরবনের নাম জানি কিন্তু জানেনা সুন্দরবন কোথায় কোথায় অবস্থিত কিংবা এর কিছু সাধারণ তথ্য।যার কারণে আমাদের সামনে থেকে একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
আমরা বাঙ্গালী।বাংলা আমাদের মাতৃভাষা।আমার দেশ আমার অহংকার।যদি এই কথা গুলো আমরা স্বীকার করে নিই তাহলে কি বলবো না যে "আমার ও কর্তব্য ও দায়বদ্ধতা আছে এই দেশের জন্য'।যে দেশ আমাদেরকে এত কিছু দিলো যে দেশ জন্মগ্রহণ করে আমি গর্ববোধ করি সেই দেশের জন্য কি আমার কোন কিছুই করার নেই।আমরা কি এতই অকৃতজ্ঞ যে আমাদের দেশকে আমরা এভাবে অবহেলা করবো?আশা করি কেউই তা চাইবেন না।
আসলে আমি সেই ২০১০ থেকেই সুন্দরবনকে নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছি।আমার আজ ও নিয়ম মাফিক ১৫ মিনিট ব্যায় করে সুন্দরবনকে ভোট দেয়ার জন্য এবং যতুটুকু পারি চেষ্টা করি সবাইকে উদ্ধবুদ্ধ করতে সুন্দরবনকে ভোট দেয়ার জন্য।কোথাও কাজ হয় আবার কোথাও হয় না।তবে আমি যেটা দেখেছি যে সেটা হলো আমাদের অনেকরই এই বিষয়টা নিয়ে কোন আগ্রহই নেই।সব কিছু জেনে শুনেও আমরা সুন্দরবনের জন্য কিছুই করি না।কেন আমাদের এই চেতনা? আমরা কি আমাদের দেশকে ভালোবাসি না? আমরা কি পারি না আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে ।দিনে আমরা অনেক অলস সময় কাটিয়ে দেই ফেসবুক কিংবা অনেক স্থানে ।আমরা কি সেই অলস সময়টুকুকে কাজে লাগাতে পারি না?
যদি আমাদের নিজেদের দেশের জনগনের এই অবস্থা হয় তাহলে অন্যদেশের জনগন কিভাবে আমাদের সাহায্য করবে।১৬ কোটি মানুষের দেশে এটা আসলেই অনেক হতাশজনক একটি বিষয়।অনেক সময় এই হতাশায় আমার মাথা নিচু হয়ে আসে।কিন্তু আমরাই পারি দেশকে এই হতাশা থেকে মুক্ত করতে।আসুন সবাই মিলে আমরা আমাদের দেশকে গড়ে তুলি
তাই সবার কাছে অনুরোধ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য দয়া করে আপনার মূল্যবান ভোটটি প্রদান করুন।
সুন্দরবন সম্পর্কে জানতে এবং কিভাবে ভোট প্রদান করবেন তা দেখতে আপনার এই টিউনটি দেখতে পারেন।
টেকটিউন্স আজ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় নাম।আমি মানে করি দেশের ৮০% প্রযুক্তিপ্রেমীদের তীর্থস্থান এই জনপ্রিয় টেকনোলজী ব্লগিং প্লাটফর্ম টেকটিউন্স।তাই এটি এখন সারা বাংলাদেশের ওয়েব সাইট,সকলের আন্তরিক ভালাবাসা ও কষ্টের কারণে টেকটিউন্স আজ এই পর্যায়ে।
তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে আমাদের টেকটিউন্সের ও উচিৎ ও কর্তব্য সুন্দরবনের জন্য কিছু করা।সেটা হতে পারে খুব সামান্য থেকেই।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুবই চেয়েছিলাম যে সুন্দরবনকে নিয়ে টেকটিউন্স কিছু একটা করুক।এবং এই বিষয় নিয়ে আমি মিটআপ ও কনক্লেভেও কথা বলেছিলাম আমাদের সম্মানিত এডমিনদের সাথে।এমন কি টিউনের মাধ্যমেও আমি আহবান জানিয়েছিলাম।কিন্তু কোথাও তেমন কোন ফল পায়নি।টেকটিউন্সের কাছে আমার একটি প্রশ্ন "আমাদের কি কোন সামর্থ্য নেই সুন্দরবনকে নিয়ে কিছু করার? দেশে একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্মের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই দেশের জন্য?
আমরা যে বাংলা ভাষায় কথা বলি ও লিখি তার প্রতিও কি কোন ভালোবাসা নেই আমাদের?
আমি মনে করি অবশ্যই আছে ।আমরা দেশকে ভালোবাসতে জানি দেশের মানুষকে ভালোবাসতে জানি।১৯৭১ সালের যুদ্ধ থেকে আমরা জানি কিভাবে দেশকে রক্ষা করতে হয়। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন শিখিয়েছে আমাদেরকে কিভাবে জীবন দিতে হয় প্রিয় ভাষাকে রক্ষা করার জন্য।তাই আমাদের সামনে আবার ও দেশের জন্য যুদ্ধ করতে হবে।তবে এটা কোন রক্তের যুদ্ধ নয়।দেশকে ভালোবাসার যুদ্ধ।দেশের বিজয় ছিনিয়ে আনার যুদ্ধ।আর তাই আমি চাই টেকটিউন্স ও এই যুদ্ধে একজন বরীযোদ্ধা হিসাবে অংশগ্রহণ করুক।আর আমরা সবাই টেকটিউন্সকে কমান্ডোর মেনে তার পিছু পিছু লড়াই চালিয়ে যাবো।কথা দিলাম।
তাই আমরা সকলেই চাই টেকটিউন্স যেভাবেই হোক তার সামর্থ্যের মধ্যে কিছু একটা করুক সুন্দরবনের জন্য।যেন আমরাও একদিন গর্ব করে বলতে পারি এই যুদ্ধে আমারাও ছিলাম তোমাদের সাথে
কিভাবে সুন্দরবনের জন্য টেকটিউন্স কাজ করবে, কি কাজ করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে ,কোন বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এসকল বিষয় নিয়ে বিবেচনা করার ভার আপনাদের হাতে আমি তুলে দিলাম।আপনারা কমেন্টস এর মাধ্যমে তুলে ধরুন কিভাবে আমরা ও অবদান রাখতে পারি সুন্দরবনের জন্য।টেকটিউন্সের মাধ্যমে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সুন্দরবনকে।আপনাদের নিজেস্ব চিন্তা চেতনা কমেন্টসের মাধ্যমে জানান।পরবর্তীতে টিউনটির মাধ্যমে আমি সেটাকে আপডেট করে দেব।
আমি চাই সবাই একসাথে কাজ করি সুন্দরবনের জন্য। আমাদের এত জনশক্তি থাকতে আমরা কখনোই হারতে চাই না।আশা করি সকলে একসাথ টেকটিউন্সের সাথে কাজ করলে আমরা কখনোই হারবো না। এ আমার বিশ্বাস।অন্তরের বিশ্বাস।সবাইকে ধন্যবাদ টিউনটিকে দেখার জন্য
আমি সজীব রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 69 টি টিউন ও 819 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
** একি অপরূপ রূপেমা তোমার ,হেরিণু পল্লী জননী **
আপনার এ আহ্বান আমার হৃদয়ে যতটা শিহরণ জাগিয়েছে তার ছিটে ফোঁটাও যদি আমার সোনার দেশের সকলের মাঝে শিহরণ জাগায় তবে দেখবেন আমরা আমাদের দেশকে গড়ে তুলতে পারবো ইনশাল্লাহ।
ধন্যবাদ সজিব ভাই আপনার এই উদাত্ত আহ্বানের জন্য।
** আসুন সবাই মিলে কাজ করি সোনার গড়ি **