১২ টি সাধারণ পদ্ধতি ফলো করে অনলাইন জীবনকে আরও সিকিউর করুন

টিউন বিভাগ প্রতিবেদন
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

হ্যালো টেকটিউনস জনগণ, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন। এখন থেকে নিয়মিত আবার নতুন টিউন নিয়ে আমরা হাজির হলাম আপনাদের কাছে। আর টেকটিউনসের নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিস নিয়ে ভালো না থেকে আর উপায় আছে? আর এই নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিসের ধারা বজায় রাখার নিমিত্তে, আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আর আপনারা এই টিউনের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনেক নতুন নতুন সব তথ্য।

যদি কোন বড় শপিং অথবা ফিনান্সিয়াল সাইট এর ডেটা হ্যাক বা লঙ্ঘনের শিকার হয় তাহলে আপনি যা করতে পারবেন তা হচ্ছে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা, একটি নতুন ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা এবং আপনার কাছে থাকা পুরাতন ক্রেডিট কার্ডটি ব্যাংকে জমা করা ব্যতীত আপনি বেশি কিছুই করতে পারবেন না। আর এই ধরনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে যা ফলো করে আপনি এই সব আক্রমণ থেকে নিজেকে সেফ করতে পারবেন। তাছাড়া Ransomware ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হলে আপনার ডেটা রিকোভার করতে অবশ্যই হ্যাকারকে টাকা দিতে হবে। এগুলো ছাড়াও ডেটা চুরি করার জন্য ব্যবহৃত Trojan ভাইরাস আপনার সিকিউর লগইন ইনফর্মেশন হ্যাকার নিয়ে যেতে পারে। আর তাই এই সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন।

আপনার ডিভাইস, অনলাইন আইডেন্টেকটিউনস এবং এক্টিভিটিগুলোকে আরও সুরক্ষিত করতে আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। প্রকৃতপক্ষে, অনলাইনে আরও নিরাপদে সার্ফ করার জন্য আপনি কি কি করতে পারেন সে সম্পর্কে আমাদের বেশ কয়েকটি টিপস রয়েছে যা খুবই কমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই আলোচনায় রয়েছে সর্বমোট ১২ টি টিপস যা ফলো করে আপনি আপনার অনলাইন জীবনে আরও সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।

১. এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করুন এবং আপডেট রাখুন

আমরা ভাইরাস থেকে বাঁচতে যে সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি সেগুলোই হচ্ছে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার, কিন্তু এটি আসলে সমস্ত ধরনের ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার থেকে আমাদের ডিভাইসকে রক্ষা করে। আপনারা জানেন যে, Ransomware ভাইরাস আপনার ফাইলগুলোকে এনক্রিপ্ট করে ফেলে এবং সেগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য আপনার কাছে হ্যাকার'রা অর্থ দাবি করে। আর Trojan horse ভাইরাস এমনিতে সাধারণ ভ্যালিড সফটওয়্যার এর মতই দেখায় তবে পর্দার আড়ালে এই সফটওয়্যার আপনার পার্সোনাল তথ্য চুরি করে থাকে। এছাড়াও Bots ভাইরাস আপনার কম্পিউটারকে জম্বি আর্মি সৈনিক হিসাবে রূপান্তরিত করে থাকে, সার্ভিস আক্রমণ অস্বীকার করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে বা bot herder যেভাবে কমান্ড দেয় সেভাবে কাজ করে। আর তাই একটি কার্যকর এন্টিভাইরাসই অন্য সমস্ত ধরনের ম্যালওয়ার থেকে আপনার কম্পিউটারকে প্রোটেক্ট করে।

আপনি আপনার এন্টিভাইরাসের প্রোটেক্টশন এনাবল করতে ভুলে যেতে পারেন, ফলে ব্যাকগ্রাউন্ড, ডাউনলোড, আপলোড এবং আরও অনেক কিছু করার সময় ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হতেই পারেন। ব্যবহারগত ভাবে, আপনাকে প্রতিনিয়ত এন্টিভাইরাস এনাবল আছে কিনা আর এর ভাইরাস ডিটেক্টশন ডেফিনিশন আপডেট আছে কিনা তা চেক করতে হবে। এছাড়াও বেশিরভাগ এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার একটি সবুজ রঙের ব্যানার বা আইকন ডিসপ্লে করে যখন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস বিহীন থাকে। আর আপনি যদি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ওপেন করার পরে হলুদ বা লাল রঙের ব্যানার বা আইকন দেখতে পান তাহলে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছে তা বুঝে নিবেন এবং এন্টিভাইরাসের নির্দেশাবলী অনুসরণ করে সেই ভাইরাসগুলো রিমুভ করে ফেলবেন।

আপনি ভাবতে পারেন, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কি এন্টিভাইরাস নেই নাকি? Microsoft Windows Defender Security হচ্ছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে বিল্ট ইন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার, আপনার কম্পিউটারে অন্যকোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করা না থাকলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস থেকে প্রোটেক্টশন দেয় এবং থার্ড পার্টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজেবল হয়ে যায়। তবে এই বিল্ট-ইন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি অন্য থার্ড পার্টি এন্টিভাইরাসের সাথে তুলনীয় নয় কেননা এটি তত বেশি পাওয়ারফুল না। এমনকি ফ্রি থার্ড পার্টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো Windows Defender এর চেয়েও ভাল। আর তাই আপনি Windows Defender এর উপর নির্ভর করে নিশ্চিন্তে থাকবেন না, এর বদলে আরও ভাল কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যদি কোন সাধারণ এন্টিভাইরাস বা একটি ফুল সিকিউরিটি স্যুট বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রতিবছর এটিকে রিনিউ করতে হবে। আর সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিনিউ অপশনে রেজিস্ট্রেশন করা। ফলে আপনাকে আর কষ্ট করে বারবার রিনিউ করতে হবে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিনিউ হয়ে যাবে।

আরেকটা জিনিস, যদি আপনার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বা সিকিউরিটি স্যুইটটিতে ransomware প্রোটেক্টশন না থাকে তাহলে সিকিউরিটির জন্য একটি আলাদা লেয়ার যুক্ত করতে হবে। আপনি ডেডিকেটেড ransomware ইউটিলিটিগুলো সম্পূর্ণ ফ্রিতেই পাবেন, সুতরাং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ইউটিলিটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন এবং আপনার কাছে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয় সেটি ব্যবহার করতে পারেন।

২. আপনি যে সিকিউরিটি টুলস ইন্সটল করেছেন তার সমস্ত অপশন দেখুন

অনেক দুর্দান্ত অ্যাপ্লিকেশান এবং সেটিংস আপনার ডিভাইস এবং আপনার আইডেন্টেকটিউনস রক্ষা করতে সহায়তা করে তবে সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা যদি আপনি জানেন তাহলেই সেগুলো আপনার মূল্যবান তথ্য সিকিউর করতে কাজে আসবে। আপনি যে টুলসগুলো ব্যবহার করছেন তার সমস্ত ফিচার সম্পর্কে জানা মানে আপনি আপনাকে প্রোটেক্ট করতে পারবেন সহজেই। উদাহরণস্বরূপ, আপনার স্মার্টফোনটিতে find it নামের একটি অপশন রয়েছে এটি ফোন হারিয়ে গেলে তা খুঁজে বের করতে সাহায্য করে এবং আপনি এই অপশনটি অন করে রাখতেও পারেন। তবে আপনি কি কখনো ট্রাই করে দেখেছেন আপনার ফোন হারিয়ে গেলে এই অপশন কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? সুতরাং প্রয়োজনের সময় এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা আগে থেকে জেনে রাখা উত্তম নয় কি?

আপনার এন্টিভাইরাস সম্ভবত Potentially Unwanted Applications (PUAs) প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে, ঝামেলাযুক্ত অ্যাপস যা ম্যালওয়ার নয় তবে উপকারী ও নয়। আর তাই আপনার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের সেটিংস গুলো চেক করুন এবং নিশ্চিত করুন যে এটি সেই সমস্ত বিরক্তিকর ফাইলগুলো ডিটেক্ট এবং ব্লক করার জন্য কনফিগার করা হয়েছে কিনা। ঠিক তেমনি, আপনার সিকিউরিটি স্যুটটিতে এমন কোন ফিচার থাকতে পারে সেগুলো আপনি অন না করা পর্যন্ত একটিভ হবে না। আর তাই আপনাদের কে সাজেস্ট করবো, আপনারা যখন নতুন কোন সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইন্সটল করেন তখন আপনি সেই সফটওয়্যার এর সমস্ত অপশন খুঁজে খুঁজে দেখবেন কোন অপশন কি কাজ করে তা জানবেন।

আপনার এন্টিভাইরাসটি কনফিগার করা হয়েছে এবং সঠিকভাবে কাজ করছে তা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হওয়ার জন্য, আপনি AMTSO (Anti-Malware Testing Standards Organization) এর ওয়েব সাইট থেকে সিকিউরিটি ফিচার চেক করে দেখতে পারেন। ফলে আপনি সহজেই জানতে পারবেন আপনার ইন্সটল করা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি যথাযথ ভাবে কনফিগার করা হয়েছে কিনা। আর যদি আপনার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি AMTSO এর টেস্টে পাস না করে তাহলে আপনি আপনার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টি যথাযথ ভাবে কনফিগার করবেন।

৩. প্রত্যেকবার লগইন করার সময় ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

হ্যাকাররা আপনার তথ্য হ্যাক করার অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে একটি উৎস থেকে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড হ্যাক করে তা অন্য কোথাও ব্যবহার করে লগইন করার চেষ্টা করা। উদাহরণস্বরূপ, মনে করুন হ্যাকাররা কোন ইমেইল সার্ভিস প্রোভাইডার এর কাছে থাকা সমস্ত তথ্য হ্যাক করে আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড পেয়েছে। তারা এই একই ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ব্যাংকিং সাইটগুলো বা প্রধান অনলাইন স্টোরগুলোতে লগইন করার চেষ্টা করতে পারে। আর তাই এই সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্রতিটি অনলাইন মাধ্যমে আপনাকে অবশ্যই ইউনিক এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

আর প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য একটি ইউনিক এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ক্রিয়েট করা এবং তা মনে রাখা আমাদের জন্য কষ্টকর। আর এজন্য আপনি যেকোন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন। বেশ কয়েকটি ভাল মানের পাসওয়ার্ড ম্যানেজার রয়েছে যা ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। আর আপনি যদি প্রিমিয়াম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে চান তাহলে আরও দুর্দান্ত বাড়তি কিছু ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যখন কোন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করবেন, তখন আপনাকে শুধুমাত্র একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে আর তা হচ্ছে পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের লক। আর পাসওয়ার্ড ম্যানেজার আনলক করা হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টে লগইন হয়ে যাবে। তাই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার শুধু আপনাকে সিকিউর রাখতেই সহায়তা করে না, পাশাপাশি আপনার দক্ষতা এবং প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আপনাকে আর কষ্ট করে ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হবে না বা পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার কোন সুযোগই থাকবে না।

৪. ভিপিএন ব্যবহার করুন

আপনার নিজস্ব ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করা উচিত। এই মনে করুন আপনি একটি কফি শপে গিয়েছেন এবং সেখানে একটি ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হলেন। কিন্তু আপনি এই ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ফলে আপনার অজান্তেই সেই নেটওয়ার্কের অন্য কেউ আপনার ল্যাপটপ বা মোবাইলের ডিভাইস থেকে সেন্ড করা ফাইল এবং ডেটা হ্যাক করতে পারে। এছাড়াও ওয়াইফাই এর মালিক বুদ্ধিমান হতে পারে এবং ওয়াইফাই কানেক্টশন থেকে সকল গোপনীয় তথ্য বের করতে পারে যেমনঃ আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড। আর তাই ভিপিএন ব্যবহার করা সবচেয়ে সুরক্ষিত, কেননা এর মাধ্যমে আপনার ইন্টারনেট ট্র্যাফিক এনক্রিপ্ট হয়, ফলে ভিপিএন কোম্পানির মালিক অথবা ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মালিকও আপনার ডেটা স্নুপ করতে পারবে না।

এগুলো ছাড়াও ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার রিয়্যাল আইপি অ্যাড্রেসটি হাইড করে ইন্টারনেট সার্ফ করতে পারবেন। ফলে বিজ্ঞাপনদাতারা এবং ট্রাকাররা আপনাকে সেই আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমে সনাক্ত করতে বা আপনার লোকেশন ট্র্যাক করতে পারবে না কেননা তারা আপনার ভিপিএন এর আইপি এর ঠিকানা দেখতে পাবে। আপনি ভিপিএন এর মাধ্যমে অন্য দেশের আইপি অ্যাড্রেস সার্ভার ব্যবহার করে সহজেই আপনার বর্তমান লোকেশন চেঞ্জ করতে পারবেন ফলে আপনার রিয়্যাল লোকেশন ও গোপন থাকল।

মোটকথা হচ্ছে আপনি যখনি কোন ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবেন তখন ল্যাপটপ, ফোন বা ট্যাবলেট যেটাই ব্যবহার করে ওয়াইফাই এর সাথে যুক্ত হন না কেন - আপনাকে অবশ্যই ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে। আর আপনি যদি আগে কখনো ভিপিএন ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে চিন্তার কিছুই নেই ভিপিএন ব্যবহার করা একদমই সহজ, শুধু ইন্সটল করে ওপেন করলেই বাকি কাজ আপনি নিজেই পারবেন।

৫. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন একটি প্যারার কারণ হতে পারে, তবে এটি আপনার অ্যাকাউন্টগুলোকে আরও সুরক্ষিত করে। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের মানে হচ্ছে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য শুধু ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড জানলেই হবে না এর সাথে অথেনটিকেশন এর জন্য আরেকটি লেয়ার অতিক্রম করতে হবে। আপনার যদি কোন অ্যাকাউন্ট এর ডেটা বা সেনসিটিভ ব্যক্তিগত তথ্য বা মূল্যবান কোন তথ্য থেকে থাকে এবং অ্যাকাউন্টটি টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সুবিধা দেয় তাহলে আপনাকে ফিচারটি এনাবেল করা উচিত। উদাহরণস্বরূপঃ Gmail, Evernote, এবং Dropbox হচ্ছে অনলাইন সার্ভিস প্রোভাইডার যারা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ফিচার সাপোর্ট করে।

টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কমপক্ষে দুইটি আলাদাভাবে ব্যবহার করে আপনার পরিচয় যাচাই করেঃ আপনার কাছে এমন কিছু গোপনীয় বিষয় আছে যা শুধু আপনি জানেন বা এমন অন্য কিছু। এর একটি হচ্ছে আপনার অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ডটি আপনি স্বাভাবিকভাবেই জানেন। আপনি নিজেই যে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করছেন তা প্রমাণ করার জন্য ফিংগার প্রিন্ট বা ফেসিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার অন্য কিছুও হতে পারে, যেমন আপনার কাছে থাকা মোবাইল ফোন হতে পারে। আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে একটি কোড দেওয়া হবে যা ইনপুট করে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন।

আপনি যদি শুধুই ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন তাহলে যেকেউ আপনার এই তথ্যগুলো জানলেই আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করে ফেলতে পারে। আর তাই যদি টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ফিচার অন করে রাখেন তাহলে আপনার পাসওয়ার্ড কেউ জানলেও লগইন করতে পারবে না। ফলে আপনি দেখে থাকবেন যে, বেশিরভাগ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার'রা টু-ফ্যাক্টর ফিচার সাপোর্ট করে, যদিও নতুন কোন ডিভাইসে লগইন করার সময় এই টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এর দরকার পরে। আর তাই আপনার পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের জন্য টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এনাবল করা অত্যন্ত আবশ্যক।

৬. পাসকোড ব্যবহার করুন

পাসকোড ব্যবহার করা অপশনাল হলেও, আপনার ফোনে পাসকোড লক সেট করুন। কেননা আপনার স্মার্টফোনের সমস্ত প্রাইভেট ডেটা এবং কানেক্টশন সম্পর্কে চিন্তা করুন। তাই পাসকোড লক ছাড়া ডেটা সিকিউরিটি নিশ্চিত করা কল্পনা করা যায় না।

অনেক স্মার্টফোন ডিফল্টভাবে চার সংখ্যার পিন সেট করার অনুমতি দেয়। আপনি চার সংখ্যার পিন সেট করবেন না। আপনি প্রথমে বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন ব্যবহার করুন এবং একটি দৃঢ় পাসকোড সেট করুন। মনে রাখবেন, আপনি যখন টাচ আইডি দিয়ে অথেনটিকেশন করবেন তখনও আপনি পাসকোড ব্যবহার করে অথেনটিকেশন করতে পারবেন সুতরাং পাসকোড শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

আধুনিক iOS ডিভাইসগুলোতে ছয় সংখ্যার পাসকোড সেট করার অপশন রয়েছে, এই অপশনটি ও বাদ দিন, আপনি Settings > Touch ID & Passcode এ যান Change Passcode সিলেক্ট করুন। এখন, যদি প্রয়োজন হয় আপনার পুরাতন পাসকোডটি এন্টার করুন। নতুন পাসকোড সেট করার জন্য স্ক্রিনে থাকা অপশনগুলোর মধ্যে Custom Alphanumeric Code সিলেক্ট করুন। এখন একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এন্টার করুন এবং এটি আপনার পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে সিকিউর নোট হিসেবে রেকর্ড করে রাখুন যাতে ভুলে গেলে সহজেই তা বের করতে পারেন।

শক্তিশালী পাসকোড সেট করার জন্য বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস বিভিন্ন অপশন অফার করে। প্রথমে আপনার ডিভাইসের Screen Lock সেটিংস অপশনটি খুঁজে বের করুন, আপনার পুরাতন পিনটি এন্টার করুন এবং পাসওয়ার্ড অপশনটি সিলেক্ট করুন। এখন, iOS ডিভাইসে মতোই একটি একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড যুক্ত করুন এবং টি আপনার পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে সিকিউর নোট হিসেবে রেকর্ড করে রাখুন যাতে ভুলে গেলে সহজেই তা বের করতে পারেন।

৭. আপনার স্মার্টফোন দিয়ে পেমেন্ট করুন

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সিস্টেমটি অনেক পুরানো এবং একেবারেই সুরিক্ষিত নয়। এটি ব্যবহার করা দোষের কিছু নয়, তবে এর পরিবর্তে অন্য মাধ্যম ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারেন। আপনার কাছে থাকা পুরানো ক্রেডিট কার্ড এর পরিবর্তে Apple Pay বা অ্যান্ড্রয়েড এ থাকা সমতুল্য যেকোন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যখন অ্যাপ ব্যবহার করে পেমেন্ট করবেন আপনি অনেক গুলো অপশন পাবেন।

আপনার স্মার্টফোনকে পেমেন্ট ডিভাইস হিসাবে সেট আপ করা অত্যন্ত সহজ একটি প্রসেস। এটি সাধারণত ক্রেডিট কার্ডের ছবি তুলার মধ্যমে পেমেন্ট শুরু করতে পারবেন এবং আপনি আপনার অ্যাপ-ভিত্তিক পেমেন্টগুলো ব্যাকআপ করতে পারবেন। এইতো সেটআপ করা শেষ হয়ে গেল, এখন সহজেই পেমেন্ট করুন।

স্মার্টফোন ভিত্তিক পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে পয়েন্ট অফ সেল টার্মিনালগুলোতে সাধারণত উপরের আইকন দিয়ে বোঝানো হয়ে থাকে। কেবলমাত্র আপনার ডিভাইসটি টার্মিনালে রাখুন আপনার বুড়ো আঙ্গুলের প্রিন্ট দিয়ে অথেনটিকেশন করুন এবং ব্যাস আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার চেয়ে এটি কি উন্নত এবং ভাল নয়? এই অ্যাপ্লিকেশানটি ওয়ান-ইউজ অথেনটিকেশন কোড জেনারেট করে, যা আপনার বর্তমান ট্রান্সেক্টশনের জন্য অত্যন্ত ভাল। এবং স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশান দিয়ে পেমেন্ট করার ক্রেডিট কার্ড এর ডেটা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে দূর করে।

কিছু স্মার্টফোন পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশান আছে যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন ওয়ান টাইম কোড ব্যবহার করে। আর আপনি যদি স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে না পারেন তাহলে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। সাধারণত, আপনি আপনার আসল ক্রেডিট কার্ড স্মার্টফোনে ব্যবহারের জন্য একটি টেম্পোরারি নম্বর দেওয়া হয় এবং চার্জগুলো আপনার রেগুলার অ্যাকাউন্টে জমা হতে থাকে। আর এই টেম্পোরারি কার্ড নম্বরটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তা আর কাজ করবে না। পরের বার যখন ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি বা ব্যাংক আপনার ক্রেডিট কার্ড আপগ্রেড করার জন্য কল করবে, তখন আপনাকে ওয়ান টাইম ইউজ কার্ড নম্বর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে তাই এই নম্বরটি মনে রাখা জরুরি।

আপনি থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশান ব্যবহার করে ওয়ান ইউজ ক্রেডিট কার্ড নম্বরগুলোর সুরক্ষা পেতে পারেন। Abine Blur Premium পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশান আপনার ক্রেডিট কার্ড নম্বর, ইমেল অ্যাড্রেস, এবং ফোন নম্বরগুলো মাস্ক করতে পারে। ফলে আপনি সবসময় নিশ্চিন্তে কেনাকাটা এবং কমিউনিকেট করেন তবে কোন মার্চেন্ট আপনার ক্রেডিট কার্ডের প্রকৃত তথ্য পাবে না।

৮. একই ইমেইল অ্যাড্রেস সব অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করবেন না

যে ব্যক্তিরা তাদের সিকিউরিটি সম্পর্কে অত্যন্ত অর্গানাইজড এবং বিভিন্ন সিকিউরিটি পদ্ধতি ফলো করে তারা স্বভাবতই একটি ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করেই বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করেন না। ফলে আপনি সহজেই ফিশিং ইমেইল সনাক্ত করতে পারবেন যেমনঃ মনে করুন আপনার ব্যাংক থেকে একটি মেইল আসলো আপনি যে ইমেইল ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করেছেন সেই ইমেইল অ্যাকাউন্টে, এখন আপনি সহজেই যাচাই করতে পারবেন যে আপনি এই ইমেইল অ্যাকাউন্ট তো ব্যাংকে প্রদান করেন নাই তাহলে এই ইমেইলটি নিশ্চই ফিশিং ইমেইল।

এর পরিবর্তিতে, আপনি যদি একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সমস্ত অনলাইন মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে চান তাহলে এতে আপনার অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি থাকে না বললেই চলে বা বিভিন্ন প্রমোশনাল ম্যাসেজের মাধ্যমে আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্টটি স্প্যাম অ্যাকাউন্টে পরিণত করতে পারে। আপনি যেকোন সার্ভিস বা অ্যাপ্লিকেশান চেক করার জন্য আপনার পার্মানেন্ট ইমেইল অ্যাকাউন্টগুলোর একটি ব্যবহার করে সাইন আপ করুন। এর পরে আপনার ডেডিকেটেড অ্যাকাউন্টটি যদি স্প্যাম ইমেইল পেতে শুরু করে তাহলে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করুন এবং নতুন একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করুন। এছাড়াও আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্ট Abine Blur প্রিমিয়াম সফটওয়্যার এর মাধ্যমে মাস্কিং করতে পারেন এবং অন্যান্য টেম্পোরারি ইমেইল অ্যাকাউন্ট সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন।

অনেক ওয়েব সাইট রয়েছে যেগুলো আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসটি আপনার ইউজার নেম হিসেবে সেট করে তবে কিছু সাইট রয়েছে আপনাকে ইউজার নেম সিলেক্ট করার অপশন দেয়। মনে রাখবেন, আপনার প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম যেন ভিন্ন ভিন্ন হয় - আর আপনি যদি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করেন তাহলে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার  সফটওয়্যার-ই সব কিছু মনে রাখবে - আপনি যেই অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাচ্ছেন সেটা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যারই অনুমান করতে পারবে।

৯. ক্যাশে ক্লিয়ার করুন

আপনার ব্রাউজারের ক্যাশে ফাইলে আপনার সম্পর্কে কতটা তথ্য জমা থাকে তা কখনই আপনি অনুমান করতে পারবেন না। এই মনে করেন, সেভ করা কুকিজ, সেভ করা সার্চ, ওয়েব হিস্ট্রি, হোম অ্যাড্রেস, ফ্যামিলি ইনফর্মেশন এবং অন্যান্য পার্সোনাল ডেটা এই ক্যাশে ফাইলে থাকতে পারে।

আপনার ওয়েব হিস্ট্রিতে লুকিয়ে থাকা ইনফর্মেশনগুলো আরও সুরক্ষিত রাখতে, ব্রাউজারের কুকিজ ডিলিট করতে ভুলবেন না এবং নিয়মিতভাবে আপনার ব্রাউজারের হিস্ট্রি ক্লিয়ার করবেন। এটা খুবই সহজ, আপনি Chrome, Edge, Firefox, Internet Explorer, অথবা Opera এ থাকা কালীন Ctrl+Shift+Del একত্রে প্রেস করুন, একটি নতুন উইন্ডো ওপেন হবে সেখান থেকে আপনি আপনার ব্রাউজার থেকে যেসকল ডেটা ডিলিট করতে চান তা সিলেক্ট করে Clear Data বাটনে ক্লিক করুন।

তবে কুকিজ ডিলিটের কারণে কিছু ওয়েব সাইটে আপনার সেট করা পার্সোনালাজেশন সেটংস গুলো ডিলিট হয়ে যাবে ফলে নতুন করে আবার পার্সোনালাইড করতে হবে। ফলে আপনি একটু সতর্ক থেকে সেই সব ওয়েব সাইটের কুকিজ এর চেকবক্স আনচেক করে যদি কুকিজ ডিলিট করেন তাহলে সমস্যার পড়বেন না।

১০. ব্রাউজার থেকে 'Save Password' ফিচারটি বন্ধ করুন

আপনার ব্রাউজার আপনার সম্পর্কে যেসকল ইনফর্মেশন জানতে পারে তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে আপনার পাসওয়ার্ড, বেশিরভাগ ব্রাউজারগুলোতে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সল্যুশন বিল্টইন ভাবেই থাকে। আমরা এই ফিচারটি ব্যবহার না করার জন্য উৎসাহিত করি।

একবার চিন্তা করে দেখুন, আপনি যখন কোন থার্ড পার্টি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ইন্সটল করেন, আর এই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সাধারণত ব্রাউজারের স্টোরেজ থেকে আপনার সেভ করা পাসওয়ার্ডগুলো ইম্পোর্ট করতে পারে। এই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যারই যদি এটি করতে পারেন তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যেকোন ম্যালিশিয়াস সফটওয়্যারের মাধ্যমেও আপনার ব্রাউজারে সেভ করা পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে পারে। আর তাই আমরা বলব, আপনি আপনার পাসওয়ার্ডগুলোকে একটি মূল পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে রাখবেন আর সেখান থেকে সমস্ত ব্রাউজার এবং ডিভাইসে ব্যবহার করবেন।

১১. টোপ বা ফিশিং স্ক্যামে ক্লিক করবেন না

আপনার অনলাইন জীবনকে সিকিউর করতে আপনি কোন লিংকে ক্লিক করার আগে স্মার্টলি চিন্তা করতে হবে। আর টোপ বা ফিশিং লিংকগুলো শুধু আকর্ষণীয় হেডলাইন বা কন্টেন্ট থাকবে তা কিন্তু নয়। এটি হতে পারে একটি ইমেইল, ম্যাসেঞ্জিং অ্যাপ, এবং ফেসবুক লিংকও হতে পারে। আর এই ফিশিং লিংকগুলো আপনার গোপনীয় তথ্যগুলো আপনার থেকে নেওয়ার জন্য আপনাকে একটি সুরক্ষিত ওয়েব সাইটে নিয়ে যাবে, এবং আপনি যদি তা না বুঝে থাকেন তাহলে আপনি নিজেই নিজের সমস্ত গোপনীয় তথ্য ইনপুট করে ফেলবেন।

তাই আপনাদেরকে অনুরোধ করবো, আপনার ইমেইল বা টেক্সট ম্যাসেজে পাঠানো লিংকে ক্লিক করবেন না, যদি না সেই লিংকগুলো আপনার বিশ্বস্ত কোন উৎস থেকে আসে। তারপরেও সাবধান! আপনার বিশ্বস্ত উৎসের নাম ব্যবহার করে ফেক বা জাল ম্যাসেজ হতে পারে। আর একই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলোর লিংকগুলোতে ক্লিক করবেন না এমনকি তা আপনার বন্ধুর অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার বা পাঠানো হয়ে থাকে।

১২. আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাইভেসি রক্ষা করুন

একটি প্রচলিত প্রবাদ আছেঃ আপনি যদি কোন সার্ভিসের জন্য টাকা প্রদান না করেন তাহলে আপনি কাস্টমার নন; আপনি একটি প্রোডাক্ট। সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো আপনার চিন্তাভাবনা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা আরও সহজ করে তুলেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক আপনার সম্পর্কে কি জানে তা দেখতে আপনি ফেসবুক থেকে ডেটা ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। আপনাকে ফেসবুক খুব ভাল ভাবেই নজরদারিতে রেখেছে কি ঠিক বলছি না, আপনার প্রত্যেকটি এক্টিভিটি তাদের কাছে সেভ করা আছে।

আপনি ফেসবুকের শেয়ার করার প্ল্যাটফর্মটি ডিজেবল করে ফেসবুকে যাওয়া আপনার ডেটার পরিমাণ হ্রাস করতে পারেন। ফলে আপনার বন্ধুরা আপনার পার্সোনাল ডেটা ফাঁস করতে পারবে না। আর আপনাকে অ্যাপ্লিকেশান এর ডেটা হারানোর ভয় থাকবে না কেননা আপনি ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশানটি ব্যবহারই করবেন না। এছাড়াও আপনি অন্যকোন ওয়েব সাইটে লগইন করার জন্য ফেসবুক ইনফর্মেশন ব্যবহার করবেন না।

অবশ্যই, অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোর প্রতিও মনোযোগের প্রয়োজন আছে। কেননা, গুগল সম্ভবত আপনার সম্পর্কে ফেসবুকের থেকেও বেশি জানেন, তাই আপনাকে গুগল এর বিভিন্ন সার্ভিস ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও প্রাইভেসি ম্যানেজ করতে হবে। এছাড়াও আপনার প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের টিউন পাবলিক স্ট্যাটাসে নেই তা নিশ্চিত করুন। আর আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বিনোদন, এবং কানেক্টশনগুলো যেন সিকিউর থাকে সেজন্য যথাযথ গোপনীয়তা নিশ্চিত করুন

টিউন জোসস করুন, আমার টিউন শেয়ার করুন, টেকটিউনসে আমাকে ফলো করুন, আপনাদের মতামত জানান

আমি এরকম নিত্যনতুন কাজের সফটওয়্যার নিয়ে টেকটিউনসে হাজির হবো নিয়মিত। তবে সে জন্য আপনার যা করতে হবে তা হলো আমার টেকটিউনস প্রোফাইলে আমাকে ফলো করার জন্য 'Follow' বাটনে ক্লিক করুন। আর তা না হলে আমার নতুন নতুন টিউন গুলো আপনার টিউন স্ক্রিনে পৌঁছাবে না।

আমার টিউন গুলো জোসস করুন, তাহলে আমি  টিউন করার আরও অনুপ্রেরণা পাবো এবং ফলে ভবিষ্যতে আরও মান সম্মত টিউন উপহার দিতে পারবো।

আমার টিউন গুলো শেয়ার বাটনে ক্লিক করে সকল সৌশল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে প্রযুক্তি শিখুন ও অন্য প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানান টেকটিউনসের মাধ্যমে।

Level 8

আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 182 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ। অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা এড়িয়ে চলতে সাহায্য করবে।