সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার প্রথম টিউন শুরু করছি।টেকটিউনেস নিয়মিত ভিজিট করি প্রায় ২ বছর।কিন্তু একবার ও সাহস হয় নাই টিউন করার।চাই নাই আপনাদের শুধু শুধু বিরক্ত করতে।কারন আমি সেরকম কিছু জানিও না।
আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন।নারে ভাইসব।আমি খুব একেবারে ভাল নেই।আসলে বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে খুব একেবারে ভাল থাকা যায় না।বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা সিস্টেমটা খুব-ই খারাপ সেটা আমরা সবাই জানি।কিন্তু এর থেকে আর একটা ব্যবস্থা রয়েছে,যার অবস্থা আরো খারাপ।আমার এই টিউনের উদ্দেশ্য সেই ত্রুতিযুক্ত ব্যবস্থা/পদ্ধতি আপনাদের সামনে তুলে ধরা।আর সেই ত্রুতিপুর্ণ ব্যবস্থা হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।কেজি থেকে শুরু করে ভার্সিটির পোস্ট গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত।দুরনীতিতে ছাওয়া সম্পুর্ণ এই শিক্ষা ব্যবস্থা।যা খুব-ই বাজে একটা পদ্ধতি।আপনারা দয়া করে আমার এই লেখাটি পুরো পড়েন।তাহলে সব বুঝতে পারবেন।
আপনারা সবাই জানেন অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশ অনেক কিছুর দিক থেকে একটু পিছিয়ে রয়েছে।অবশ্য জনসংখা উৎপাদনের দিক থেকে মনে হয় একটু বেশি এগিয়ে।কিন্তু এর কারন কি?
কিন্তু তারপর ও তো আমাদের দেশে অনেকে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ব্যাংকার হচ্ছে।হচ্ছে না?অনেকে তো বাহিরের দেশে থেকে,লেখা-পড়া করে সেইখানকার ইউনিভার্সিটির টিচার পর্যন্ত ও হচ্ছে।হচ্ছে না?
তাহলে অনেকে আমার মুখের দিকে আঙ্গুল তুলে দিয়ে চুপ করিয়ে দিতে চাইবেন এবং বলবেন ''শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি নেই।তুমি চুপ কর পাগল কোথাকার,আর যাও পড়তে বস।''আর আমার মনে হই তখন আমাকে চুপ করে যেতে হবে।
কিন্তু আমি চুপ করব না।আল্লাহপাক চোখ,কান,মুখ,নাক,হাত-পা দিয়েছেন বসে থাকার জন্যে নয়।দেখব,শুনব,বলবো,শুকবো এবং প্রয়োজনে হাত পা চালাব।
ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ব্যাংকার তো একজনকেই হতেই হবে।পাস করে তো প্রতি বছরে অনেকেই বের হয়।৪-৫ বছর ধরে মানুষ কিছু না কিছু তো শিখে। এবং সেইটাই করে বেচে থাকি আমরা সবাই।কিন্তু আমরা কখনো চিন্তা করি নাই স্বাধীণতার আগ হতে পর মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা একটা ভুল পথে চলে এসেছি।এবং এখন ও অবধি চলেছি।বর্তমানে এই যুগে,এই পথে চলাটা যে কত শরমের একটা ব্যাপার সেটা বোধগম্য হবার চিন্তা করার শক্তি এখন ও আমাদের হয় নাই।
আমরা আমদের রুচি,পোষাক,আচারণ,ভাষা,আরো অনেক কিছু পৃথিবীর উন্নত সব জাতিদের অনুসরন করার চেস্টা করি।ভাল-খারাপ অনেক কিছুতেই তাদের অনুসরন করার চেস্টা করে থাকি।কিন্তু কেন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা অনুসরন করে থাকি না আমি এখন ও বুঝতে পারি না।
ছোটবেলায় আমরা সকলেই শুনে এসেছি ''পড়া লেখা করে যে গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ে সে''।আর আমি বলব ''বাংলাদেশের পড়া লেখা করে যে গাধার পাশে পাশে হাটে সে''।যদিও আমি সেরকম একজন-ই মানুষ যে কিনা গাধার পাশে পাশে হাটে।আমরা সবাই।আমরা সবাই এর নির্মম পরিস্থিতির শিকার।আমি আপনি সবাই।
বাংলাদেশে কত মেধাবি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।সারাদিন-সারারাত বই-এর পাশে বসে থেকে মুখস্ত করে।বই এর সব পাতার লাইন মুখস্ত করবে,আর তা পরীক্ষার খাতায় লিখে আসবে।আমার মনে হয় এইসব-পড়া লেখার কোন দাম নেই।এই করে কেও যদি জীবনে খুব ভাল জায়গায় দাড়ায় আমি তাকে খুব একটা বাহবা দিব না।দুই-একটা বই এর সম্পর্কে আপনার ধারনা ভাল থাকতে পারে।কিন্তু আপনি জ্ঞানী বা চিন্তাশীল মানুষ হতে পারবেন না।
একটি বাচ্চা ছেলে কেজি থেকে শুরু করে ভার্সিটির আগ পর্যন্ত যে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হয় তা সম্পুর্ন ভুয়া একটা পদ্ধতি।আমি নিচে বেশ কিছু পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত দিচ্ছি।দেখেন আপনাদের সাথে আমার কতটা তা মিলে।
বাংলাঃ---------------------------
আমি এখন ও বুঝতে পারি না, যে ভাষা আমার মায়ের ভাষা,যে ভাষায় আমরা লেখি,পড়ি,বলি সেই ভাষার জন্যে এরকম পাঠ্য বই এর দরকার কি?
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা ৩-৪টা কবিতা মুখস্ত করতাম।সেইটাই পরীক্ষার হলে লেখে আসতাম।তাও আবার দাড়ি কমা সহ।কারন দাড়ি কমা ভুল হলে নম্বর কমে যাবে।তারপর আমরা নানারকম ছোট-বড় প্রশ্ন মুখস্ত করে আসতাম-ই তো।
তারপর ৭ম,৮ম,৯ম-১০ম শ্রেণীতে দেখতাম আমার অনেক বন্ধুরা গল্পের লাইন,কবিতার লাইন মুখস্ত করে লিখে আসত।কিন্তু এইসবের মানে কি?
এইভাবে আমরা কিছু শিখতে পারিনি।শুধু আমরা আমাদের ব্রেনের উপর প্রেশার দিয়েছি।নিজের মনের উপর জোড় করেছি।আমাদের সময় নষ্ট করেছি।কাজি নজরুল ইসলাম,রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর,প্রমথ চৌধুরী,সুফিয়া কামাল,শামসুর রাহমান এতসব কবিতা,ছোটগল্প,প্রবন্ধ আমাদের মুখস্ত করানোর জন্য লিখেননি।তারা কোন সময় এইটা ভাবেন নাই যে তাদের লেখা গুলা বই আকারে ছাপা হবে এবং আমাদের মত শিক্ষার্থীদের মুখস্ত করতে হবে।তাদের মনে চেয়েছিল,ভাল লেগেছিল বলেই তারা লিখেছিলেন।আমাদের আনন্দ দিতে,সচেতন করতে,আমাদের মুখস্ত করানর জন্য না।
আজ আমি ঢাকা সিটি কলেজে পড়ি।এসির নিচে দাড়িয়ে ''মানিক বন্দোপধ্যায়ের'' ''পদ্মা নদির মাঝী'' উপন্যাস উচ্চস্বরে পড়ে সারা ক্লাসকে শুনানো লাগে।অথচ উপন্যাস হল কোন লেখকের চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি।মানুষ অবসরে,নিরবে তা পড়ে আনন্দ পায়।লেখক এর চিন্তাশক্তির নিকট সবাই পরিচিতি লাভ করে ।কিন্তু ক্লাস এর মাঝে দাড় করিয়ে এই ভাবে উপন্যাস পড়ানর উদ্দেশ্য টা কি তা আমার এখন-ও বোধগম্য হল না।আমার মনে হয় এইটা লেখক কবিগনদের প্রতি এক প্রকার অপমান ছারা বই-কি?
গল্প,কবিতা,উপন্নাস এর লাইন মুখস্ত করে আমাদের কি উন্নতি হবে?আমরা আমাদেরকে,সারা বিশ্বের সামনে এইভাবে তুলে ধরব?চিন্তা করুন আপনারা একবার।তার উপর রয়েছে কবি-লেখকদের সকল বই এর,সকল লেখার নাম জানতে হবে।তাদের জীবন-মরন এর সাল জানতে হবে।কবে তারা চাকরি পেয়েছিল না পায়নি সেইতাও আমাদের মুখস্ত রাখতে হবে।যদি আমরা রাখতে পারি তাহলে আমরা ভাল ছাত্র।আমরা দেশের সোনার ঘোড়ার একটা ডিম...।।আর না জানলে সে খারাপ ছাত্র,তার কোন মেধা নাই।
কবি লেখক এর বাবা-মা ,সন্তানরাও ঠিক মত জানেন কিনা তাদের জন্ম-মৃত্যু সাল।তারা কি কি বই লিখেছেন?তাহলে সেইগুলা আমরা জেনে কি করব?এতে আমাদের কি উপকার ?আমরা কেন আমাদের উপর প্রেশার দিচ্ছি।
অনেকে হয়ত বলবেন তাদের লেখা গুলা এই কারনে পাঠ্য অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে যাতে সেইগুলা পড়লে আমাদের ভেতরের চেতনা যাগে।আমি বরং তাদের জিজ্ঞাসা করব এই শিক্ষা ব্যবস্থায়?নিচের একটা উদাহরন খেয়াল করুন.........
ক্লাস ৯ম-১০ম শ্রেনীর বাংলা ১ম পত্র বইতে ''প্রমথ চৌধুরীর'' একটি প্রবন্ধ ছিল ''বই পড়া'' নামক।সেইখানে তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি উল্লেখ করে বলেছিলেন আমাদের বিদ্যালয়ের মাস্টার মসাইরা গাদা গাদা নোট তৈরি করেন আর তা,আমাদের ছাত্ররা মুখস্ত করে, এবং পরীক্ষার হলে তা উদ্গিরন(বমি)করে আসে।ব্যস শেষ শিক্ষার কর্ম সাধন।যদি ''প্রমথ চৌধুরী'' ক্ষুনাখারেও টের পেতেন যে তার-ই প্রবন্ধকে নিয়ে বিদ্যালয়ের মাস্টার মসাইরা নোট বানাবেন এবং তা ছাত্রদেরকে মুখস্ত করাবেন তাহলে তিনি যে কি করতেন শুধু তিনিই জানতেন।কিন্তু আমার-ও খুব জানতে ইচ্ছা করে।
নতুন যে সৃজনশীল পদ্ধতি এসেছে তা হচ্ছে আর একটা ফালতু পদ্ধতি।এইখানে সরকার একটা বড়-সর চাল খেলেছে।সৃজনশীল এর কারনে একজন শিক্ষার্থীকে বই এর প্রত্যেকটি লাইন প্রায় মুখস্ত এর মত রাখতে হয়।খুব-ই বাজে একটা পদ্ধতি।।সৃজনশীল এর অন্যতম শর্ত ছিল যে বাজারে এর কোন নোট-বই থাকবে না।কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় এই যে আজকের স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা নিজেরাই ঐসকল নোট-বই থেকে প্রশ্ন করেন।তাহলে আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হবে চিন্তা করেন?কি আর বলব।কথা ছিল এই পদ্ধতির মাধ্যমে পড়া-লেখা শুধুমাত্র ক্লাস এর মাঝেই শেষ হয়ে যাবে।কিন্তু আরো দুঃখের বিষয় এই যে এই বিষয়ের এর জন্য এখন কোচিং-টিচারদের কাছে আর বেশি করে যেতে হচ্ছে।এই হল গিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা ।
ইংরেজিঃ-------------------------------
একটা বাচ্চার মাতৃভাষা শিখতে লাগে সর্বোচ্চ ৮ বছর।আর আমরা ১২ বছর এমনকি ১৬-১৮ বছর ধরে একটা ভাষা ভাল করে শিখতেও পারলাম না।আমাদের শিক্ষা জীবন এ আমরা আর ইংরেজি ভাল করে শিখতে পারলাম না।যার ফলে অনেকে আরালে-লুকিয়ে,অনেকে সবার সামনে বিবিসি জানালাতে ফোন করে ঢু মারেন।যদি কিছু শিখতে পারেন।আমার মনে হয় অনেকে পারেন আবার অনেকে কিছু বুঝতেই পারেন না।আজ এখন ও আমারা ভাল ভাবে ইংলিশ বলতে পারি না,পারি না ভালভাবে লেখতে।কত যে ভুল হয় এই ভয়ে-এ অনেকে তো সচারচর ইংলিশ বলিই না।এইটাই প্রমান করে দেয় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কতটুকু জোর।
আসলে আমরা ইংরেজী বিষয়টাকে নিয়ে কি করতে চাই আমরা নিজেরাই ভাল করে জানি না।ইংরেজ শাসন আমলে ব্রিটিশরা আমাদের যে ত্রুটিপুর্ন পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছিল আমরা এখন-ও সেই পদ্ধতিকেই আকড়ে ধরে রয়েছি।
আমরা paragraph,composition,letter,এই সব-ই মুখস্ত করি।কিন্তু অতি হাস্যকর বিষয় এই যে এইসব বাহিরের দেশের একটা মানুষের ১-২ মিনিট এর ভাষা বা বক্তব্য ছারা কিছুই না।আর আমরা সেইটাই মুখস্ত করার পিছনে ছুটে চলেছি।আমরা ক্লাস এর পর ক্লাস করি,কোচিং করি,এইখানে দৌড়াই সেইখানে দৌড়াই।শুধুমাত্র মার্কস পাওয়ার জন্যে।কিন্তু শেখার জন্যে না।আরে ইংরেজী একটা ভাষা।কোন জ্ঞান না।এই ভাষা আপনাকে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে।কারন বাহিরের সব উন্নত দেশে বেশি চলে এই ইংরেজী ভাষা।আর আপনি যদি তাদের সাথে ভাল যোগাযোগ রাখতে চান সেই ক্ষেত্রে ইংরেজী্র গুরুত্ব কত আশা করি সেইটা বলার আর কোন অপেক্ষা রাখে না।আর সবচেয়ে মজার কথা এই যে আমরা এত কষ্ট করি এই ভাষা শেখার জন্য,কিন্তু পারি না,এই ভাষাটা শেখা কিন্তু খুব কঠিন ব্যাপার না।কিন্তু প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা এই জিনিসটাকে আরো কঠিন করে রেখেছে। আর যার ফলাফল আমরা সবাই জানি।ঘোড়ার আণ্ডাও না।
আমার বড় ভাই এর এক বন্ধু বছর দেড়েক আগে আমেরিকাতে গিয়েছিলেন।তিনি খুব ভাল ইংলিশ পারতেন না।আর বুঝা তো দুরের কথা।কিন্তু ২ মাস আমেরিকাতে থাকার পর তিনি আমার ভাইয়া কে বললেন ''দোস্ত,দেশে এত কষ্ট করছি ইংলিশ শেখার জন্য,কিন্তু কোন কাজেই আসে নাই।কিন্তু এইখানে ২মাস থাকার পর আমার ইংলিশ এর সব সমস্যা শেষ।সবার সাথে আমি এইখানে খুব সহজ ভাবে যোগাযোগ করতে পারি।
আসলে আমরা সবাই ভাবি যে ইংলিশ খালি থিওরি সাবজেক্ট।কিন্তু বাস্তব কথা হল এই যে এইটা একটা প্রাকটিকাল সাবজেক্ট ছারা কিছুই না।কিন্তু আমাদের দেশের অবস্থা আপনারা ভাল করেই বুঝেন।তো বুঝেন কি অবস্থা...!!
গনিতঃ---------------------
এইবার আসি একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ন বিষয়ে।আমার জানামতে অনেকে এই জিনিসটাকে অনেক ভয় পায়।আর তা হল গনিত।আমার অনেক বন্ধু আছে যারা গনিত বিষয়টাকে খুবই ভয় পায়...। না বুঝে অনেকেটা ঘোরের মাঝে থেকে অঙ্কগুলা এক প্রকার মুখস্ত করে।।পরে জানতে পারলাম শুধুমাত্র আমার বন্ধুরা নয়,প্রায় সব স্কুলের শিক্ষার্থীদের এক অবস্থা।
আমাদের সকলের-ই এই গনিত বিষয়ের হাতে-খড়ি শুরু হয় একটা বিরাট ভুল পদ্ধতি দ্বারা।মনে করে দেখুন তো............
''তিন এক্কে তিন'' ''ছার নং ছএিশ'' ''সাত নং বিয়াল্লিশ''
তাহলে এক সেকেন্ড এর মাঝে পারলে বলুন দেখি এক বারে ১৭*৭ এ কত হয়?না না।ভাবতে পারবেন না।একেবারে বলতে হবে।পারলেন?না পারেন নাই একেবারে বলতে।
আসলে গনিত বিষয় সম্পর্কে ধারনাগুলো আমরা ছোটোবেলা থেকেই মুখস্ত করে আসছি।বুঝা তো পরের ব্যাপার।আর তা বাস্তবে জীবনে প্রোয়োগ করা আমি স্বপ্নেও ভাববো না।
এখন ও ৬ম-১০ম শ্রেনী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা জ্যামিতি মুখস্ত করে।না বুঝে অন্ধের মত।এই গুলার কোনো application নেই। সাজেসন্সের ভিত্তি তে কয়-একটা অঙ্ক করে পরীক্ষায় পাশ ঠিক-ই করছে কিন্তু শিখার জিনিস কিছুই শিখছে না।আপনারা সবাই বুকে হাত রেখে বলুন তো আপনারা কি তাদের মতন করেন নাই?অবশ্যই করেছেন।সবাই না করলে অনেকেই করেছেন।এইটা আমার আপনার দোষ না।আমরা সবাই এই পরিস্থিতির শিকার,আপনারা কি চান না এইটার পরিবর্তন হক?
আমরা যদি অঙ্ক জিনিসটাকে এতো ভয় পাই,এর basic জিনিসগুলা সম্পর্কে আমাদের যদি কোন ধারনাই না থাকে তাহলে আমরা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাবে কি করে?
বিজ্ঞানঃ-----------
আমরা সবাই জানি যে physics,chemistry,biology সব-ই সায়ন্সের subject.অন্যান্য বিষয় থেকে শুধুমাত্র সায়ন্সের এই বিষয়গুলোতে প্রাকটিকাল মার্কস একটু বেশী রয়েছে।কিন্তু এইখানেতেও মুখস্ত কারিগররা ও তাদের মেধা দেখায়।তবে সব গুলা নয়।কোন কোন জিনিস আধা আধা মত করে বুঝে অনেকে।সায়ন্সের কতগুলা নির্দস্ট প্রস্ন-ই ১-২ বছর পর পর গেপ দিয়ে পরীক্ষাতে আসে।তাই সর্ট-কার্ট নম্বর তুলার জন্যে অনেকে কোনরকম মুখস্ত করেই পার পেয়ে যাচ্ছে।কিন্তু জানা,শেখা,বাস্তব জ্ঞানার্জন খুব কম-ই হচ্ছে।
সারা বছর একটা ইয়া-বড় প্র্যাকটিকাল খাতা লেখানো হয়,শিক্ষার্থীরা চোখ বন্ধ করে লিখে যায়।ফাইনাল পরিক্ষায় খাতা জমা দিয়ে আসে।এবং সত্যি করে বলতে গেলে ঐ পরীক্ষকের হাতে কিছু টাকা আড়ালে গুজে দিয়ে আসা হয়।এইটা আমরা সবাই জানি।এবং প্র্যাকটিকাল এ পুরো নম্বর।
কিন্তু কিছুই হয় নাই শেখা।অনেকে বলে যে বাস্তব শিক্ষায় খরচ বেশী।আরে টাকা তো খরচ এমনিতেও হচ্ছে।অনেকে যে কোচিং করে সেইখানে কি টাকা খরচ হইতাসে না?আর অনেকে শিখতে পারলেও তা কোচিং এবং প্রাইভেট টিউটর এর কাছ থেকে।কিন্তু ক্লাস রুম থেকে নয়...।
হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবসায় ণীতি ও প্রয়োগঃ-------------------------
Accounting subject-টা সবাই পারলেও কিন্তু এর বেসিক আইডিয়া খুব কম ছাত্ররাই জানে।ডেটর, ক্রেডিটর কেন হল এবং এর আরো গভীরে গেলে সবাই চুপ হয়ে যায়।কারন জানে না এবং পারে না।যা শিখে সবাই তাও আবার ক্লাসের বাইরে,not ভিতরে।
জানার capacity খুব কম।যাও বা শিখে সব ধোয়া ধোয়া এর মত।কারন এটি এমন একটি বিষয় যতক্ষন না পর্যন্ত এইটা বাস্তীব জীবনে প্রয়োগ না হবে তা শুধু ঘোলাই থেকে যাবে।কিন্তু আমাদের দেশে সেরকম ব্যাবস্থা নাই।এবং ইচ্ছা করেই করা হয় না।
আর সব চাইতে ফালতু সাবজেক্ট হচ্ছে এই বিষয়টি।যাকে অনেকে business introduction,business principal,business management নামে চিনেন।আসলে এইটা পুরটাই মুখস্ত নির্ভর।Definitions, আর points মুখস্ত কর।এই বিষয় নিয়া আর কিছু নাই লেখলাম।আমার মাথায় আগুন ধরে যাবে।
আর অনেক subject-এর কথা লেখতে চাইলাম।কিন্তু টিউন এর মান রক্ষার্থে,আর অন্য সব বিষয় সম্বন্ধে আমার তেমন একটা ধারনা না থাকায় আমি চেস্টা করব আগামী লেখায় সব ধরনের ত্রুটি তুলে ধরার।
মানুষের মত মানুষ হতে গেলে কি এত বই এর প্রয়োজন পরে?
এখন আর কিছু কথায় আসি।আপনারা,আপনাদের পরিচিতজন সবাই না কম বেশি লেখা-পড়া করে।আপনার ছেলে-মেয়ে,ভাই-বোন,মামা-খালা,চাচা-ফুফু...আপনার সব আত্বীয়দের কথা-ই চিন্তা করুন।কেও কেজিতে পড়ছে,কেও স্কুলে,কেও কলেজে কেও ভার্সিটিতে। কিন্তু শেখার মত শিখছে কয় জন এ?কেও কি ভালোবেসে বইগুলা ধরছে?আপনি নিজেকে জিগাসা করুন?তাদেরকে জিগাসা করুন।আমার মনে হয় আপনি ভাল ভাবে উত্তরগুলা পাবেন।
আজ সারাদেশ দুর্ণীতিগ্রস্থ,সন্ত্রাস,খুনাখুনি,যুবক সমাজ খারাপ পথে চলা,এলাকাতে গেঞ্জাম মারা-মারি,বিকৃত মন-মানসিকতা,এমনকি ইভ-টিসিং,মাদকাসক্তি,ধর্ষণ-রেপ,দেশের নেতাদের অবস্থা,সব কিছুর জন্য আমি আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ি করছি।এই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা এইসব অকর্মের পিছে প্রত্যক্ষ-এবং পরোক্ষ ভাবে কাজ করছে।হা, বাহিরের দেশে যে এইসব হয় না তা নয়।হয়,তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দায়ি। আমি আমার সামনের লেখা-লেখিতে আরো বিস্তারিত ধারনা দিব এই সম্পর্কে আপনাদের।এবং প্রমান করে দিব আমার মন্তব্যের ব্যাপারে।আমার কিছু সময়ের দরকার। আপনারা নিজে চিন্তা করে দেখুন।কেন ছেলেরা পড়া-লেখা বাদ দিয়ে রাস্তায় নেমে খারাপ কাজ করবে?কেন বই এর প্রতি তাদের উদাসিনতা থাকবে?তাহলে নিস্চয়ই এই বই এর মাঝে সমস্যা রয়েছে।আমাদের দেশের যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাতে কেও হাসি মুখে বই তুলে নিতে পারে না,তাদের মনের বিরুদ্ধে বই তুলে নিতে হয়।তাদের স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনা পর্যন্ত নষ্ট করে।আপনারা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন।অনেকে আমার কথা শুনে বলবেন যে ''স্কুল পালালে রবিন্দ্রনাথ হওয়া যায় না'' আমি তাদেরকে বলব চুপ চাপ থাকেন।কথা কম বলেন।স্কুল আগে পালাতে দেন।আপনি কোনসময় আমার মত হতে পারবেন না।আর আমি কোন সমায় আপনার মত হতে পারব না।আর রবিন্দ্রনাথ কোনসময় আমার হতে পারবে না।আর আমি কোন সমায় রবিন্দ্রনাথ এর মত হতে পারবো না।আমাদেরকে কি কোন সমায় চিন্তা করার সুযোগ দিয়েছেন?সবসমায় চেয়েছেন যেন আমরা খালি বই-এর মাঝে ডুবে থাকি।কিন্তু এইভাবে কারো মেধা বিকাশ হয় না।মেধা নষ্ট হয়।
এইতো কয়-একদিন আগে ২জন ২টা লিঙ্ক শেয়ার করলেন।একজন online versity admission test এবং আরেকজন jsc,ssc,hsc question এর model test er site দিলেন।কিন্তু যেইখানে আমাদের দেশের বই এর এই দসা,শিক্ষা ব্যবস্থা্র বেহাল দসা,এইগুলা তা থেকে যে খুব আলাদা আমার খুব একটা মনে হই নাই।
আমারা সবাই জানি যে ঢাবিতে চান্স পাওয়া কি কষ্টের ব্যাপার।কিন্তু আমার মনে হই না একজন মেধাবি ছাত্র তার মেধা প্রয়োগ করে কোনসময় ঢাবিতে চান্স পাবে।কারন যে admission test বাংলা এবং ইংলিশ থাকে compulsary।যেইভাবে এইখানে প্রস্ন সেট করা হয় তাতে যারা মুখস্ত তে পারদর্শী তারাই কেবল মাত্র ভাল করতে পারবে অন্য কেউ নয়।আর যারা কমার্স লাইনে রয়েছে তাদের তো পুরাই মুখস্ত।বুঝে উত্তর দেওয়া যায় এমন খুব কম প্রশ্ন পাওয়া যায়।
কিন্তু কেও আমাদের একবার স্মরন করাল না যে আমাদের এই অবস্থা সম্পর্কে।
আমাদের দেশে স্কুল কলেজের ক্লাস হয় ৫-৬ ঘন্টা।একজন শিক্ষার্থীর যেতে-আস্তে সময় লাগে ১ ঘন্টা।আমার এক বন্ধু আছে,ওর যেতে-আস্তে লাগে ৫ ঘন্টা।তারপর প্রতিদিন ২টা করে কোচিং ক্লাস বা টিচার/প্রাইভেট ক্লাস এর জন্য ১.৩০ঘন্টা+১.৩০ঘন্টা=৩ঘন্টা।যেতে-আস্তে সময় লাগে ১-১.৩০ ঘন্টা।তাহলে মোট ঘন্টা দাড়াল ১১-১২ ঘন্টা।একটা মানুষের ঘুম দরকার ৬-৮ঘন্টা।তাহলে মত গেল ১৮-২০ ঘন্টা মত।বাকি থাকে ৪ ঘন্টা।বাড়িতে থাকতে,খাওয়া-দাওায়া,পড়াশোনা,গোসল,পরিবার এর সাথে গল্প,টিভি দেখা।আর আনুসঙ্গিক কাজ করতে লাগে আরো বেশি সময়।কিন্তু ২৪ ঘন্টায় একদিন......!!৩৪ ঘন্টায় নয়......!!
আমরা সবাই জানি সব মানুষের ভিতর আলাদা আলাদা প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে।এবং তা নিয়মিত চর্চা করা অবশ্যই দরকার।এইতো কইদিন আগে আপনারা একটা টিউনে লক্ষ্য করেছেন যে ''স্টিভ জবসন'' একটা ইউনিভার্সিটিতে তার বক্তব্যে বলেছিলেন সবাই যেন নিজের প্রতিভা কে খুজে বের করে।এবং সেই কাজই তিনি করতে বলছেন যে কাজের জন্য তারা উপযুক্ত।
তাহলে আপনার-ই বলুন ১ম-১২ম শ্রেনী পর্যন্ত আমরা এতগুলা বই মুখস্ত করে আসছি।কোন কিছু আধা বুঝি তা আরেকটা আধা বুঝে আসছি।ক্লাসের স্যারদের ফালতু বক বক লেকচার শুনে আসছি,যা আমাদের বাস্তব জীবনে কোন প্রয়োগ নেই,কাজে লাগে না, টিচারদের বাসায়/কোচিং-এ দৌড়া-দৌড়ি করি তাহলে আমাদের সেই সমায়টা কোথায় যখন আমরা আমাদের প্রতিভার চর্চা করব?
ক্লাসের মাঝে তো mental আর physical torture তো আছেই।এখন ও ভাল ভাল নামি-দামি স্কুল কলেজে্র ক্লাসে এইসব হচ্ছে।আবার অনেক স্যারদের কাছে প্রাইভেট না পড়তে গেলে পরীক্ষার খাতায় ঠিকমত নম্বর দেন না।এইসব শিক্ষার নামে দুর্নীতি।।আবার আমাদের দেশের নতুন একটা ঢ়ং হইতাসে চুল নিয়ে।চুল একটু বড় হলেই একটা ছাত্রের উপর শারিরীক এবং মানসিক অত্যাচারের শেষ থাকে না।একজন শিক্ষক কি এইসব চিন্তা করেন না??যে তাদের এই ধরনের আচরন একটা শিক্ষার্থীর উপর কতটা চাপ সৃষ্টি করে?কে জানে?
আমরা তো সবাই রোবট এর মতো হয়ে গেছি।এখন পর্যন্ত ssc hsc পরীক্ষা দিতে গেলে অনেক টিচার এর কাছে যেতে হয়, অনেক কোচিং সেন্টারে যাওয়া লাগে।টিচার-কোচিং এর বেতন তার উপর স্কুল-কলজের বেতন তো আছেই।কিন্তু উন্নত বিশ্বে প্রাইভেট-কোচিং পড়ানোর কোন সিস্টেম নাই।তাহলে ঐ সব জায়গার মানুষ কি শিখছে না?পড়া-লেখা সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের মানুষেরা করে না।স্কুল-কলেজ থাকতে আবার কোচিং কিসের?কিন্তু ক্লাসে এ কত-টুকু শিখানো হয়?আপনারাই বলুন।আপনার পরিচিত জনেরা,এমন কি আপনি নিজেও প্রাইভেট পড়ছেন,কোচিং এ গেছেন।এইটা কি কোন ভাল শিক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়?
বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষা দিতে গেলে সাজেসণ্স ও মডেল টেস্ট এর জন্য এক গাদা টাকা-পয়সা লাগে।এইগুলার নাম কি শিক্ষা?কোন গরিব মানুষের পক্ষে কি সম্ভব এত টাকা পয়সা জোগাড় করা?তা-ছাড়া আমরা ভাল করেই জানি বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার আগে ফ্রম ফিলাপের সময় অবৈধ উপায়ে নানা রকম হিসাব দেখিয়ে অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।প্রথম আলো পত্রিকায় প্রায় এক-দেড় বছর আগে এই নিয়ে একবার মেইন হেডলাইন হয়েছিল......।তাই আমি বলি---''ডাক্তার-এর ছেলে ডাক্তার হয়,ইন্জিনিয়ার এর ছেলে ইন্জিনিয়ার হয়।কিন্তু একজন গরীব রিকশাওালার ছেলে কোনো সময় ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হতে পারে না।
আমাদের দেশে যে বয়সে ছেলেরা video games খেলে অন্য দেশে সেই বয়সে ছেলেরা গেম বানায়,সফটয়্যার বানায়,কোনো প্রোগ্রামে এ ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে পারে।তারা কি লেখা পড়া করে না?তাহলে আমরা কেন পারি না?জবাব আপনারা জানেন।
আমি আপনাদের একটা movier নাম মনে করিয়ে দিব।হুউম...!! 3 idiots...
তবে আনন্দের বিষয় এই যে এর মাঝেও এমন কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা এর মাঝেও নিজদেরকে গড়ে তুলে নেয়।কিন্তু দেশ তো আর কয়-এক জনকে দিয়ে চলবে না।বিশাল জনশক্তি কে উন্নত করে তুলে সবাই এক সাথে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের এই বাংলাদেশকে।
আমি facebook-এ একটা পেইজ খুলেছি।সরকার এর দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য।এই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরির্তন এর জন্য।এই ব্যবস্থার সংস্কা্র প্রয়োজন।জানি হাস্যকর।কিন্তু আমি তা পরিবর্তন করবই।আপনারা ও আমার সাথে আসুন।এত দিন আমরা একটা ভুল পথে চলে এসেছিলাম।আর নয়।আমাদের সামনের ছোট ভাই-বোন যেন আর সেই ভুল পথে না যায়।নানা ধরনের ত্রুটির বিস্তারিত বর্ণনা এবং কিভাবে এর হাত থেকে উপায় পাওয়া যায় এই নিয়ে আমার একটা ব্লগ খোলার ইচ্ছা আছে।খুব শিগ্রী এর কাজে হাত দেব।ইনশাল্লাহ...।।সেই ব্লগে এ সবাই সকল স্তরের মানুষ তাদের নিজস্ব মতা-মত প্রদান করতে পারবে,এবং সরকার এর সাথে যাতে ভাল বোঝাপড়া হয়।আর এই ব্লগ বাংলাদেশ এ প্রথম,শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরির্তনে্র জন্য online movement-এর সবরকম ব্যবস্থাই নেয়া হবে। আপনাদের সবার সাহায্য,সমর্থন,মতামত,আলোচনা,সমালোচনা কাম্য।
আমি টেকটিউনস এর প্রতি কিভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব তা বুঝতে পারছি না।এইখানে যারা টিউন করেন তারা হচ্ছেন এক প্রকার শিক্ষক।তারা অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন্য জায়গা হতে তথ্য যোগাড় করে আমাদের সামনে উপস্থাপান করেন।যাতে আমরা জানতে পারি।বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বই পড়ে জানার কোন সুযোগ নেই।এই টেকটিউনস থেকে কত কিছু যে জেনেছি,কত জ্ঞান যে আহরন করেছি তার হিসাব সত্যি আমার কাছে নেই।টিউনারদের প্রতি আমার সম্মান রইল।
আর আমি অনেক দিন আগে থেকেই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিলাম।কিন্তু ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব বাদে কাওকেই বলতে পারি নাই।আমার লেখার পিছে ২টা ছবির উৎসাহ খুব বেশি। একটি হল ''আমির খান'' এর ''3 idiots'' এবং কিছুদিন আগের ''প্রসেনজিত চ্যাটার্জী''র সারা জাগানো ছবি ''চলো পালটাই''।আমি ছবি ২টার ডাউনলোড লিঙ্ক দিলাম।শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ছবি দুটি বানানো।আশা করি ভাল লাগবে।
এবং ফেসবুক পেজ-এ লাইক দিন আমারা সবাই একসাথে হবার জন্য
আমি শরীফ আহমেদ জনম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 288 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি এইবার বীরেশ্রষ্ঠ মুণ্সী আব্দুর রউফ রাইফেলস কলেজ থেকে কমারস ssc পরিক্ষা দি্যেছি।কম্পিউটার আমার জীবন সঙ্গী।এর সাথে বলতে গেলে আমার বিয়ে হয়েছে।জীবনে সংগ্রাম করার সময় আমি কম্পিউটারকে কাছে পেয়েছিলাম।ওকে ভাল করে জানার জন্য আমার অনেক চেস্টা আর আগ্রহ।তারই মাঝে এক্তা হল TechTunes-এ আসা।জানব,শিখব যা জানি সাধ্যমত হলে সবার সাথে শেয়ার...
ভাই আপনি এত আশাবাদী, শেষে তো ছবিটায় কত ভুল করলেন? আর হ্যা, আমরা পারব, সবাই নিজ নিজ দেশ ক ভালোবেসে কাজ করলেই হবে। আপনার টিউনটি চমৎকার, তবে বানান ঠিক করুন।