"আসছালামুআলাইকুম"
কথায় বলে মানুষ অভ্যাসের দাস। অভ্যাস মানুষের দাস,এরকম খুব কমই শোনা যায়। অভ্যাস দুরকমেরঃ কু-অভ্যাস এবং সু-অভ্যাস। অভ্যাস অভ্যাস থেকে জন্ম নেয়না। এটা সৃষ্টি হয় কয়েকটি কারনে। অভ্যাস তা সু-ই হোক আর কু-ই হোক মানুষের ভিতরে হঠাৎ করে একদিন শিকড় গজিয়ে বসেনা। এর সূত্রপাত হয় ধীরে ধীরে। লতার মত নীরবে বেয়ে ওঠার মত। কু-অভ্যাস সৃষ্টির মূল কারন হচ্ছে প্রধানত কয়েকটি-১-বংশগতভাবে ২-কু-সঙ্গে ৩-কু-চিন্তায় এবং জ্ঞানের অজীর্নতায় এবং প্রবৃত্তির তাড়নাকে আয়ত্তাধীন করতে না পারায় ও পারিপার্শিকতায়।
ধূমপান একটি উওম কু-অভ্যাস। এর কতগুলো মারাক্তক এবং বিষাক্ত ক্ষতিকারক দিক রয়েছে।নিচে সংক্ষেপে তা বর্ননা করা হলো
সিগারেটের একটি উপাদান হচ্ছে তামাক।বিজ্ঞানীরা অনেক অনুন্ধান করে দেখেছেন তামাকে একটা বিষাক্ত জিনিস রয়েছে যাকে নিকোটান বলা হয়। নিকোটিন হচ্ছে মারাক্তক রকমের বিষ। আমেরিকা থেকে বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে খবরে লিখেছে,তিনটি সিগারেটের তামাকে যে নিকোটিন থাকে তা ভিজিয়ে,তা থেকে নির্যাস বের করে যদি একটা জীবন্ত মানুষের শরীরে ইনজেক্শন করে দেয়া যায়, তবে মানুষটার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়ে যাবে।
নিশ্বাসের বাতাস নাক দিয়ে শ্বাস হয়ে দেহের ভেতরে ঢুকুক,আর মুখ দিয়ে হা করে শ্বাস গ্রহন করেই ঢুকুক যে কোনভাবেই বাতাস ভিতরে প্রবেশ করুক না কেন,ঐ বাতাস দুইশো কোটি অতি সূক্ষ্ণ পথ দিয়েই ফুসফুসে যাবে।ফুসফুস কোন জ্ঞানী মানুষ নয়,যদিও সে মানুষ চালায়। সে হচ্ছে নির্বোধ যন্ত্র। তাতে আপনি বাতাস জাতীয় যা ছাকতে দিবেন সে তা-ই ছাকবে। যেমন,নিশ্বাস পেলেও সে ছাকবে নিশ্বাসের সঙ্গে বিষ পেলেও ছাকবে এবং তার আসল কাজ হচ্ছে সে বায়ুবাহী নালী দিয়ে যা তার মধ্যে অর্থাৎ থলেতে ঢুকবে তা-ই সে ছেকে সঙ্গে সঙ্গে রক্তে মিশিয়ে দেবে,স্বয়ং প্রেসিডেন্টের হুকুমও সে মানবেনা।
ধূম শ্বাসের বাতাসের সঙ্গে সংমিশ্রিত হয়ে শ্বাসের মতই শ্বাসের ধূম একই পথে একই নালীতে ঢুকে বরাবর শ্বাসের সুক্ষ্ণ নালী দিয়ে ফুসফুসের বায়ু থলে বা ছাকনিতে গিয়ে সরাসরি হাজির হয়। ফুসফুস ছাকনাগুলো প্রায় দুইশো কোটি ছাকনি দিয়ে তাকে ছাকে। এই ঘটনা ঘটার সময় একটা মারাক্তক ব্যাপার ঘটে। শ্বা এবং শ্বাসের সঙ্গে মিশ্রিত ধুমটা যে পথ দিয়ে যায় সেটার ছিদ্রপথ এত সূক্ষ্ণ যে ,ভাবতেও অবাক হতে হয়। এই সূক্ষ্ণ পথগুলো ধূমের মধ্যে যে নিকোটিন থাকে তা তার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করার সময় ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসে এবং চারপাশের হলুদ হলুদ দাগ পড়ে,দাগটা ক্রমশঃ মোটা হতে হতে নালীগুলোর স্বাভাবিক কাজ ভীষনভাবে ব্যাহত হয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধূম যাতায়াতের কারনে সূক্ষ্ণ সূক্ষ্ণ বায়ুবাহী নালীগুলি একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে থাকে।যারা ধূমপান করে তাদের আঙ্গুলের ধূমের দাগ দেখলেই বুঝা যাবে। এই দাগটাই তামাকের বিষাক্ত পদার্থ নিকোটিন থেক সৃষ্টি হয়।
মানুষের ফুসফুসটা যার যার দেহের পরিমান মত করে দেহের সঙ্গে সংগতি রেখে স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ এই পরিমান এই মাপের দেহের ভেতরে এতটুকু অক্সিজেন ঢুকলে তবে তো দেহটা ঠিক সুস্হ এবং কর্মক্ষম থাকবে। শ্বাসনালী যখন জ্যাম হয়ে আসবে এবং সঙ্গে ছাকনিগুলোও ধূম ছাকতে ছাকতে বুজে যাবে,মানে বন্ধ হয়ে যাবে তখন সঠিক পরিমান অক্সিজেন দেহে আর ঢুকবেনা,অক্সিজেন পরিমান মত দেহে সরবরাহ হবেনা,এর ফলে কত যে নানাবিধ জটিল ব্যাধির সৃষ্টি হবে তা বলেও শেষ করা যাবেনা।
তাই আমার আকুল আবেদন ও অনুরোধ আমরা যারা ধূমপান করিনা আমাদের পাশে সাথে যারা ধূমপান করে তাদেরকে ধূমপান করা থেকে বিরত রাখি এবং এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে তাদেরকে জানাই,আর আমরা যারা ধূমপান করি কম বা বেশী আসুন এই মূহুর্ত থেকে আমরা ধূমপান বর্জন করি।
আমি shohel islam। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 139 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি টিউনের জন্য । এটি আমাদের যুবসমাজ কিছুটা হলেও সচেতন করবে । সোহেল ভাই ওয়াইস রেজা কাদেরির ইসলামি গজল কোন সাইটে পাওয়া যাবে একটু জানাবেন ।
Shojib bai net theke pai nai. you contact this address — multimedia pc–kataban masjid compus(gr.floor)-elephont road-dhaka-1000 [email protected] tel-02-9662134, 02-8650465, mobil-01819270085
Thanks for such informative witting.
Plz write something about how to escape from it. Some people who are addicted they try to escape but they cant.
খুব ভাল টিউন। এ বিষয়ে সবারই সচেতন হওয়া উচিত।
আমি ক্লাস 4 এ ধূমপান করার চেস্টা করেছিলাম। কিন্তু তখন হতে এখন পযৃন্তও ধূমপানের ধোঁয়া গলার ভিতর নিতে পারিনি।
ভাল টিউন..ধন্যবাদ।