বর্তমান আধুনিক যুগে যোগাযোগের একটি অন্যতম বাহন হচ্ছে এরোপ্লেন । আর এই এরোপ্লেনের স্টপেজ হিসেবে রয়েছে এয়ারপোর্ট । প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারপোর্ট থেকে হাজার হাজার বিমান উঠানামা করছে । এসব বিমানবন্দরের মধ্যে কিছু বিমানবন্দর রয়েছে যেখানে পাইলটদের বিমান উঠানামা করাতে কোন ঝামেলা বা ভয়ের মুখোমুখি হয়না । কিন্তু পৃথিবীতে কয়েকটি বিমানবন্দর আছে যেখানে বিমান উঠানামা করাটা পাইলটদের কাছে দু:স্বপ্ন মনে হয় । টিউনার ভাইয়েরা আজকে আপনাদের সাথে এরকম কয়েকটি বিমানবন্দর সম্পর্কে শেয়ার করতে চাই ।
কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত জাপানের ওসাকায় । এটি ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয় । কৃত্রিম দ্বীপের উপর নির্মিত এই বিমানবন্দরটি লম্বায় ২.৬ মাইল এবং ১.৬ মাইল চওড়া । পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত জলবায়ু পরিবর্তন ও সমূদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে এই বিমানবন্দরটি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
এটি পর্তুগালের সান্তাক্রুজে অবস্থিত । ১৯৬৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয় । ছোট রানওয়ের জন্য এটি বিখ্যাত ছিল। এটি সুউচ্চ পর্বত ও সমুদ্র বেষ্টিত হওয়ায় অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য ও বিমান ল্যান্ডিং করাটা খুব কষ্টসাধ্য । এটির মূল রানওয়ে ছিল ১৪০০ মিটার লম্বা যা পরবর্তীতে আর ৪০০ মিটার বাড়ানো হয় । ২০০৩ সালে রানওয়ে দ্বিগুণ করা হয় ।
এই বিমানবন্দরটি নেদারল্যান্ডস এর অন্তর্গত ছোট একটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপ সাবায় অবস্থিত । এটি ১৯৬৩ সালে নির্মাণ করা হয় । এটি সাবা দ্বীপের অধিকাংশ এলাকা নিয়ে অবস্থিত । এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা না ঘটলেও এই বিমানবন্দরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক বিমানবন্দরের একটি ধরা হয় । এটির রানওয়ের উভয় প্রান্ত উঁচু পাহাড়ের উপরে এবং শেষে সমূদ্র এবং এর এক সাইডে উঁচু পাহাড় ।
এটি এন্টার্কটিকা মহাদেশের রোজ আইল্যান্ডে অবস্থিত। এন্টার্কটিকায় গবেষণারত গবেষকদের কাছে বিভিন্ন জিনিসপত্র আনা নেওয়ার জন্য তিনটি এয়ার স্ট্রীপের মধ্যে এটি একটি । এটা পাথর বসানো কোন রানওয়ে নয় । পাইলটদের প্রসারিত বরফের উপর খুব সতর্কতার সহিত বিমান ল্যান্ড করাতে হয় ।
পূর্ব ক্যারিবায়ান অঞ্চলের সেন্ট মার্টিন এর অবস্থিত এই বিমানবন্দরটি এই অঞ্চলের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর । ১৯৪২ সালে এটি নির্মাণ করা হয় । ১৯৪৪ সালে নেদারল্যান্ডস এর সম্রাজ্ঞী জুলিয়ানা এই বিমানবন্দরে লান্ড করলে তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় । এই বিমানবন্দরের ল্যান্ডিং স্ট্রীপ খুবই ছোট যা প্রায় ২১৮০ মিটার ।
ফ্রান্সের চার্চেভেল হচ্ছে বিরাট এক স্কী এরিয়া । খুব ছোট রানওয়ে নিয়ে এখানে এই বিমানবন্দরটি অবস্থিত । বিমান অবতরণের সময় পাইলটদের খুব অল্প স্পীডে রানওয়ের ঢালু পান্তের দিকে যেতে হয় এবং টেক অফ করার সময় খুব স্পীডে রানওয়ের উঁচু প্রান্তের দিকে যেতে হয় । এখানে শুধু ব্যক্তিগত বা চার্টাড বিমান এবং হেলিকপ্টার উঠানামা করতে দেয়া হয় । টুমুরু নেবার ডাই মুভির প্রথম দৃশ্যে এই বিমানবন্দর দেখান হয় ।
এই বিমানবন্দরটি স্কটল্যান্ডের অন্তর্গত বার্রা দ্বীপে অবস্থিত । এই দ্বীপের প্রসস্ত বীচের উপর ১৯৭৫ সালে এই বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয় । এটি পৃথিবীর একমাত্র বিমানবন্দর যেখানে বীচের উপর বিমান ল্যান্ড করাতে হয় । এটি দিনে একবার জোয়ার ভাঁটায় ধুয়ে যায় ।
পূর্ব নেপালের লুকলা শহরে অবস্থিত এটি খুব ছোট একটি এয়ারপোর্ট । এটি ২৯০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত ও এর এক প্রান্ত বিরাট পর্বত বেস্টিত । ২০০৮ সালে এভারেস্ট বিজয়ী স্যার এডমন্ড হিলারীর নামে এটি পুণ: নামকরণ করা হয় ।
আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।
অসাধারন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।