এই তো মাত্র ১০ বছর আগেও স্মার্টফোন বলতে আমরা গুটিকয়েক ব্রান্ডের নির্দিস্ট কিছু ডিভাইসকে বুঝতাম। কিন্তু বর্তমানে অ্যাপল এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এবং স্মাটফোনে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ফলে বিশাল মার্কেট তৈরি হয়ে গিয়েছে এই স্মার্টফোনকে ঘিরে। বর্তমানে মাত্র ২ হাজার টাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্মার্টফোন পাওয়া যায়। আর এবার গুটিকয়েক ব্রান্ড থেকে প্রায় ৫০টির বেশি ব্রান্ড পুরো দুনিয়ায় বর্তমানে স্মার্টফোন সরবরাহ করে আসছে। আর তাই আজ আমি আপনাদের জন্যেই নিয়ে এলাম এই বছরের কেনার জন্য পারফেক্ট কিছু বেস্ট স্মার্টফোন। তো চলুন দেখে নেই এই বছরে কোন কোন স্মার্টফোগুলো বাজার মাতাচ্ছে:
মাকের্টে বর্তমানে হাজারো অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে, কিন্তু তাদের মধ্যে সব থেকে বেস্ট ফোনটি হলো গুগল পিক্সেল ২। আমি এখানে Pixel 2 XL ফোনটির কথা বলছি না, আমি শুধু Pixel 2 ফোনটির কথা বলছি।
গুগল পিক্সেল ২ ডিভাইসের ক্যামেরা এ যাবৎকালের সবগুলো স্মার্টফোন এর চাইলে সেরা। এর ক্যামেরায় আপনি আউটস্যান্ডিং ডাইনামিক রেঞ্জ পাবেন, কালার সিস্টেম চমৎকার এবং ছবির ডিটেইলও পাবেন বেশ চমকপ্রদ। এর সবকিছুই আপনি এর সিঙ্গেল সেন্সরটির মাধ্যমেই পাচ্ছেন। তাহলে ধারণা করুন ভবিষ্যৎতের পিক্সেল ৩ তে ২টি সেন্সর থাকলে ছবির কোয়ালিটি কোথায় গিয়ে পৌছাবে? এছাড়াও পিক্সেল ২ ডিভাইসে আপনি পাবেন অসাম background blur এবং elite edge detection সিস্টেম। আর এর সেলফি ক্যামেরাও অনান্য ডিভাইসের চাইলে বেশ উন্নত এবং ভালো মানের আর সেলফি ক্যামেরাতেও রয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লূ সিস্টেম।
গুগল পিক্সেল ২ এর পারফরমেন্স চাঙ্গা রাখতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ SoC প্রসেসর এবং bloat-free সফটওয়্যার। আর যার কারণে অনান্য স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ SoC প্রসেসরযুক্ত ডিভাইসের চাইতেও এটি ব্যাপক ফাস্ট রেসপন্ড করবে। আর পিক্সেল ২ XL এর চাইলে সাইজে ছোট হবার কারণে এর ব্যাটারী লাইফও চমৎকার। সবসময় টেপাটিপি করার পরেও আরামসে ২ দিন আপনি ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবেন।
আর বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস হিসেবে স্যামসং গ্যালাক্সি এস৯ প্লাসকে নির্বাচন করিনি কারণ গুগল পিক্সেল ২ হচ্ছে গুগল এর স্মার্টফোন। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটাও কিন্তু গুগল এর। তাই গুগল পিক্সেল ২তে আপনি ক্লিন ও স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। আর অনান্য অ্যান্ড্রয়েডের থেকে পিক্সেল ২ ডিভাইসে আপনি এক্সট্রা অনেক ফিচার পাবেন যা গুগল অনান্য অ্যান্ড্রয়েডে সাধারণত ছাড়ে না। যেমন প্রতি মাসেই আপনি নিয়ম করে অ্যান্ড্রয়েড আপগ্রেড পাচ্ছেন, পাচ্ছেন বিভিন্ন সিকুরিটি আপগ্রেড। আর গুগল থেকে ৩ বছরের ওয়ারেন্টি তো থাকছেই!
তবে পিক্সেল ২ এর কিছু সমস্যাও রয়েছে। যেমন এর ৫ ইঞ্চির 1080P AMOLED ডিসপ্লে দেখতে খুব সুন্দর কিছু এটির সৌন্দর্য্য অনেকটাই নস্ট করা হয়েছে মোটা বেজেলস এর ব্যবহারে। এতে কোনো হেডফোন জ্যাক এবং মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট নেই। এ কেমন কথা? তবে এতে আপনি পাবেন বেস্ট ওয়াটার প্রুফ বডি এবং উন্নত মানে ফ্রন্ট ফেসিং স্পিকারস।
তবে আমি বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ফোন হিসেবে বড় সাইজের গুগল পিক্সেল ২ XL কেও নির্বাচন করতে পারতাম তবে সে ডিভাইসের ভিউ এঙ্গেল এবং সাইড থেকে ডিসপ্লেতে নেগেটিভ এসে যায় ইত্যাদি সমস্যার কারণে গুগল পিক্সেল ২ কে নিবার্চিত করেছি। আর এটি সাইজে মোটামুটি মানের দেখে হবার হাতেই এটি ভালো ভাবে সেটিং হয়ে যাবে। আর গুগল পিক্সেল ২ XL থেকে ২০০ মার্কিন ডলার কমে আপনি পিক্সেল ২ পেয়ে যাচ্ছেন। এটিও একটি ফ্যাক্ট।
গুগল পিক্সেল ২ ডিভাইসটি মুক্তি দেওয়া হয় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে। এতে রয়েছে এলুমিনিয়াম বডি, সামনে গ্লাস এবং পেছনে গ্লাস ও এলুমিনিয়ামের সংমিশ্রিত বডি বিল্ড। এর সিম কার্ডে আপনি পাবেন Nano-Sim Card এবং eSIM ব্যবহারের সুবিধা।
এতে সফটওয়্যার হিসেবে পাবেন অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ তবে নতুন অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ আসা মাত্রই সবার আগে আপনি এর আপডেট পেয়ে যাবেন।
কর্নিং গোরিলা গ্লাস ৫ এর প্রটেক্টশন সহ ৫ ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লেতে ১৬:৯ রেশিওতে আপনি 1080 x 1920 রেজুলেশন পাচ্ছেন।
কোয়ালকম MSM8998 স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ অক্টা-কোর প্রসেসর, Adreno 540 গ্রাফিক্স কার্ড, ৪ গিগাবাইট র্যাম, ১২.২ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি এবং ৮ মেগাপিক্সেলের সেকেন্ডারি ক্যামেরা থাকছে। থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ওয়াটার প্রুফ সিস্টেম এবং ২৭০০ mAh ক্ষমতা নন-রিমুভেবল ব্যাটারী। এতে কোনো মেমোরী কার্ড স্লট নেই তাই এর দুটি মডেল আপনি পাবেন একটি ৬৪ গিগাবাইটের এবং অপরটি ১২৮ গিগাবাইটের রম সমৃদ্ধ।
এর মার্কেট মূল্য রাখা হয়েছে ৬৪৯ মার্কিন ডলার বা ৫৪, ৬৪০ টাকা। তবে বাংলাদেশে ভ্যাট এবং অনান্য চার্জ সহ ডিভাইস মূল্য আরো বেশি হবে।
এটা আজকের আমাদের বেস্ট অ্যান্ড্রয়েড ফোন হতে পারতো কিন্তু এর প্রাইস গুগল পিক্সেল ২ এর থেকে প্রায় ১০০ ডলারের বেশি তাই এটি রানার আপ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন হিসেবে আজকের লিস্টে রয়েছে। আপনার যদি বাজেট থাকে আর আপনি যদি বড়সড় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস নিতে চান তাহলে নিয়ে নিতে পারেন স্যামসং এর লেটেস্ট গ্যালাক্সি এস ৯ প্লাস ডিভাইসটি। এতে আপনি পাবেন ৬.২ ইঞ্চির কার্ভড ডিসপ্লে এবং সুপার DSLR কোয়ালিটির ক্যামেরা সিস্টেম। আর এর আন্তর্জাতিক মাকের্ট প্রাইস হলো ৭৬৫ থেকে ৭৯৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৪, ৪০৫ টাকা থেকে ৬৬, ৮৪৬ টাকা তবে বাংলাদেশে ভ্যাট এবং অনান্য খরচ যুক্ত হয়ে এর দাম আরো বেশি হবে। আমরা আগে oppo ব্রান্ডকে তাদের স্মার্টফোনগুলোকে প্রধানত ক্যামেরার জন্য বেশি প্রচার করতো তবে এখন আমরা স্যামসং এর লেটেস্ট ফ্ল্যাগশীপ ফোন হিসেবে ক্যামেরার প্রাধান্য দিয়ে গ্যালাক্সি এস ৯ প্লাস গত মাসে বাজারে ছেড়েছে। তবে একটা কথা হলো এই ডিভাইসটির ক্যামেরা গুগল পিক্সেল ২ এর ক্যামেরা থেকেও উন্নত।
এতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ অপারেটিং সিস্টেম, ৬.২ ইঞ্চির ১৮.৫:৯ রেশিও 1440 x 2960 রেজুলেশনের ডিসপ্লে, এর EMEA মডেলে রয়েছে Exynox 9810 Octa Core প্রসেসর এবং China মডেলে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ অক্টারকোর প্রসেসর। EMEA মডেলে পাবেন Mali-G72 Mp18 গ্রাফিক্স কার্ড এবং চায়না মডেলে পাবেন Adreno 630 গ্রাফিক্স কার্ড।
এর মেমোরী কার্ড স্লটটি সিম কার্ড স্লট ২নংটি ব্যবহার করবে এবং এতে আপনি ৪০০ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরী কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও এতে আপনি পাচ্ছেন ৬ গিগাবাইট র্যাম, মডেলে ভেদে ৬৪/১২৮/২৫৬ গিগাবাইট রম, ১২ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারী এবং ৮ মেগাপিক্সেলের সেকেন্ডারি ক্যামেরা এবং নন-রিমুভেবল ৩৫০০ mAh ব্যাটারী।
স্যামসং গ্যালাক্সি এস ৯ প্লাস নিয়ে সামনের একদিন আলাদা বিস্তারিত টিউন লেখবো। তাই এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে লেখলাম।
অ্যান্ড্রয়েড বেস্ট স্মার্টফোন পিক্সেল ২ হলেও দুনিয়াতে অনেক মানুষ আছে যারা অ্যান্ড্রয়েড এর থেকে আইফোন ব্যবহারে বেশি পছন্দ করেন। তাদের জন্য বেস্ট স্মার্টফোন হিসেবে অ্যাপলের লেটেস্ট আইফোন এক্সকে বলা যায়। তবে বর্তমানে আপনি তিনটি আইফোন ব্যবহার করতে পারেন। বাজেট সল্প হলে আইফোন ৬ এস নিতে পারেন। আর লেটেস্ট হার্ডওয়্যার পেতে চাইলে আইফোন ৮ বা ৮ প্লাস নিতে পারেন আর বাজেট কোনো বিষয় না হলে নিয়ে নিতে পারেন আইফোন এক্স। আর আইপোন এক্স এর ডিজাইন হচ্ছে ইউনিক। এতে আপনি আইফোন ৮ প্লাস এর থেকে বেশি ফিচার এবং চমৎকার বেজেলে এবং notch যুক্ত ডিসপ্লে পাবেন। এতে আপনি মূল ফিচারগুলো মধ্যে অন্যতম হিসেবে পাবেন ফেইস আইডি যা আগের ডিভাইসগুলো টচ আইডিকে রিপ্লেস করে আইফোন এক্সে বসানো হয়েছে। আর এই প্রথম কোনো আইফোন ওয়্যারলেস চার্জিং সার্পোট করবে শুধুমাত্র আইফোন এক্স। তবে এর দাম বাজারের অনান্য স্মার্টফোনের থেকে অনেক বেশি! যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ৯৯৯ মার্কিন ডলার যেটা বাংলাদেশে এসে এক লাখ টাকার উপরে চলে যায়।
আইফোন এক্স ডিভাইসে আপনি পাবেন ৫.৮ ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে, সিঙ্গেল ন্যানো সিম, আইওএস ১১.১.১ যা ১১.৩ পর্যন্ত আপগ্রেড করতে পারবেন, রয়েছে অ্যাপল এ১১ বায়োনিক হেক্সাকোর ২.৩৯ গিগাহার্জের প্রসেসর, তিন কোর বিশিস্ট অ্যাপলের গ্রাফিক্স কার্ড, ৩ গিগাবাইট র্যাম, মডেল ভেদে ৬৪ কিংবা ২৫৬ গিগাবাইট স্টোরেজ, ১২ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারী এবং ৭ মেগাপিক্সেলের সেকেন্ডারি ক্যামেরা, রয়েছে ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম সহ নন-রিমুভেবল ২৭১৬ mAh ব্যাটারী।
আপনি যদি ৯৯৯ ডলার আইফোনে কিংবা ৬৫০ ডলার গুগল পিক্সেল ২ ডিভাইসে খরচ করতে না চান এবং আপনি যদি বাজেট স্মার্টফোন নিতে চান তাহলে প্রথমেই আমি আপনাকে রেকোমেন্ড করবো ওয়ান প্লাস ৫টি ডিভাইসটি নেবার জন্য। ৫০০ ডলারের মধ্যে আপনি ওয়ান প্লাস ৫টি পেয়ে যাবেন। ওয়ান প্লাস ৫টি মূলত ওয়ান প্লাস ৫ এর একটি আপগ্রেডেড সংস্করণ যেখানে রয়েছে ৬ ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে, রয়েছে ফাস্ট ফেস আনলক সিস্টেম এবং মোটামুটি কোয়ালিটির ক্যামেরা সিস্টেম। অনান্য ফিচারের মধ্যে আপনি পাবেন স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ অক্টাকোর প্রসেসর, ৩৩০০ mAh ব্যাটারি, মডেল ভেদে ৬/৮ গিগাবাইট র্যাম এবং ৬৪/১২৮ গিগাবাইট রম ইত্যাদি।
মাত্র ৩২০ মার্কিন ডলার বা ২৭ হাজার টাকায় এলজি ব্রান্ড তাদের ভি২০ স্মার্টফোনটি ২০১৬ সালের শেষের দিকে বাজারে ছাড়ে। তবে এটা আপনি এ বছরেও কিনতে পারেন যদি বাজেট সংকোট থাকে। এলজি ভি২০ ডিভাইসে আপনি পাবেন ৫.৭ ইঞ্চির এলসিডি ডিসপ্লে এবং এর উপরে ছোট আরেকটি ডিসপ্লে। তবে এর স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ প্রসেসর টি বর্তমানের মিডরেঞ্জের স্মার্টফোনের প্রসেসরের চাইতে বেশ দ্রুত গতির পারফরমেন্স আপনাকে উপহার দিতে পারবে। এছাড়াও ৪ গিগাবাইট র্যাম, ৬৪ গিগাবাইট রম এবং মেমোরী কার্ড স্লট আপনার প্রতিদিনের ব্যবহারিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। বোনাস হিসেবে পাবেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, ক্যাটাগরি ১২ LTE 4G সিস্টেম এবং ৩২ বিট অডিও সিস্টেম। আর এলজি ভি২০ হচ্ছে শেষ কিছু বেস্ট স্মার্টফোন যার ব্যাটারী খোলার সিস্টেম রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড ৭, কোয়াড কোর প্রসেসর, Adreno 530 গ্রাফিক্স কার্ড, ৪ গিগাবাইট র্যাম, মডেল ভেদে ৩২/৬৪ গিগাবাইট রম, ৪০০ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরী কার্ড সার্পোট, ১৬ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ব্যাক এবং ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং ৩২০০ mAh ক্ষমতা রিমুভেবন ব্যাটারী আপনি পাবেন এতে।
নকিয়া! আগেরকার যুগের বেস্ট স্মার্টফোন ব্রান্ড। বর্তমানে এরাও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বাজারে এনেছে। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার টাকার নোকিয়া ৫ ডিভাইসটি একটি ভালো বাজেট ফোন। দেখতে চমৎকার এবং নোকিয়ার টেকসই কোয়ালিটির জন্য আপনি এই ডিভাইসটি ট্রাই করে দেখতে পারেন। এতে পাবেন ৫.২ ইঞ্চির LCD ডিসপ্লে, অ্যান্ড্রয়েড ৮ পর্যন্ত আপগ্রেডের সুবিধা, স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ অক্টা কোর কোরটেক্স প্রসেসর, Adreno 505 গ্রাফিক্স কার্ড, ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরী কার্ড সার্পোট, ১৬ গিগাবাইট রম এবং মডেল ভেদে ২/৩ গিগাবাইট র্যাম।
ক্যামেরায় পাচ্ছেন ১৩ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল এলইডি ডুয়াল টোন ফ্ল্যাশ ব্যাক ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। সামনের দিকে থাকছে ফিঙ্গার প্রিন্ট সিস্টেম এবং ৩০০০ mAh ক্ষমতার ব্যাটারী।
আরেকটি মিডরেঞ্জ এর স্মার্টফোন হলো আসুসের নতুন জেনফোন ৫। এটি বর্তমানে শুধু চীনে পাওয়া যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ সহ অনান্য দেশে এটি পাওয়া যাবে। ভারতে এর দাম ধরা হয়েছে ২৬, ৭০০ রুপি তাহলে বাংলাদেশে এর দাম ৪০০০০ এর মধ্যেই থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আসুস তাদের নতুন ৩ টি স্মার্টফোন ZenFone 5, ZenFone 5Z, ZenFone 5 Lite তিনটিতেই থাকছে AI-enabled ফিচার, ৯০% স্ক্রিণ টু বডি রেশিও সমৃদ্ধ ডিসপ্লে এবং ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম। আসুন জেনফোন ৫ ডিভাইস অ্যান্ড্রয়েড ৮ এর কাস্টম রম ZenUI 5.0 য়ে চলবে।
ক্যামেরায় রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের Sony IMX363 Sensor যুক্ত এবং ৮ মেগাপিক্সেলের আরেকটি ক্যামেরাযুক্ত ডুয়াল ব্যাক ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। ক্যামেরার সাথে পাবেন ফেস আনলক এবং বিউটিফিকেশন ফিচার।
৬.২ ইঞ্চির বড় ডিসপ্লে, অ্যান্ড্রয়েড ৮, স্ন্যাপড্রাগন ৬৩৬ অক্টা কোর ক্রাইরো ২৬০ প্রসেসর, ৬৪ গিগাবাইট রম, মডেল ভেদে ৪/৬ গিগাবাইট র্যাম এবং নন-রিমুভেবল ৩৩০০ mAh এর ব্যাটারী থাকছে এতে।
আর ডিসপ্লে ডিজাইনে এটি অনেকটাই আইফোন এক্স এর কপি করেছে বলা যায়। তাই তো আমি টিউনের শুরুতেই বলেছি যে আইফোন এক্স এর ডিসপ্লে ডিজাইন হচ্ছে একটি ইউনিক ডিজাইন যা এখন অন্যরা কপি করা শুরু করেছে।
আমাদের আজকের লিস্টে সবার শেষে রয়েছে মোটোরোলা কোম্পানির সব থেকে সস্তা স্মার্টফোন মোটো ই৪। তবে সস্তা বলে উড়িয়ে দিবেন না এতে রয়েছে পরিমাণমতো ফিচার যা একজন সাধারণ স্টুডেন্ট বা চাকুরীজীবির দৈনিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম। মাত্র ১০০ ডলারের বাজেট এই স্মার্টফোনটি আপনি পাচ্ছেন অ্যান্ড্রয়েড ৭, ফিঙ্গারপ্রিন্ড রিডার, রয়েছে রিমুভেবল ব্যাটারি, সেলফি ফ্ল্যাশ এবং ডিভাইসটি ওয়াটার প্রুফ! তবে ডিভাইসটির খারাপ দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে সূর্যের আলোতে ডিসপ্লেতে কিছু দেখতে কস্ট হবে এবং এর ক্যামেরাটি ছবি প্রক্রিয়াজাতকরণ সিস্টেমটি একটু ধীরগতির।
তবে এই প্রাইসে এর থেকে আর ভালো কিছু আপনি পেতে পারেন না।
ডিভাইসে আপনি পাবেন অ্যান্ড্রয়েড ৭, ১, ১, মিডিয়াটেক কোয়াড কোর কোরটেক্স এ৫৩ প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যাম, ১৬ গিগাবাইট রম, ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরী কার্ড সার্পোট, ৮ মেগাপিক্সেলের ব্যাক এবং ফ্ল্যাশসহ ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং রিমুভেবল ২৮০০ mAh এর মেমোরী কার্ড।
এছাড়াও আপনার যদি প্রাইমারী থেকে মিড রেঞ্জ বাজেট থাকে তাহলে আপনি শাওমি ব্রান্ডের স্মার্টফোনগুলো পরখ করে দেখতে পারেন। এই ব্রান্ড বর্তমানে আমাদের লোকাল মাকের্টে বেশ ভালোই পারফরমেন্স দেখাচ্ছে।
তো এই ছিলো বর্তমানের বেস্ট কয়েকটি স্মার্টফোন যা আপনি ২০১৮ সালে কিনে নিতে পারেন। তবে আপনার বাজেট যদি একেবারেই নিম্ন প্রকৃতির হয় তাহলে লোকাল ব্রান্ডের কিংবা শাওমির স্মার্টফোনগুলো নিয়ে নিতে পারেন। তবে বাংলাদেশে কিছুদিন আগে ৪জি প্রযুক্তির নেটওর্য়াক উন্মোচিত হয়েছে তাই যে ব্রান্ডেরই ডিভাইস কিনুন কেনার আগে দেখে নিবেন ৪জি সার্পোট করে কিনা। আর সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইস কিনলে অবশ্যই উন্নত ব্রান্ডের ডিভাইস দেখেশুনে কিনবেন। আর কোনো সমস্যা থাকলে আপনি সেটা টেকটিউনস জ্যাকেটে করতে পারেন আর টিউনটি সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত থাকলে তা নিচের টিউমেন্ট বক্সে করতে ভূলবেন না। আর হ্যাঁ টিউনটি ভালো লাগলে উপরে জোস বাটনে ক্লিক করতেও ভুলে যাবেন না যেন। আজ তাহলে এ পর্যন্তই থাক। আগামীতে অন্য কোনো টপিক নিয়ে আমি টিউনার গেমওয়ালা চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি কমিউনিটি প্লাটফর্ম টেকটিউনসে।
আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!