সারা পৃথিবী জুড়ে হাজারো বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিদিনই কিছু না কিছু আবিস্কৃত হচ্ছে। মানব জীবন হয়ে উঠছে একটু একটু করে মসৃন। এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং সভ্যতা অবশ্যই এমন এক দিকে চলে যাবে যা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এর মাঝে অনেক আবিস্কারই মনে রাখার মত।তবে আজ তুলে ধরব সেই সমস্ত আবিস্কারগুলোকে যেগুলো রাতারাতি বিশ্বব্রক্ষান্ডের চেহারা পাল্টে দিয়েছিল। আসুন টিউনার বন্ধুরা তাহলে একটু নজর দেয়া যাক সেই সমস্ত আবিস্কারের দিকে -
সমগ্র পৃথিবীকে এক সূতোয় গেথে ফেলেছে এই জাল। প্রথমত ইউএস মিলিটারির ব্যবহারের আওতাও থাকলে বর্তমানে নান্না মুন্নারা ও ব্যবহার করতে পারে। কোন সন্দেহ নেই যে এই অন্তর্জাল আমাদের জীবনকে আরো সমৃদ্ধ এবং তথ্যের দোর গোড়ায় নিয়ে এসেছে।
প্রথম দিকে অনেকেই একে জাদুর বাক্স বলে ডাকত। আবার এক পর্যায়ে একে শয়তানের বাক্স বলেও আখ্যায়িত করতে দেখেছি আমি। কিন্তু আজ যদি টেলিভিশন আবিস্কারই না হত তাহলে পৃথিবীর স্ট্যান্ডার্ড কোন পর্যায়ে থাকত ভাবতেই অবাক লাগে। আবিস্কারক জন লগি বেয়ার্ড প্রথম ১৯২৬ সনের ২৬ জানুয়ারি প্রথম রয়েল একাডেমীর মেম্বারদের কাছে একটি ওয়ার্কিং টেলিভিশনের পাবলিক ডেমনস্ট্রেশান দিয়েছিলেন।
"কম্পিউট দিস" ..... ১৯৪০ সনে ক্লড শ্যানন প্রথম এই ডিজিটাল ইলেকট্রনিক কম্পিউটার আবিস্কার করেন। প্রোগ্রামেবল ডিভাইসের জন্যে এটি একটি সম্ভাবনার দূয়ার উন্মোচিত করে।
১৯৪১ সনে করনার্ড জিউস আবিস্কার করেন প্রথিবীর প্রথম অপারেশনাল কম্পিউটার Z3।
আর পার্সোনাল কম্পিউটারগুলো আস্তে আস্তে মার্কেটে আসতে থাকে ১৯৭৭ সনের দিকে।
হালের ক্যালচার এবং ফ্যাশনে পরিনত হওয়া মোবাইলের অনেক এ্যাপ্লিকেশান এবং ইউজ সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত থাকলেও এর ইতিহাসের ব্যাপারে আমরা অনেকেই এখনও অজ্ঞ।
১৯৭৩ সনের ৩রা এপ্রিল মোবাইল পাইয়োনিয়ার ড. মার্টিন কুপার তার রাইভাল ড. জোয়েল এস এঙ্গেল এর সাথে নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রথম Motorola DynaTAC এর প্রোটোটাইপ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অবগত করেন। একই বছরে প্রথম কমার্শিয়াল মোবাইল ফোন Dr Cooper's Dyna-Tac রিলিজ হয়।
কোন সন্দেহ নেই যে এই আবিস্কারের মধ্যে দিয়ে অনেকটা অসাধ্যকেই সাধন করা হয়েছিল। ব্রেইন এবং হার্টের প্রোসথেটিক লিম্বসে সফলভাবে আর্টিফিসিয়াল পেস মেকার রিপ্লেস করে মেডিসিন জগতে সাড়া ফেলে দেয় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
হার্টের পেসমেকার সাধারনত হার্টবিটের রেট কন্ট্রোল করে থাকে এবং ব্রেইনের পেস মেকার ব্রেইনের সমস্ত ক্রিটিক্যাল সিমুলেশানে সহয়তা করে থাকে। এটি ব্রেইনে ইলেক্ট্রিক্যাল ইম্পাল্স প্রেরন করে থাকে ডিপ্রেশান থেকে খানিকটা হলেও মূক্তি পাওয়া সম্ভব।
১৯৫৪ সনের ৭ অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম স্পুটনিক ওয়ান নামের এই আর্টিফিসিয়াল স্যাটেলাইট স্থাপন করে।
প্রথিবীর মানুষ এখনও ভূলে যায় নি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন হিরোশিমার সেই অভিশাপকে। মানব সভ্যতার হুলিয়া বদলে রেখে দিয়েছিল এই পারমানবিক আগ্রাসন।
জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার ( ইনসেটে ), ম্যানহ্যাটান বেজড্ এই প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন। তার প্রথম লক্ষ ছিল পারমানবিক মারনাস্ত্রকে আরো ডেভলাপ করা। তাকে বলা হয় father of the atomic bomb.
লিটল বয় নামের প্রথম পারমানবিক বোমাটি ১৯৪৫ সনের ৬ অগাষ্ট হিরোশিমায় নিক্ষেপ করা হয় এতে মারা 140,000 জন মানুষ।
অনেকে ফ্ল্যাশ লাইট নামেও ডাকে এই বীমকে। যা পৃথিবী জোড়া Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৬০ সনের ১৬ই মে থিওডোর মেইম্যান প্রথম এই ওয়ার্কিং লেসারকে ডেমন্স্ট্রেট করেন।
আজকাল লেজার লাইটের কমন কিছু এ্যাপ্লিকেশান আমাদের হাতের কাছেই পাওয়া যায়। সিডি, ডিভিডি প্লেয়ার, বারকোড রিডার, প্রিন্টার এবং পয়েন্টার এবং বিভান্ন সমরাস্ত্রেও ব্যবহার করা হয়।
ছবিতে একটি স্পেস বেজড্ লেজারকে দেখানো হচ্ছে। ব্যালাসটিক মিসাইল শুটডাউনের ক্ষেত্রে এই সমস্ত উইপন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Journey to the infinity or beyond ....... কোন সন্দেহ নেই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আবিস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার এটি। মহাকাশের অনেক কিছুই জানা হয়েছে এই আবিস্কারের সাথে এবং প্রতিনিয়তই জানা হচ্ছে আমাদের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন না কোন বিষয়।
মানববাহী প্রথম স্পেস ফ্লাইটটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সনের ১২ই এপ্রিল। ভষ্টক ১ নামের মহাকাশ যানে চড়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরি গ্যাগারিন সারা বিশ্বের অরবিটের চারিদিকে পূর্ণ একবার প্রদক্ষিন করে আসেন।
নতুন করে বলার দরকার নেই এটি কি জিনিস এবং তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কতটুকু। ডোনাল্ড কেক (ছবিতে), পিটার স্কালজ এবং রবার্ট মুইর এর আবিষ্কর্তা। লং ডিসটেন্স দ্রুত ডাটা ট্রান্সফারিং এ ব্যবহৃত হচ্ছে এই ফাইবার।
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
অদভুত এই ছবিগুলো আমার ঘরে টাংগিয়ে রেখেছি (বড় করে) কালেকশনে আপনার নাম দিয়েছি। ধন্যবাদ
ভাই আমি আমার pc তে yahoo মেইল চেক করতে পারতাছি না আর টেকটিউনসে বাংলা লিখতে পারতাছি না গতকাল রাত থেকে ..
মাসখানিক পরপর সেটআপ দিলে কি ক্ষতি হয়? উত্তরের অপেক্ষায় ….
(এই বাংলা avro দিয়ে লিখছি )
অনেক কিছু জানলাম। ঝাক্কাস একটা টিউন।