প্রায়ই ফেসবুকের নামে নানা ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। এগুলোর কোনো কোনোটা অবাস্তব, বানোয়াট। আবার কোনোটা সত্য, তবে অপ্রকাশিত বা নীরব বাস্তব। ফেসবুকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত শত অভিযোগের মধ্যে একটি হলো, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক তৈরিতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের কাছ থেকে আইডিয়া চুরি করে তা অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। এ বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। সম্প্রতি সেই অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। ফেসবুক তৈরিতে আইডিয়া চুরি করা হয়েছে, এমন ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায় যখন সাংবাদিকরা নিশ্চিত হন যে, মামলার নিষ্পত্তির জন্য ফেসবুক একটি অপ্রকাশিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করেছে। তবে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আইনি প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে এবার প্রকাশ হয়ে গেছে ফেসবুক কর্তৃক প্রদত্ত অর্থের পরিমাণও। প্রাপ্ত তথ্যমতে, আইডিয়া চুরির মামলার নিষ্পত্তির জন্য ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ সাবেক সহপাঠীদের ৬৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
বৃটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান-এর ইন্টারনেট সংস্করণে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের কয়েকজন বন্ধুর তৈরি করা ‘ছাত্রদের জন্য সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট কানেক্ট-ইউ’ ২০০৪ সালে ফেসবুকের বিরুদ্ধে আইডিয়া চুরির এ মামলাটি করে। এ ব্যাপারে গত বছর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তবে এখন পর্যন্ত চুক্তির শর্তাবলী গোপন রাখা হয়েছে। এছাড়া এ সংক্রান্ত সব তথ্য গোপন রাখার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট আইনি প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে তা সান ফ্রান্সিসকোর একটি লিগ্যাল পাবলিকেশন থেকে প্রকাশ হয়ে যায়।
মামলা দায়েরকারী দিভইয়া নারেন্দ্রা, টুইনস ক্যামেরন এবং টাইলারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ‘তারা আমেরিকার সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট গড়ে তোলার কাজে হাত দেন। এ কাজে তাদের তৈরি কনসেপ্টেই কাজ করেছিলেন মার্ক জুকারবার্গ। সেখান থেকেই মার্ক সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে জনপ্রিয় ও ব্যবহারবান্ধব করার ধারণা পেয়েছিলেন। এছাড়া ডিজাইন, ব্যবসায়িক পরিকল্পনাসহ একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক আইডিয়াই পেয়েছিলেন মার্ক, যা পরে দিভইয়া, টুইনস বা টাইলারদের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে ফেসবুক তৈরিতে ব্যবহার করেছিলেন তিনি’। অর্থাৎ, অভিযোগমতে, চুরি করা আইডিয়া নিয়ে গড়ে উঠেছে ফেসবুক। এ অবস্থায় ফেসবুককে লাইনচ্যুত করার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
কানেক্ট-ইউ বলেছে, কানেক্ট-ইউ ফেসবুকের সমান প্রশংসা ও কৃতিত্বের দাবিদার। বলা হচ্ছে, কানেক্ট-ইউয়ের মূল্যও ১৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ। ২০০৭ সালের অক্টোবরে মাইক্রোসফট ২৪০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফেসবুকের ১.৬ শতাংশ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন প্রতিটি শেয়ারের মূল্য হয় ৩৫.৯০ ডলার। সেই বিনিয়োগের ভিত্তিতে ফেসবুকের আনুমানিক মূল্য নির্ণয় করা হয় ১৫ বিলিয়ন ডলার, যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের এ মূল্য আরো কম বলে দাবি করছে।
ফেসবুক এ ব্যাপারে দায়েরকৃত মামলার সব তথ্য গোপন রাখতে চেয়েছিল। দীর্ঘায়িত এ আইনি যুদ্ধের ফলাফল বা তাৎক্ষণিক আপডেট গোপন রাখতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বরাবরই ক্যালিফোর্নিয়া আদালত থেকে সাংবাদিকদের দূরে রাখতো। যার ফলে মামলা সম্পর্কে ফেসবুক ও কানেক্ট-ইউ কর্তৃপক্ষদ্বয় ছাড়া অন্য কেউ তেমন কোনো তথ্য জানতে পারতো না। তবে গত সপ্তাহে এ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি আইনি প্রতিষ্ঠান তাদের ক্লায়েন্টের কাছে প্রেরিত এক নিউজলেটারে উল্লেখ করেছে যে, ফেসবুক ২০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে এবং তাদের কমন স্টক থেকে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার হস্তান্তর করেছে। পরে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা এ তথ্যগুলো ভুলে প্রকাশ করে ফেলেছে।
ফেসবুকের দুর্ভাগ্য! কারণ, মাইক্রোসফটের সঙ্গে বিনিয়োগের সময় ফেসবুকের প্রতিটি শেয়ার যে দামে বিক্রি হয়েছিল, ক্যালিফোর্নিয়া আদালতে সেই মূল্যই গৃহীত হয়। আর আইডিয়া চুরি করার মতো লজ্জাজনক বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটাতে ফেসবুককে দিতে হয় ২০ মিলিয়ন ডলার এবং কমন স্টক থেকে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৩২৬টি শেয়ার, যার মূল্য প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার (প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ৩৫.৯০ ডলার ধরে)। তবে যার যাই হিসাব হোক, আইডিয়া চুরির দায়ে সবমিলিয়ে মোট ৬৫ মিলিয়ন ডলারের খেসারত গুনতে হয়েছে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক ব্যবহারকারীসমৃদ্ধ, সর্বাধিক জনপ্রিয় ও শীর্ষস্থান দখল করে রাখা সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ফেসবুককে।
প্রথম প্রকাশ: দৈনিক যায়যায়দিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ
২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
আমি মো. আমিনুল ইসলাম সজীব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 201 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ফেসবুক ভুয়া ,কয়দিন আগে আমি এমন একটি এড পাইছিলাম যেখানে বলা ছিল আমি 1টা না দুই 2টা বিয়া’র (আলহামদুলিল্লাহ্) অফার পাইছি আমার ফ্রেন্ডলিস্টের দুইজন মাইয়া আমারে বিয়া করতে চায়। পরে ক্লিক্ কইরা দেখি সেটা আরেকটি দেশী সোসিয়াল নেটওয়ার্কিন সাইটের লিন্ক।
শালারা এপিআই এর যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে । যেদুইটা ফ্রেন্ডলিস্টের একাউন্টের কথা বলেছে সেটা আসলেই আমার ফ্রেন্ড লিস্টে এড করা ছিল।
( ফেসবুককে কয়েকটা অকথ্য ভাষায় গালি এডভেটাইজারদের এমন সুযোগ করে দেবার জন্য আমি মানহানীর মামলা করতে পারতাম ভালোছেলে বইলা করিনাই )