হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই?
আবারও ব্যতিক্রম টপিকস নিয়ে আমি হাজির। কেউ আবার আমি টেকনোলজির বাইরে চলে যাচ্ছি মনে করেন কিনা মাঝে মাঝে ভাবি! যদিও আমি টেকনোলজি প্রেমী, তবে শুধু টেকনোলজি নিয়ে টিউন করতে করতে মাঝে মাঝে আমি একটু ভিন্ন এবং বিনোদনমূলক টপিকস খুঁজি। যা আমার টিউন ক্লান্তি এবং একঘেয়েমি দূর করে বৈকি।
আপনাদের টিউমেন্ট এবং আগ্রহ থেকে মনে হয় আপনারাও সেটা উপভোগ করেন। তবে আমি টেকনোলজির একদম বাইরে একদম চলে যেতে পছন্দ করি না। এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে কোননা কোন ভাবে সেই টেকনোলজির ভেতর দিয়েই যায়। যা আমারও মজা দেয়।
যাইহোক মুল টপিকসে চলে আশাকরি। তাও আবার মধ্য রাত হয় ম্যাক্সিমাম দিন। আপনারাও ট্রাই করে দেখবেন। দেখবেন হরোর মুভিও বিনোদনের পার্ট হিসাবে খারাপ না!
হরোর মুভির ইতিহাস তা বহু আগের। শেলির মতো জগৎ বিখ্যাত রাইটাররা নাকি এই হরোর মুভির ইন্সপাইরেশন। হরোর মুভির মাধ্যম মূলত সুপার ন্যাচারাল এবং কাল্পনিক শক্তির কিছু ধারণা থেকেই তৈরি।
যতোটুকু ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় জর্জ মেলিস (Georges Méliès) নামের ফ্র্যান্স ফিল্মমেকার ১৮৯০ সালে Le Manoir du Diable এই নামে প্রথম হরোর মুভি তৈরি করেন। তারপর থেকে এই হরোর মুভির প্রচলন শুরু।
আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম পৃথিবীর জনপ্রিয় ১০ হরোর মুভি। বিভিন্ন সময় এবং রেটিং এর মাধ্যমে এই লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। তবে লিস্টে ইতিহাসও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। আসুন আমরা দেখি সেই মুভিগুলা সম্পর্কে কিছু ঘটনা।
১৯২০ সালে জার্মান সাইলেন্ট মুভি 'The Cabinet of Dr. Caligari' কে বিশ্বের প্রাচীন জনপ্রিয় হরোর মুভির স্থান দখল করে নেয়। এটাকে অনেকে সত্যিকার প্রথম হরোর মুভি বলে উল্লেখ করেন। সুপার ন্যাচারালভাবে এই মুভি তৈরি করা হয়েছে। জার্মান মুক্তচিন্তা আন্দোলনের প্রভাব থেকে নাকি মুভির উৎপত্তি।
Dracula সিনেমার সফলতার পথ ধরে ১৯৩১ সালে Universal Studios'Frankenstein' সিনেমা করতে উৎসাহ পান। সিনেমা টি সুপার হিট হয় এবং Boris Karloff এই সিনেমার জন্য ফেমাস হয়ে যান এবং তিনি হরোর আইকন হয়ে যান।
একজন বিশাল আকৃতির গরিলা দিয়ে তৈরি এই মুভি ১৯৩৩ সালে প্রথম তৈরি হয়। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মুভি ১৯৭৬ এবং ২০০৫ সালে পুনরায় নির্মাণ করা হয়। ইউএস ফিল্মমেকার Merian C. Cooper এই মুভি তৈরি করেন।
George Romero একই ধরনের কমার্শিয়াল কাজ করতে করতে যখন ক্লান্ত তখন ১৯৬৮ সালে হরোর মুভি তৈরির চিন্তা। কয়েকজন বন্ধুর সাথে আলোচনা করে এই মুভির প্লট খোঁজা। বাস্তবিক অর্থে 'Blood Feast'' এর সাফল্য এই মুভি তৈরির অনুপ্রেরণা অনেকে ভাবেন।
১৯৭১ সালের William Peter Blatty এর উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৭৩ সালে মুভি তৈরির পরিকল্পনা। যেখানে আত্মা বিশ্বাস থেকে আত্মার সাথে সংগ্রাম থেকে এই সিনেমার কাহিনা তৈরি। মুভিটি দারুণ জনপ্রিয়তা পাওয়ায় আবার হরোর মুভি আলোচনায় চলে আসে।
হাঙ্গরের মানুষের রক্ত খাওয়ার লোভ থেকে সিনেমার প্লট। যদিও মুভিটা কমপ্লেক্স কিছু না তবে দারুণ চমৎকার উপস্থাপন এবং দৃশ্য একে ভিন্ন গতি দেয়। ১৯৭০ সালে হলিউডে দারুণ স্বাধীনতা ছিল সেই সময় মুভিটি তৈরি।
১৯৭৮ সালের এই স্ল্যাশার মুভি দখল করে নেয় হরোর মুভির জগতে নিজের অবস্থান। সিনেমার মুলে একজন খুনি যিনি সবসময় চাকু এবং অন্য কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যা করে।
তবে মুভি অনেক মানুষের মনে স্থান করে নেয়।
'The Blair Witch Project' মুভিটি মাত্র ৬০, ০০০ ডলারের বাজেট হয়েও ১৪০ মিলিয়ন ডলার তুলে নেয়। ১৯৯৮ সালে ফিল্মটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিকতার কিছু ছোঁয়া আছে মুভিটিতে।
১৯৯৪ সালে Wes Craven'Scream' মুভি নির্মাণ করেন। যেখানে খুনের মাধ্যমে সিনেমাটিতে যুব সমাজের ড্রাগ বা সেক্স ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে।
যা ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যায় সিনেমাটিকে।
কি কেমন দেখলেন লিস্ট? নিচ্চয় কিছু আপনাদের দেখা আছে? কাহিনী বর্ণনা সবগুলো সঠিকভাবে করতে পারলাম না। কারণ সবগুলো মুভি দেখে দেখে রিভিউ করা এখানে সম্ভব না।
তবে আপনারা দেখে দেখে রিভিউ আমাদের সাথে দারুণভাবে শেয়ার করবেন আশা করি।
আজ এই পর্যন্ত! অনেক রাত হয়ে গেছে। আজ আর পেরে উঠছি না।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
thanks for share.
কিছু হয়ত অনেকেরই দেখা।