টেকটিউনস স্পেশালঃ আলোড়ন তোলা গুগল সেবাসমূহে এক নজর

আনঅফিশিয়ালি গত সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে গুগল পদার্পণ করলো ১০ বছরে। এ ১০ বছরে গুগলের রয়েছে অনলাইন জগতে অসামান্য অবদান। গুগলের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। এর অন্যতম কারণ, গুগলের বিশ্বমানের অনলাইন সেবা। প্রচুর সংখ্যক ডেস্কটপ, মোবাইল ও অনলাইন সার্ভিসের দ্বারা গুগল ১০ বছরে নয়, আরো আগেই জয় করে নিয়েছে লাখ লাখ ব্যবহারকারীর মন। অনলাইন জগতে সবচেয়ে ব্যবসা-সফল একটি কোম্পানির নাম গুগল। ১০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিদের দেয়া সাক্ষাৎকারে গুগল কর্মকর্তারা বলেন, দি বেস্ট ইজ ইয়েট টু কাম। অর্থাৎ বেস্ট আসতে এখনো বাকি রয়েছে। মানে হলো, গুগলের লক্ষ্য আরো উপকারী কিছু দেয়ার। কিন্তু এখনি গুগলের যা রয়েছে তা-ও কম নয়। নিজে ব্যবহার করে এবং উইকিপিডিয়া (ইংরেজী) থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লেখা এই বিশেষ টিউনের মাধ্যমে গুগলের জনপ্রিয় কিছু সেবা সম্বন্ধে এক নজর জেনে নিন।

গুগল - সিম্পলি দি বেস্ট

শুধু একটি সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে যাত্রা শুরু করা গুগল এ দশ বছরে দিয়েছে প্রচুর সেবা। সব ধরনের পেশার মানুষের জন্যই কোনো না কোনো সেবার দরজা খুলেছে গুগল। আজ আমরা জনপ্রিয় ও দরকারি বেশ কয়েকটি গুগল-সার্ভিসের কথা জানবো, যা অনলাইন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে কোনো না কোনোভাবে আমাদের কাজে লাগবেই। গুগলের সব সেবার কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। সব সেবা সবার জন্য উপকারী না হলেও কিছু কিছু সেবা প্রায় কমবেশি সবারই কাজে লাগে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, একটি গুগল একাউন্টের বিনিময়ে আপনি পেতে পারেন অসাধারণ কিছু সেবার। আসুন দেখে নিই, একটি গুগল একাউন্টের বিনিময়ে আপনি যা পেতে পারেন।

সার্চ ইঞ্জিন

গুগলের অভিষেক ঘটে এ সার্চ ইঞ্জিন দ্বারাই। শুরু থেকে আজ দশ বছর পর্যন্ত গুগল সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সেবা, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজির কাজে ব্যবহার করে যাচ্ছেন। ইন্টারনেটে কয়েক কোটিরও বেশি ওয়েবসাইট আছে। এটা সত্যিই অসম্ভব একটি ব্যাপার যে, আপনি যেই বিষয়ের সাইট কিংবা যেই বিষয়ের প্রবন্ধটি খুঁজছেন, সেটা আপনি একটি একটি করে খুঁজে বের করবেন। এছাড়া ওয়েব ঠিকানা না জানা থাকলে আপনি তো জানতেই পারবেন না যে, আপনার জন্য অত্যন্ত দরকারী বা প্রয়োজনীয় একটি সাইট ‘আছে’। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এ সমস্যার কথা চিন্তা করেই গুগলের যাত্রা শুরু একটি সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে। একটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনি এ বিশাল ইন্টারনেট মহাসমুদ্রে যা খুঁজতে চান, তার টাইটেল বা তার সামান্য কিছু অংশ (কিওয়ার্ড) লিখে এন্টার করলেই গুগল কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার মনিটরে উপস্থাপন করবে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব থেকে প্রাপ্ত ফলাফল। জানা যায়, গুগল যে কাজটি এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে সম্পন্ন করে, সে কাজটি কোনো মানুষের ম্যানুয়ালি করতে কয়েকশ বছরেরও বেশি সময় লেগে যেতো।
শুধু খোঁজাখুঁজিই নয়, পরবর্তী সময়ে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত হয় পেজ র‌্যাঙ্কিং। অর্থাৎ জনপ্রিয়তা অনুসারে ওয়েবসাইটকে র‌্যাঙ্ক করার একটি সেবা যার নাম, পেজর‌্যাঙ্ক। ব্যবহারের গুরুত্ব, বা কতোগুলো সাইটে লিঙ্ক করা আছে ইত্যাদি উপায়ে গুগল পেজ র‌্যাঙ্ক করে থাকে। এটি আপনাকে সাহায্য করবে উন্নত ও বেশি প্রয়োজনীয় সাইটটিতে যেতে, যা অপ্রয়োজনীয় বা অসম্পূর্ণ সাইটে ঘোরাঘুরি করে সময় নষ্ট করা থেকে বাঁচিয়ে দেবে।
শুধু ওয়েবসাইট কিংবা আর্টিক্যাল/প্রবন্ধ নয়, গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে আপনি খুঁজে বের করতে পারেন ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ছবির মধ্য থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ছবি। এছাড়া গুগল সার্চ ইঞ্জিনের রয়েছে আরো কিছু বৈশিষ্ট্য, যা বলার অপেক্ষা রাখে না, যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত।

গুগল ক্রোম


২রা সেপ্টেম্বর ২০০৮ মুক্তিপ্রাপ্ত গুগল ক্রোম হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার। গুগলের ইতিহাসে ক্রোম হচ্ছে সর্বপ্রথম ব্রাউজার। এর আগে মজিলা ফায়ারফক্সকে সাপোর্ট দিলেও হঠাৎই গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি বের করে। ক্রোম গুগলের অন্য সেবাগুলোর মতোই যথারীতি সিম্পল এবং ব্যবহারবান্ধব। বিস্তৃত ব্রাউজিং এরিয়া ও আকর্ষণীয় ইন্টারফেস যে কারো দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম। তবে বেটা সংস্করণ হিসেবে এখনো ক্রোমে কিছু বাগ থেকে গেলেও, সবমিলিয়ে ক্রোম একটি দারুণ ওয়েব ব্রাউজার। এটি মূলত তৈরি করা হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কমপ্লেক্স ওয়েবসাইটগুলোর প্রতি লক্ষ্য করে। তবে মূল সংস্করণ প্রকাশ হওয়ার আগে ক্রোমের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। যদিও এরই মধ্যে ক্রোম বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছে এর ঝুঁকিপূর্ণ পলিসি বা গোপনীয়তার নীতির জন্য। তবে গুগল ইতিমধ্যেই তাদের ক্রোমের প্রাইভেসি পলিসিতে পরিবর্তন এনেছে। এবার তাদের পরিবর্তন আনতে হবে ক্রোমেও। কারণ এড-অনের মতো অসংখ্য কার্যকরী ফিচারসমৃদ্ধ ব্রাউজার, মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করার পর একজন ব্যবহারকারীর ক্রোমের প্রতি আকর্ষিত হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ তো থাকতেই হবে।

গুগল টক


ইয়াহু মেসেঞ্জারের জনপ্রিয়তার কথা আমরা জানি। ইন্সট্যান্ট মেসেজিংয়ের জন্য এর জুড়ি নেই, এ কথাটা এখন ভুল। কারণ এমএসএন মেসেঞ্জার বা উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জার, স্কাইপে ইত্যাদির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইয়াহু এখন একার রাজত্ব হারিয়েছে। এ ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জার বা চ্যাট সফটওয়্যারের বাজারে নিঃশব্দ একটি বিস্ময় হলো গুগল টক। গুগল টক সম্পর্কে অনেকেই হয়তো তেমন কিছু শোনেননি কিংবা জানেনই না যে, গুগল টক নামে কিছু আছে। অথচ গুগল টক হলো অসাধারণ একটি ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জার, যা ব্যবহারকারীর জনপ্রিয়তা অর্জনে খুব বেশি সময় নেয়নি। মজার ব্যাপার হলো, গুগল টক শুরু থেকেই একটি ওয়েব-বেসড মেসেঞ্জার। গুগল ইতিহাসের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে, এর অধিকাংশ অ্যাপ্লিকেশনই অনলাইনভিত্তিক। গুগলের প্রধান লক্ষ্যই হলো, মানুষকে অনলাইনে পুরো ডেস্কটপ কম্পিউটারের স্বাদ দেয়া। যেখানে একজন ব্যবহারকারী অনলাইনেই পেতে পারেন ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনের সুবিধা। এরই ধারাবাহিকতায় গুগল টক রিলিজ হয় অনলাইনে। অবশ্য ইয়াহু মেসেঞ্জার, লাইভ মেসেঞ্জার ইত্যাদি সবারই এখন ওয়েব-সংস্করণ আছে। কিন্তু দেখা যায় তাদের মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে হলে কম্পিউটারে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার থাকতে হয়, আরো কিছু ঝামেলা আছে। কিন্তু গুগল টকের এ ঝামেলা নেই। আপনার কম্পিউটারে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার থাকুক বা না থাকুক, মোটামুটি দ্রুততার ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি গুগল টকে চ্যাট করতে পারবেন। আপনি হয়তো জানেন না, প্রতিবার জিমেইলে লগইন করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি গুগল টকেও লগইন করেন। হ্যাঁ, লগইন করার পর স্ক্রিনের বাম পাশে কন্ট্যাক্টস থেকে যে কোনো জিমেইল ব্যবহারকারীকে ইনভাইট করুন। পরে তিনি যদি আপনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন, তাহলে যখন আপনি ও আপনার বন্ধুরা অনলাইনে (ব্রাউজারে জিমেইলে) লগইন থাকবেন, তখন চ্যাট করতে পারবেন। আশ্চর্য দ্রুততায় চ্যাট করার অভিজ্ঞতা পাবেন আপনি জিমেইলে লগইন থেকে গুগল টকে।
এছাড়া গুগল টকের একটি ডেস্কটপ সংস্করণ আছে, যা শুধু উইন্ডোজ ভিস্তা, এক্সপি, ২০০০ ও সার্ভার ২০০৩ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করতে পারবেন। ডেস্কটপ ভার্সনে আপনি ফাইল ট্রান্সফারসহ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে ভয়েস চ্যাটের আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন।
গুগল টক ডাউনলোড করতে ভিজিট করুন : http://www.google.com/talk/ এছাড়া গুগল টক ওয়েবব্রাউজার থেকেই ব্যবহার করতে জিমেইলে লগইন করুন কিংবা ভিজিট করুন : http://www.meebo.com/

ইউ টিউব


২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু হয় এ প্রজন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউ টিউবের; যেখানে যে কেউ প্রকাশ করতে পারবেন ভিডিও ক্লিপ, বিনামূল্যে। অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ [প্লেয়ার] টেকনোলজি ব্যবহার করে এসব ভিডিও ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ও ইন্টারনেট সংযোগ সংবলিত যে কোনো কম্পিউটার থেকে ইউ টিউবে প্রকাশিত ভিডিও দেখতে পারবে। চাদ হার্লে, স্টিভ চেন ও জাভেদ করিম নামক তিনজন মূলত সর্বপ্রথম ইউ টিউবের উদ্ভাবন করেন। পরে এর চাহিদা ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং তা ১৩ নভেম্বর ২০০৬ সালে ইউএস ডলার ১.৬৫ বিলিয়ন দিয়ে গুগল কিনে নেয় ইউ টিউবকে।
ইউ টিউব সম্পর্কেও আমরা কমবেশি সবাই জানি। যে কেউ বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করে কিছু সহজ শর্তে (টার্মস) ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করতে পারবেন ইউ টিউবের বিশাল নেটওয়ার্কে। আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন সরাসরি আপনার মোবাইল থেকেও। ইউ টিউব সাপোর্ট করে থ্রি-জিপি, ডব্লিউএমভি, এভিআই, এমওভি, এমপিইজি, এমপিফোর, ডিভ-এক্স, ফ্ল্যাশ ভিডিও এবং ওজিজি ফরমেটের ভিডিও। আপলোড করার পর ইউ টিউব সব ভিডিও ফাইলকে ফ্ল্যাশ ভিডিও ফাইলে রূপান্তর করে এবং প্রকাশ করে দেয় তাদের বিখ্যাত নেটওয়ার্কে।

স্কেচআপ


আপনি কি ইঞ্জিনিয়ার? ডিজাইনিং মনোভাব কি আপনার মধ্যে কাজ করে? তাহলে আজই থ্রিডি ডিজাইনিং বা মডেলিং স্কেচ করার জন্য ব্যবহার করুন গুগল স্কেচআপ সফটওয়্যারটি। পেশাদার আর্কিটেক্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ফিল্ম মেকার বা গেম নির্মাতাদের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরী সফটওয়্যার হচ্ছে গুগল স্কেচআপ। স্কেচআপে তৈরি করার পর আপনার মডেলটি আপলোড করে দিতে পারবেন থ্রিডি ওয়্যারহাউজে বা আপনি অন্যদের তৈরি স্কেচআপ-থ্রিডি মডেল দেখতে পাবেন থ্রিডি ওয়্যারহাউসে। স্কেচআপ ব্যবহার করে আপনি দ্রুততম সময়ে আকর্ষণীয় থ্রিডি মডেল তৈরি করতে পারবেন।

গুগল বুকস


বইপ্রেমীদের জন্য গুগল বুক সার্চ হতে পারে অসাধারণ একটি সেবা। এটি হলো গুগলের বই খোঁজার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি সাইট। এ সাইট ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় বইটির খোঁজ করতে পারেন। গুগল প্রতিবছর প্রায় এক মিলিয়ন বই স্ক্যান করে গুগল বুকস-এর ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে থাকে। ২০০৪ সালের অক্টোবর চালু হয় এ সেবাটি। যে বইটি খুঁজছেন, সেটি যদি গুগলের ডাটাবেজে থাকে, তাহলে তা আপনি বিনামূল্যে পড়তে পারবেন (এমনকি বিকল্প উপায়ে ডাউনলোডও করতে পারবেন)। নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি, লাইব্রেরি অফ অক্সফোর্ড, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিসহ বিশ্ববিখ্যাত বেশকিছু সংখ্যক লাইব্রেরি থেকে গুগল বুকস বই স্ক্যান করে থাকে। সুতরাং আপনি আপনার ঘরে বসেই বিখ্যাত সেসব গ্রন্থাগারের বই পড়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন গুগল বুকস-এর মাধ্যমে।

লাইভলি


সেকেন্ড লাইফের কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই? সেকেন্ড লাইফ ছিল একটি ডেস্কটপ চ্যাট অ্যাপ্লিকেশন। তবে সচরাচর যেসব চ্যাট সফটওয়্যার দেখি, তেমনটা নয়। এখানে আপনি দেখতে পারবেন আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন তাকে। না, ভিডিও কনফারেন্সও নয়। আপনি সেকেন্ড লাইফে ব্যবসা করতে পারবেন, নিজের মতো চলাচল করতে পারবেন, জমি কিনে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন, আবার জমির বেচাকেনাও করতে পারবেন। আপনার আশপাশের যে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, আবার মারামারিও করতে পারবেন।
সেকেন্ড লাইফ ছিল একটি ভার্চুয়াল এনভায়রনমেন্ট বা ভার্চুয়াল পরিবেশ। সেকেন্ড লাইফ যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেলেও সেকেন্ড লাইফে আপনাকে সত্যিকারের ডলার ব্যবহার করতে হতো যা সেকে লাইফের ওয়েবসাইট থেকে ইউএস ডলার থেকে লিন্ডেন ডলার (সেকেন্ড লাইফে প্রচলিত মুদ্রা) পরিবর্তন করতে হতো।
কোনো টাকা-পয়সার ঝামেলা নয়, বরাবরের মতোই গুগল নিয়ে এলো তার নিজস্ব ভার্চুয়াল চ্যাটিং পরিবেশ, লাইভলি, যেখানে আপনি আপনাকে সাজাতে পারবেন আপনারই মতো করে। এসব ভার্চুয়াল চ্যাট এনভায়রনমেন্ট হচ্ছে আপনার ভার্চুয়াল রূপ। এখানে আপনি থাকবেন, থাকবে আপনার মতো আরো বহু মানুষ। আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, বন্ধুত্ব করতে পারবেন, মারামারি করতে পারবেন ইত্যাদি। লাইভলিতে আপনি নিজস্ব একটি রুম তৈরি করে আপনার বন্ধুদের [লাইভলি ব্যবহার করে] আপনার রুমে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এখানে আপনি কিভাবে আপনার রুম সাজাচ্ছেন, সেখানে নির্ভর করে আপনার রুচিশীলতার পরিচয়। আলমারি, সোফা, চেয়ার, টেবিল, শোকেস, টিভি সবই থাকবে। সাজানোর দায়িত্ব আপনার। আপনার রুমের ডেকোরেশনই আপনার রুচির পরিচয় দেবে আপনার রুমের অতিথিদের প্রতি। আর যদি নিজের রুচি নিয়ে সন্দেহে থাকেন, তাহলে লাইভলির ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে নিন আপনার এলাকার বন্ধুদের রুমের তালিকা। প্রবেশ করুন লাইভলির ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে। উপভোগ করুন নিজের প্রতিবিম্বকে!
লাইভলির ওয়েবসাইট : http://lively.com/
লাইভলি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে আগে লাইভলির ওয়েবসাইট থেকে লাইভলি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে। আর লাইভলি ব্যবহারের সময় আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকতে হবে।

গুগল আর্থ


স্যাটেলাইট থেকে তোলা সমগ্র বিশ্বের ছবি দেখতে গুগল আর্থ একটি জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন। আপনার কম্পিউটারে গুগল আর্থ ইন্সটল করে ইন্টারনেট সংযোগ থাকাকালীন গুগল আর্থ ব্যবহার করে আপনি পৃথিবীর যে কোনো স্থানে ভ্রমণ করতে পারবেন। আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনে পুরো বিশ্বের গ্লোবটি উপস্থাপিত হবে। আপনি জুম করে বা স্থান/শহর/দেশের নাম সার্চ করে সেই দেশের সত্যিকার চিত্র (স্যাটেলাইট থেকে তোলা) দেখতে পারবেন।

================================================

গুগলের যোগাযোগবান্ধব সেবাসমূহ

কথায় আছে, আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়েছে। আর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। সেই ইন্টারনেটেও রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন সেবা। আর বরাবরের মতোই গুগলই দখল করে রেখেছে এই খাতের ব্যবহারকারীদেরকে। আসুন, গুগলের যোগাযোগবান্ধব কিছু সেবার কথা জেনে আসি।

জিমেইল

গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেবা হলো গুগল মেইল বা জিমেইল। সাত গিগাবাইটেরও বেশি স্টোরেজ ক্ষমতাসম্পন্ন দৃষ্টিনন্দন ও সিম্পল এ ইমেইল সার্ভিসটি জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, এর দ্রুততা। লগইন করার সময় একবার ও লগআউট করার সময় একবার বেশি সময় নেবে। তারপর ইমেইল সেইন্ড, ইনবক্স চেক ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই। ভুলেও যেতে পারেন যে, আপনি ইন্টারনেটে কাজ করছেন, এতোই দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে জিমেইল। ইয়াহুর জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে জিমেইল এখানেই। অবশ্য ইয়াহুর বেটা সংস্করণে জিমেইলকে অনুকরণ করা হলেও একটু লো-গ্রাফিক্সের কম্পিউটারেই ইয়াহুর বেটা সংস্করণটি খোলা যায় না। তাই এদিক দিয়ে জিমেইল সবচেয়ে এগিয়ে। এছাড়া জিমেইলের রয়েছে স্প্যাম ব্লকিং টেকনোলজি, যা নিখুঁতভাবে আপনার ইনবক্সে আসা স্প্যামগুলোকে ফিল্টার করে। জিমেইলের আরেকটি সুবিধা হলো, জিমেইলে লগইন করার সঙ্গে সঙ্গে একই উইন্ডোতে আপনি চ্যাট করতে পারবেন গুগল টকে। জিমেইল ব্যবহার করে আপনি ইচ্ছা করলে নির্দিষ্ট ঠিকানা থেকে আসা মেইলগুলোকে নির্র্র্দিষ্ট লেভেলের আওতায় রাখতে পারবেন।
জিমেইলের আরেকটি দারুণ সুবিধা হলো এই যে, আপনি আপনার ইনবক্সের অসংখ্য মেইলগুলোর মধ্য থেকে সার্চবক্স ব্যবহার করে আপনি যে মেইলটিকে খুঁজছেন, ঠিক সে মেইলটিকেই বের করতে পারবেন। সার্চবক্সে লেখা কিওয়ার্ডকে জিমেইল আপনার প্রতিটি ইমেইলের সাবজেক্ট, সেন্ডার এড্রেস ও সম্পূর্ণ মেইল বডির মধ্যে খোঁজ করে এবং যেসব মেইলে আপনার কাক্সিক্ষত শব্দটি পাওয়া যায়, তার সবগুলো উপস্থাপিত হয় ফলাফল পৃষ্ঠায়। এখনো যারা জিমেইল ব্যবহার করেন না, তাদের প্রতি বলছি একবার জিমেইল ব্যবহার করে দেখুন। জিমেইল আপনার মূল্যবান সময়টাকে কীভাবে বাঁচায়, সেটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

পিকাসা ওয়েব অ্যালবাম

আপনার প্রয়োজনীয় বা আনন্দের মুহূর্তের ছবিগুলোকে শেয়ার বা স্টোর করতে গুগলের আরেকটি অনন্য সেবা হচ্ছে পিকাসা ওয়েব অ্যালবাম। সর্বোচ্চ এক গিগাবাইট পর্যন্ত ছবি সংরক্ষণ করা সুবিধা রয়েছে ওয়েববেসড এই অ্যালবামটিতে যা আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

সাইটস

কোনো প্রকার কোডিংয়ের জ্ঞান ছাড়াই আকর্ষণীয় মনোমুগ্ধকর ডিজাইনের ওয়েবসাইট তৈরি করার সেবার নাম হচ্ছে গুগল সাইটস। গুগল সাইটস এখনো পরীক্ষামূলক সংস্করণে আছে। আগে এ সেবায় গুগলের পেজ ক্রিয়েটরটি ব্যবহার করা হতো। কিন্তু স¤প্রতি গুগল এক নোটিশে জানিয়ে দিয়েছে, পেজ ক্রিয়েটর আর নতুন কোনো রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করবে না এবং চলতি বছরের শেষের দিকে পেজ ক্রিয়েটর একেবারে বন্ধ করে দেয়া হবে। তাই নতুন ব্যবহারকারীরা সাইট তৈরির কাজে ব্যবহার করতে পারেন গুগল সাইটস।

অরকুট


ফেসবুক, মাইস্পেস কিংবা হাইফাইভের চেয়ে কোনো অংশে কম না হওয়া সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট। তবে এ নেটওয়ার্কিংয়ে প্রবেশ করতে হলে ব্যবহারকারীকে অবশ্যই ১৮ বছর বা তারচেয়ে বেশি বছর বয়সী হতে হবে।

অ্যাডসেন্স

ওয়েবমাস্টার বা ব্লগারদের জন্য নিজস্ব সাইট বা ব্লগ থেকে আয়ের একটি অসাধারণ সেবা, যা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার শীর্ষে। আপনার সাইট বা ব্লগে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আপনি পেতে পারেন হাজার হাজার ডলার। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এ রকমটাই ঘটছে বহু দিন ধরে। তাই ওয়েবসাইট তৈরি করতে না পারলেও ব্লগ তৈরি করে গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট প্রকাশ করে যদি সাইট/ব্লগ জনপ্রিয় করতে পারেন, তাহলেই আপনি রেভিনিউ পাবেন গুগলের কাছ থেকে। অ্যাডসেন্স আপনাকে টাকা দেয় আপনার সাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে ক্লিকের বিপরীতে ও আপনার সাইটের ইমপ্রেশন বা পেজভিউয়ের বিপরীতে।

ডকস

মাইক্রোসফটের ওয়ার্ড, এক্সেল বা পাওয়ারপয়েন্ট। এদের অনলাইনে করে দেয়ার প্রত্যয়েই গুগল ডকস প্রকাশিত হয়। গুগল ডকসে আছে ডকুমেন্টস, স্প্রেডশিট ও প্রেজেন্টেশন; যা ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টের অনুরূপ। এগুলো ব্যবহার করে আপনি ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের কাজ তো করতে পারবেনই, উপরন্তু আপনার ফাইলকে পিডিএফ এ এক্সপোর্ট করতে পারবেন।
================================================

গুগলের স্বল্পপরিচিত আরো কয়েকটি সেবা

গুগলের অনেক সার্ভিসের সঙ্গেই আমরা পরিচিত। তবে এসবের বাইরেও এ প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে বেশ কয়েকটি সার্ভিস। প্রতিদিনের কর্মময় জীবনে এ সেবাগুলোও আপনার জন্য হয়ে উঠতে পারে বেশ কাজের। আসুন দেখে নিই এ রকম চারটি গুগল সেবা।

ব্লগার

ব্লগ শব্দটির সঙ্গে আজকাল আমরা সবাই পরিচিত। ব্লগ হচ্ছে একজন মানুষের সত্যিকারের কথা প্রকাশ করার উন্মুক্ত স্থান। এটি জনগণের মুক্তকণ্ঠে কথা বলার একটি অতুলনীয় স্থান। গুগল তাদের ব্যবহারকারীর জন্য বিনামূল্যে ব্লগ হোস্ট করার সুবিধা দিচ্ছে তাদের নিজস্ব সেবা, ব্লগারের আওতায়। যে কেউ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এখনই ব্লগ লেখা শুরু করতে পারেন গুগলের জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফরম, ব্লগারে।
ব্লগার বা ব্লগস্পটের নির্মাণাধীন ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করতে লগইন করুন ব্লগার ইন ড্রাফটে

ক্যালেন্ডার

দৈনন্দিন জীবনে কতো কাজকর্মই না থাকে মানুষের। সেসব সিডিউলকে যথাযথভাবে মেইনটেইন করার সাহায্যার্থে গুগল ক্যালেন্ডার হতে পারে কার্যকরী একটি সেবা। এখানে আপনি আপনার ইভেন্ট তৈরি করতে পারেন। রাখতে পারেন রিমাইন্ডার। এমনকি যদি আপনি চান আপনার ইভেন্টের কথা গুগল ক্যালেন্ডার আপনাকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। দ্রষ্টব্য: বাংলাদেশে গুগল ক্যালেন্ডার শুধুমাত্র গ্রামীণফোন, ওয়ারিদ টেলিকম এবং একটেল মোবাইল সাপোর্ট করে। অর্থাৎ শুধুমাত্র এই তিন অপারেটরের গ্রাহকরা গুগল ক্যালেন্ডারের এসএমএস এলার্টের সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবেন।

গুগল রিডার

আরএসএস ফিডের সঙ্গে নিশ্চয়ই পরিচিত আপনি? আরএসএস হচ্ছে কোনো ওয়েব বা ব্লগসাইটে প্রকাশিত আর্টিক্যাল বা পোস্টের শিরোনামের একটি তালিকা। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি বিবিসির আরএসএসে সাবস্ক্রাইব করেন, তাহলে যখনই বিবিসিতে কোনো খবর প্রকাশ হবে, তখনই আপনি আপনার আরএসএস রিডারে সেই সর্বশেষ সংবাদের শিরোনাম ও মূল খবরের লিঙ্ক পেয়ে যাবেন।
এ আরএসএস পড়ার জন্য গুগল রিডার একটি জনপ্রিয় সেবা। গুগল রিডারে আপনি ইচ্ছেমতো আরএসএস যুক্ত করতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে মোবাইল ইন্টারনেটেও আপনি আরএসএস পড়তে পারেন।

অ্যাডওয়ার্ডস

রাতারাতি বিখ্যাত হওয়ার সহজ পথ অ্যাডওয়ার্ডস। অ্যাডওয়ার্ডস মূলত একটি বিজ্ঞাপন সংস্থা। আপনার প্রতিষ্ঠানে ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন আপনি অ্যাডওয়ার্ডসে, যেখানে থেকে বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয় গুগলের সার্চ রেজাল্ট পেজে, অ্যাডসেন্সে ও আরো বিভিন্ন স্থানে। সুতরাং আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর সংখ্যক ভিজিটরকে আমন্ত্রণ জানাতে অ্যাডওয়ার্ডস একটি ভালো পন্থা।

সব মিলিয়ে গুগলের প্রায় একশ চল্লিশটির কাছাকাছি ডেস্কটপ, অনলাইন ও মোবাইলভিত্তিক সেবা রয়েছে। এগুলোর কোনো কোনোটি গুগল তৈরি করেছে নির্দিষ্ট পেশার মানুষের জন্য, কোনো কোনোটি শুধুই ওয়েবমাস্টারদের জন্য, কোনো কোনোটি আবার সবার জন্য। ইদানীং আবার গুগলের অধিকাংশ সেবাই বাংলা ভাষাতেই অনূদিত হচ্ছে। অনূদিত ভাষার মান ততোটা উন্নত না হলেও আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই উন্নত বাংলা ভাষায় পাওয়া যাবে গুগলের সবক'টি সেবা।
দশ বছরে গুগল অনলাইন জগতে ঘটিয়েছে এক বিপ্লব, যা অন্য কারো পক্ষে হয়তো সম্ভব হতো না। গুগলের ঘোষণামতে আগামীতে গুগল অফার করবে আরো অনেক সেবা, যা পুরো ইন্টারনেট দুনিয়াকেই আরেকবার বদলাবে। এখন শুধু দেখার বিষয় এই যে, গুগল তাদের রাজত্ব আগামীতে ধরে রাখতে পারে কি না।

Level 0

আমি মো. আমিনুল ইসলাম সজীব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 201 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আসলেই স্পেশাল একটা টিউন!!

আমিনুল ইসলাম সজীব ভাই গুগোলের এসব তথ্য নিয়ে লেখার উপস্থাপনা সত্যি অসাধারন হয়েছে।

Excellent. তবে লোগো গুলো আরেকটু ছোট হোলে আরো ভাল লাগত।

অনেক ধন্যবাদ তোমাকে । খুবই ভাল একটা টিউন । ভালো থাক

Level 0

আর হ্যাঁ জাভেদ করিম কিন্তু বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত।
http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A6_%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE

Level 0

asolei appni ekta jotil tune koresen.
Thanksssssssssssssss
aaaaaaaaaaaaaaaaaaaaaaaaa
lottttttttttttttttttttttttttttttttttttttttttttttt.

ফাটাফাটি। ধন্যবাদ।