ফ্যাশন ডিজাইনাররা আকর্ষণীয়তা , ট্রেন্ড, বাজারে পূর্বাভাস এবং জলবায়ু সঙ্গে মিল রেখে পোশাক ডিজাইন করেন। তারা ফ্যাব্রিক, বুনন , কাপড়ের গুণাবলী, উপাদান, রং এবং নকশা এবং পরিবর্তন প্রবণতা সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন।
ফ্যাশন ডিজাইনিং প্রক্রিয়ায় জড়িত
• অনুসন্ধান এবং গবেষণা
• কাগজে মূল নকশা আঁকা
• পোশাক অনুযায়ী কাপড় টুকরা করা
• তারপর টুকরা কাগজ উপর প্রকৃত আকার টানা হয়এবং একটি শক্ত উপাদানের উপর কাটা হয় এবং একসঙ্গে সেলাই করা এবং একটি মডেলের উপর লাগানো হয়
• প্যাটার্ন টুকরো গুলোকে আকারে সামান্য পরিবর্তন করা হয় অথবা অন্য কয়েকটি বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয় এবং এইভাবে নকশা সম্পন্ন হয়
• তারপর সেলাই করে পোষাকের চুড়ান্ত রুপ দেয়া হয়
পাইকারি উৎপাদনে ফ্যাশন ডিজাইনাররা
• অনেক স্টাইল এবং কাপড়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ধরনের কাপড়ের বিশেষজ্ঞ হওয়া যেমন, জিন্স, জ্যাকেট, শিশুদের পোশাক, পুরুষদের পোশাক, মহিলাদের পোশাক, নীটওয়্যার, খেলাধূলার পোশাক, ইত্যাদি
• কম খরচে একটি বড় স্কেল এ উৎপাদনের জন্য উচ্চ ফ্যাশন ডিজাইন নির্ধারন।
ফ্যাশন ট্রেন্ডের জন্য ডিজাইনার
• ফ্যাশন হাউসে এবং সংস্থাগুলো একচেটিয়াভাবে পরিকল্পিত পোশাক উত্পাদন এবং সংগ্রহ করে।ফ্যাশন পূর্বাভাস দ্বারা ফ্যাশন ট্রেন্ড সেট করা হয়। বিভিন্ন প্রকার ফ্যাশন শোর আয়োজনের মাধ্যমে এই ডিজাইন বাজারজাত করা হয়
এছাড়াও ফ্যাশন ডিজাইনার বিভিন্ন বিষয়ে অভিঞ্জ
• মঞ্চ শিল্পী, টিভি বা ফিল্মের জন্য পোশাক ডিজাইন
• ইতিহাস-অনুযায়ী গবেষণা ও নকশায় গবেষণা চালায়
গার্মেন্টসে উৎপাদন ইউনিটে ডিজাইনার এবং জুনিয়র ডিজাইনারের কাজ
• জুনিয়র ডিজাইনাররা প্রথম প্যাটার্ন কাটিং করে
• তারা কাপড়ের সঙ্গে বাজার থেকে নির্বাচিত প্রথম নমুনার একত্রিত করে
কর্মসংস্থানের সুযোগ
কাজের সুযোগ নিম্নলিখিত খাতে বিদ্যমান:
•গার্মেন্টস / টেক্সটাইল / তাঁত রপ্তানি সঙ্গে জরিত অরগানাইজেশনে
• পুরুষ / মহিলা / শিশুদের পোশাক এবং খেলাধূলার ও নৈমিত্তিক পরিধানের পোশাকের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়
• ফ্যাশন হাউসে নেতৃস্থানীয় দ্বারা নকশা এবং উচ্চ মানের ফ্যাশনেবল কাপড় তৈরি
• সরকার / আধা সরকারি তাঁত / টেক্সটাইল নির্মাতা
• ফ্যাশন শো আয়োজক / ফ্যাশন প্রকাশক
• টিভি / চলচ্চিত্র ফ্যাশন প্রোগ্রাম প্রযোজক / শিল্পী-পরিচালক / পোষাক ডিজাইনার ইত্যাদি
• চলচ্চিত্র প্রকাশনা ইউনিট
• ডিজাইনের শিক্ষক
আয়ের সুযোগ
প্রতি বছরে ১.৪৪ লক্ষ.থেকে ৮.৪৭ লক্ষ টাকা।
(বেতন তথ্য উৎস PayScale.com )
উপার্জনের বিবরণ
শুরুতে প্রতি মাসে ২0,000 টাকা থেকে ৫0,000 টাকা উপার্জন করতে পারেন। অভিজ্ঞতা এবং শিল্প বসানো সঙ্গে ৪-৫ গুন পর্যন্ত উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে।
কিভাবে এ পেশায় আসবেন
পোশাক শিল্পে উচ্চ আয়ের চাকরির জন্যে ফ্যাশন টেকনোলজিতে কয়েক ধরনের প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রি রয়েছে। রয়েছে ছয় মাস বা এক বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স, অন্যদিকে উচ্চ ডিগ্রির ক্ষেত্রে রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি অনার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি।
ভর্তি যোগ্যতা
• অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হতে একজন শিক্ষার্থীকে এইচএসসি/এ লেভেল/আলীম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স/ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বা সমমানের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ২.৫ পেতে হবে।
• সার্টিফিকেট অথবা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হবার নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা যেকোন বিষয়ে গ্রাজুয়েট বা এইচএসসি/এ লেভেল/আলীম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স/ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ CAREER FOUNDATION
আমি রাজিব মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন ছাত্র। প্রযুক্তি নিয়ে থাকতে ভালোবাসি। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বিষয়ক নতুন নতুন তথ্য জানতে এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসি।আমাদের দেশ তথ্য প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,জীবনের প্রতিটি পার্যায়ে এখন তথ্য প্রজুক্তির ছোঁয়া।উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আরোহণে তথ্য প্রযুক্তির কোন বিকল্প নাই।তাই আমাদের সবার উচিত তথ্য প্রযুক্তির সাথে থাকা