বিজ্ঞানের উন্নতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে- এখন সৃষ্টিকর্তার সাথে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া জ্ঞান ব্যাবহার করে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ আজ প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পিছপা হয় না! কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে মানুষ যে এখন ব্যর্থ হচ্ছে তাও কিন্তু না।
আজ এমন একটা বিষয় নিয়েই টিউন করতে বসেছি!
আজ আপনি পুরষ, কিন্তু অনায়াসেই আপনি নারীতে রূপান্তরিত হয়ে পারেন। এর উল্টোটিও হতে পারে। অর্থাৎ আপনি নারী , কিন্তু চাইলেই পুরুষ হয়ে যেতে পারেন। উল্লেখ্য একজন পুরুষকে নারীতে পরিণত করা যতটা সহজ, ঠিক ততটাই কঠিন- একজন নারীকে পুরুষে পরিণত করা! কিন্তু অসম্ভব নয়।
রুপান্তরকামিতাকে ইংরেজীতে "Transsexualism" বলা হয়ে থাকে। Transsexual বা রূপান্তরকামী মানুষেরা বাহি্যক বৈশেষ্টে্য ছেলে হয়ে জন্মানো সত্ত্বেও মনমানসিকতায় নিজেকে নারী ভাবেন । আবার উল্টোটিও হয়- বাহি্যক বৈশিষ্টে্য নারী হয়ে জন্মানো সত্ত্বেও মনমানসিকতায় নিজেকে পুরুষ ভাবেন। এদের অনেকেই বিপরীত লিঙ্গের পোশাক- আশাক পরিধান করে থাকেন। এই ব্যপারটিকে বলা হয় ট্রান্সভেস্টিজম বা ক্রসড্রেস।
আবার কেউ Sex reassignment surgery;র মাধ্যমে রূপান্তরিত মানবে (Transexual)পরিণত হন। এরা সকলেই বৃহৎ রূপান্তরপ্রবণ সম্প্রদায়ের (Transgender) অংশ হিসেবে বিবেচিত।
Sex reassignment surgery কে সংক্ষেপে SRS বলা হয়। এছাড়াও একে gender reassignment surgery (GRS), genital reconstruction surgery, sex affirmation surgery, sex realignment surgery অথবা sex-change operation নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।
Sex reassignment surgery এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তির নিজস্ব যৌন বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে ফেলা সম্ভব। অর্থাৎ এই প্লাস্টিক সার্জারি পদ্ধতির মাধ্যমে পুরুষ থেকে নারী কিংবা নারী থেকে পুরুষ কিংবা নারী বা পুরুষ থেকে উভলিঙ্গে রূপান্তর সম্ভব।
কয়েকটা ধাপে এই কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। লিঙ্গ পরিবর্তন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। নিচে এই সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
উইকিপিডিয়াতে বর্ণিত তথ্যমতে-
মানবসভ্যতার বিভিন্ন সমাজব্যবস্থায় লিখিত ইতিহাসের সমগ্র সময়কাল জুড়ে রূপান্তরকামিতার উপস্থিতি লক্ষিত হয়। এর মধ্যে আমেরিকার পুরুষ রূপান্তরকামী জর্জ জরগেন্সেন এর ক্রিস্টিন জরগেন্সেনের রূপান্তরিত হবার কাহিনী মিডিয়ায় এক সময় আলোড়ন তুলেছিলো। এ ছাড়া জোয়ান অব আর্ক, জীববিজ্ঞানী জোয়ান (জনাথন) রাফগার্ডেন, বাস্কেটবল খেলোয়ার ডেনিস রডম্যান, চক্ষুচিকিৎসক এবং পেশাদার টেনিস খেলোয়ার ডঃ রেনি রিচার্ডস, সঙ্গিতজ্ঞ বিলিটিপটন সহ অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তির মধ্যে রূপান্তরপ্রবণতার উল্লেখ ইতিহাসে পাওয়া যায়। ১৯৬০ সালে মনোচিকিৎসক ওয়ালিন্দার রূপান্তরকামীদের উপরে একটি সমীক্ষা চালান। তার এই সমীক্ষা থেকে জানা যায়, প্রতি ৩৭,০০০ এ একজন পুরুষ রূপান্তরকামীর জন্ম হচ্ছে অন্যদিকে প্রতি ১০৩,০০০-এ একজন স্ত্রী রূপান্তরকামীর জন্ম হচ্ছে। ইংল্যান্ডে এ সমীক্ষাটি চালিয়ে দেখা গেছে যে সেখানে প্রতি ৩৪,০০০ এ একজন পুরুষ রূপান্তরকামী ভূমিষ্ট হচ্ছে আর অন্যদিকে প্রতি ১০৮,০০০ এ একজন জন্ম নিচ্ছে একজন স্ত্রী রূপান্তরকামী। অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে সেখানে ২৪,০০০ পুরুষের মধ্যে একজন এবং ১৫০,০০০ নারীর মধ্যে একজন রূপান্তরকামীর জন্ম হয়।
কোনো মানুষের মনে যদি একবার ট্রান্সসেক্সুয়ালিজম দেখা দেয় ক্রমশ তা বাড়তেই থাকে। এক অলীক স্বপ্নের হাতছানিতে এই মানসিকতার মানুষেরা ক্রমশ উন্মাদ হয়ে যায় যার শেষ পরিণতি হয় আত্মহত্যা। সেই জন্য এই সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই রোগীকে পাঠানো হয় মানসিক চিকিৎসকের কাছে। যদি তারা ব্যর্থ হন এবং দেখেন যে, ছেলে বা মেয়েটি সবদিক থেকেই মানসিকভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত লিঙ্গের অধিকারী তখনই রোগীকে আত্মহত্যা বা মানসিক বিপর্যস্ততার হাত থেকে বাঁচাতে শল্য চিকিৎসার পরামর্শ দেন। কেবলমাত্র সাইকোলজিস্টদের সার্টিফিকেট পেলেই সার্জন অস্ত্রোপচারের সাহায্যে পুরুষকে মহিলা বা মহিলাকে পুরুষে রূপান্তরিত করেন। যদিও এই পরিবর্তনে কখনই স্বপ্নের সাধপুরণ সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত সাইকোলজিস্টের সুচিকিৎসায় মানসিক এই বিকৃতি কাটিয়ে ওঠার নজিরও আছে অনেক।
মানবদেহের প্রতিটি কোষে তেইশ জোড়া ক্রোমোজোম বিদ্যমান থাকে। এদের মধ্যে বাইশ জোড়া সাধারণ ক্রোমোজোম আর বাকী এক জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম। এই সেক্স ক্রোমোজোমই মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেক্স ক্রোমোজোমটি XX এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে XY-এই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণভাবে মানুষের ক্ষেত্রে এই ক্রোমোজোম প্রতিকোষে সমানভাবে থাকলেও অনেক সময় এর তারতম্য দেখা যায়।
লিঙ্গ পরিবর্তনকামীদের প্রথমেই সেক্স ক্রোমাটিন টেস্ট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কেননা এই টেস্টের মাধ্যমেই বিপরীত লিঙ্গের ক্রোমোজোমের পরিবর্তন বুঝতে হয়। মুখের ভেতরকার পাতলা ত্বক বা কোষ সংগ্রহ করে এই পরীক্ষা করা হয়।
আবার বিরল হলেও প্রকৃতির খেয়ালে কোনো কোনো মানুষ উভয়লিঙ্গ হয়ে জন্মায়। অর্থাৎ পুরুষের শরীরে জরায়ু, ডিম্বাশয় ইত্যাদি থাকতে পারে।
এরকম ছেলেদের বয়ঃসন্ধির সময় থেকে প্রতিমাসে মাসিক ঋতুচক্রের মতো লিঙ্গদ্বার থেকে কয়েক ফোঁটা রক্ত বের হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ শরীরের ভেতরে বা বাইরে কোঁকড়ানো অবস্থায় সুপ্ত অন্ডকোষ থাকে। অস্ত্রোপচারের আগে আলট্রাসনোগ্রাফি করে আভ্যন্তরীণ যৌন অঙ্গগুলোর সঠিক অবস্থান জেনে নিতে হয়। এতে লিঙ্গ পরিবর্তনকামীরা হয়তো কিছু বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গপরিবর্তন বা sex change খুব জটিল প্লাস্টিক সার্জারী অপারেশন। এই অপারেশনে যারা নতুন দিগন্তের সন্ধান দিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন হ্যারি বেঞ্জামিন, স্টিনাক, আব্রাহাম, জন মানি সহ অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানী। চিকিৎসা বিজ্ঞানে transsxualism এর নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী Dr. Benjamin
রূপান্তরকামী এবং উভলিঙ্গ মানবদের চাহিদাকে মূল্য দিয়ে ডাক্তাররা সার্জারির মাধ্যমে sex change অপারেশন করে থাকেন। যেহেতু রূপান্তরকামীতাকে কোন অসুখ মনে করা হয় না, তাই ঔষধ প্রয়োগ করে এই মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের বদলে ফেলা সম্ভব নয়। একমাত্র sex change অপারেশনের মধ্য দিয়েই অনেকে মানসিক পরিতৃপ্তি পেয়ে থাকেন। পুরুষ রূপান্তরকামী অর্থাৎ যারা পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হতে চায়, তাদের জন্য এক ধরনের অপারেশন, আর নারী রূপান্তরকামীদের জন্য ভিন্ন অপারেশন।
মুলতঃ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে চামড়া অ টিস্যু নিয়ে গ্রাফটিং এর মাধ্যমে যোনিপ্রদেশ গঠন করা হয়, হরমোন থেরাপির সাহায্যে স্তন গ্রন্থির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটানো হয়, সিলিকন টেস্টিকেলের সাহায্যে অন্ডকোষ তৈরি করা হয়।
আগেই উল্লেখ করেছি যে
রূপান্তরের ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষ করার চেয়ে পুরুষকে নারীতে পরিণত করা অনেক সহজ।
ধাপ-১
এই অস্ত্রোপচারের সময় পুরুষের লিঙ্গ, অন্ডকোষ, বর্ধিত ভগাঙ্কুর সবকিছুই কেটে বাদ দিয়ে ওই সিটিং-এই কৃত্রিম যোনিপথ তৈরি করে মূত্রনালীকে মহিলাদের মতো করে স্থাপন করা হয়।
ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম ভ্যাজাইনো প্লাসটি(vagino plastic)। স্কিন গ্রাফট বা মিউকাসমোনাগ্রাফট করে কৃত্রিম যোনিটি তৈরি করা হয়। তবে এই কৃত্রিম যোনিটি কিছুতেই স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে চায় না-সংকুচিত হতে চেষ্টা করে। এটিকে স্বাভাবিক রাখতে প্লাস্টিক মোল্ড বা কাঠের টুকরো ব্যবহার করা হয়। ছয় মাসের বেশি সময় এটি যোনিতে রেখে দিতে হয়, যোনি স্বাভাবিক হলে বের করে দেয়া হয়।
ধাপ-২
ধাপ-১ এর কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার এক দেড় মাস পরে করা হয় ব্রেস্ট অগমেন্টেশন অফ প্লাস্টি বা স্তন সংস্থাপন। এই সময় রূপান্তরিত মহিলার স্তনের কাছে ত্বকে দুটি পকেট তৈরি করে সিবলিকা জেল দিয়ে তৈরি ম্যামারি প্রসথেসিস বা কৃত্রিম স্তন বসিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া স্কিন গ্রাফটিং করেও কৃত্রিম স্তন তৈরি করা যায়-এই অপারেশনটা একটু বড় ধরনের। ব্রেস্ট অগমেন্টেশন অফ প্লাসটি ও ভ্যাজাইনো প্লাসটি-এই দুটো অস্ত্রোপচারেই পুরুষেরা নারীতে রূপান্তরিত হয়।
ধাপ-৩
এরপর প্রয়োজন হয় হরমোন থেরাপির। বিশেষজ্ঞ এনডোক্রাইনোলজিস্ট-এর কাছে গিয়ে হরমোন থেরাপি করানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
মহিলা থেকে পুরুষে পরিবর্তনের সময় প্রথমে স্তন দুটি কেটে বাদ দেয়া হয়, ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলা হয় ম্যাসটেকটমি। পরে ওই রোগীরই ত্বক দিয়ে স্কিন টিউব তৈরি করে পুরুষাঙ্গ তৈরি করা হয়। এর অন্যান্য কয়েকটি পদ্ধতি থাকলেও এই পদ্ধতিটাই বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে এর আগে অস্ত্রোপচার করে মেয়েটির শরীরের ভেতর থেকে জরায়ু, ডিম্বাশয় ইত্যাদি বাদ দিতে হয়। পুরুষ থেকে স্ত্রী হতে গেলে কেবল শরীরের বাইরের প্রত্যঙ্গের অস্ত্রোপচার হয়-ভেতরের কোনো অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় না। পুরুষাঙ্গ তৈরির আগে মেয়েটির জরায়ু বাদ দিয়ে যোনিপথ সেলাই করে বন্ধ করা হয়। কৃত্রিম লিঙ্গের বা ফ্যালাসের মধ্যে আর একটি সরু টিউব তৈরি করে মূত্রনালীকে টেনে আনা হয় ডগা পর্যন্ত, যাতে প্রস্রাবে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়। একই সঙ্গে সপর্শ অনুভূতি সম্পন্ন পুডেনটাল নার্ভকে লিঙ্গের শেষ পর্যন্ত আনা হয় সপর্শকাতরতার জন্য। এর পরে থাকে লিঙ্গ দৃঢ় করার সমস্যা। বোনগ্রাফটিং-এর সাহায্যে করলে পুরুষাঙ্গ সবসময়ই দৃঢ় ও শক্ত থাকে। সেই জন্য সাধারণত কৃত্রিম ফ্যালাসে একটি পকেট রাখা হয়। সহবাসের আগে এই পকেটে স্যালি সাইলিক রড পুরে নিতে হয়।
পুরো রূপান্তর সম্পন্ন করতে এক বছর বা আরও বেশি সময় লাগে। এর পর এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ওই রূপান্তরিত পুরুষটিকে টেস্টোস্টেরন এবং রূপান্তরিত মহিলাকে ইস্ট্রোজেন হরমোন ইনজেকশন বা ওষুধ হিসেবে দিয়ে থাকেন।
হরমোন প্রয়োগের ফলে রূপান্তরিত মেয়েটির শরীরে নারীসুলভ কমনীয়তা আসে ও ছেলেটির ক্ষেত্রে পুরুষালি ভাব দেখা দেয়-গোঁফ, দাড়ি গজায়, গা হাত পায়ে লোম গজায়, কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে ওঠে ইত্যাদি। গৌণ যৌন লক্ষণগুলো ফুটে ওঠায় রূপান্তর সম্পূর্ণ হয়।
প্রখ্যাত ভ্রমন কাহিনী লেখিকা jan mosrris একদা পুরুষ ছিলেন। পরে নারীতে রূপান্তরিত হন। তিনি পুরুষ ও মহিলার ভিন্ন জগৎ সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে যা বলেছেন তা হুবহু ওনার নিজের ভাষায় তুলে দিচ্ছি- (উনার ভাষ্য পড়েই বোঝা সম্ভব যে আমাদের সমাজে নারী পুরুষ আসলে সমান হতে পারে কিনা)ঃ
*আমাদের বলা হয় মহিলা ও পুরুষের মধে্য সামাজিক ব্যবধান ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছেঃ কিন্তু আমি বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের প্রেক্ষাপটে একটা ভিন্ন প্রতিবেদন রাখবো, কারণ আমার মহিলা ও পুরুষ উভয় জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে। বস্তুত আমার মনে হয় জীবনের কোন বিষয়ে, কোন সংস্পর্শে, কোন ব্যবস্থায়, কোন আহ্বানে পুরুষ ও মহিলা কোন ক্রেমেই অভিন্ন নয়। যে স্বরে এখন আমাকে সম্বোধন করা হয় বা আমার পরবর্তী সারিতে যিনি দাড়িয়ে আছেন তার অঙ্গভঙ্গি অথবা আমি যখন ঘরে প্রবেশ করি বা রেস্তোরার টেবিলে বসে থাকি অখন আমার পরিবর্তিত মর্যাদার উপরে সততই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আমার প্রতি যেমন অপরের আহ্বানে পরিবর্তন ঘটেছে তেমনি আমারও পরিবর্তন ঘটে গেছে। আমাকে যত বেশী করে মহিলা হিস্বে দেখতে শুরু করে আমিও ততবশি মহিলা হয়ে পড়ি। স্বেচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, আমি এ ব্যবস্থার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। যদি ধরে নিই যে, গাড়ি পিছনে ঘোরাতে পারবো না অথবা বোতল খুলতে পারবো না সতি্যই আমি দেখি এ সমস্ত ব্যাপারে অসমর্থ হয়ে পড়েছি। অথবা কোন ভারি বিষয়ে চিন্তা করা আমার পক্ষে দুরূহ মনে করলে আমি সতি্য সতি্যই তাই হয়ে পড়ি...
উদাহরনস্বরূপ এটা ভেবে আমার কৌতুক হয়, কয়েক বছর আগে আমি আমার সংস্কৃতিবান পুরুষ বন্ধু নিয়ে যখন কোন রেস্তোরায় খাদ্যগ্রহনে প্রবেশ করতাম তখন সংশ্লিষ্ট দোকানের কর্মচারীরা আমার প্রতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্ভ্রম করতো। অথচ এখন সে আমার পোশাক নিয়ে টানাটানি শুরু করে রহস্য করে। আগে সে আমার কাছ থেকে ভয়ে ভয়ে অর্ডার চাইতো আর এখন সে আম্র কাছে বাচালতা আশা করে (এবং আমিও তাই করি)।* (morris 1974)
"এই ব্যপারটা আরো স্পস্ট করে ব্যাখ্যা করতে পারতাম যদি ছবি সহ বর্ননা করতে পারতাম। কিন্তু সেটা সমিচীন মনে হয়নি বলে করতে পারিনি। তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। "
আমি LIMON। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 81 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
দারুন লিখেছেন তো ! পড়ে নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম।আচ্ছা , মাঝে মাঝে পত্র,পত্রিকায় দেখা যায় যে ছেলে মেয়ে হয়ে গেছে অথবা মেয়ে ছেলেতে রুপান্তরিত হয়েছে ওগুলো কিভাবে ঘটে ?