সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানী মানুষের আবাস-গ্রহ এই পৃথিবী। মানুষের চরিত্রের যেমন আছে দ্বৈত রূপ-- ভেতর আর বাহির, তেমনি পৃথিবীরও আছে দুই রঙ। দূর থেকে এ গ্রহ নীল আর কাছ থেকে সবুজ। এই নীল-সবুজ গ্রহের বিশাল ভূখন্ডে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য পাহার আর পর্বত। অবশ্য বৈজ্ঞানীক বিশ্লেষণে পৃথিবীময় ছড়িয়ে থাকা এই পাহার-পর্বতগুলোর সৃষ্টি ও অবস্থান ব্যাকরণ বহির্ভূত নয়। ইসলামের ঐশিগ্রন্থ আল-কোরানেও উল্লেখ আছে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় এই পাহার-পর্বতের অপরিহার্যতার কথা। পৃথিবীর পর্বতগুলোর অনেক কিছুই আমরা জানি। এগুলোর কোন কোনটি আমরা দেখেছি স্বশরীরে হাজির হয়ে আর কোনটি ছবিতে। বাংলাদেশে পর্বতারোহণ খুব একটা বহুলঘটিত বিষয় নয়। তাই পর্বত আরোহীও কম। অনেক তরুণ ইদানিং এ কাজে নিজেদের নিয়োজিত করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। তবে শুধু তরুণ কেন, পঞ্চাশ উর্ধ্ব অনেকেই এ কাজ করে থাকেন অবলীলায়।
দেশে ফিরলেন এভারেস্ট বিজয়ী মুসা : বিমানবন্দরে বিপুল সম্বর্ধনা
▲▲▲২১ মে : নেপালের একজন শেরপা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ১৯ বার জয় করে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছেন। আপা শেরপা নামের এই ব্যক্তি আজ সকালে মাউন্ট এভারেস্টের চুড়া ১৯তম বার জয় করেছেন। কাঠমান্ডু থেকে ফরাসি বার্তা সংস্থা কর্তৃক পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে, তিনি আজ সকালে এভারেস্টের চুড়ায় আরোহন করেন এবং সেখানে তিনি আধা ঘন্টা অবস্থান করেছেন। এই অদম্য পবর্তারোহী ভাল আছেন এবং তিনি এরই মধ্যে মূল ঘাটি বা বেজ ক্যাম্পের দিকে যাত্রা শুরু করেছেন। তবে এভারেস্টের পর্বত চূড়ায় আপা শেরপা যে ব্যানার স্থাপন করেছেন তাতে লেখা রয়েছে, বিশ্বের জলবায়ুর পরিবর্তন বন্ধ কর, হিমালয় পর্বতমালাকে বাঁচতে দাও! আপা প্রথম বিশ্বের এই সর্ব বৃহৎ পবর্ত শৃঙ্গ জয় করেছিলেন ১৯৯০ সালে। বিশ্বের জলবায়ুর পরিবর্তনের ব্যাপারে পৃথিবীব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য চলতি বসন্তে তিনি এভারেষ্ট আরোহণ করেন। চলতি বসন্তে এ পর্যন্ত শতাধিক পর্বতারোহী এভারেষ্ট জয় করেছেন। ১৯৫৩ সালে এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং প্রথম এভারেস্টের পবর্ত শৃঙ্গে আরোহণ করেছিলেন। এরপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার বারের বেশি ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার দীর্ঘ এভারেস্ট জয় করা হয়েছে।
▲হিমালয় পর্বত▲
►গঠন: এভারেস্ট পর্বত গঠিত হয় প্রায় ছয় কোটি বছর আগে।
►উচ্চতা: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২৯ হাজার ৩৫ ফুট। ১৯৯৯ সালের আগের হিসাবে যা ছিল ২৯ হাজার ২৯ ফুট।
►নামকরণ: ভারতের ব্রিটিশ সার্ভেয়ার জেনারেল স্যার জর্জ এভারেস্টের নামে পর্বতটির নামকরণ করা হয়েছে। এর কারণ, স্যার জর্জ সর্বপ্রথম এভারেস্টের অবস্থান নির্ণয় করেন এবং এর
►উচ্চতা মাপেন। একসময় একে ১৫ নম্বর চূড়া হিসেবে চিহ্নিত করা হতো।
►নেপালি ভাষায় এর নাম সাগরমাথা (আকাশের দেবী)।
►তিব্বতি ভাষায় এর নাম চোমোলুংমা (মহাবিশ্বের দেবী মা)।
►বাংলা ভাষায় তার নাম হিমালয় পর্বত
►অবস্থান: ২৭ ডিগি ৫৯ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৬ ডিগ্রি ৫৬ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এর অবস্থান। এই পর্বতের চূড়া নেপাল ও তিব্বতকে আলাদা করেছে।
মাউন্ট এভারেস্ট-সংশ্লিষ্ট কিছু শৃঙ্গ জয় তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো—
►সবচেয়ে কম বয়সে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েন যুক্তরাষ্ট্রের জর্ডান রোমেরো (১৩) গত শনিবার।
►সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের রেকর্ড নেপালের আপা শেরপার। গত শনিবার তিনি ২০ বারের মতো ওই চূড়ায় পা রাখেন।
►প্রথম এভারেস্টের চূড়ায় দুবার ওঠার কৃতিত্ব নেপালের নওয়াং গোম্বুর।
►প্রথম বাঙালি হিসেবে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন দেবাশীষ বিশ্বাস ও বসন্ত সিংহ রায়। দেবাশীষের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আর বসন্ত সিংহের বাড়ি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে।
►সবচেয়ে দ্রুত এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার রেকর্ডটি অস্ট্রিয়ার পর্বতারোহী ক্রিস্টিয়ান স্ট্যানগলের। তিনি ২০০৭ সালে বেস ক্যাম্প থেকে মাত্র ১৬ ঘণ্টা ৪২ মিনিটে পর্বত চূড়ায় পৌঁছান। তিনি অক্সিজেন ছাড়াই চূড়ায় পৌঁছান।
►সবচেয়ে দ্রুত চূড়া থেকে নেমে আসার রেকর্ডটি ফ্রান্সের জ্যঁ-মার্ক বোয়াভিনের। তিনি প্যারাগ্লাইডিং করে মাত্র ১১ মিনিটে নেমে আসেন বেস ক্যাম্পে।
►চূড়ায় অবস্থান: সবচেয়ে বেশি সময় চূড়ায় অবস্থানের রেকর্ড নেপালের বাবু চিরি শেরপার। তিনি সাড়ে ২১ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন।
►অভিযাত্রীর মৃত্যু: এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখতে গিয়ে ২০০৯ সালের শেষভাগ পর্যন্ত ২১৬ জন অভিযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
►বিপজ্জনক এলাকা: খুম্বু আইস ফল। সেখানে ১৯ জন অভিযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
►অভিযাত্রী দল: এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অভিযাত্রী দল এভারেস্ট জয়ে গেছে চীন থেকে। ১৯৭৫ সালে ৪১০ জনের একটি অভিযাত্রী দল ওই অভিযানে অংশ নেয়। এএফপি ও উইকিপিডিয়া।
♫ ♫ এভারেস্ট থেকে দেয়া মুসা ইব্রাহীমের সাক্ষাৎকারটি শুনতে ক্লিক করুন এখানে ♫♫
►এই তথ্যগুলো আমার নিজের জানা ছিলনা ।বিজয়ী মুসা ভাইয়ের জয়ের আনন্দে আনন্দিত হয়ে তথ্যগুলো বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ। এবং টেকটিউন পরিবারের সাথে সম্পৃকত করলাম।আশা করি অজানা এই তথ্যটি সবার জানা হবে এই টিউনটির মাধ্যমে। চলুন সবাই শফথ করি বিজয়ী মুসা ভাইয়ের মত জয় চিনিয়ে আনার ।সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন ।
☺আল্লাহ হাফেজ☺
আমি স্বপ্না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 30 টি টিউন ও 617 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ____________স্বপ্না। আপন মনে মেতে উঠি প্রযুক্তির সুরে,তাই তো আমি প্রযুক্তির প্রেমে নিবন্ধীত হলাম.এই প্রযুক্তির সুরের সাথে সুর দিতে চাই............
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, আরও সুনাম অর্জিত হউক…………………
( ধন্যবাদ স্বপ্না আপু)