“আমাদের এই পৃথিবী আজ হুমকির মুখে” পরিবেশবাদীদের মুখে এ কথা প্রায়ই শোনা যায়। এ কাথাটি বলার পেছনে যথেষ্ট কারনও রয়েছে। কারন চারদিকে পরিবেশের অবনতির লক্ষন আজ অতি স্পষ্ঠ। গ্রীনহাউজ এফেক্ট, বায়ু দূষন, বন ধ্বসং, পরমানবিক অস্ত্রের বিস্তার ইত্যাদি নানা করনে আমাদে পৃথিবী আজ সত্যিই হুমকির মুখে। আসলে এ অবস্থার জন্য মানুষই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দায়ী। তাই মানুষই এ হুমকি নিরসন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তো একদিন সফলও হবে। কিন্তু তার পরেও পৃথিবীর জন্য বয়েছে সম্পুর্ন আলাদা এক বিপদ। কি সেই বিপদ? হ্যাঁ এ নিয়ে আলোচনা শুরু করছি ১৯৯৪ সালে মহাকাশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে।
১৯৯৪ সাল জুলাই মাসের ১৬-২২ তারিখ, সরা পৃথিবীর জ্যোতির্বিদদের অবাক করে দিয়ে মহাকেশে ঘটল এক অতি বিরল দৃশ্য। শুমেকার-লেভি নামে একটি ধূমকেতুর অনেক গুলো খন্ড ভেঙ্গে পরল দানব গ্রহ বৃহস্পতির গায়ে। এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য পৃথিবীর সব বড় বড় সব টেলিস্কোপ তাক করা হলো বৃহস্পতির দিকে। সেই সংঙ্গে যোগ হলো ভূমি থেকে ৬০০ কি:মি: উঁচুতে থাকা ‘হাবল’ নামক মহাকাশ দূরবীন এবং বৃহস্পতির ওপর অনুসন্ধান চালাবার জন্য প্রেরিত মহাকাশ যান গ্যালিলিওর দূরবীন। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে ১৬ই জুলাই শুরু হলো নাটকিয় সেই ঘটনা। বৃহস্পতির বুকে একে একে আঘাত হনাতে থাকলো শুমেকার-লেভি নামক ধূমকেতুর ছোট বড় খন্ড। কোন কোন আঘাতের ফলে আগুনের শিখা লিফিয়ে উঠল প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। ধূমকেতুর বড় খন্ডগুলোর সংঘর্ষের দৃশ্য পৃথিবী থেকে একটা সাধারন মানের দূরবীন দিয়েই দেখা যাচ্ছিল। এ সংর্ষের ফলে যে শক্তি সৃষ্টি হয় তা প্রায় কয়েক লাখ বড় মাপের হাইড্রোজন বোমার সমান।
এ ঘটনাটি জানার পর এজন সাধারন পাঠক হিসেবে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এ রকম ঘটনা কি পৃথিবীর ক্ষেত্র ঘটতে পরে? এর উত্তর দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা যে কথা বলেন তা মোটেই সুখকর নয়। কারন তারা বলেন "এ ধরনের আঘাত পৃথিবীর উপরও আসতে পারে এবং অতীতেও এসেছিলো"”। ধুমকেতু বা অন্য কোন মহাজাগতিক বস্তুর সংঙ্গ পৃথিবীর সংর্ঘষের তিনটি বেশ জোরালো প্রমান বিজ্ঞানীদের হাতে বার্তমানে রয়েছে। এথমটি ঘটে প্রায় ৫০হজার বছর পূর্ব আরিজোনার উত্তরে।প্রায় ৬০ মিটার প্রশস্থ একটি গ্রহাণু আঘাতহানে সেখানে এর ফলে সৃষ্টি হয় প্রায় ৬০০ফুট গভীর এবং ৪০০০ ফুট প্রশস্ত একটি খাদ। আর যে পরিমান শক্তি সে সময় উদগীরিত হয় তার পরিমান ছিলো প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন টিএনটির সমপরিমান।
বিজ্ঞানী ধারনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর পূর্বে। সে সময় পৃথিবীর বুকে আছড়ে পরে একটি ধুমকেতু যার ব্যাস ছিল প্রায় ১০ কি:মি: এ আঘাতের ফলে প্রচুর পরিমান ধুলিকণা ও জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হয় যা সমগ্র আকাশকে ঢেকা ফেলে ঘন মেঘের আস্তরনে ফলে বহু বছর পর্যন্ত পৃথিবী বঞ্চিত হয় সূর্যালোক থেকে। বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন এই সংর্ঘষের ফলেই পৃথিবী থেক বিলুপ্ত হয়ে যায় অতিকায় প্রাণী ডাইনোস সহ ছোট বড় আরও নানা প্রকার প্রাণী এবং বিপুল প্রজাতীর উদ্ভিদ। বিজ্ঞানীরা ১৯৯০ সালে মেক্সিকোতে এ সংর্ঘষের প্রমানটি পান। মেক্সিকোর চিকসউলাব (Chicxulub) গ্রামে ১১২ মাইল প্রশস্ত একটি গর্তর সন্ধান পান। তারা হিসাব কষে দেখেন এ ধরনের একটি গর্ত কমপক্ষ ১০কি: মি: প্রস্ত কোন বস্তু পিন্ডের আঘাতেই সৃষ্টি হতে পারে।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে ১৯০৮ সালের ৩০ জুন। ঐ দিন সাইবেরিয়র তুংগুসহাতে আঘাতহানে একটি মহাজাগতিক বস্তু পিন্ড। যার ফলে প্রায় ৩২ কি:মি: এলাকার সব কিছু চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। সমস্ত ভূকম্পন যন্ত্র গুলোতে ধরা পরে অস্বাভাবিক কম্পন মাত্রা। ঐ এলাকার আকাশ ঢেকে গিয়েছিল ঘন ধুলি কণার মেঘে।
তাহলে আমরা কি নিরাপদ?
আমি আকাশছোঁয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 80 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করতাম। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিশেষকরে ইলেক্ট্রনিক্সের প্রতি ছিলো আলাদা একটা ভালোবাসা। ইলেক্ট্রনিক্সের কোন খেলনা পেলে তা না খুলে দেখা পর্যন্ত মনে শান্তি পেতাম না। কেমন করে কাজ করে এগুলো এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতো মাথায়। বাসার টর্চলাইট থেকে শুরু করে বড়ভাইয়ের ক্যালকুলেটর কোন কিছুই...
.
আপনেরা সব কিছুর জন্য প্রস্তুত হন, এমনকি মৃত্যুর জন্যও ………………